Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ || ০২ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ২৮ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ || ০২ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ২৮ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    আফগানিস্তানের লোগার প্রদেশে আরও ১টি দীর্ঘ পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান


    আফগানিস্তানের লোগার প্রদেশের খোশি জেলায় দুই পরিবারের মধ্যে ১০ বছরের তীব্র বিরোধের অবসান হয়েছে। আলেম-ওলামা, উপজাতি প্রবীণ এবং সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ বিভাগের প্রাদেশিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে উক্ত বিরোধটির অবসান ঘোষণা করা হয়েছে।

    প্রাদেশিক বিভাগের মুখপাত্র মৌলভী ইকরামুল্লাহ আজিজ হাফিযাহুল্লাহ বলেন, ইতোপূর্বে এই দ্বন্দ্ব অত্যন্ত করুণ পরিণতি ডেকে এনেছিল। একজন নারীকে মৃত্যুর পথে ধাবিত করেছিল। উক্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন উভয় পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরস্পর ভাই ভাই হিসেবে সম্পর্ক বজায় রাখতে তারা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।

    উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের প্রারম্ভে দীর্ঘ ১৬ বছরের ১টি পারিবারিক দ্বন্দ্বের আনুষ্ঠানিক অবসানের কথা জানিয়েছিল লোগারের প্রাদেশিক বিভাগ। ইমারতে ইসলামিয়া সরকারের নেতৃত্বে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিদ্যমান পারিবারিক দ্বন্দ্বগুলো একের পর নিষ্পত্তি করে চলেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।


    তথ্যসূত্র:
    1. Decade-Long Family Feud Resolved in Logar Province
    https://tinyurl.com/bruzyfap
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    পাকিস্তানে শত্রু বাহিনীর সামরিক পোস্টে মুজাহিদদের হামলা


    পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সামরিক বাহিনীর পোস্ট লক্ষ্য করে স্নাইপার ও পিকা অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদিনরা।

    পাকিস্তান ভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ইত্তেহাদুল মুজাহিদিন পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র মাহমুদুল হাসান (হাফিযাহুল্লাহ) নিশ্চিত করেছেন যে, দলটির মুজাহিদিনরা ২৮ জুলাই সোমবার সকাল ১০টায়, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে একটি অভিযান পরিচালনা করছেন। অভিযানটি উক্ত অঞ্চলের দোসলির ফারয়াত এলাকায় অবস্থিত একটি শত্রু সামরিক পোস্ট লক্ষ্য করে স্নাইপার এবং পিকা অস্ত্র ব্যবহার করে চালানো হয়েছে।

    আইএমপি মুখপাত্র কর্তৃক জারি করা বিবৃতিতে, মুজাহিদদের এই হামলায় শত্রু বাহিনীতে হতাহত হওয়ার প্রভল সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন।


    তথ্যসূত্র:
    https://tinyurl.com/t84pjhdm
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      দুটি ভিন্ন ফ্রন্টে বুরকিনান জান্তার বিরুদ্ধে মুজাহিদদের ৩টি অভিযান: নিহত ৭ শত্রু সেনা


      ​বুরকিনা ফাসোর দেদুগু এবং ফাদাঙ্গুরমা রাজ্যে দেশটির জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ৩টি পৃথক হামলা চালিয়েছেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) মুজাহিদিনরা। এতে ৭ শত্রু সেনা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

      আয-যাল্লাকা মিডিয়ার তথ্যমতে, ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা গত ২৭ জুলাই রবিবার, বুরকিনা ফাসোর দেদুগু রাজ্যের মাউই এবং বিয়ালি গ্রামে দুটি সামরিক চৌকিতে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছেন। মুজাহিদদের এই হামলায় ৪ জান্তা সদস্য নিহত হয়। এসময় অন্য সৈন্যরা জীবন বাঁচাতে উভয় সামরিক চৌকি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

