Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ || ০৭সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ০২রা আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ || ০৭সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ০২রা আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    ইয়েমেনে আল-কায়েদা নেতাদের খোঁজে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: সন্ধান পেতে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রলোভন



    আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখা জামা’আত আনসারুশ শরিয়াহ্’র জ্যেষ্ঠ ৩ নেতা ও ২ জন আর্থিক নেটওয়ার্ক পরিচালকের খোঁজে মরিয়া হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসী মার্কিন প্রশাসন। এই লক্ষ্যে তাদের বিষয়ে তথ্যদাতাদের জন্য পুরস্কার বৃদ্ধি করেছে দেশটি।

    মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সম্প্রতি বৈশ্বিক প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার আরব উপদ্বীপ নেটওয়ার্কের (AQAP) জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। আল-কায়েদার এসকল নেতাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি হিসাবে উল্লেখ করে এবং তাদের তথ্যের জন্য বড় আকারের পুরস্কার ঘোষণা করে।

    মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বার্তায় ঘোষণা করা হয়েছে যে, আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপ সংশ্লিষ্ট AQAP এর নেতা সাদ বিন আতেফ আল-আওলাকি এবং আরও দুই জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব, সালিহ আল-বান্না এবং ইব্রাহিম আল-কুসি (খুবাইব আস-সুদানী) হাফিযাহুমুল্লাহ্ সম্পর্কে তথ্য প্রদানকারীদের মোটা অঙ্কের অর্থ প্রদান করা হবে। এছাড়াও আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপের দুই শীর্ষ অর্থদাতা (আর্থিক নেটওয়ার্ক পরিচালক) আব্বাস হামদান এবং সবিত বিন হারিস হাফিযাহুমুল্লাহ্’এর খোঁজেও আর্থিক প্রলোভন দেখিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

    শাইখ খালিদ আল-বাতারফি রহমাতুল্লাহি আলাইহির মৃত্যুর পর, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ২০২৪ সালে AQAP নেতা হয়ে ওঠা সাদ বিন আতেফ আল-আওলাকির (হাফিযাহুল্লাহ) উপর প্রদত্ত পুরস্কার বৃদ্ধি করে ১০ মিলিয়ন ডলার করেছে। আগে এই সংখ্যা ছিল ৬ মিলিয়ন ডলার।

    পররাষ্ট্র দপ্তরের মতে, সাদ বিন আতেফ আল-আওলাকি হাফিযাহুল্লাহ “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের বিরুদ্ধে আক্রমণের আহ্বান জানিয়েছে এবং পরিকল্পনা তৈরি করছেন।”

    এদিকে প্রতিরোধ বাহিনীর আরেক নেতা ইব্রাহিম মোহাম্মদ সালিহ আল-বান্না হাফিযাহুল্লাহ, যার তথ্যের জন্য পররাষ্ট্র দপ্তর ৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে। তাকে আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং তিনি সংগঠনের একজন জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে কাজ করছেন বলে উল্লেখ করা হয়। এমনিভাবে ইব্রাহিম আল-কুসি হাফিযাহুল্লাহ, যার মাথার উপর ৪ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে “একাকী নেকড়ে” আক্রমণের আহ্বান জানিয়েছেন।

    এছাড়াও দলটির আর্থিক নেটওয়ার্ক পরিচালনার দায়িত্বে থাকার অভিযোগে আব্বাস হামদান হাফিযাহুল্লাহ এবং সবিত বিন হারিস হাফিযাহুল্লাহ সহ আরও কয়েকজন মুজাহিদের তথ্যের জন্য ১১ মিলিয়ন ডলার অর্থের প্রলোভন দেখিয়েছে সন্ত্রাসী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।


    তথ্যসূত্র:
    https://tinyurl.com/mrrrcdtf
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    পাকিস্তানের খাইবার ও উত্তর ওয়াজিরিস্তানে ‘আইএমপি’ মুজাহিদদের ৪টি পৃথক অভিযান



    সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ইত্তেহাদুল মুজাহিদিন পাকিস্তান (আইএমপি), গত ১লা আগস্ট, ২০২৫ তারিখে, পাকিস্তানের ২টি এলাকায় অন্তত ৪টি পৃথক হামলা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে। এতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে হতাহতের পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।

    আইএমপি মুখপাত্র মাহমুদুল হাসান হাফিযাহুল্লাহ’র বিবৃতি অনুযায়ী, মুজাহিদিনরা গত ১লা আগস্ট শুক্রবার, পাকিস্তানের খাইবার এজেন্সিতে ৩টি এবং উত্তর ওয়াজিরিস্তানে ১টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করেছেন।

    এরমধ্যে মুজাহিদিনরা খাইবার এজেন্সিতে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম অভিযানটি পরিচালনা করেন শুক্রবার রাত ১টায়। মুজাহিদিনরা উক্ত অঞ্চলের তিরাহ উপত্যকার দার পীর নাকা এলাকায় স্থাপিত সেনাবাহিনীর একটি পোস্ট লক্ষ্য করে লেজার গান দিয়ে হামলাটি পরিচালনা করেন। এতে শত্রু বাহিনীর ১ সদস্য নিহত হয়। এরপর মুজাহিদিনরা সামরিক পোস্টটি লক্ষ্য করে রকেট লঞ্চার দ্বারা হামলা চালান, ফলে শত্রু বাহিনীতে আরও হতাহত ও সম্পদের ক্ষতি হয়।

