Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ || ১৭ মুহাররম, ১৪৪৭ হিজরী || ১৩ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ || ১৭ মুহাররম, ১৪৪৭ হিজরী || ১৩ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    পাকিস্তানে শত্রু বাহিনীর ৫টি পোস্টে ইত্তেহাদুল মুজাহিদিনের হামলা



    সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ইত্তেহাদুল মুজাহিদিন পাকিস্তান (আইএমপি) নিশ্চিত করেছে যে, দলটির মুজাহিদিনরা গত ১২ জুলাই শনিবার, পাকিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে ও খাইবার এজেন্সিতে পাক-সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অন্তত ৬টি পৃথক অপারেশন পরিচালনা করছেন।

    দলের সামরিক মুখপাত্র মাহমুদুল হাসান (হাফিযাহুল্লাহ) এর জারি করা বিবৃতি অনুযায়ী, মুজাহিদিনরা এদিন প্রথম অভিযানটি পরিচালনা করেন সকাল ৭টা নাগাদ। পাকিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের দাগাঘুন্ডি এলাকায় অবস্থিত শত্রু বাহিনীর একটি সামরিক পোস্ট লক্ষ্য করে স্নাইপার এবং হালকা অস্ত্র ব্যবহার করে আক্রমণ চালান। এতে ঘটনাস্থলেই এক শত্রু সৈন্য নিহত হয়।

    এই হামলার এক ঘন্টা পর, আইএমপি এর মুজাহিদিনরা দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের শিন ওয়ারসাক এলাকায় আরও একটি শত্রু সামরিক পোস্টে হালকা অস্ত্র দিয়ে সফলভাবে আক্রমণ চালান। একই সময়ে অঞ্চলটির আজম ওয়ারসাক এলাকায় আরেকটি শত্রু পোস্টে পিকা বন্দুক দিয়ে ব্যাপক গুলি চালান মুজাহিদিনরা। উভয় স্থানে মুজাহিদদের হামলায় শত্রু বাহিনীতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

    এদিন আসরের সময়, খাইবার এজেন্সির তিরাহ উপত্যকার কারবোগাই এলাকায় আইএমপি মুজাহিদিনরা স্নাইপার ব্যবহার করে আক্রমণ চালান। নিপীড়ক পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উপর পরিচালিত এই আক্রমণের ফলে এক অফিসার সহ আরও কতক সৈন্য হতাহত হয়।

    সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত ৮ টায়, মুজাহিদিনরা খাইবার এজেন্সির তিরাহ উপত্যকার লাখা-টিগা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করেন। মুজাহিদিনরা হালকা ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উক্ত এলাকায় অবস্থিত এফসি পোস্ট লক্ষ্য আক্রমণটি চালান। মুজাহিদদের এই আক্রমণে শত্রু বাহিনীতে হতাহত ও বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে।

    এমনিভাবে মধ্যরাতে মুজাহিদিনরা দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের ওয়ানা সীমান্তের শিন-ওয়ারসাক এলাকায় একটি শত্রু পোস্টে অতর্কিত আক্রমণ চালান। এসময় পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ও মুজাহিদদের মধ্যে টানা ৩ ঘন্টা ধরে পাল্টাপাল্টি আক্রমণ চলে। এই অভিযানে মুজাহিদিনরা হালকা ও ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে শত্রু বাহিনীর যথেষ্ট জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেন।


    তথ্যসূত্র:
    https://tinyurl.com/yc8xjkkj
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    মুজাহিদদের যৌথ হামলায় ৬ দখলদার সেনা হতাহত


    অবৈধ দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা তাদের প্রতিরোধ অব্যহত রেখেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গাজাজুড়ে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাহসী অভিযানে বেশকিছু দখলদার সেনা হতাহতের শিকার হয়েছে।

    ১২ জুলাই, শনিবার গাজা ভূখণ্ডে তিনটি পৃথক হামলায় অন্তত পাঁচ ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছে। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি হামলার পর আহত সেনাদের হেলিকপ্টারে সরিয়ে নেওয়া হয়।

    এ ঘটনায় দখলদার বাহিনীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, যার প্রেক্ষিতে তারা একাধিক এলাকায় আক্রমণ চালানোর নামে বেসামরিকদের ওপর নৃশংসতা বাড়িয়ে দেয়।

    আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, তাদের মুজাহিদিনরা গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলীয় আল-তুফাহ এলাকায় অবস্থিত একটি ইসরায়েলি কমান্ড-এন্ড-কন্ট্রোল ঘাঁটিতে মর্টার হামলা চালায়। এছাড়াও খান ইউনিসের আবাসান আল-কাবিরা অঞ্চলে এক দখলদার ইসরায়েলি সেনাকে স্নাইপারের গুলিতে হত্যা করা হয়।

    ফিলিস্তিনি আন্দোলনের সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেড জানায়, তাদের মুজাহিদিনরা পূর্ব আল-তুফাহ এলাকায় পূর্বে পুঁতে রাখা একটি অ্যান্টি-ট্যাংক বিস্ফোরক দিয়ে এক মারকাভা ট্যাংক ধ্বংস করে। একই কৌশলে আল-জাইতুন এলাকার পূর্বদিকে অপর একটি ট্যাংক ধ্বংস করা হয়।

