Announcement

Collapse
No announcement yet.

মালি: রাজধানী বামাকোর আরও কাছাকাছি জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মালি: রাজধানী বামাকোর আরও কাছাকাছি জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন

    মালি: রাজধানী বামাকোর আরও কাছাকাছি জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন



    ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে, মালির ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনী আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা হুমকির মুখোমুখি হতে শুরু করেছে। কেননা বৈশ্বিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিনের (জেএনআইএম) ক্রমবর্ধমান সামরিক ও রাজনৈতিক কার্যকলাপ, যা রাজধানী বামাকো এবং ক্ষমতাসীন সামরিক শাসনকে পতনের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে।

    ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, “বামাকো পতনের দ্বারপ্রান্তে, এটি যদি ঘটে তবে আল-কায়েদা প্রথমবারের মতো একটি দেশের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেতে যাচ্ছে।

    প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেএনআইএম মুজাহিদিনরা দেশটির জ্বালানি আমদানির উপর অবরোধ আরোপ করেছেন, যা রাজধানী বামাকোকে লজিস্টিক এবং অর্থনৈতিক উভয় দিক থেকেই পঙ্গু করে দিয়েছে।

    মালি প্রতিবেশী সেনেগাল এবং আইভরি কোস্টের মতো দেশগুলি থেকে জ্বালানি আমদানির উপর নির্ভর করে, তাই জেএনআইএম এর এই অবরোধ দেশের অর্থনৈতিক জীবনরেখাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে।

    প্রতিবেদন অনুসারে, জেএনআইএম গত দুমাস ধরেই সরাসরি ও আকস্মিক বড় কোনো আক্রমণের দিকে ঝুঁকছে না, যা দলটির অফিসিয়াল আয-যাল্লাকা মিডিয়া থেকে গত “রবিউল আউয়াল ও রবিউস সানি” মাসের সামরিক কার্যক্রম নিয়ে প্রকাশিত ২টি ইনফোগ্রাফি থেকেও স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। বরং জেএনআইএম মুজাহিদিনরা এখন আফগানিস্তান বিজয়ের পূর্ব মূহুর্তে তালিবান মুজাহিদদদের ব্যবহৃত কৌশলের দিকে ঝুঁকছেন। এই কৌশলের অংশ হিসাবে জেএনআইএম স্থানীয় গোত্র ও ছোট ছোট সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সাথে চুক্তিতে যাচ্ছেন, স্থানীয় প্রবীণ ও আলেমদের সাথে বৈঠক করছেন এবং এলাকা ভিত্তিক স্থানীয়দের একত্রিত করে শরিয়াহ্ শাসানের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করছেন। সেই সাথে জেএনআইএম মুজাহিদিনরা তালিবানদের মতো ধীরে ধীরে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করার দিকে ঝুঁকছেন; প্রথমে গ্রাম ও শহরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া এবং তারপর রাজধানীর দিকে অগ্রসর হওয়া।

    পশ্চিমা ও ফরাসি বাহিনী প্রত্যাহার এবং রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত আফ্রিকা কর্পোরেশনের মতো অন্যান্য সামরিক অংশীদারদের সাথে জটিল সম্পর্কের পর, জান্তার নেতৃত্বে মালির সরকার দুর্বল বলে মনে হচ্ছে। দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বছরের পর বছর ধরে জেএনআইএম মুজাহিদদের আক্রমণের ফলে দখলদার পশ্চিমা ও ফরাসিরা ব্যর্থ হয়ে মালি ছাড়তে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে মালির জান্তা সরকার রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে, কিন্তু ততদিনে জেএনআইএম তাদের ভিত্তি অনেক মজবুত করে নিয়েছে, ফলে এখন রাশিয়া ও তুরস্ক সহ অন্যান্য অংশীদারদের সহায়তা সত্ত্বেও মালির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে।