    এই ঘটনার পর শুক্রবার ভোরে, একই শত্রু সামরিক পোস্টের কাছে একটি সামরিক গাড়ি লক্ষ্য করে মাইন বিস্ফোরণ ঘটান মুজাহিদিনরা। ফলশ্রুতিতে শত্রু বাহিনীর অন্তত ২ সেনা সদস্য হতাহত হয় এবং গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    এই হামলার কিছুক্ষণ পর সকাল ৬টায়, মুজাহিদিনরা তিরাহ উপত্যকার আরখাঙ্গা এলাকায় শত্রু বাহিনীর একটি পোস্টে স্নাইপার হামলা চালান। মুজাহিদদের সফল এই স্নাইপার আক্রমণে শত্রু বাহিনীর ১ অফিসার নিহত এবং অন্য ১ অফিসার আহত হয়।

    এমনিভাবে মুজাহিদিনরা উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মির আলী জেলার প্রধান মহাসড়কেও শুক্রবার একটি সফল হামলা চালিয়েছেন। হামলাটি জেলা শহরের মহাসড়কে অবস্থিত পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর একটি পোস্টে কোয়াডকপ্টার/ড্রোন ব্যবহার করে চালানো হয়। এতে শত্রু বাহিনীতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।


    তথ্যসূত্র:
    https://tinyurl.com/a439hh5r
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গাজায় দখলদার বাহিনীর সামরিক যান বহরে মুজাহিদদের ভয়াবহ প্রতিরোধ হামলা



      দখলদার ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে মুজাহিদিনরা একের পর এক সাহসী ও পরিকল্পিত প্রতিরক্ষা পদক্ষেপ নিচ্ছে। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের দক্ষিণ-পশ্চিমের আল-বাতিন আল-সামিন এলাকায় সাম্প্রতিক এক অভিযানে এই প্রতিরোধ আরও একবার প্রমাণ করল—ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের আগ্রাসন কখনোই নিরুত্তর থাকবে না।

      দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক যানের একটি বহরে তিনটি শক্তিশালী আইইডি (Improvised Explosive Device) বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে আল-বাতিন আল-সামিন এলাকায়, যা খান ইউনিস শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে অবস্থিত। মুজাহিদিনরা পূর্ব পরিকল্পনার ভিত্তিতে হামলাটি চালান বলে ফিলিস্তিনি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

      এছাড়াও, একই দিন গাজার বিভিন্ন ফ্রন্টলাইনে দখলদার ইহুদি বাহিনীর অবস্থান এবং সেনা জমায়েত লক্ষ্য করে একযোগে মর্টার শেল এবং রকেট হামলা চালানো হয়। ইহুদিবাদী বাহিনীর পক্ষ থেকে হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ গোপন রাখা হলেও সংঘর্ষ পরবর্তী ধ্বংসস্তূপ থেকে ধোঁয়া ও আগুনের ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

      এই প্রতিরোধ ফিলিস্তিনিদের আত্মমর্যাদা এবং ইসলামি চেতনার ফলশ্রুতি—যেখানে দখলদারদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিটি বালুকণাও রুখে দাঁড়ানোর শপথ নিয়েছে। এ এক ন্যায়সঙ্গত আত্মরক্ষার যুদ্ধ, যা কেবল ফিলিস্তিন নয়, বরং পুরো মুসলিম উম্মাহর জন্যও একটি প্রতীকী সংগ্রাম।

      অপরদিকে, পশ্চিমা সমর্থিত এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকারী এই ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী রাষ্ট্রটি বরাবরের মতোই বেসামরিক জনগণের উপর পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এই যুদ্ধ মূলত এক ধর্মীয় নিধনের যুদ্ধ—যেখানে ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা চলছে; কিন্তু প্রতিরোধের এই কণ্ঠস্বর সে ষড়যন্ত্রকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।

      ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধ আজ আর শুধু একটি ভূখণ্ড রক্ষার লড়াই নয়; এটি হয়ে উঠেছে গোটা মুসলিম বিশ্বের জন্য নৈতিক চেতনার প্রতীক। ইহুদিবাদী দখলদার পক্ষ যতই পশ্চিমা অস্ত্র এবং কূটনৈতিক সমর্থনে নিজেকে শক্তিশালী মনে করুক না কেন, দখলদার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামী এই প্রতিরোধ কখনোই দমে যাবে না।

      তথ্যসূত্র:
      1. Footage of detonating 3 IEDs inside one of the enemy’s vehicle hubs in Al-Batin Al-Samin area, southwest of Khan Younis.
      https://tinyurl.com/4avts8sj
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আফগানিস্তানে ১০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর




        ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান বিদ্যুৎ খাতে বড় ধরনের একটি বিনিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে। দেশটির পানি ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আজিজি এনার্জি ইনভেস্ট যৌথভাবে ১০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে।

        এই চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক বিষয়ক উপমন্ত্রী। চুক্তিটি আজ শনিবার ( ২ আগষ্ট ) আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হবে। যদিও প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি, এটি আফগান বিদ্যুৎ খাতের ইতিহাসে এক বড় মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

        বিদ্যুৎ খাতে আফগানিস্তানের সম্ভাবনা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটি তার নিজস্ব প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে প্রায় ৩,২০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রাখে।

        এই প্রকল্প কেবল দেশের অভ্যন্তরীণ বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে সাহায্য করবে না, বরং আফগানিস্তানকে একটি আঞ্চলিক বিদ্যুৎ রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। এছাড়াও এতে দেশের অর্থনীতি এবং শিল্প খাতের বিকাশে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।


        তথ্যসূত্র:
        1. کابل کې د ۱۰ زره مېګاواټه برېښنا د تولید پروژو تړون لاسلیک کیږي
        https://tinyurl.com/yc2xepwj
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X