Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ || ০৮ মুহাররম, ১৪৪৭ হিজরী || ০৪ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ || ০৮ মুহাররম, ১৪৪৭ হিজরী || ০৪ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    পাকিস্তানে শত্রু সরবরাহ কনভয়ে ইত্তেহাদুল মুজাহিদিনের হামলা: হতাহত ১০ শত্রু সেনা



    পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সামরিক বাহিনীর জন্য সরবরাহ বহনকারী একটি কনভয়ে অতর্কিত আক্রমণের ঘটনায় অন্তত ১০ সৈন্য হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    আঞ্চলিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত ২ জুলাই বুধবার সকালে, পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানের দুসলি সীমান্ত এলাকায় একটি তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এলাকাটি কিছুদিন ধরেই অবরুদ্ধ করে রেখেছেন সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ইত্তেহাদুল মুজাহিদিনের যোদ্ধারা। ফলে অঞ্চলটি অবরুদ্ধ সৈন্যদের জন্য খাবার, অস্ত্র এবং প্রয়োজনীয় আসবাব সরবরাহ করার লক্ষ্যে একটি কনভয় পাঠানো হয়। পাকিস্তানের জালেম বাহিনীর জন্য প্রেরিত সরবরাহ কনভয়টি যখন দুসলি সীমান্ত এলাকায় পৌঁছে, তখন মুজাহিদিনরা কনভয়টি লক্ষ্য করে অতর্কিত আক্রমণ চালানো শুরু করেন।

    ইত্তেহাদুল মুজাহিদিন পাকিস্তানের মুখপাত্র মাহমুদুল হাসান হাফিযাহুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানান, বুধবার পাকিস্তানের দুসলি এলাকায় পাকিস্তানের সেক্যুলার বাহিনী ও মুজাহিদদের মধ্যে দীর্ঘ দুই ঘন্টা যাবৎ তীব্র লড়াই স্থায়ী হয়। এসময় মুজাহিদদের আক্রমণে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অন্তত ১০ সৈন্য হতাহত এবং কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে এই যুদ্ধে মুজাহিদদের হামলা থেকে রক্ষা পাওয়া অন্য জালিম সৈন্যরা জীবন বাঁচিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।


    তথ্যসূত্র:
    https://tinyurl.com/327w887n
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    রাশিয়ায় আফগান দূতাবাসে প্রথমবারের মত ইমারতে ইসলামিয়ার সাদা পতাকা উত্তোলন



    গত ৩ জুলাই রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে অবস্থিত আফগান দূতাবাসে প্রথমবারের মত ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সাদা পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ইমারতে ইসলামিয়া সরকারকে রাশিয়া কর্তৃক আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির পর এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

    এর আগে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ইমারতে ইসলামিয়া সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদানের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

    এই পতাকা উত্তোলন আফগান ভূমির প্রতিনিধি হিসেবে ইমারতে ইসলামিয়া সরকারকে রাশিয়া কর্তৃক আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি’র প্রতীক। একই সাথে তা আফগানিস্তানের সাথে সম্পর্ক বাড়ানোর ক্ষেত্রে রাশিয়ার কৌশলগত আগ্রহের প্রতিফলন ব্যক্ত করছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. White Flag of the Islamic Emirate of Afghanistan Hoisted at Moscow Embassy
    https://tinyurl.com/2rr6fwp2
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ইমারতে ইসলামিয়া’কে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া, বৈশ্বিক কূটনীতিতে আফগানিস্তানের নতুন অধ্যায়




      এবার ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া ফেডারেশন। গত ৩ জুলাই ইমারতে ইসলামিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি হাফিযাহুল্লাহ’র সাথে এক বৈঠকে এই ঘোষণা জানিয়েছে কাবুলে নিয়োজিত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি ঝিরনভ।

      রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মৌলভী মুত্তাকি হাফিযাহুল্লাহ বলেন, এটি উভয় দেশের পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

      তিনি আরও বলেন, এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, পাশাপাশি আফগান-রাশিয়া সম্পর্ক জোরদার করার পথে এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। রাশিয়ার এমন বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

      অন্যান্য দেশসমূহের অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে এটি উত্তম দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

