এবার জায়োনিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘মূসার লাঠি’ নামে নতুন অপারেশনে আল-কাসসাম ব্রিগেড

আল-কাসসাম ব্রিগেড জায়োনিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে দ্য স্টাফ অফ মোজেস/মূসার লাঠি শিরোনামে নতুন অপারেশন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে গাজার আল-জায়তুন এবং জাবালিয়ায় জায়োনিস্ট বাহিনীর উপর চালানো হয়েছে নতুন অপারেশন।
ইজ্জউদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা ৩ সেপ্টেম্বর বুধবার, আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন যে, মুজাহিদিনরা জায়োনিস্ট বাহিনী কর্তৃক ঘোষিত “গিদিয়নের রথ ২”-এর প্রতিক্রিয়ায় “স্টাফ অফ মুসা/মূসার লাঠি” শিরোনামে একটি ধারাবাহিক অভিযান শুরু করছেন।
সেই ধারাবাহিকতায় মুজাহিদিনরা “মূসার লাঠি” শিরোনামে প্রথম অভিযান শুরু করেছেন গাজার আল-জায়তুন এলাকা এবং জাবালিয়ায়। মুজাহিদিনরা এই অভিযানটি জায়োনিস্ট বাহিনী কর্তৃক নতুন অভিযানের নাম ঘোষণার কয়েক ঘন্টা পরেই চালানো হয়েছে।
আল-জাজিরাকে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে যে, “শত্রুরা এই অভিযানে আমাদের মুজাহিদিনদের প্রস্তুতি প্রত্যক্ষ করেছে, গাজায় তাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে তাও তারা প্রত্যক্ষ করেছে। আর শত্রু যা দেখেছে তা বিশাল সমুদ্রের একটি ফোঁটা মাত্র।”
আল-কাসসামের সূত্রটি আরও উল্লেখ করে যে, যেমনিভাবে শত্রুর নিজের স্বীকারোক্তি অনুসারে মুজাহিদের পরিচালিত “দাউদের পাথর” অভিযান জায়োনিস্ট বাহিনীর পূর্বেকার অভিযান ব্যর্থ করে দিয়েছিল। আর এবার “স্টাফ অফ মুসা” অপারেশন অলৌকিক ঘটনা বহন করবে ইনশাআল্লাহ।
এই ঘোষণার পর আল-কাসসাম ব্রিগেড দখলদারদের প্রতি “সময় ফুরিয়ে আসছে” শিরোনামে কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গাজা শহরে তোমার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পরিধি বাড়ানোর সিদ্ধান্তের জন্য তোমাকে চড়া মূল্য দিতে হবে। এতে তোমার সৈন্য এবং বন্দীদের মৃত্যু হবে।
সেই সাথে ভিডিওটিতে প্রথমবারের মতো, আল-কাসসাম ব্রিগেড খুব চতুরতার সাথে একটি QR কোড ব্যবহার করেছে। এটি স্ক্যান করার দ্বারা দর্শকদেরকে জায়োনিস্ট বাহিনীর একটি পৃষ্ঠা দেখানো হয়, যেখানে মৃত ইসরায়েলি সৈন্যদের নাম এবং ছবিগুলির একটি তালিকা থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, এই অভিযানটি সম্প্রসারিত হলে, নিহত ও বন্দী সৈন্যদেরকে সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/pvwue9w8
Comment