Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ || ১২ মুহাররম, ১৪৪৭ হিজরী || ০৮ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ || ১২ মুহাররম, ১৪৪৭ হিজরী || ০৮ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    আফগানিস্তানে আরও ৪টি জোরপূর্বক বিবাহ রোধ, নারী অধিকার রক্ষায় প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা



    আফগানিস্তানের গজনি প্রদেশে সম্প্রতি ৪টি জোরপূর্বক বিয়ে বন্ধ করতে হস্তক্ষেপ করেছে প্রদেশটির ‘সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ’ বিভাগ। ঘটনাগুলো প্রদেশটির আন্দার ও কারাবাগ জেলায় ঘটতে যাচ্ছিল।

    আন্দার জেলার কমল খেল গ্রামে ৩ নাবালিকা কন্যাকে জোর করে বিয়ে দিতে যাচ্ছিল তার পিতা। ঋণ পরিশোধের বিনিময়ে সে এই কাজে অগ্রসর হয়েছিল।

    কিন্তু প্রদেশের ‘সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ’ বিভাগের কর্মীদের সময়োপযোগী হস্তক্ষেপের কারণে এই অন্যায় বিবাহ রোধ করা সম্ভব হয়েছে। কন্যাদের পিতাকে প্রয়োজনীয় দ্বীনি নসিহত ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মীগণ। ভবিষ্যতে এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবেন বলে সে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।

    অপরদিকে কারাবাগ জেলার গোডলু গ্রামে ১টি মেয়েকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিবাহ দিতে যাচ্ছিল তার পিতা। ‘সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ’ বিভাগের কর্মীগণ দ্রুত হস্তক্ষেপ করার ফলে এই জোরপূর্বক বিবাহ রোধ করা সম্ভব হয়। কর্মীগণ উক্ত কন্যার পিতাকে এমন অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকতে প্রয়োজনীয় ইসলামী নসিহত ও দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

    ইসলামী ইলম ও আইন, উভয়টি প্রয়োগের মাধ্যমে এই ধরনের ঘটনাকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছেন ইমারতে ইসলামিয়ার ‘সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ’ বিভাগ। নারীদের ইসলামী অধিকার সংরক্ষণ ও নিশ্চিত করতে তারা প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছেন।


    তথ্যসূত্র:
    1. Ombudsman Prevents Forced Marriages of Four Girls in Ghazni
    https://tinyurl.com/4cnxbpz5
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    সীমান্তবর্তী এলাকার সমস্যা লাঘবে আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশে ৩৫টি প্রকল্প উদ্বোধন



    আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশের ডুরান্ড লাইন সংলগ্ন সীমান্তবর্তী জেলাসমূহে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩৫টি প্রকল্প উদ্বোধন করেছে ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন। প্রকল্পসমূহে ১৩ কোটি ১০ লক্ষ আফগানি বাজেট নির্ধারিত হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা, সেতু নির্মাণ, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, সড়ক অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে এই সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

    উক্ত জেলাসমূহের জন্য ৬৮টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৩৫টি প্রকল্প শুরু করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইমারতে ইসলামিয়ার সীমান্ত ও উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সীমান্ত বিষয়ক উপমন্ত্রী মৌলভী মুহাম্মদ ইসমাইল গজনভি হাফিযাহুল্লাহ তথ্যগুলো প্রদান করেছেন।

    তিনি আরও জানান, জেলাগুলোতে স্থানীয় বাসিন্দাগণ নানা ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে স্থানীয়দের সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে লাঘব হবে।

    উল্লেখ্য যে, ইমারতে ইসলামিয়া সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে সীমান্ত ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের সমস্যা সমাধানে মনোনিবেশ করেছে, এর ফলে সাম্প্রতিক সময়ে উক্ত অঞ্চলগুলোতে অসংখ্য উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. 35 projects commenced in districts along the de facto border in Kunar
    https://tinyurl.com/3h6bd5vz
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বোমায় নিহত ৫ দখলদার, আহত ১৪