    আর জেএনআইএম কর্তৃক সম্প্রতি শুরু করা জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা সহ অর্থনৈতিক অবরোধগুলো হল জান্তার জন্য একটি অপ্রচলিত অস্ত্র, ইতিপূর্বে যার সম্মুখীন হয়নি সরকারগুলো। জেএনআইএম মুজাহিদিনরা কেবল সামরিকভাবে আক্রমণ করার জন্যই এই কৌশল অবলম্বন করছেন না, বরং তাঁরা মালির ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা জান্তাকে পঙ্গু করার জন্য এই কৌশল ব্যবহার করছেন।

    মালির সম্ভাব্য ফলাফল কী হতে পারে?

    ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুসারে, বামাকোর পতন তাৎক্ষণিক নাও হতে পারে, তবে পরিস্থিতি আরও অবনতি হলে জামাআত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম)-এর সাথে আলোচনায় বসা কিংবা ক্ষমতা ভাগাভাগি করার দিকে আগাতে হতে পারে। যদিও জেএনআইএম-এর দ্বিতীয় অপশন গ্রহণ না করার সম্ভাবনাই বেশি, বরং তাঁরা মালিকে বিভক্ত করার পরিবর্তে সম্পূর্ণ দেশকে একক স্বাধীন ইসলামি সরকারের অধীনে নিয়ে আসতে চায়।

    বর্তমানে জেএনআইএম বামাকোর নিয়ন্ত্রণ না নিলেও, দেশের বিশাল অংশের উপর এর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এবং বাকি অংশে দলটির কর্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এটি কার্যকরভাবে বোঝায় যে, মালি একটি “দুর্বল রাষ্ট্র” বা জেএনআইএম দ্বারা পরিচালিত “সমান্তরাল রাষ্ট্র” হয়ে ওঠেছে। কেননা বর্তমানে দলটির শরিয়াহ্ শাসন শুধু এর নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ নয় বরং জান্তা নিয়ন্ত্রিত বামাকোর উপকন্ঠেও গোত্রগুলো জেএনআইএম মুজাহিদদের নির্দেশনায় শরিয়াহ্ শাসন মেনে চলে। এমনকি রাজধানী বামাকো থেকে দেশের অন্য রাজ্যে যাতায়াত করা গণপরিবহনেও শরিয়াহ্ মোতাবেক যাত্রীরা চলাফেরা করছেন।

    প্রতিবেদন অনুসারে, জেএনআইএম-এর কার্যক্রমের এই প্রতিক্রিয়া কেবল মালির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের অন্যান্য দেশ এবং সম্ভবত এর বাইরেও, মজবুত নেটওয়ার্ক এবং অর্থায়নের মাধ্যমে প্রসারিত হবে। ফলে আঞ্চলিক পরিস্থিতির উপর সরাসরি নিরাপত্তা প্রভাব পড়বে, কারণ মালিকে “পরবর্তী রাষ্ট্র”-এর একটি মডেল হিসেবে দেখা হবে।

    সূত্রের মতে, মালি বর্তমানে “সরাসরি পতন” অনুভব করছে না, তবে এটি “রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা” বা “জিহাদি প্রভাবের ক্ষেত্রে রূপান্তর” হিসাবে অভিহিত হতে পারে। তাই এখানে কেবল কী ঘটতে পারে তা নয়, বরং ইতিমধ্যে কী ঘটছে এবং বর্তমান আর্থিক ব্যবস্থা কত দ্রুত ভেঙে পড়তে পারে তাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

    উল্লেখ্য যে, জামাআত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) মালি ছাড়াও সাহেল অঞ্চলের কয়েকটি দেশের বিশাল অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। দলটি তার নিয়ন্ত্রণে থাকা এসকল অঞ্চল ইসলামী শরিয়াহ্ অনুসারে শাসন করছে। সেই সাথে দলটি পশ্চিমা বিশ্ব এবং প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা থেকে সম্পূর্ণ এবং ব্যাপক স্বাধীনতা চায়। আর এটি হচ্ছে মুসলিম বিশ্বকে মুক্ত করার জন্য আল-কায়েদার পরিকল্পনার একটি বাস্তব প্রয়োগ।

    তথ্যসূত্র:
    https://tinyurl.com/3tb35pfv
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, “বামাকো পতনের দ্বারপ্রান্তে, এটি যদি ঘটে তবে আল-কায়েদা প্রথমবারের মতো একটি দেশের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেতে যাচ্ছে।

    এত কষ্টের মাঝেও বিষয়টি ভাবতেই মন খুশিতে ভরে উঠছে!