      শত্রু সৈন্যদের এই পলায়নের পর মুজাহিদিনরা সামরিক চৌকিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেন। সেই সাথে ঘটনাস্থল থেকে গনিমত হিসাবে ৪টি ক্লাশিনকোভ রাইফেল, ১টি পিস্তল, ২টি মোটরসাইকেল এবং অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করেন।

      একই দিনে মুজাহিদিনরা ফাদাঙ্গুরমা রাজ্যের রোদ্দা গ্রামে অবস্থিত আরও একটি শত্রু সামরিক চৌকিতে আক্রমণ চালান। মুজাহিদদের এই হামলার ঘটনায় ৩ বুরকিনান জান্তা সদস্য নিহত হয়। অভিযান শেষে মুজাহিদিনরা ঘটনাস্থল থেকে ১টি পিকা, ৩টি ক্লাশিনকোভ রাইফেল, ৪টি মোটরসাইকেল এবং ১টি ডিজেআই ড্রোন গনিমত হিসাবে জব্দ করেন।


      তথ্যসূত্র:
      https://tinyurl.com/y995tsbe
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভিডিও || সাহসীকতার অনন্য নজির স্থাপন করে চলছেন অবরুদ্ধ গাজার বীর মুজাহিদিনরা



        অবরুদ্ধ গাজা থেকে বিশ্বকে বীরত্ব আর সাহসিকতার সবক শিখিয়ে যাচ্ছেন বীর মুজাহিদিনরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার দেখা গেলো একজন অকুতোভয় মুজাহিদ জায়োনিস্ট বাহিনীর সাঁজোয়া যানের উপর উঠে তার ভেতরে একটি বিস্ফোরক নিক্ষেপ করছেন এবং তা সফলভাবে বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছেন।

        ফিলিস্তিন ভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কাসসাম ব্রিগেড, সোমবার ২৮ জুলাই, দক্ষিণ গাজা থেকে প্রায় আড়াই মিনিটের একটি ভিডিও সম্প্রচার করেছে। ভিডিওটি গাজার খান ইউনিসের পূর্বে আবাসান আল-কাবিরা এলাকা থেকে ধারণ করা হয়েছে, যেখানে গত ২৬ জুলাই শনিবার, মুজাহিদিনরা জায়োনিস্ট ইসরায়েলি বাহিনীর যানবাহন লক্ষ্য করে একটি দুঃসাহসী অভিযান পরিচালনা করছিলেন।

        আল-কাসসাম ব্রিগেডের সম্প্রচার করা ভিডিওতে দেখা যায়, মুজাহিদিনরা জায়োনিস্ট বাহিনীর ৫টি সামরিক যান নিয়ে ঘটিত একটি দলের উপর হামলা চালাচ্ছেন। এসময় মুজাহিদিনরা প্রথমে জায়োনিস্ট বাহিনীর দুটি এপিসিকে দুটি বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেন। এরমধ্যে একটি এপিসি লক্ষ্যবস্তু করার সময় দেখা যায়, একজন মুজাহিদ দৌড়ে গিয়ে এপিসির উপরে উঠে পড়েন এবং তার হাতে থাকা বিস্ফোরকটি ককপিটে দিয়ে ভিতরে সফলভাবে বিস্ফোরণ ঘটান। তারপর তৃতীয় একটি সামরিক যানকে মুজাহিদিনরা “ইয়াসিন ১০৫” ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেন।

        এই হামলার পর ঘটনাস্থলে জায়োনিস্ট বাহিনীর উদ্ধারকারী দলগুলো এসে পৌঁছায়। কিন্তু যানবাহনের ভিতরে বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্টি আগুনের তীব্রতার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যর্থ হয়। তখন মাটি খননকারী এক্সকেভেটর দিয়ে বিস্ফোরিত যানবাহনগুলির আগুন নিভানোর জন্য মাটি দিয়ে সেগুলো চাপা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে হতাহত জায়োনিস্ট সৈন্যদের সরিয়ে নিতে ঘটনাস্থলে সামরিক হেলিকপ্টার অবতরণ করে।