      এদিকে কাতারে নিয়োজিত ইমারতে ইসলামিয়ার রাষ্ট্রদূত সুহাইল শাহিন হাফিযাহুল্লাহ এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যে আমরা আরও ভালো সংবাদ শুনতে পাবো বলে প্রত্যাশা করছি। শীঘ্রই অন্যান্য দেশগুলো রাশিয়ার পথ অনুসরণ করে ইমারতে ইসলামিয়াকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে।

      উল্লেখ্য যে, পশ্চিমা মদদপুষ্ট পুতুল সরকারের পতনের পর বিগত ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ইমারতে ইসলামিয়ার সরকার আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। এবার প্রথম দেশ হিসেবে ইমারতে ইসলামিয়া সরকারকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করল রাশিয়া ফেডারেশন। যা বৈশ্বিক কূটনৈতিক মঞ্চে ইমারতে ইসলামিয়ার অবস্থানে একটি উল্লেখযোগ্য টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।


      তথ্যসূত্র:
      1. Russia officially recognizes Islamic Emirate, Afghan Foreign Ministry says
      https://tinyurl.com/58uey3bf
      2. More countries may recognize IEA government following Russia’s lead, says Afghan official
      https://tinyurl.com/yc86whva
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        বিচার বিভাগ ইসলামী ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ন স্তম্ভ: আমীরুল মু’মিনীন



        আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশে ইমারতে ইসলামিয়ার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সংস্কার ও প্রশিক্ষণ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন আমীরুল মু’মিনীন মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদা হাফিযাহুল্লাহ। সেমিনারে তিনি পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ’র আলোকে ইসলামী রাষ্ট্রে বিচার বিভাগের তাৎপর্য ও ভূমিকা তুলে ধরেছেন।

        বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে তিনি বলেন, ইসলামী ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হল বিচার বিভাগ। আদালতের মাধ্যমে জনগণের জান-মাল ও সম্মানের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। এছাড়া রাষ্ট্রদ্রোহ ও দুর্নীতি নির্মূল এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে ভূমিকা পালন করে এই আদালত। অপরদিকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামী কাঠামো এবং বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়ে উঠে। এমনকি সমগ্র ইসলামী ব্যবস্থা যেন আদালতের ন্যায় কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

        তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই বিচারকার্য করতেন, শরিয়তের হুকুমসমূহ ব্যাখ্যা করতেন, শরিয়তের সীমারেখার মধ্যে রায় কার্যকর করতেন। ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্যে এক ঘণ্টা সময় ব্যয় করা, মহান আল্লাহর নিকট এক বছর ইবাদতের সমতুল্য।

        ইসলামী আদালত প্রসঙ্গে আমীরুল মু’মীনিন বলেন, জিহাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা পালন করতে সক্ষম ইসলামী আদালত, এটি ইসলামী ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করে, ইসলামী বিশ্বাসের প্রসার ঘটায়, ইসলামী শরিয়াহ’র বাস্তবায়ন নিশ্চিত করে, ইসলামী নৈতিকতাকে সকলের নিকট জনপ্রিয় করে তোলে।

        তিনি বিচারকদের উদ্দেশ্যে বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষের নৈতিক ও ব্যবহারিক জীবনে সংশোধন আনয়নের জন্য বিচারকদের দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। একজন ন্যায়বিচারক আল্লাহ তায়ালার অত্যন্ত প্রিয় বান্দা। বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক বেশি ধৈর্য, অধ্যবসায় ও সহনশীলতা প্রয়োজন। আলেম-ওলামা ও বিচারকদের অবশ্যই দ্বীন ইসলাম ও শরিয়তের প্রয়োগের মাধ্যমে সারাবিশ্বের সামনে নজির স্থাপন করতে হবে।

        বিচারকদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচারকদের বিভিন্ন ফায়সালা ও অভিজ্ঞতাসমূহ বই রচনার মাধ্যমে সংরক্ষণ করা উচিত, যেন পরবর্তী প্রজন্মের বিচারকগণ তা থেকে উপকৃত হতে পারেন। তিনি কারাবন্দীদের অবস্থার প্রতি তাদের বিশেষভাবে মনোযোগী হতে পরামর্শ দেন। অবশ্যম্ভাবী নিয়তি ছাড়া কোনও বন্দীকে কারাগারে রাখতে নিষেধ করেন।

        এছাড়া তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাদী ও বিবাদীর মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোনও পক্ষপাতিত্ব করা যাবে না। ন্যায়বিচার প্রদানের ক্ষেত্রে আল্লাহর সন্তুষ্টি বিচারকদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হওয়া উচিত।