    আল কায়দা দেশ চালাবে।
    যেই দেশ থেকে পশ্চিমা কুত্তারা পালাতে বাধ্য হয়েছে আগেই।
    এখন রাশিয়ার ভাল্লুকেরাও পালানোর পথ খুঁজবে।
    পরবর্তিতে ওরা শত চেষ্টা করলেও মালি কে ভূলতে পারবে না।

    উম্মাহর বিজয়াভিযান এভাবে বাড়তেই থাকবে ইনশাআল্লাহ। এখন থেকে ওরা আমাদের মারবে না বরং আমরাই ওদের খুঁজে খুঁজে মারবো!

    বিইযনিল্লাহ এই কাফেলাই ইমাম মাহদীর মাথায় নেতৃত্বের মুকুট পড়িয়ে তাঁর হাতে বাইয়াত হয়ে ঈসা আলাইহিসসালাম কে সংবর্ধনা জানানোর জন্য মাঠ তৈরী করবে বিইযনিল্লাহ!

    হে জারজ রাষ্ট ইসরাইলের বাসিন্দা! তোদের বাপ দাজ্জাল কে আমরাই হত্যা করবো !
    আর তোদের জন্য অনন্তকাল আগুন আর আমাদের জন্য চিরস্থায়ী বাগান!


    Comment


    • #3
      ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, “বামাকো পতনের দ্বারপ্রান্তে, এটি যদি ঘটে তবে আল-কায়েদা প্রথমবারের মতো একটি দেশের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেতে যাচ্ছে।

      আলহামদুলিল্লাহ; ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ
      Last edited by Rakibul Hassan; 1 day ago.

