Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ || ১০ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ০৫ আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ || ১০ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ০৫ আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক মেস আয়নাক অঞ্চলে আবিষ্কৃত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন কাবুলে স্থানান্তর



    আফগানিস্তানের লোগার প্রদেশের ঐতিহাসিক মেস আয়নাক অঞ্চলে ১৪৩০টি প্রাচীন নিদর্শনের সন্ধান পাওয়া গেছে। নিদর্শনগুলোর মধ্যে রয়েছে কুষাণ ও সাসানীয় যুগের তামার মুদ্রা, শিলালিপি, ছোট পাত্র, কাপ, বাটি, বিভিন্ন প্রদীপ, তামার ব্রেসলেট, অ্যাগেট ও ল্যাপিস লাজুলি রত্নপাথর, হাতির দাঁত, হাড়ের সিল, লাউ, টাকু এবং অন্যান্য সরঞ্জাম।

    উদ্ধারকৃত এই সকল নিদর্শণ কাবুলে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। এগুলো কাদামাটি, পাথর, ধাতু, কাচ, হাড় এবং কাঠের সমন্বয়ে তৈরি।

    প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান সৈয়দ জাবিউল্লাহ সাদাত জানান, স্থানান্তর করার পর এই সকল নিদর্শণ নিখুঁতভাবে পরিষ্কার, পুনরুদ্ধার, সংরক্ষণ, সনাক্তকরণ এবং নথিভুক্ত করা হবে, যা স্থায়ী প্রদর্শনী ও নিরাপদে সংরক্ষণের জন্য পরবর্তীতে জাতীয় যাদুঘরে প্রেরণ করা হবে।

    ইমারতে ইসলামিয়ার তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানায়, ৫ হাজার বছরের পুরনো এই নিদর্শনগুলো আমাদের সামনে অতীত ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সভ্যতার প্রতিচ্ছবি বর্ণনা করছে।

    উল্লেখ্য যে, মেস আয়নাক অঞ্চলটি প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ ও নিদর্শনে সমৃদ্ধ। পাশাপাশি অঞ্চলটিতে প্রচুর খনিজ তামা বিদ্যমান রয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো স্থানান্তরের পর এটির বিস্তৃত তামার খনি সাইটে খনন কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. 1,430 Mes Aynak Artifacts Moved to Kabul
    https://tinyurl.com/44up4uc2
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    হেরাত প্রদেশে ৩০,০০০ মাদকাসক্তকে পুনর্বাসিত করলো ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন




    আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে গত তিন বছরে ৩০,০০০-এরও বেশি মাদকাসক্তকে চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে সমাজে পুনরায় একীভূত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইমারতে ইসলামিয়ার স্থানীয় প্রশাসন।

    আফগান গণমাধ্যম টোলো নিউজের বরাতে জানা যায়, হেরাত পুলিশ কমান্ডের মাদকবিরোধী শাখার পরিচালক হায়াতুল্লাহ রুহানি বলেন, ‘গত তিন বছরে ৩০,০০০-এরও বেশি মাদকাসক্তকে চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে। অতীতে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে তাদের চিকিৎসা করা হতো, কিন্তু বর্তমানে একটি কেন্দ্রীয় ৪,০০০ শয্যাবিশিষ্ট পুনর্বাসন শিবিরে তাদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।’

    স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে ওই কেন্দ্রে প্রায় ৪,০০০ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রতি মাসে গড়ে ৭০০ জনের বেশি নতুন রোগী পুনর্বাসনের জন্য কেন্দ্রে ভর্তি হচ্ছে।

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাদকাসক্তদের মধ্যে শুধুমাত্র শারীরিক সমস্যাই নয়, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বিশেষকরে বিষণ্ণতা, উদ্বেগ ও আত্মবিশ্বাসের অভাব প্রবলভাবে দেখা যাচ্ছে। পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিযুক্ত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. হোমায়ুন মুহাম্মদী বলেন, ‘আমরা রোগীদের জন্য আলাদা সাইকোথেরাপি সেশন চালু করেছি, যাতে তারা ধীরে ধীরে মানসিকভাবে সুস্থ হতে পারেন।’

    চিকিৎসা শেষে অনেকেই এখন পরিবারের কাছে ফিরছেন এবং সমাজে নতুন জীবন শুরু করছেন। কুদরতুল্লাহ নামের এক রোগী বলেন, ‘মাদক আমার জীবন ধ্বংস করেছিল। এখন আমি সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করছি এবং অন্য যুবকদেরও মাদকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সতর্ক করতে চাই।’

