Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ || ২৩ মুহাররম, ১৪৪৭ হিজরী || ১৯ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ || ২৩ মুহাররম, ১৪৪৭ হিজরী || ১৯ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    আবু উবাইদাহ হাফিযাহুল্লাহর নতুন বার্তা: দখলদার ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামের ঘোষণা



    ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের অন্যতম প্রধান কণ্ঠস্বর ও আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদাহ শুক্রবার একটি ঐতিহাসিক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। প্রায় ২০ মিনিটের এই ভাষণে তিনি ইহুদিবাদী দখলদার পক্ষের গণহত্যা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অটল সংগ্রামের বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরেছেন। তার এই ভাষণে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ যুদ্ধের স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

    ১. ইহুদিবাদী দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের নতুন কৌশল

    আবু উবাইদাহ হাফিযাহুল্লাহ তার ভাষণে উল্লেখ করেন যে, গত চার মাস ধরে ইহুদিবাদী দখলদার বাহিনী চুক্তি ভঙ্গ করে পুনরায় আক্রমণ চালালেও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা নতুন কৌশল ও পদ্ধতি অবলম্বন করছেন। তিনি বলেন, “আমাদের বীর যোদ্ধারা গত কয়েক মাসে শত শত ইহুদিবাদী সৈন্যকে হতাহত করেছে এবং হাজারোকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে। আমরা ইসরায়েলি সৈন্য বন্দী করার জন্য একাধিক বিশেষায়িত অভিযান চালিয়েছি।”

    তিনি আরও বলেন, “গাজার প্রতিরোধ আধুনিক ইতিহাসে দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াইরত জনগণের জন্য সবচেয়ে বড় সামরিক বিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে। আমরা আমাদের শত্রুর আগ্রাসনের ধরন ও পরিকল্পনা নির্বিশেষে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”

    ২. সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ও ইসরায়েলের প্রত্যাখ্যান

    আবু উবাইদাহ হাফিযাহুল্লাহ জানান, তারা গত কয়েক মাসে বারবার একটি সম্পূর্ণ ও ব্যাপক যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে তারা একসাথে সমস্ত ইসরায়েলি বন্দী সৈন্যকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু যুদ্ধাপরাধী নেতানিয়াহু ও তার মন্ত্রিসভা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

    আবু উবাইদাহ হাফিযাহুল্লাহ স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “ইসরায়েলের এই সন্ত্রাসী সরকারের বন্দী সৈন্যদের প্রতি কোন সত্যিকারের আগ্রহ নেই। তারা শুধু গণহত্যা চালিয়ে যেতে চায়। আমাদের প্রস্তাব ছিল যুদ্ধ বন্ধ, দখলদার বাহিনীর প্রত্যাহার এবং আমাদের অবরুদ্ধ জনগণের জন্য মানবিক সাহায্য নিশ্চিত করা।”

    তিনি সতর্ক করে দেন যে, যদি দোহায় চলমান আলোচনায় ইসরায়েল একগুঁয়েমি দেখায়, তাহলে হামাস আগের মতো আংশিক চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার কোন নিশ্চয়তা দেবে না, এমনকি বর্তমানে আলোচনাধীন ১০ জন বন্দী মুক্তির প্রস্তাবের ক্ষেত্রেও নয়।

    ৩. গণহত্যা ও আন্তর্জাতিক নীরবতার তীব্র সমালোচনা

    আবু উবাইদাহ হাফিযাহুল্লাহ তার ভাষণে আরব ও ইসলামী বিশ্বের নেতৃত্বের প্রতি তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “আপনাদের ঘাড়ে লক্ষাধিক নিরীহ ফিলিস্তিনির রক্তের দায় বর্তায়। শত্রুরা এই গণহত্যা চালাতে পারছে শুধুমাত্র কারণ তারা জানে আপনারা নীরব থাকবেন।”

    তিনি পাশ্চাত্য শক্তিগুলোকেও কঠোর ভাষায় অভিযুক্ত করে বলেন, “ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের এই অবৈধ রাষ্ট্রকে বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাচারী শক্তি গুলো অবিরাম অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করছে। অন্যদিকে আমাদের উম্মাহর শাসকগোষ্ঠী ও ক্ষমতাধররা শুধু তাকিয়ে দেখছে কিভাবে তাদের ভাইদের হত্যা করা হচ্ছে, অনাহারে রাখা হচ্ছে এবং ওষুধ ও পানি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।”

    ৪. নাৎসি বর্বরতার পুনরাবৃত্তির চেষ্টা

    হামাসের মুখপাত্র ইসরায়েলের পরিকল্পনাকে নাৎসি বর্বরতার সাথে তুলনা করে বলেন, “ইহুদিবাদী দখলদাররা এখন গাজায় নাৎসি ধাঁচের কনসেনট্রেশন ক্যাম্প নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। তারা অতীতের নৃশংসতা পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে, এমনকি নাৎসিদেরকেও হার মানানোর মত বর্বরতা প্রদর্শন করছে।”

    তিনি আরও যোগ করেন, “ইসরায়েল গর্ব করে বলছে তারা নিরীহ মানুষদের হত্যা করছে, প্রকাশ্যে বাস্তুচ্যুত করছে এবং এই ধ্বংসযজ্ঞকে তারা সামরিক সাফল্য বলে প্রচার করছে।”