      Comment


      • #4
        আলহামদুলিল্লাহ মাশাল্লাহ

        Comment


        • #5
          পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে এক ভিন্ন ধরনের শাসনব্যবস্থা গড়ে উঠছে। মালিতে জামাত নুসরাত উল-ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (jnim) নামের সংগঠনটি শুধু সামরিক শক্তি দিয়ে নয়, বরং জনগণের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করছে। এই বাস্তবতা বুঝতে হলে আমাদের প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে মাঠপর্যায়ের সত্য অনুধাবন করতে হবে।
          .
          রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার শূন্যস্থান পূরণ
          দশকের পর দশক ধরে মালির কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের জনগণকে অবহেলা করেছে। দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন, নিরাপত্তার অভাব এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নির্বিচার নিপীড়ন সাধারণ মানুষকে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। যেখানে রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে jnim নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিয়েছে।
          .
          এই সংগঠনটি কোনো বহিরাগত শক্তি নয়। তুয়ারেগ, আরব, ফুলানি, সংহাই এবং বাম্বারা—এসব জাতিগোষ্ঠীর মানুষ এর সঙ্গে যুক্ত। স্থানীয় শিকড় থাকার কারণে তারা জনগণের সমস্যা বোঝে এবং বাস্তব সমাধান দিতে পারে। দস্যুতা দমন থেকে শুরু করে জমি-পানি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি পর্যন্ত—সব ক্ষেত্রেই তারা কার্যকর ভূমিকা রাখছে। মালির কিছু অঞ্চলে টানা ১১ বছর ধরে এই সংগঠনের শাসন চলছে, যা তাদের গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ।
          .
          সামাজিক ন্যায়বিচারের আহ্বান
          jnim-এর সাফল্যের পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, তাদের সামাজিক ন্যায়বিচারের বাণী। তারা স্থানীয় অভিজাত শ্রেণির বিরুদ্ধে সোচ্চার, যারা বংশপরম্পরায় ক্ষমতা ও সম্পদ কুক্ষিগত রেখে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করেছে। কঠোর সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস যেখানে মানুষের মর্যাদা নির্ধারণ করে, সেখানে jnim সবার জন্য সমান সুযোগের কথা বলে।
          .
          বিশেষ করে যারা ঐতিহাসিকভাবে দাসত্বের শিকার হয়েছে এবং প্রান্তিক পশুপালক সম্প্রদায়ের কাছে ইনসাফের এই বার্তা অত্যন্ত শক্তিশালী। মপ্তি অঞ্চলের এক যাযাবর পশুপালক ২০১৬ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমরা আমাদের অভিজাতদের আধিপত্যের জোয়াল থেকে মুক্ত হতে চাই। প্রশাসনের যোগসাজশে তারা আমাদের শোষণ করেছে বছরের পর বছর। এজন্যই আমাদের অনেকে অস্ত্র হাতে নিয়েছে।’
          .
          Jnim-এর আন্দোলনকে পশ্চিমারা “উগ্রবাদ” বলে চিহ্নিত করতে চাইছে। কিন্তু এটি দীর্ঘ বঞ্চনা ও অবিচারের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিক্রিয়া। ইসলাম যে সামাজিক সাম্যের কথা বলে, jnim সেই আদর্শকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।
          .
          বিবাহ সংকট ও সামাজিক সমাধান
          মালির সমাজে আকাশছোঁয়া কনেমূল্যের কারণে অসংখ্য যুবক বিবাহ করতে অক্ষম ছিল। এই অর্থনৈতিক বাধা তাদের জীবনে হতাশা ও অস্থিরতা সৃষ্টি করে। jnim এই সমস্যার বাস্তবসম্মত সমাধান দিয়েছে। তারা কনেমূল্য কমিয়ে যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে এবং বিবাহ অনুষ্ঠানের খরচও সীমিত করেছে। ২০২০ সালে পরিচালিত এক জরিপে মপ্তি অঞ্চলের ১০০% নারী এবং ৯০% পুরুষ উত্তরদাতা স্বীকার করেছেন যে, এই পদক্ষেপ বিবাহের সুযোগ বাড়িয়েছে।
          .
          সিনিরে গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, ‘আগে যেখানে অর্থের অভাবে যুবকরা বিয়ে করতে পারত না, এখন সেখানে সহজেই তারা সংসার পাতার সুযোগ পাচ্ছে। অযৌক্তিক কনেমূল্য এখন নিষিদ্ধ।’
          .
          ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহ সহজ করা একটি সওয়াবযোগ্য আমল। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সর্বোত্তম বিবাহ সেটি, যেটি সবচেয়ে সহজ।’ jnim এই শিক্ষাকে বাস্তবায়িত করছে, যা স্থানীয় জনগণের প্রশংসা ও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
          .
          নারীদের নিরাপত্তা ও অধিকার