    প্রশাসনের মতে, অনেক মাদকাসক্ত ব্যক্তি ইরানে অবস্থানকালে মাদকে আসক্ত হয়। আফগানিস্তানে ফেরার পর পুলিশ তাদের শনাক্ত করে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠায়।


    তথ্যসূত্র:
    1. 30,000 Drug Addicts Rehabilitated in Herat Over the Past Three Years
    https://tinyurl.com/2e68s2dy
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      রাজধানী মোগাদিশুর উপকন্ঠে শাবাবের ২টি ইস্তেশহাদী হামলা: হতাহত ৮০ ক্রুসেডার সৈন্য




      আল-কায়েদা পূর্ব আফ্রিকা শাখা হারাকাতুশ শাবাবের সামরিক নেতৃত্ব নিশ্চিত করেছে যে, সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর উপকন্ঠে মুজাহিদদের পরিচালিত দুটি শহীদি অভিযানে প্রায় ৮০ উগান্ডান ক্রুসেডার সৈন্য হতাহত হয়েছে। এসময় ৯টি সামরিক যানবাহন সহ শত্রু বাহিনীর অসংখ্য সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস হয়েছে।

      হারাকাতুশ শাবাবের সামরিক কমান্ডের বিবৃতি অনুযায়ী, গত ৪ আগস্ট সোমবার ,মোগাদিশুর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত আফগোয়ে জেলার উপকণ্ঠে বারির শহরে মুজাহিদিনরা জোড়া ইস্তেশহাদী হামলা চালিয়েছেন। আফ্রিকান ক্রুসেডার জোটের অংশীদার উগান্ডান বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে অভিযানটি চালানো হয়েছে। ঘাঁটিটিতে আফ্রিকান জোট বাহিনী ইসলামি শরিয়াহ্ শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য বিপুল সংখ্যক ক্রুসেডার সৈন্য এবং যানবাহন একত্রিত করছিল।

      মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধির এই তথ্য পাওয়ার পরপরই ঘাঁটিতে হামলার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে একজন মুজাহিদ বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে সফলভাবে সামরিক ঘাঁটির কেন্দ্রস্থলে পৌঁছান, বিশেষ করে শত্রু বাহিনী যেখানে যুদ্ধের জন্য সাঁজোয়া যান ও অস্ত্রগুলো মজুদ করেছিল। শাবাব মুজাহিদ নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছেই শক্তিশালী গাড়ি বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটান।

      এই বিস্ফোরণে ক্রুসেডার বাহিনীর অসংখ্য অস্ত্র, গাড়ি ও সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস হয়ে যায়, হতাহত হয় অনেক ক্রুসেডার সৈন্য। বিস্ফোরণের পর হতাহত ক্রুসেডারদের সমর্থনে ঘটনাস্থলে আরও সৈন্য ও যানবাহন জড়ো হয়। শত্রু বাহিনীর এই জড়ো হওয়ার কয়েক মিনিট পর ঘটনাস্থলে আরও একজন ইস্তেশহাদী মুজাহিদ গাড়ি বোমা নিয়ে উপস্থিত হন এবং সফলভাবে শত্রু বাহিনীর মাঝে গাড়ি বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটান। এতে মুজাহিদদের পূর্ববর্তী বিস্ফোরণে রেকর্ড করা ক্ষয়ক্ষতির চেয়েও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয় উগান্ডান বাহিনী।

      আশ-শাবাব মুজাহিদিন হামলার শত্রু বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক পরিসংখ্যানে উল্লেখ করেছে যে, মুজাহিদদের দুটি ইস্তেশহাদী হামলায় ক্রুসেডার বাহিনীর অন্তত ৪৭ সৈন্য নিহত এবং ৩১ সৈন্য ও অফিসার আহত হয়েছে, আহত সৈন্যদের বেশিরভাগের আঘাতই গভীর ও মারাত্মক। তবে এই অভিযানে শত্রু বাহিনীর হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছে আশ-শাবাব, পরে এবিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করবে দলটি।

      মুজাহিদদের হামলায় শত্রু বাহিনীতে হতাহতের ঘটনা ছাড়াও তাদের ৯টি সামরিক যানবাহন, বেশ কিছু আর্টিলারি ও ভারী সরঞ্জাম ধ্বংস হয়েছে। ধ্বংস হওয়া এসবের মধ্যে রয়েছে সাঁজোয়া যান, সৈন্য পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত এপিসি, ট্যাংক এবং বারির শহরে বোমাবর্ষণের জন্য ব্যবহার করা ভারি আর্টিলারি, সামরিক সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ।


