Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ || ০৭ মুহাররম, ১৪৪৭ হিজরী || ০৩ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ || ০৭ মুহাররম, ১৪৪৭ হিজরী || ০৩ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে রাশিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিলেন মাওলানা গুল হাসান


    রাশিয়ায় ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের নতুন রাষ্ট্রদূত ও বিশেষ দূত মাওলানা গুল হাসান হাফিযাহুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে তার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ইমারতে ইসলামিয়া কর্তৃক নিযুক্ত এই কূটনীতিক গত ২ জুলাই মস্কোয় আফগান দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে এক সভায় অংশ নেন।

    এসময় মাওলানা গুল হাসান বলেন, ‘আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আমি পূর্ণ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করব। দূতাবাসের সকল সদস্যের সাথে সমন্বয় করে আফগানিস্তানের স্বার্থ রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হবে।’

    আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে রাশিয়ার এই স্বীকৃতিকে গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে মূল্যায়ন করেছে। মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে যে, এ পদক্ষেপ আফগানিস্তান ও রাশিয়ার মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Afghanistan’s Ambassador to the Russian Federation Officially Assumes His Duties
    https://tinyurl.com/533terhj
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    গাজায় এক দখলদার ইসরায়েলি সেনা নিহত, আহত আরও ৩


    ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় দখলদার ইসরায়েলের এক সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছে আরও ৩ জন। ০২ জুলাই, বুধবার সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী এ তথ্য স্বীকার করেছে।

    নিহত দখলদার এই সেনার নাম সার্জেন্ট ইয়ানিভ মিখালোভিচ। সে সপ্তম সাঁজোয়া বিগ্রেডের ৮২ নং ব্রিগেডের ট্যাংক ক্রু ছিল।

    দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, মিখালোভিচ উত্তর গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় নিহত হয়েছে। ওই হামলায় এক ট্যাংক কমান্ডার এবং একই ব্যাটালিয়নের অপর এক সেনা গুরুতর আহত হয়।

    এদিকে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অন্য আরেকটি হামলায় কমান্ডো ব্রিগেডের ইগোজ ইউনিটের এক সদস্য গুরুতর আহত হয়।

    গত ৩০ জুলাই, সোমবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বরাতে সংবাদমাধ্যম কান নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছে ৮৮০ জন দখলদার ইসরায়েলি সেনা এবং আহত হয়েছে আরও ৫ হাজার ৮৪৪ জন। এখন এ সংখ্যা আরও একজনে বেড়ে ৮৮১ জনে পৌঁছেছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Soldier killed in northern Gaza, 3 others seriously hurt; rockets fired at Sderot
    https://tinyurl.com/ypxjemzx
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আফগানিস্তানে নাহর-ই-সিরাজ খাল পুনর্বাসন মেগাপ্রকল্প উদ্বোধন, ২৪ হাজার হেক্টর সেচ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা


      ​আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশের সাঙ্গিন জেলায় নাহর-ই-সিরাজ খাল পুনর্বাসন প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায় উদ্বোধন করেছে ইমারতে ইসলামিয়ার পানি ও জ্বালানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন ইমারতে ইসলামিয়ার পানি ও জ্বালানী বিষয়ক মন্ত্রী মোল্লা আব্দুল লতিফ মনসুর হাফিযাহুল্লাহ এবং প্রাদেশিক গভর্নর মোল্লা আব্দুর রহমান মুসলিম হাফিযাহুল্লাহ।

      অনুষ্ঠানে বক্তব্যের সময় প্রদেশে পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা এবং কৃষিকে পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে প্রকল্পের তাৎপর্য তুলে ধরেন মন্ত্রী মনসুর হাফিযাহুল্লাহ। তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন যে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে খালটিতে পানি প্রবাহ পুনরায় স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। ফলে এটির উপর নির্ভরশীল কৃষক এবং বিভিন্ন পেশার নাগরিকদের প্রয়োজন পূরণ হবে।