          পশ্চিমা গণমাধ্যম প্রায়ই ইসলামি শাসনব্যবস্থাকে নারীদের জন্য নিপীড়নমূলক হিসেবে চিত্রিত করে। কিন্তু মালির বাস্তবতা ভিন্ন গল্প বলে। নারীরা নিজেরাই jnim-এর শাসনে নিরাপত্তা ও সুবিচার খুঁজে পাচ্ছেন।
          ২০১৯ সালে মালি জুড়ে পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, নারীদের ইসলামপন্থী সংগঠনগুলোকে সমর্থনের প্রধান কারণ, শারীরিক সুরক্ষা। যৌন সহিংসতা যেখানে সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, সেখানে jnim কঠোর শাস্তির মাধ্যমে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
          .
          মপ্তির এক নারী জনপ্রতিনিধি ২০২০ সালে জানান, ‘অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী, এমনকি সরকারি বাহিনী যেখানে যৌন নির্যাতন করতো, সেখানে জিহাদিরা নারীদের সুরক্ষা দেয়। তাদের কোনো সদস্য এই ধরনের অপরাধ করলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।’
          .
          জোরপূর্বক বিবাহের মতো সামাজিক কুপ্রথার বিরুদ্ধেও তারা দাঁড়াচ্ছে। এক নারী বর্ণনা করেন, ‘যদি কোনো মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়, সে তখন তাদের কাছে আবেদন করতে পারে এবং তার সম্মতির অধিকার বজায় রাখতে পারে।’
          .
          ইসলামি শরিয়া নারীদের অধিকার সুরক্ষিত করেছে। jnim-এর আদালতগুলো সেই নীতি অনুসরণ করছে। পোশাক ও চলাফেরার কিছু বিধিনিষেধ থাকলেও, নারীরা মৌলিক নিরাপত্তা ও সম্মান পাচ্ছেন—যা রাষ্ট্রীয় শাসনে তাদের ছিল না।
          .
          সামরিক অভিযান কেন ব্যর্থ হচ্ছে?
          সাহেল অঞ্চল জুড়ে যে সামরিক অভ্যুত্থানগুলো হয়েছে, সেগুলোকে অনেকে আশার চোখে দেখেছিল। ভাবা হয়েছিল, নতুন সামরিক নেতৃত্ব হয়তো রাষ্ট্রব্যবস্থাকে উন্নত করবে। কিন্তু বাস্তবতা উল্টো। মালির সামরিক সরকারের ‘পোড়ামাটি নীতি’—অর্থাৎ, নির্বিচার গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া ও বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা কেবল জনগণের ক্ষোভ বাড়িয়েছে।
          .
          যখন কোনো শাসনব্যবস্থা জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তখন বিকল্প শক্তির উত্থান হয় স্বাভাবিক। jnim ২০১৭ সাল থেকে সাহেল অঞ্চলের প্রায় ৬৪% সশস্ত্র ঘটনার সঙ্গে জড়িত হলেও, তারা শুধু সামরিক শক্তিতে বিশ্বাস করে না। তাদের শক্তির রহস্য লুকিয়ে আছে স্থানীয় জন-সমর্থনে।
          .
          এজন্য তারা মহাসড়ক অবরোধ করতে পারছে, জ্বালানি ট্যাঙ্কারে আগুন দিচ্ছে বা ব্যাপকভাবে সামরিক অবকাঠামো দখল করছে। এসব কিছু তাদের জনগণের মধ্যে প্রোথিত থাকার উল্লেখযোগ্য প্রমাণ। যদিও পশ্চিমা বিশ্লেষকরা jnim-কে 'আফ্রিকার সবচেয়ে ভয়ংকর জিহাদি গোষ্ঠী' হিসেবে দেখেন, বাস্তবে সাহেলের সাধারণ জনগণের মধ্যে এই সংগঠনের প্রতি গভীর আস্থা রয়েছে।
          .
          বর্তমানে তারা রাজধানী বামাকো অবরোধ করেছে। তাদের এই পদক্ষেপ গোষ্ঠীটির শক্তিমত্তার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। এটি যেকোনো গেরিলা আন্দোলনের সর্বোচ্চ পর্যায়, যখন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ তাদের ভবিষ্যৎ সেই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত করে।
          .
          ইসলামি শাসনব্যবস্থার মূল ভিত্তি হলো ন্যায়বিচার (ইনসাফ), সামাজিক সাম্য এবং জনকল্যাণ। এই মানদণ্ডেই jnim পুরোমাত্রায় সফল। তারা সাহেল অঞ্চলের ঐতিহ্যগত সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস ভেঙে দিয়ে সাম্য ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেছে। এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে, তাদের সব পদক্ষেপ নিখুঁত বা সর্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না। কিন্তু যে জনগণ দশকের পর দশক ধরে অবহেলা, নিপীড়ন ও অবিচারের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য jnim শান্তির সুবাতাস নিয়ে এসেছে।
          .
          মালির পরিস্থিতি আমাদের শেখায় যে, কেবল বাহুবল দিয়ে কোনো জাতিকে দাবিয়ে রাখা যায় না। যদি রাষ্ট্র জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল না হয় এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না করে, তবে বিকল্প শক্তির উত্থান অনিবার্য হয়ে ওঠে। এবং যে শক্তি জনগণের প্রকৃত সমস্যার সমাধান দেয়, তাকে দমন করা যায় না—তা সে যত শক্তিশালী সেনাবাহিনী দিয়েই হোক না কেন।