      উত্তর গাজার বেইত হানুনে রাস্তার ধারে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে ৫ দখলদার ইসরায়েলি সৈন্য নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। ৭ জুলাই, সোমবার রাতে উত্তর গাজার বেইত হানুনে রাস্তার ধারে বোমা বিস্ফোরণ এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

      দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী স্বীকার করেছে যে, সোমবার রাতে উত্তর গাজার বেইত হানুনে রাস্তার ধারে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বোমা হামলায় ৫ ইসরায়েলি সৈন্য নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছে। নিহত দুই সৈন্যের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

      দুজন সেনা হল- স্টাফ সার্জেন্ট মেয়ার শিমোন আমার (২০) ও সার্জেন্ট মোশে নিসিম ফ্রেচ (২০) দুজনই জেরুজালেমের বাসিন্দা। তারা দুজনই কফির ব্রিগেডের নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিল।

      আইডিএফের প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, সোমবার রাত ১০টার কিছু পরে বেইত হানুনে স্থল অভিযানের সময় পদাতিক সৈন্যরা রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা একটি বোমার আঘাতে আহত হয়। এ সময় দখলদার সৈন্যরা হেঁটে অভিযান করছিল, কোনো গাড়িতে ছিল না।

      হতাহতদের উদ্ধারের চেষ্টার সময় দখলদার সৈন্যদের উপর আক্রমন চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। অভিযানের আগে এলাকাটিতে বর্বর বিমান হামলা চালায় সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী। কিন্তু তারপরও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পাল্টা হামলার শিকার হয় তারা।

      গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন যতই তীব্র হোক না কেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা পাল্টা প্রতিরোধ অব্যাহত রেখেছে। বেইত হানুনের এই বিস্ফোরণ ও পরবর্তী হামলা প্রমাণ করে যে, দখলদার বাহিনীর জন্য গাজার প্রতিটি ইঞ্চি এখন অনিরাপদ। টানা বিমান হামলা ও স্থল অভিযানের মাঝেও প্রতিরোধ যোদ্ধারা যেভাবে সুনির্দিষ্ট হামলা চালাচ্ছে, তা ইসরায়েলি বাহিনীর কৌশলগত দুর্বলতা ও ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ সক্ষমতাকে স্পষ্ট করে তুলেছে।


      তথ্যসূত্র:
      1. 5 Israeli soldiers killed in northern Gaza and 18 Palestinians dead in Israeli strikes
      https://tinyurl.com/2f2mm6r2
      2. 5 IDF soldiers killed, 14 injured by roadside bomb in northern Gaza
      https://tinyurl.com/4duevdds
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সীমান্ত রক্ষায় আফগান সেনাবাহিনীকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে বললেন সেনাপ্রধান


        ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান ক্বারী মুহাম্মদ ফাসিহউদ্দিন ফিতরত হাফিযাহুল্লাহ আফগান সীমান্ত রক্ষায় সেনাবাহিনীকে যেকোনো সম্ভাব্য হুমকির বিরুদ্ধে সর্বদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই দৃঢ়তার সঙ্গে সীমান্ত রক্ষা করতে হবে এবং যেকোনো সম্ভাব্য আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।’

        গত ৭ জুলাই কাবুলে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী আর্টিলারি সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক সেমিনারের সমাপনী ও স্নাতক অনুষ্ঠানে তিনি এ বক্তব্য দেন। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের ৬৫ জন পরিচালক ও কমান্ডার অংশগ্রহণ করেন। তাদের পেশাগত দক্ষতা ও সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

        সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘আর্টিলারি সেকশন আমাদের জাতীয় সেনাবাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শাখাগুলোর একটি। এই সেকশন যত শক্তিশালী হবে, আমাদের সেনাবাহিনীও ততটাই বলশালী হবে।’

        তিনি বর্তমান আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে ‘চ্যালেঞ্জিং’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনীর কৌশলগত ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি।