      ইমারতে ইসলামিয়ার অর্থায়নে এবং জাতীয় উন্নয়ন কোম্পানির সাথে ২৭ কোটি ৫৮ লক্ষ আফগানি অর্থের চুক্তির আলোকে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

      প্রকল্পটির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ২০০ মিটার বাঁধ নির্মাণ, ৬৫০ মিটার খালের পুনর্বাসন ও সুরক্ষিত করণ, ড্রেজিং কার্যক্রম, নদীর তলদেশ শক্তিশালীকরণ, গার্ড হাউস ও কন্ট্রোল গেট স্থাপন। সম্পূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২ বছর সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছে।

      উল্লেখ্য যে, নাহর-ই-সিরাজ খালের আওতায় ২৪ হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে সেচের পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এর ফলে অন্তত ৩টি জেলার স্থানীয় বাসিন্দাগণ উপকৃত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

      তথ্যসূত্র:
      1. Nahr-e-Saraj Canal construction begins in Helmand
      https://tinyurl.com/59v5bccu
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        হেরাত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান প্রদর্শনী: তরুণদের প্রযুক্তিগত বিকাশে ইমারতে ইসলামিয়ার সমর্থন




        আফগানিস্তানের হেরাত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল অনুষদের ৩য় বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন ইমারতে ইসলামিয়ার প্রশাসনিক উপপ্রধানমন্ত্রী মৌলভী আব্দুস সালাম হানাফি হাফিযাহুল্লাহ। উক্ত প্রদর্শনীর শিরোনাম ছিল ‘চিন্তা হতে উদ্ভাবন’।

        অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার প্রশংসা করেছেন মৌলভী হানাফি হাফিযাহুল্লাহ। এছাড়া যুবকদের মধ্যে প্রতিভা ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের জন্য তিনি ইমারতে ইসলামিয়ার দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।

        তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সুযোগ প্রদানে ইমারতে ইসলামিয়া সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই সরকার তরুণদের একাডেমিক ও প্রযুক্তিগত প্রচেষ্টাকে গুরুত্ব সহকারে সমর্থন করে যাবে।

        প্রদর্শনীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাওলানা জালালুদ্দীন বলখী হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মেকাট্রনিক্স, স্থাপত্য ও নগর পরিকল্পনা বিষয়ে ৩০ এর অধিক প্রকল্প প্রদর্শিত হয়েছে।

        উক্ত প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়ানো, পাশাপাশি একটি সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ গড়ে তোলা এবং সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের সুযোগ তৈরি করা।


        তথ্যসূত্র:
        1. Deputy PM Hanafi Visits Third Specialized Engineering Faculty Exhibition at Herat University
        https://tinyurl.com/yeycp4v3
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          মালি || ১৫০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আল-কায়েদার ব্যাপক আক্রমণ: লক্ষ্যবস্তু ১০টি শহর ও ৪টি শিল্প এলাকা



          আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম), চলতি ২০২৫ সালের ১লা জুলাই, মালিতে বৃহৎ পরিসরে একটি সামরিক অপারেশন পরিচালনা করেছেন। অভিযানটি মালির টিম্বুকটো রাজ্য থেকে শুরু করে রাজধানী বামাকো ও দেশের পশ্চিমাঞ্চলের সিনেগাল সীমান্ত পর্যন্ত প্রশারিত ছিল। প্রাথমিক বিবরণ অনুযায়ী, এই অভিযানে অন্তত ২৫৩ এরও বেশি সৈন্য নিহত এবং আরও কয়েক শতাধিক সৈন্য আহত হয়েছে।

          আঞ্চলিক সূত্রমতে, ১লা জুলাই মঙ্গলবার ভোর ৫ টার দিকে, ‘জেএনআইএম’ এর কয়েক হাজার মুজাহিদিন, মালির কয়েস ও সেগু রাজ্য থেকে শুরু করে দেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় ১৫০০ কিলোমিটার এরিয়া জুড়ে ১০টি নগর ও ৪টি শিল্প এলাকা সহ কয়েক ডজন সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছেন। মুজাহিদদের সমন্বিত এই আক্রমণের প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে নিওনো, ডিবোলি, সান্দারে, গোগুই, কায়েস এবং নিওরো-ডু শহরগুলো। এরমধ্যে কায়েস শহর ছিলো এই অঞ্চলের একটি প্রাদেশিক রাজধানী, শহরটিতে মুজাহিদদের পরিচালিত অভিযানে সরকারি সদর দপ্তর সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।