          (ইউকে বেইজড দি কনভারসেশনের জো এডেতুনজির আর্টিকেল অবলম্বনে।)​

          ~~ফেসবুক থেকে সংগৃহীত~~
          বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

          Comment


          • #6
            সাহেল রিজিয়নের আলোচিত Jama'at Nusrat ul-Islam wal-Muslimin (JNIM) তাদের হাতে আরব আমিরাত সরকারকে ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধে বাধ্য করেছে!

            গত ২৫/০৯/২০২৫ সাল তারিখে মালির রাজধানী বামাকোর উপকন্ঠের একটি ফার্মে JNIM অপারেটিভদের দ্বারা পরিচালিত একটা স্ন্যাচ টিম হানা দেয়। যেখান থেকে তারা আরব আমিরাতের দু'জন ও ইরানের একজন নাগরিককে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি সংঘটিত হয়ে গেলে আমাদের পক্ষে অবগত হওয়া সম্ভব হয় যে, বন্দি হওয়া আমিরাতিদের মাঝে একজন হলেন দুবাইয়ের শেখ জুমা বিন দালমুক আল-মাকতুম। আরব আমিরাতের হয়ে ২০১২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অংশ নেওয়া শেখ জুমা আমিরাতের রাজকীয় পরিবারের সন্তান। তার কোম্পানি আফ্রিকার সাহেলের মাটিতে খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণের কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

            আফ্রিকা মহাদেশের মাঝে মালি থেকে মহাদেশটির অন্যতম শীর্ষ পরিমাণ স্বর্ণ রপ্তানি হয়ে থাকে। কিন্তু, রপ্তানির ওসব সোনা থেকে আসা কানাকড়ি পরিমাণ অর্থও শেষপর্যন্ত মালির সাধারণ জনতার চোখে দেখার সুযোগ মিলেনা। আর, সংযুক্ত আরব আমিরাত আলোচ্য স্বর্ণের প্রাথমিক গন্তব্যস্থল মর্মে বিবেচিত হয়। ২০২৩ সালে মালির ভূখণ্ড হতে আরব আমিরাতে ৪.৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ স্বর্ণ পাঠানো হয়েছিল। যা ছিল '২৩ সালে মালির উত্তোলিত সর্বমোট স্বর্ণের ০৪ ভাগের ০৩ ভাগ।

            শেখ জুমা বিন দালমুক আল-মাকতুম মালিতে আলোচ্য আমিরাতি স্বর্ণ বিষয়ক তৎপরতার একাংশের দায়িত্বে ছিলেন বলে অনুমান করা যায়। ফলে আলোচ্য সংগঠনটি তাকে নিজেদের লক্ষ্যবস্তু হিসাবে নির্ধারণ করে। প্রাথমিক পর্যায়ে JNIM এর পক্ষ হতে দুবাইকে শেখ জুমা ও তার সঙ্গীদের জীবনের বিনিময়ে নিম্নোক্ত শর্ত দেওয়া হয়েছিল।
            ০১| মালির সরকার তাদের বিনিময়ে ২৫ জন JNIM অপারেটিভকে মুক্তি দিবে।
            ০২| আরব আমিরাত সরকার JNIM এর নিকট ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুক্তিপণ হিসাবে হস্তান্তর করবে।
            ০৩| সশস্ত্র সংগঠনটির হাতে আরব আমিরাত সরকারকে রিপাবলিক অব শাঁদের পথ ধরে ২০ টন সামরিক সরঞ্জাম তুলে দিতে হবে।