        অনুষ্ঠানে আফগান সেনাবাহিনীর শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মৌলভি তুরাব-উল-হাদী হাফিযাহুল্লাহ এবং মোল্লা সিদিকুল্লাহ মাস্ত্রী হাফিযাহুল্লাহ, যারা কামান ও যুদ্ধাস্ত্র ব্যবস্থাপনায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত।


        তথ্যসূত্র:
        1. لوی درستیز: د هر ډول احتمالي برید پر وړاندې باید چمتو و اوسو
        https://tinyurl.com/9kt65esp
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ইউনিফর্ম পরা বাধ্যতামূলক করলো ইমারতে ইসলামিয়া



          ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান দায়িত্ব পালনের সময় সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের জন্য ইউনিফর্ম পরা বাধ্যতামূলক করেছে। গত ৭ জুলাই এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি হাফিযাহুল্লাহ।

          তিনি জানান, বাহিনীর ইউনিফর্ম সংক্রান্ত বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত সবাই একমত হন যে, দায়িত্ব পালনকালে সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের আমীরুল মু’মিনীন কর্তৃক নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরা বাধ্যতামূলক হবে।

          এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করে বলা হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং এর অধীন বাহিনীগুলোর প্রধান দায়িত্ব হলো দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং অপরাধের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে লড়াই করা। জনগণ যাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সহজে চিনতে পারে, সে লক্ষ্যেই ইউনিফর্ম পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

          মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি হাফিযাহুল্লাহ জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খলিফা সিরাজুদ্দীন হাক্কানী হাফিযাহুল্লাহ সভার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছেন। তার অনুমোদনের ভিত্তিতেই পুলিশসহ সব বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যদের জন্য নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরা আবশ্যক করা হয়েছে।

          সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, ইমারতে ইসলামিয়া সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এতদিন বাহিনীর সদস্যদের ইউনিফর্ম পরার ক্ষেত্রে তেমন কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। অনেককে কাবলি পোশাকের ওপর সামরিক জ্যাকেট পরে কিংবা শুধু সাধারণ কাবলি বা পাঞ্জাবি পরে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যেত।

          তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দায়িত্ব পালনকালে ইউনিফর্ম পরা এখন থেকে বাধ্যতামূলক। ফলে এ সংক্রান্ত পূর্বের শিথিলতা এবার দূর হতে যাচ্ছে।


          তথ্যসূত্র:
          1. Police Officers Required to Wear Official Uniforms, Says Ministry of Interior
          https://tinyurl.com/mvtdrk49
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            সোমালিয়ার কৌশলগত মোকোকোরি জেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আশ-শাবাব: হতাহত অন্তত ১১২ শত্রু সেনা




            সোমালিয়ার পূর্ব হিরান রাজ্যের মোকোকোরি জেলায় অবস্থিত গুরগুর্ত মিলিশিয়া ও মোগাদিশু বাহিনীর সামরিক ঘাঁটিগুলোতে প্রচণ্ড আক্রমণ চালিয়েছেন আশ-শাবাব মুজাহিদিন। জেলা শহরটিতে মোগাদিশু বাহিনীর সদর দপ্তর লক্ষ্য করে একটি শক্তিশালী গাড়ি ইস্তেশহাদী হামলার মাধ্যমে অভিযানটি শুরু করেন মুজাহিদিনরা।

            শাহাদাহ এজেন্সির তথ্যমতে, হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিনরা ৭ জুলাই সোমবার সকাল বেলায়, পূর্ব হিরান রাজ্যের কৌশলগত মোকোকোরি জেলায় বৃহৎ পরিসরে একটি স্থল অভিযান পরিচালনা করছেন। মুজাহিদিনরা শহরে মোগাদিশু বাহিনীর সামরিক কমান্ড সেন্টার লক্ষ্য করে প্রথমে একটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি দ্বারা শক্তিশালী ইস্তেশহাদী হামলার মাধ্যমে অভিযানটি শুরু করেন। কমান্ড সেন্টারে গাড়ি বোমা হামলাটি এমন এক সময় চালানো হয়েছে, যখন জেলা শহরের উপকণ্ঠে শাবাবের সাম্প্রতিক অভিযানের বিষয় আলোচনা করতে এবং নতুন করে আক্রমণের পরিকল্পনার লক্ষ্যে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা একত্রিত হয়েছিল।