          আয-যাল্লাকা মিডিয়া কর্তৃক প্রচারিত তথ্যমতে, মঙ্গলবার মুজাহিদিনরা নিওনো শহরের ৫টি প্রবেশ পথ ও জান্তা বাহিনীর ১টি সামরিক ব্যারাক ও বেশ কিছু চেকপোস্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। শহরটিতে মুজাহিদদের হামলায় অন্তত ৪০ জান্তা সদস্য নিহত হয়েছে এবং আরও কয়েক ডজন সৈন্য আহত হয়েছে, অন্যরা জীবন বাঁচাতে সামরিক ব্যারাক ও শহরের দেয়াল টপকিয়ে পালিয়ে গেছে।

          একই সময় কয়েস শহরে মুজাহিদিনরা জান্তা বাহিনীর ২টি সামরিক ব্যারাক, ৫টি সামরিক পোস্ট, ১টি পুলিশ স্টেশন, ১টি সামরিক কারাগার, ১টি শিল্প এলাকা এবং ১টি কারখানা সহ জান্তা বাহিনীর সাথে যুক্ত কয়েকজন মন্ত্রীর বাসভবনে আক্রমণ চালান। এই অভিযানের সময় ২ জন মন্ত্রীর বাসা ধ্বংস করে দেন মুজাহিদিনরা, সেই সাথে পার্কিং-এ থাকা ১১টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। শহরটিতে মুজাহিদদের অভিযানে শিল্প এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অন্তত ২৩ জান্তা সদস্য নিহত হয়, এসময় শিল্প এলাকায় কর্মরত ৩ ভারতীয় এবং ১ চীনা কর্মকর্তা সহ ১ জান্তা সদস্যকে মুজাহিদিনরা বন্দী করে নিয়ে যান। শহরটির অন্যান্য স্থানেও মুজাহিদদের পরিচালিত অভিযানে কয়েক ডজন শত্রু সৈন্য নিহত হয়েছে।

          এদিকে ২টি শহরে মুজাহিদদের হামলায় ব্যাপক হতাহতের শিকার জান্তা বাহিনীর সহায়তায় শহর ২টিতে ব্যাপক বিমান হামলা চালাতে শুরু করে রাশিয়ান বাহিনী ও তুর্কি ড্রোনগুলো। এতে ৬ জন মহিলা ও ১০ জন মুজাহিদ শাহাদাত বরণ করেছেন বলে জানা যায়।

          এমনিভাবে ‘জেএনআইএম’ এর কাতিবা মাসিনা ব্রিগেডের মাত্র ৩০ জন মুজাহিদ, সেগু অঞ্চলের বাফুলাব শহরের উত্তরে জান্তা বাহিনীর একটি চেকপয়েন্ট এবং তিনটি শিল্পস্থলে আক্রমণ চালান। এসময় মুজাহিদিনরা কয়েক শতাধিক জান্তার বিরুদ্ধে কয়েক ঘন্টা যাবৎ তীব্র লড়াই চালিয়ে যান, এতে অন্তত ৩৬ জান্তা সদস্য নিহত হয় এবং অন্যরা জীবন বাঁচাতে সামরিক পোস্ট ও শিল্প এলাকার নিরাপত্তা দায়িত্ব ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই যুদ্ধে মুজাহিদদের হামলায় জান্তা বাহিনীর সামরিক ও অর্থনৈতিক অবস্থানগুলো ধ্বংস ও পুড়ে যায়।