        পরিশেষে তিনি ইসলামী ব্যবস্থা ও জনসাধারণের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে নিরাপত্তা ও হেদায়েত কামনার মাধ্যমে বক্তব্য সমাপ্ত করেন।


        তথ্যসূত্র:
        1. His Highness Amir al-Mu’minin, attended and delivered a speech at a training seminar for judicial officials
        https://tinyurl.com/5enj9zxu
        2. Esteemed Amir-ul-Momineen Addresses Judicial Officials Training Seminar
        https://tinyurl.com/yc6b4cdf
        ​​
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          পূর্ব হিরান রাজ্যে আশ-শাবাবের অগ্রগতি অব্যাহত: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২টি এলাকা বিজয়



          সোমালিয়ায় আশ-শাবাব মুজাহিদিনের কাছে একের পর এক শহর ও এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে পশ্চিমা মদদপুষ্ট মোগাদিশু সরকার, যার ধারাবাহিকতায় মোকোকোরি শহরের উপকণ্ঠে নতুন করে আরও ২টি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন আশ-শাবাব মুজাহিদিন।

          আঞ্চলিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ৩ জুলাই সকালে, হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিনের একটি দল পূর্ব হিরান রাজ্যের মোকোকোরি জেলার উপকণ্ঠে অবস্থিত এলাকাগুলোর দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেন। শাবাব যোদ্ধাদের এই অগ্রসরের সংবাদ পাওয়া মাত্রই ভীতসন্ত্রস্ত মোগাদিশু সৈন্যরা মোকোকোরি জেলার অন্তর্গত গুমারে এবং জাগারে এলাকাগুলি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

          মোগাদিশু বাহিনী ও তাদের সমর্থনকারী গুরগুর্ত মিলিশিয়া বাহিনী এলাকাগুলি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর আশ-শাবাব মুজাহিদিনরা কোনো যুদ্ধ বা রক্তপাত ছাড়াই নিরাপদে উভয় এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেন। মুজাহিদিন কর্তৃক বিজিত গুমারে এলাকাটি মোকোকোরি শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, আর জাগারে এলাকাটি প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

          উল্লেখ্য যে, পূর্ব হিরানের ফ্রন্টলাইনে সংঘটিত লড়াইয়ে খারাপভাবে পরাজিত হওয়ার কারণে মোগাদিশু বাহিনীতে ব্যাপক অস্থিতিশীলতা এবং মৃত্যুর ভয় গভীরভাবে ঢুকে গেছে। ফলে কোনো এলাকায় আশ-শাবাবের অগ্রসরের সংবাদ পাওয়া মাত্রই মোগাদিশু বাহিনী এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে যাচ্ছে। এতে বিনা যুদ্ধেই মুজাহিদিনরা বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছেন, আর এই নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে হিরান অঞ্চলের একটি বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত হচ্ছে।


          তথ্যসূত্র:
          https://tinyurl.com/5n75pvcw
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর কমান্ড-কন্ট্রোলের সদর দপ্তরে যৌথ হামলা, বিধ্বস্ত ট্যাংক



            গাজার দক্ষিণাঞ্চলে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে একযোগে হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন প্রতিরোধ গোষ্ঠী। সাম্প্রতিক এসব অভিযানে ইসরায়েলি সন্ত্রাসী বাহিনীর যানবাহন লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র, মর্টার শেল, ভূমিমাইন ও অন্যান্য ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে আল-কুদস ব্রিগেড, আল-কাসসাম ব্রিগেড, শহিদ আবু আলি মুস্তফা ব্রিগেড এবং আল-আকসা শহীদ ব্রিগেড।

            আল-কুদস ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা খান ইউনিস শহরের উত্তরে অবস্থিত খদরা মসজিদের কাছাকাছি দখলদার সেনাবাহিনীর কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টারে ১০৭ টাইপ রকেট নিক্ষেপ করেছে। এই হামলায় তারা সরাসরি লক্ষ্যভেদে সফল হয়েছে। একই সঙ্গে শহিদ আবু আলি মুস্তফা ব্রিগেডের সঙ্গে যৌথভাবে তারা খান ইউনিসের পশ্চিম সাতার এলাকার একটি সড়কে অবস্থানরত দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে।