            হারাকাতুশ শাবাব প্রশাসন মোগাদিশু বাহিনীর এই সভার তথ্য জানার পর দ্রুততার সাথে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং শত্রু বাহিনী কমান্ড সেন্টারে একত্রিত হওয়ার পরপরই সামরিক অপারেশন শুরু করেন। কমান্ড সেন্টারে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের পর যখন মোগাদিশু বাহিনী দিকভ্রান্ত ও হতভম্ব হয়ে পড়ে, তখন হারাকাতুশ শাবাবের ইস্তেশহাদী ব্যাটালিয়নের বীর মুজাহিদিনরা কমান্ড সেন্টার ও এর আশপাশের সামরিক অবস্থানগুলোতে একযোগে আক্রমণ চালাতে শুরু করেন। হারাকাতুশ শাবাবের অন্য ইউনিটগুলো শহরের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শত্রু বাহিনীর সামরিক ঘাঁটি ও পোস্টগুলোতে আক্রমণ চালাতে থাকেন।

            শহরে শত্রু বাহিনীর সবগুলো অবস্থানে একযোগে শাবাবের আক্রমণের ফলে কোনো প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি মোগাদিশু বাহিনী। বরং শত্রু সৈন্যরা কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই মুজাহিদিনরা একে একে শত্রু সামরিক অবস্থানগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেন। এতে ভীতসন্ত্রস্ত মোগাদিশু বাহিনী জীবন বাঁচাতে শহর ছেড়ে পালাতে শুরু করে। আর যারা অস্ত্র হাতে তুলার চেষ্টা করে মুজাহিদিনরা তাদের সবাইকে মহূর্তে নিষ্ক্রিয় করেন, যাদের মধ্যে নিহত সৈন্য সংখ্যা ৪৭ জন এবং আহত সৈন্য সংখ্যা ৬৫ এরও বেশি। মুজাহিদিনরা মোকোকোরি যুদ্ধে পরাজিত মোগাদিশু বাহিনীর কাছ থেকে অসংখ্য অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেছেন, এমনকি অনেক সৈন্যকে মুজাহিদিনরা জীবিত বন্দীও করেছেন। চলতি সপ্তাহে মোকোকোরির উপকন্ঠে যেসকল এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন আশ-শাবাব মুজাহিদিনরা
            হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিনরা সংক্ষিপ্ত লড়াইয়ের পর, শহরের সমস্ত প্রতিরক্ষা পয়েন্ট, সামরিক ঘাঁটি, সামরিক অবকাঠামো এবং পুরো মোকোকোরি জেলা সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় মুজাহিদদের হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া মোগাদিশু সৈন্যরা মাহাস জেলার গ্রামাঞ্চলের দিকে পালিয়ে যায়।

            সূত্রমতে, মুজাহিদদের হামলায় মোগাদিশু বাহিনীর হতাহতের পরিমাণ প্রাথমিকভকবে প্রকাশিত তথ্যের চেয়ে আরও বেশি। কারণ মোগাদিশু বাহিনীর অনেক সৈন্য যারা জীবন বাঁচাতে বনে পালিয়ে গিয়েছিল, সেখানেও মুজাহিদদের আক্রমণে আরও অনেক সৈন্য নিহত হয়েছে।

            আশ-শাবাব মুজাহিদিন কর্তৃক মোকোকোরির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পর বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, শহরের দেয়ালগুলিতে তাওহিদের কালিমা খচিত পতাকা উড়ছে। মুজাহিদিনরা শহরে চিরুনী অভিযানের পর বনজঙ্গলে পড়ে থাকা শত্রু সৈন্যদের মৃতদেহগুলো বের করে আনতে শুরু করেছেন, যাতে এসব মৃতদেহের কারণে শহরের পরিবেশ দূষিত না হয়।


            তথ্যসূত্র:
            https://tinyurl.com/2pnjxjzd
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment

            Working...
            X