          এই অভিযানের ধারাবাহিকতায় মুজাহিদিনরা তান্ডারি শহরেও জান্তা বাহিনীর ১টি সামরিক ঘাঁটি, ৩টি চেকপয়েন্ট এবং টোগো ভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত জান্তার ১টি শিল্প এলাকায় আক্রমণ চালান। শহরটিতে মুজাহিদদের হামলায় জান্তা বাহিনীর অন্তত ২৮ সদস্য নিহত এবং আরও অসংখ্য সৈন্য আহত হয়। এসময় মুজাহিদিনরা জান্তা বাহিনীর সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেন এবং ৩টি চেকপয়েন্ট ও শিল্প এলাকার নির্মাণ সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি ধ্বংস করেন। এছাড়াও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মুজাহিদিনরা গাড়িতে করে গনিমত হিসাবে নিয়ে যান।

          এদিন ‘জেএনআইএম’ এর ৫ম একটি দল, কায়েস রাজ্যের উত্তরের গোরজি শহরে জান্তা বাহিনীর সামরিক অবস্থানগুলোতে জটিল আক্রমণ চালান। এতে ৩১ জান্তা সদস্য নিহত হয়।

          ‘জেএনআইএম’ এর মুজাহিদিনরা মালি-সেনেগাল সীমান্তবর্তী শহর ডিবোলিতেও একটি সামরিক অপারেশন পরিচালনা করছেন। অভিযানটি শহরে জান্তা বাহিনীর ১টি সামরিক ঘাঁটি এবং ১টি পুলিশ স্টেশন লক্ষ্য করে চালানো হয়। অভিযানের প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, ডিবোলিতে মুজাহিদদের হামলায় অন্তত ১১ জান্তা সদস্য নিহত হয়েছে।

          মুজাহিদদের সমন্বিত এই অভিযানগুলো মালির রাজধানী বামাকো ও কেন্দ্রীয় অঞ্চলেও ব্যাপক আঘাত হেনেছে। কেননা মঙ্গলবার, মালির কেন্দ্রীয় মনোন্ডো রাজ্যও মুজাহিদদের ব্যাপক হামলার শিকার হয়েছে। এদিন মুজাহিদিনরা রাজ্যটির ২টি শহরে জান্তা বাহিনীর একাধিক সামরিক ঘাঁটি ও অবস্থানে ভারী আক্রমণ চালিয়েছেন। এতে জান্তা বাহিনীর অন্তত ৪৫ শত্রু সৈন্য নিহত হয় এবং আরও অসংখ্য সৈন্য আহত হয়। এসময় অনেক সৈন্য জীবন বাঁচাতে সামরিক ঘাঁটি ও অবস্থান ছেড়ে পালিয়ে যায়।

          মঙ্গলবার সকালে মুজাহিদদের তীব্র আক্রমণের শিকার হয় রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনীও। মুজাহিদিনরা এদিন সকালে টিম্বুকটো রাজ্যের বের শহরে রাশিয়ান বাহিনী ও জান্তা বাহিনীর যৌথ একটি সামরিক ঘাঁটিতে অতর্কিত আক্রমণ চালান। ঘাঁটিতে মুজাহিদদের তীব্র আক্রমণে রাশিয়ার (আফ্রিকান-কর্পস) এর ১৮ সৈন্য এবং মালির জান্তা বাহিনীর ২৬ সৈন্য নিহত হয়।

          আয-যাল্লাকা মিডিয়া কর্তৃক ৩ জুলাই পর্যন্ত প্রকাশিত ‘জেএনআইএম’ এর ৬টি বিবৃতি থেকে জানা যায়, গত ১লা জুলাই মুজাহিদদের পরিচালিত সমন্বিত অপারেশনে জান্তা ও রাশিয়ার অসংখ্য সৈন্য নিহত এবং বহু সংখ্যক সৈন্য আহত হয়েছে। মুজাহিদিনরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন ৫টি সামরিক ব্যারাক ও কয়েক ডজন সামরিক অবস্থান, ধ্বংস করেছেন আরও অসংখ্য শত্রু সামরিক অবস্থান। আর কায়েস ও নিওনো শহর অবরোধ করার পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন।