        এই হামলার পর, জায়োনিস্ট বাহিনী দাবি করে যে, মুজাহিদদের পরিচালিত শনিবারের অভিযানে তাদের ৩ সৈন্য নিহত এবং আরও বেশ কয়েকটি সৈন্য আহত হয়েছে। যদিও ঘটনাস্থল থেকে ধারণ করা ভিডিও ও হামলার তীব্রতা বলছে ভিন্ন কিছু।

        ভিডিও দেখুন:




        ভিডিও লিংক: https://archive.org/details/you-get-...-younis-ambush


        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          এক বছরে পশ্চিম আফ্রিকায় ‘জেএনআইএম’ এর ৬৯৯টি সফল অভিযান: নিহত ৪২৫৯ শত্রু সেনা


          বৈশ্বিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার পশ্চিম আফ্রিকা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম)। সম্প্রতি দলটির অফিসিয়াল আয-যাল্লাকা মিডিয়া থেকে গত ১৪৪৬ হিজরি সনে তাদের সামরিক কার্যক্রমের একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মুজাহিদিনরা পশ্চিম আফ্রিকার পাঁচটি দেশে বিভিন্ন ধরণের কমপক্ষে ৬৯৯টি হামলা চালিয়েছেন।

          বিবরণ অনুযায়ী, ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি, বুরকিনা ফাসো, নাইজার, বেনিন ও টোগোতে গত হিজরি সনে অন্তত ৬৯৯টি সামরিক অপারেশন পরিচালনা করেছেন। এসকল অভিযানের মধ্যে রয়েছে ৩২২টি সম্মুখ যুদ্ধ, ২৫৭টি আইইডি বিস্ফোরণ, ৮০টি অ্যাম্বুশ, ২৮বার মর্টার হামলা, ৯টি ড্রোন হামলা এবং ৩টি ইনগিমাসী অপারেশন।

          মুজাহিদদের বীরত্বপূর্ণ এসকল অভিযানে পশ্চিম আফ্রিকার জান্তা সরকারগুলোর সাথে যুক্ত অন্তত ৪ হাজার ২ শত ৫৯ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অসংখ্য শত্রু সৈন্য, হতাহতদের এই তালিকায় বহু সংখ্যক রাশিয়ান সৈন্যও রয়েছে, যারা ওয়াগনার থেকে পরিবর্তিত হয়ে আফ্রিকান কর্পস নামে পশ্চিম আফ্রিকায় সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে।

          শত্রু বাহিনীতে বিপুল সংখ্যক হতাহতের এই ঘটনা ছাড়াও মুজাহিদদের হাতে আরও ৩৯ শত্রু সৈন্য বন্দী হয়েছে। আর গনিমত হিসাবে মুজাহিদদের হস্তগত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ৪৭৩৮টিরও বেশি অস্ত্র, অন্তত ১৭১টি সামরিক যানবাহন, ১৩৬১টি এরও বেশি মোটরসাইকেল এবং ২৮১টি আরপিজি সহ আরও অসংখ্য সামরিক সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ। শুধু চলতি বছরের মে মাসেই মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনী থেকে ৩ মিলিয়ন সমমূল্যের কেবল গোলাবারুদই জব্দ করেছেন। অপরদিকে মুজাহিদদের হামলায় শত্রু বাহিনীর ৬৫৮টিরও বেশি সামরিক যানবাহন এবং অগণিত সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস হয়েছে।




          উল্লেখ্য যে, গত ১৪৪৫ হিজরি সনের একই সময় ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা এই অঞ্চলে মোট ৩৫৭টি অভিযান পরিচালনা করছেন। সেসময় মুজাহিদদের হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ২৪৪২ শত্রু সৈন্য। এই পরিসংখ্যান থেকে এটা স্পষ্ট যে, ‘জেএনআইএম’ আগের যেকোনো সময়ের চাইতে বর্তমানে পশ্চিম আফ্রিকায় আরও বেশি শক্তিশালী এবং সক্রিয়।
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            শত্রু টহল দলকে টার্গেট করে ইত্তেহাদুল মুজাহিদিনের ড্রোন হামলা



            পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে পাকিস্তান জালিম সামরিক বাহিনীর একটি টহল দলের উপর হামলা চালিয়েছেন ইত্তেহাদুল মুজাহিদিন পাকিস্তানের (আইএমপি) মুজাহিদিনরা।

            আইএমপি মুখপাত্র মাহমুদুল হাসান (হাফিযাহুল্লাহ) তার এক্স অ্যাকাউন্টে জানান যে, গত ২৭ জুলাই রবিবার, মুজাহিদিনরা মীর আরী জেলার প্রধান হাইওয়ে রোডের পাশে একটি সফল ড্রোন হামলা চালিয়েছেন। হামলাটি উক্ত জেলার নওয়ারাক এলাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি টহল দলের উপর ড্রোন ব্যবহার করে চালানো হয়।
            মুজাহিদদের এই হামলার ফলে শত্রু সামরিক বাহিনীতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।


            তথ্যসূত্র:
            https://tinyurl.com/3de95k8z
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              দীর্ঘ ১২ বছর পর সোমালিয়ার কৌশলগত মাহাস শহরে প্রবেশ করেছেন আশ-শাবাব মুজাহিদিন



              রবিবার (২৭ জুলাই) ভোরে এক অভূতপূর্ব অভিযানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১২ বছর পর, আশ-শাবাব মুজাহিদিনরা সোমালিয়ার পূর্ব হিরান রাজ্যের কৌশলগত মাহাস শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। এসময় মুজাহিদদের হামলায় অন্তত ১৪৭ শত্রু সৈন্য হতাহত হয়েছে। হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিনরা চলতি বছরের ৭ জুলাই, পূর্ব হিরান রাজ্যের কৌশলগত মোকোকোরি জেলায় বৃহৎ পরিসরে একটি স্থল অভিযানের পর শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেন।
              এই বিজয়ের পর থেকেই মুজাহিদদের পরবর্তি লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠে অঞ্চলটির আরেক কৌশলগত জেলা শহর মাহাস। এই লক্ষ্যে মুজাহিদিনরা মোকোকোরি জেলা পেড়িয়ে মাহাস শহরের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেন এবং শহরের উপকণ্ঠের একাধিক এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেন। এমন পরিস্থিতিতে মোগাদিশু বাহিনী যখন বুঝতে পারে যে, শহরটির উপর দখলদারিত্ব টিকিয়ে রাখা তাদের পক্ষে আর সম্ভব না, তখন মোগাদিশু বাহিনী ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকেই শহরটিতে বসবাসরত নিজেদের পরিবারগুলোকে সরিয়ে নিতে শুরু করে।

              সর্বশেষ ২৬শে জুলাই মোগাদিশু বাহিনী শহরের কেন্দ্রীয় হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং প্রশাসনিক ভবনগুলো গুরুত্বপূর্ণ মালামাল কড়া পাহারায় বালদাউইন শহরের দিকে নিয়ে যেতে শুরু করে। মোগাদিশু বাহিনীর এমন পদক্ষেপে শহরে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়। হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিনরা এসময় পাল্টা কৌশল অবলম্বন করে উত্তর দিক থেকে শহরের উপকণ্ঠে আক্রমণ চালানো শুরু করেন। এই ধারাবাহিকতায় মুজাহিদিনরা শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ শহর থেকে মাত্র ৬ কিলিমিটার দূরে অবস্থিত ওয়াবাক্স এলাকায় অবস্থান নেন।

              হারাকাতুশ শাবাবের এই অবস্থান নেওয়া ছিলো মোগাদিশু বাহিনীকে বিভ্রান্ত করার একটি কৌশল, আর মোগাদিশু বাহিনী মুজাহিদদের এই কৌশলে পতিত হয়। ফলে বড়ধরণের আক্রমণের আশংকায় মোগাদিশু বাহিনী স্থানীয় মিলিশিয়াদের এবং সেনাবাহিনীর বড় একটি অংশকে শহরের উত্তর দিকে মোতায়েন করে। শনিবার থেকে মোগাদিশু বাহিনীকে শহরের উত্তর দিকে ব্যস্ত রাখার পর, রবিবার ভোরে শত শত আশ-শাবাব যোদ্ধাকে শহরের দক্ষিণ দিগন্ত থেকে উদিত হতে দেখা যায়।