            তবে মালির পার্লামেন্ট মেম্বার ও তুঁয়ারেগ জাতির সদস্য আহমাদ আজি বিবি মধ্যস্থতা শুরু করার পর তারা পরবর্তীতে শুধুমাত্র ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও নিজেদের ২৫ জন সহযোদ্ধার মালির কারাগার হতে মুক্তির বিনিময়ে ০৩ জনকে ছেড়ে দিতে সম্মত হয়ে যায়। ইতিপূর্বে আলোচ্য আহমাদ আজি বিবি JNIM ও ফ্রেঞ্চ সরকারের মাঝে আলোচিত ফ্রেঞ্চ বন্দিনী সোঁফি পেত্রোঁনিনের মুক্তির বিষয়েও মধ্যস্থতা পরিচালনা করেছিলেন।

            ২০২০ সালে সোঁফি পেত্রোঁনিন মুক্তি পাওয়ার পর ফ্রান্সের মাটিতে ফিরে আসেন ও ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ঘোষণা দেন! মিডিয়ার সামনে তখন তিনি নিজেকে পরিচয় করান মারইয়াম পেত্রোঁনিন হিসাবে। মালি থেকে উড্ডয়ন করে তাঁকে বহনকারী বিমান যখন প্যারিসের বিমানবন্দরে অবতরণ করে, কেবলমাত্র তখনই Emmanuel Macron ও ফ্রেঞ্চ সরকার উদ্ভূত নতুন পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হতে সমর্থ হয়েছিল। ফ্রান্সের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেদিন ফ্রেঞ্চ রাষ্ট্রপতি অবস্থা দেখে জাতির সামনে তার যে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল, তা বাতিল করে তড়িৎ গতিতে বিমানবন্দর থেকে সরে পড়েছিলেন।

            বর্তমানে আরব আমিরাতের পরিশোধিত ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আফ্রিকার আলোচ্য সংগঠনটির যুদ্ধ ও শাসন পরিচালনার সক্ষমতাকে আরো শক্তিশালী করে তুলবে বলে মনে করা যাচ্ছে। পাশাপাশি, অনেকে ধারণা করছেন যে, আরব আমিরাত এরকম অপমানিত হওয়াকে পছন্দ করবে না। ফলে, দুবাই থেকে আফ্রিকায় সংগঠনটির অগ্রযাত্রাকে থামাবার জন্য এখন সরাসরি আমিরাতের নানান মাধ্যমে জড়িয়ে পড়ার শক্তিশালী সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।​

            ~~ফেসবুক থেকে সংগৃহীত~~
            বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

            Comment


            • #7
              আলহামদুলিল্লাহ,,, আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ। মালির মুজাহিদ ভাইদের সাইটের লিংক দেওয়া যাবে!????

              Comment


              • #8
                পাশাপাশি, অনেকে ধারণা করছেন যে, আরব আমিরাত এরকম অপমানিত হওয়াকে পছন্দ করবে না। ফলে, দুবাই থেকে আফ্রিকায় সংগঠনটির অগ্রযাত্রাকে থামাবার জন্য এখন সরাসরি আমিরাতের নানান মাধ্যমে জড়িয়ে পড়ার শক্তিশালী সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।​

                আসুক ওরা! ভয় কিসের!!
                আমাদের মুজাহিদীন ভাইয়েরা হলো আগুন! আর ওরা হচ্ছে উইপোঁকা! যাদের পাখা বড় হচ্ছে আসুক ! আমরা আমাদের আগুন প্রজ্জলিত করছি!



                Comment

                Working...
                X