          মুজাহিদিনরা এই অভিযানের মাধ্যমে ধ্বংস করেছেন শত্রু বাহিনীর ১০০ এরও বেশি সামরিক যানবাহন, শতাধিক মোটরসাইকেল এবং অন্যান্য অসংখ্য সামরিক সরঞ্জাম। এছাড়াও মুজাহিদিনরা গনিমত হিসাবে অর্জন করেছেন ৩১টি যানবাহন ও ১৯টির বেশি মোটরসাইকেল।
          পাশাপাশি ৫০টি ক্লাশিনকোভ, ৫টি আরপিজি, ১টি পিকে, ১টি 6pmm মর্টার, ৯৩টি গোলাবারুদ বাক্স এবং অন্যান্য বহু সামরিক সরঞ্জাম।

          উল্লেখ্য যে, মালিতে মঙ্গলবার মুজাহিদদের অভিযানটি ছিলো সাম্প্রতিক ইতিহাসে ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দ্বারা পরিচালিত অভিযানগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ অভিযান। এদিন কয়েক ঘন্টার মধ্যে ‘জেএনআইএম’ এর শত শত মুজাহিদিন মালির হাজার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এক ডজনেরও বেশি শহরে জান্তা ও রাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছেন। মুজাহিদের পক্ষ থেকে এমন বৃহৎ পরিসরে সামরিক অপারেশন ইতিপূর্বে আফগানিস্তান ও সিরিয়া বিজয়ের সময়ই বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে।
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের যৌথ আক্রমনে বেসামাল দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী



            ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন আল-কুদস ব্রিগেড ঘোষণা করেছে, ০২ জুলাই, বুধবার তারা মধ্যপ্রাচ্যের দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে। গাজার সীমান্তবর্তী এই শহরে হামলার বিষয়টি ইসরায়েলি গণমাধ্যমও স্বীকার করেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা থেকে সেদরোতের দিকে অন্তত তিনটি রকেট ছোড়া হয়েছে।

            এদিকে আল-কাসসাম ব্রিগেডও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকা থেকে দখলদার ইসরায়েলি বসতি নির ইতঝাক ও মিভতাচিম-এর দিকে কিউ টোয়েন্টি ধরনের রকেট নিক্ষেপ করেছে। সেখানে ইসরায়েলি সামরিক যান মোতায়েন ছিল।

            ০২ জুলাই, বুধবার আল-কুদস ব্রিগেড আরও জানায়, গাজা শহরের শুজাইয়ার হুদা স্কয়ার এলাকায় তারা একটি সমন্বিত হামলা চালিয়েছে। প্রথমে তারা একটি মাইনফিল্ড বিস্ফোরণের মাধ্যমে ইসরায়েলি সামরিক যান লক্ষ্য করে আঘাত হানে। এরপর দখলদার সেনারা আশেপাশের ঘরে আশ্রয় নিলে তাদের উপর গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ও অ্যান্টি-ফর্টিফিকেশন টিবিজি শেল নিক্ষেপ করা হয়। এ হামলায় শত্রু বাহিনী ব্যাপক হতাহতের শিকার হয়।

            পরে, হালকা ও মাঝারি অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলি সন্ত্রাসী সেনাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিহত ও আহত হওয়ার খবর জানায় আল-কুদস ব্রিগেড।

            তারা আরও জানায়, খান ইউনিস এলাকায় নজরদারি চালানো অবস্থায় একটি ইসরায়েলি গোয়েন্দা ড্রোন তারা আটক করেছে।

            এদিকে আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, মঙ্গলবার তারা খান ইউনিসের আল-জান্না এলাকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর সরবরাহ রুটে একটি মাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে একটি মার্কাভা ট্যাংক ধ্বংস করেছে।

            তথ্যসূত্র:
            1. Al-Quds Brigades launch rockets on Sderot in retaliation to genocide
            https://tinyurl.com/4u44ne6r
            2. Al-Quds Brigades announce rocket attack on Israeli City of Sderot
            https://tinyurl.com/3vja4ux4
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment

            Working...
            X