            এর বাইরে, গাজা শহরের শুজাইয়া এলাকায় একটি জটিল অভিযানে আল-কুদস ব্রিগেড প্রথমে একটি মাইন বিস্ফোরণের মাধ্যমে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর যানবাহনকে থামিয়ে দেয়। এরপর আশেপাশের ঘরে আশ্রয় নেওয়া সৈন্যদের উপর গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র, অ্যান্টি-ফর্টিফিকেশন শেল এবং পরে সরাসরি হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা নিহত ও আহত হয় বলে তারা জানিয়েছে। ওই এলাকায় উড়ন্ত অবস্থায় একটি ইসরায়েলি গোয়েন্দা ড্রোনও তারা দখলে নিয়েছে।

            শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডও খান ইউনিসে একটি ইসরায়েলি ট্রুপ ক্যারিয়ার লক্ষ্য করে ‘ইয়াসিন ১০৫’ শেল নিক্ষেপ করে। এতে যানবাহনটিতে আগুন ধরে যায় এবং হতাহতদের সরিয়ে নিতে ঘটনাস্থলে হেলিকপ্টার অবতরণ করে। একই সঙ্গে তারা ল্যান্ডমাইন ব্যবহার করে একটি মেরকাভা ট্যাংক ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছে। এছাড়া তারা গাজা সীমান্তবর্তী ইসরায়েলি বসতি নির ইৎজহাক এবং মিভতাচিমেও রকেট হামলা চালিয়েছে।

            এদিকে আল-আকসা শহীদ ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা একটি উচ্চমাত্রার বিস্ফোরকের সাহায্যে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর একটি সামরিক যান ধ্বংস করেছে। আর আল-কুদস ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা সডেরোটে রকেট হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলছে, গাজা থেকে সডেরোট লক্ষ্য করে অন্তত তিনটি রকেট ছোড়া হয়েছে।

            এইসব হামলা পরিচালিত হয়েছে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে। প্রতিরোধ যোদ্ধারা বলছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে তারা ইসরায়েলি দখলদার সেনাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটছে, এবং তারা সাময়িকভাবে কিছু এলাকায় পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে।


            তথ্যসূত্র:
            1. Palestinian Resistance strikes Israeli vehicles, records casualties
            https://tinyurl.com/57j388vj
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              গাজায় আগ্রাসন চালাতে গিয়ে আরও এক দখলদার সেনা নিহত




              ফিলিস্তিনের গাজায় আরও এক দখলদার ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। ৪ জুলাই, শুক্রবার আইডিএফ এ তথ্য স্বীকার করেছে।

              কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ৩ জুলাই, বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর গাজায় ১৯ বছর বয়সী সার্জেন্ট ইয়ার এলিয়াহু নিহত হয়েছে। সে নর্দার্ন ব্রিগেডের একজন কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং সৈনিক। এজার সম্প্রদায়ের লোক ছিল এলিয়াহু।

              গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া চলমান যুদ্ধের মধ্যে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর ৮৮০ সদস্য নিহত হয়েছে। জুন মাসে বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহতদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে আইডিএফ। এ তালিকায় জুলাই মাসে নিহতদের সংখ্যা অন্তর্ভূক্ত নেই।

              টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৩২৯ জন প্রাণ হারায় ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলার দিনই। এরপর গাজা ভূখণ্ডে আগ্রাসন চালাতে গিয়ে আরও অন্তত ৪৩৬ সেনা নিহত হয়।

              এ ছাড়াও, ইসরায়েলি পুলিশের প্রকাশিত পৃথক তালিকা অনুযায়ী, গাজায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে পুলিশের ৫৮ সদস্য নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিল।

              আইডিএফ জানায়, লেবাননের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষে ইসরায়েলের আরও ৮০ সেনা নিহত হয়। পশ্চিম তীর ও ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও সংঘর্ষে ১৭ সেনা প্রাণ হারিয়েছে।

              এদিকে ৩ জুলাই, বৃহস্পতিবার রাতে অবরুদ্ধ গাজার দক্ষিণাঞ্চলে দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কমান্ড ও কন্ট্রোলের সদর দপ্তরে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদের সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেড। এক বিবৃতিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি জানায়, তাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে।


              তথ্যসূত্র:
              1. Israel names soldier killed in northern Gaza
              https://tinyurl.com/8w3ef45s
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment

              Working...
              X