              দক্ষিণ দিক থেকে আশ-শাবাবের অকল্পনীয় এই আগমন ও অভূতপূর্ব আক্রমণে হতভম্ব হয়ে পড়ে শত্রু বাহিনী। এতে শহরে অবস্থিত মোগাদিশু বাহিনীর কয়েক হাজার সৈন্য এবং দখলদার ইথিওপিয়ান সেনাবাহিনী ও মিলিশিয়ারা মুজাহিদদের তীব্র আক্রমণে দিকভ্রান্ত হয়ে ছুটাছুটি করতে শুরু করে। এসময় মুজাহিদদের হামলায় অসংখ্য শত্রু সৈন্য হতাহত হয়, যুদ্ধক্ষেত্রের উন্মুক্ত ময়দান থেকে প্রাথমিক গণনা অনুযায়ী, এই অভিযানে শত্রু বাহিনীতে নিহতের সংখ্যা ৬৩ পর্যন্ত ছাড়িয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও ৮৪ এরও বেশি শত্রু সৈন্য।

              মুজাহিদদের কয়েক ঘন্টার তীব্র আক্রমণে ভারী ক্ষয়ক্ষতির শিকার হওয়ার পর, শত্রু বাহিনী তাদের জীবন বাঁচাতে মাহাস শহর ছেড়ে বালদাউইন ও গুরিসেইল শহরের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পলায়নকারী এসকল সৈন্যদের অনেকেই আবার মুজাহিদদের আক্রমণে বনজঙ্গল ও নদীতে পড়ে মারা গেছে। মুজাহিদদের অভূতপূর্ব এই সামরিক অপারেশন এবং মোগাদিশু বাহিনীর শোচনীয় পরাজয়ের পর, হারাকাতুশ শাবাব প্রশাসন ২০১৪ সালের ২৪ মার্চের পর দীর্ঘ ১২ বছর পর কৌশলগত মাহাস শহরে প্রবেশ করেছেন।

              মুজাহিদিনরা শহরের গুরত্বপূর্ণ অবস্থান এবং সরকারি ভবনগুলোতে কালিমা খচিত তাওহিদের পতাকা উত্তোলন করেছেন। উল্লেখ্য যে, মাহাস শহরে মোগাদিশু বাহিনীর এই পতন দেশটির পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের জন্য একটি বড়ধরণের ধাক্কা। কেননা এই ঘটনার মধ্য দিয়ে পূর্ব হিরান রাজ্যের ফ্রন্টলাইনের গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত শহর আশ-শাবাবের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।

              আর মাহাস শহরটি সোমালিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করে আসছিল, মধ্য বালদাউইন, মাতাবান এবং জালাজদুদ অঞ্চল এরই অন্তর্গত। এমনিভাবে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে শহরটি মধ্য সোমালিয়ায় বাণিজ্য, সামরিক অভিযান এবং রাজনৈতিক সমন্বয়ের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

              বর্তমানে এই অঞ্চলে আশ-শাবাব স্থিতিশীলতা ফিরে আনতে পারলে হিরান রাজ্যের অন্য অংশে অবস্থিত বালদাউইন শহর হয়ে উঠবে আশ-শাবাবের পরবর্তী টার্গেট, যার মাধ্যমে হিরান রাজ্যে মোগাদিশু বাহিনী পরিপূর্ণভাবে ভেঙে পড়বে এবং খুব শীগ্রই অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ হারাবে। আশ-শাবাব মুজাহিদিন কর্তৃক মাহাস শহর বিজয়ের পরবর্তী কিছু স্থির চিত্র দেখুন…

              তথ্যসূত্র:
              https://tinyurl.com/4ee2adya
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment

              Working...
              X