      তথ্যসূত্র:
      https://tinyurl.com/muharub2
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        পিওআর কার্ড বাতিল, পাকিস্তানে আফগান অভিবাসীদের নতুন সংকট




        পাকিস্তানে আফগান অভিবাসীদের জন্য ইস্যুকৃত পিওআর (প্রুফ অব রেজিস্ট্রেশন) কার্ড বাতিল করায় নতুন করে সংকটে পড়েছেন হাজার হাজার আফগান নাগরিক। সাম্প্রতিক গ্রেপ্তার ও জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে। এতে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান সরকারের মধ্যে আলোচনার দাবি জোরালো হচ্ছে।

        পাকিস্তানে অবস্থানরত আফগান অভিবাসী শাবানা নামে একজন বলেন, ‘আশা ছিল যে পিওআর কার্ডধারীদের অন্তত ছয় মাসের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে, কিন্তু পাকিস্তানের একতরফা সিদ্ধান্তে এখন অভিবাসীদের ওপর দমন-পীড়ন চলছে।’

        আরেক আফগান অভিবাসী আতিউল্লাহ মনসুর জানান, ‘পাকিস্তান সরকার তাদের পূর্বের সিদ্ধান্ত বদলে ইমারতে ইসলামিয়ার সাথে সমন্বয় করে আফগান অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনের জন্য একটি কাঠামোবদ্ধ ও ধাপে ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনা তৈরি শুরু করছে।’

        এদিকে ইমারতে ইসলামিয়ার ইসলামাবাদস্থ দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, গত তিন দিনে অন্তত ৮০০ আফগান নাগরিককে রাওয়ালপিন্ডি ও ইসলামাবাদ থেকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৮০ জনের বৈধ শরণার্থী পরিচয়পত্র থাকলেও তাদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো হয়েছে।

        আফগান দূতাবাসের অভিবাসন বিষয়ক প্রধান জানান, ‘এই সিদ্ধান্ত আফগান সরকার, জাতিসংঘ বা ইউএনএইচসিআর-এর সঙ্গে কোনো সমন্বয় ছাড়াই একতরফাভাবে নেওয়া হয়েছে।’

        দূতাবাসের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ‘আমাদের দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানি বাহিনী ৮০০ জন আফগান অভিবাসীকে আটক করেছে, যাদের মধ্যে ৩৮০ জনের বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।’

        অভিবাসী অধিকারকর্মী মুহাম্মদ খান মুহাম্মদজাই বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান আফগান সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে যাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে, বিশেষ করে তাদের অধিকার রক্ষা করা।’

        এর আগে আফগান শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উপমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আফগান অভিবাসীদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো আন্তর্জাতিক ও ইসলামি উভয় আইনেই লঙ্ঘন। তাই অভিবাসীদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় স্বাগতিক দেশগুলোর দায়িত্বশীল ভূমিকা নেওয়া উচিত।’


        তথ্যসূত্র:
        1. PoR Card Revocation Triggers New Migrant Crisis in Pakistan
        https://tinyurl.com/yearpyur
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          হজ্বের বেঁচে যাওয়া অর্থ হাজীদের নিকট ফেরত দেয়ার ঘোষণা জানিয়েছে ইমারতে ইসলামিয়া



          ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে ১৪৪৬ হিজরি সনের হজ্বে সরকারিভাবে সর্বমোট ৮১৬ কোটি আফগানির অধিক খরচ হয়েছে। কিন্তু হাজীদের নিকট থেকে ১১ কোটি ৫০ লক্ষ আফগানির কিছু বেশি অর্থ অতিরিক্ত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাই এই অতিরিক্ত বেঁচে যাওয়া অর্থ হাজীদের কাছে ফেরত দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইমারতে ইসলামিয়ার হজ্ব বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

          সেই হিসেবে, প্রত্যেক হাজী ৪ হাজার আফগানি করে ফেরত পাবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী নূর মুহাম্মদ সাকিব হাফিযাহুল্লাহ। ফেরতকৃত অর্থ সংগ্রহের জন্য হজ্ব মন্ত্রণালয়ের প্রাদেশিক অফিসে যোগাযোগ করতে তিনি হাজীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।


          তথ্যসূত্র:
          1. https://tinyurl.com/yc29963h
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            আল্লাহ তা’আলা আমাদের জন্যও ইসলামী শাসনের ব্যবস্থা করে দেন, আমীন।

            Comment

            Working...
            X