    ৫. বিশ্বব্যাপী মুক্তিকামী মানুষের প্রতি সংহতি

    আবু উবাইদাহ হাফিযাহুল্লাহ বিশ্বজুড়ে সকল মুক্তিকামী মানুষ ও সংগঠনের প্রতি সংহতি জানান, বিশেষ করে যারা ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বের সকল মুক্ত মানুষকে সালাম জানাই যারা ঝুঁকি নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, অবরোধ ভেঙেছে এবং আমাদের জনগণের উপর হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।”

    ৬. ইহুদিবাদী প্রচারণার জবাব

    তিনি ইসরায়েলের “ইহুদি-বিদ্বেষ” তথা “এন্টি-সেমিটিজম” নামের মিথ্যা প্রচারণার জবাব দেন, “দশকের পর দশক ধরে তারা এই মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে, কিন্তু শীঘ্রই এটি বিশ্বব্যাপী প্রহসন ও কলঙ্ক হিসাবে প্রকাশিত হবে। জায়নবাদীদের বুঝতে হবে: বিশ্ব তাদের যে ঘৃণা করে তা তাদের নিজেদের অপরাধের ফল।”

    আবু উবাইদার এই ঐতিহাসিক ভাষণ ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের দৃঢ়তা, সংকল্প ও কৌশলগত প্রস্তুতির স্পষ্ট বার্তা বহন করে। ইহুদিবাদী দখলদার পক্ষের নৃশংসতা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে। এই ভাষণ বিশ্ববাসীকে ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য সংগ্রামের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানায়, নতুবা ইতিহাস তাদেরকে “নিরব দর্শক” হিসাবে স্মরণ করবে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Hamas says Israel rejected ceasefire deal releasing all captives in Gaza
    https://tinyurl.com/5x8sejav
    2.أبو عبيدة: استراتيجيتنا أسر جنود العدو وإيقاعهم في مقتلة
    https://tinyurl.com/5c5hvnpu
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    আফগান-ট্রান্স রেলওয়ে প্রকল্প: আফগানিস্তান হবে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক করিডোর



    আফগান-ট্রান্স রেলওয়ে প্রকল্পের মাধ্যমে আফগানিস্তান আরও একটি আঞ্চলিক মেগাপ্রকল্পে অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করছে। এটি ইমারতে ইসলামিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম আঞ্চলিক মেগাপ্রকল্প, যার উদ্দেশ্য মধ্য এশিয়াকে দক্ষিণ এশিয়ার সাথে রেলপথের মাধ্যমে সংযুক্ত করা। এর আগে আফগানিস্তানে টিএপিআই গ্যাসলাইন প্রকল্প চালু হয়েছিল, যার নির্মাণ কাজ বর্তমানে পুরোদমে চলছে।

    সম্প্রতি কাবুলে আফগান-ট্রান্স প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তি আফগানিস্তানের সাথে পাকিস্তান এবং উজবেকিস্তানের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত হয়। রেললাইনটি উজবেকিস্তান থেকে শুরু হয়ে, আফগানিস্তানের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে পাকিস্তানে যুক্ত হবে। কৌশলগত এই রেলপথ আফগানিস্তান ভূখণ্ডে প্রায় ৬৮১ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে।

    এই প্রকল্প আফগানিস্তানের আঞ্চলিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি বাস্তবায়িত হলে, আফগানিস্তান হবে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট সেতু। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবহন ব্যবস্থা আফগানিস্তানের সমৃদ্ধ অর্থনীতির ভিত্তি তৈরি করবে।

    প্রকল্পটি আঞ্চলিক সহযোগিতার নতুন অধ্যায় রচনা করবে। এর মাধ্যমে আফগানিস্তানে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে, ট্রানজিট রাজস্ব বাড়বে, হাজার হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। একই সাথে, এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন আফগানিস্তানে বিদেশী বিনিয়োগকে আরও আকৃষ্ট করবে।

    প্রকল্পটির আনুমানিক ব্যয় ৪.৮ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার হবে এবং এটি ২০২৭ সালের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার আশা করা হচ্ছে। এটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে, আফগানিস্তান তার স্থলবেষ্টিত অবস্থান থেকে একটি প্রধান আঞ্চলিক অর্থনৈতিক করিডোরে পরিণত হবে।

    তথ্যসূত্র:
    1. Afghan-Trans Project Launched to Link Central and South Asia
    https://tinyurl.com/vxbu4tmm
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আফগানিস্তানের তাখার প্রদেশে সোনার খনির কার্যক্রম শুরু


      আফগানিস্তানের তাখার প্রদেশের চাহিয়াব জেলায় সোনার খনির প্রথম ব্লকে খনন ও প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম শুরু করেছে ইমারতে ইসলামিয়ার খনিজ সম্পদ ও পেট্রোলিয়াম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। খনিতে ব্যবহারিক কার্যক্রম শুরু করার উদ্দেশ্যে সম্প্রতি তাখার প্রদেশ সফর করেছেন মন্ত্রী মোল্লা হেদায়াতুল্লাহ বদরি হাফিযাহুল্লাহ।

      সংশ্লিষ্ট সোনার খনিতে কাজ শুরু হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী বদরি হাফিযাহুল্লাহ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সংশ্লিষ্ট খনিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগণকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

      উল্লেখ্য যে, ইমারতে ইসলামিয়া সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পূর্বে বিভিন্ন খনিতে অনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালিত হত। তবে বর্তমানে আইনি কাঠামো ও মন্ত্রণালয়ের নিবিড় তত্ত্বাবধানে এই প্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে।


      তথ্যসূত্র:
      1. Gold mining operation begins in Takhar
      https://tinyurl.com/5xcwjy99
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X