    এরপর খান ইউনিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কিসসুফিম সাপ্লাই রুটে একটি সামরিক যানকে প্রি-প্ল্যানড আইইডি দিয়ে ধ্বংস করা হয়। একইভাবে শেখ নাসের এলাকায় ব্যারেল-শেইপড বোমা দিয়ে আরেকটি সামরিক যান উড়িয়ে দেওয়া হয়।

    এছাড়া পূর্ব আল-তুফাহর জাবাল আল-সাওরানি এলাকায় অবস্থানরত দখলদার সেনাদের উপরও মর্টার হামলা চালানো হয়।

    মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাত যেন এক মনোবলের লড়াইয়ে রূপ নিয়েছে, যেখানে টিকে আছে সেই পক্ষই যার হৃদয়ে রয়েছে ন্যায়ের দাবিতে আত্মত্যাগের দৃঢ় সংকল্প। গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধারা প্রতিনিয়ত প্রমাণ করে চলেছেন, সাহস, একতা ও কৌশলের মাধ্যমে কীভাবে আধুনিক সামরিক শক্তিকে পেছনে ফেলা যায়। বছরের পর বছর অবরুদ্ধ থেকেও তারা আজ সেই সেনাবাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করছে, যারা এক সময় নিজেদের ‘অজেয়’ দাবি করত।


    তথ্যসূত্র:
    1.Resistance in Gaza: Command post struck, tanks destroyed
    https://tinyurl.com/2s4y6n5b
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন ইমারতে ইসলামিয়ার আল-ফাতহ কোরের ৮০০ জন যুবক সেনাসদস্য



      তালিবান সেনাবাহিনীর ২০৯ তম আল-ফাতহ কোর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সম্প্রতি ৮০০ জন যুবক সদস্য সফলভাবে তাদের সেনা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। ৩ মাসব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সদস্যগণ সামরিক, কৌশলগত ও আদর্শিক জ্ঞান লাভ করেছেন।

      এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তালিবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা বিভাগের পরিচালক শাইখ দাদ মুহাম্মদ মুহাম্মদি হাফিযাহুল্লাহ, বালখ প্রদেশের উলামা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শাইখ আব্দুল জলিল হাফিযাহুল্লাহ এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী।

      অনুষ্ঠানের বক্তব্যে সেনা প্রশিক্ষণ ও প্রচেষ্টাকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুতির একটি অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন কর্মকর্তাগণ। জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে তারা নতুন সেনাসদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, পাশাপাশি অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে সেনাসদস্যদের জন্য সফলতা কামনা করেছেন।

      সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আয়োজিত কুচকাওয়াজের কিছু স্থিরচিত্র-








      তথ্যসূত্র:
      1. https://tinyurl.com/bdfrfdsm
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        শরণার্থীদের পরিষেবায় ১৫০ কোটি আফগানি বাজেট বরাদ্দের ঘোষণা ইমারতে ইসলামিয়ার



        ফেরত আসা শরণার্থীদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদান এবং অস্থায়ী আবাসন স্থাপনের উদ্দেশ্যে ১৫০ কোটি আফগানি বাজেট বরাদ্দের ঘোষণা করেছে ইমারতে ইসলামিয়া সরকার।

        হেরাত প্রদেশের ইসলাম কালা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা জানান ইমারতে ইসলামিয়ার উপমুখপাত্র মৌলভী হামদুল্লাহ ফিতরাত হাফিযাহুল্লাহ। তিনি জানান, সাম্প্রতিক সপ্তাহ সমূহে প্রায় ৫ লক্ষ শরণার্থী ইরান থেকে স্বদেশে ফিরে এসেছেন। অসহায় শরণার্থীদের দুর্দশা লাঘবের লক্ষ্যে ত্বরিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তালিবান প্রশাসন।

        সীমান্তের পরিস্থিতি সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন। প্রত্যাবর্তনকারীদের সহায়তা সরবরাহে সরকারী পরিষেবা কমিটিসমূহ সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে বলেও তিনি অবগত করেন।

        শরণার্থীদের সেবা প্রদানে অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য তিনি স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, শরণার্থী বিষয়ক বিভাগ, রেড ক্রিসেন্ট ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

        ইসলাম কালা অঞ্চলে পরিষেবা কমিটির প্রধান মৌলভী আহমদ কামিল হাফিযাহুল্লাহ বলেন, ফেরত আসা আফগান নাগরিকদের প্রতিদিন ৩ বেলা খাবার ও পানি বিতরণ করা হচ্ছে। এই মানবিক প্রচেষ্টায় একাধিক বেসামরিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অপরিহার্য ভূমিকার কথা তিনি বর্ণনা করেছেন।

        শরণার্থী বিষয়ক পাবলিক ইনফরমেশন কমিটি’র দেয়া তথ্যমতে, হেরাতের ইসলাম কালা সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ৩০ হাজারের অধিক শরণার্থী ইরান থেকে আফগানিস্তানে প্রবেশ করছেন।


        তথ্যসূত্র:
        1. Islamic Emirate Allocates 1.5 Billion Afs for Refugee Services
        https://tinyurl.com/37x9yypa
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X