মুজাহিদীন নিউজ || ২৩ জুমাদাল উলা, ১৪৪৭ হিজরি|| ১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

[Al-Firdaws]

সোমালিয়ায় দখলদার উগান্ডান বাহিনীর ২টি ঘাঁটিতে শাবাব মুজাহিদদের তীব্র আক্রমণ

সোমালিয়ার নিম্ন শাবেলি রাজ্যে দখলদার উগান্ডান বাহিনীর ২টি সেনা ঘাঁটিতে ভারী আক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিনের পরিচালিত এই অভিযানগুলোর ফলে দখলদার বাহিনীতে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

আঞ্চলিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ নভেম্বর বুধবার রাতে, হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিনরা নিম্ন শাবেলি রাজ্যে পরপর দখলদার উগান্ডান বাহিনীর ২টি ঘাঁটিতে তীব্র আক্রমণ চালিয়েছেন। মুজাহিদিনরা একটি অভিযান পরিচালনা করেন রাজ্যের কোরিওলি জেলায় অবস্থিত দখলদার বাহিনীর সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে। মুজাহিদিনরা রাতে দ্বিতীয় অভিযানটি পরিচালনা করেন জান্নালে জেলায় অবস্থিত আরও একটি উগান্ডান সেনা ঘাঁটিতে।

উভয় ঘাঁটিতে মুজাহিদিনরা দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র লড়াইয়ে লিপ্ত হন এবং কয়েক ঘন্টা ধরে আক্রমণ অব্যাহত রাখেন। ফলশ্রুতিতে বহু সংখ্যক দখলদার সৈন্য হতাহতের শিকার হয় এবং ঘাঁটির অনেকাংশ ধ্বসে পড়ে। সেই সাথে ঘাঁটিতে থাকা প্রচুর সংখ্যক সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস এবং পুড়ে যায়।

উগান্ডান বাহিনীর উপর এই হামলাগুলি এমন এক সময়ে ঘটছে, যখন আশ-শাবাব মুজাহিদিনরা সোমালিয়ায় আগ্রাসী বিদেশী বাহিনী এবং তাদের দ্বারা সমর্থিত মোগাদিশু বাহিনীর উপর একের পর এক মারাত্মক সব আঘাত হানেছেন।

---

তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/4hkv5tpn

[Al-Firdaws]

সোমালিয়া || জুবাল্যান্ড বাহিনীর বিরুদ্ধে আশ-শাবাবের গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ও সফল মর্টার হামলা

দক্ষিণ সোমালিয়ার কিসমায়ো শহরের উপকণ্ঠে জুবাল্যান্ড প্রশাসনের সাথে যুক্ত সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ১টি গাড়ি বোমা হামলা এবং ১টি সফল মর্টার বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিনরা। এতে শত্রু বাহিনীতে ব্যাপক সংখ্যক সদস্য হতাহতের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে।

আল-ফুরকান রেডিওর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিনরা গত ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, জুবা রাজ্যের কিসমায়ো শহরের উপকণ্ঠে ২টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করেছেন। এরমধ্যে একটি অভিযান চালানো হয়েছে শহরের বার-সাঙ্গুনি এলাকার কাছে জুবাল্যান্ড প্রশাসনের সাথে যুক্ত সেনাবাহিনীর একটি পদাতিক দলকে টার্গেট করে। মুজাহিদিনরা টহলরত সেনাবাহিনীর উক্ত দলটিকে টার্গেট করে একটি সফল মর্টার বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। এতে জুবাল্যান্ড বাহিনীর ৩ সৈন্য নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন ইউনিট কমান্ডার এবং ফিয়াদ কারাগারে কর্মরত একজন কুখ্যাত কর্মকর্তাও ছিলো, এই সৈন্যরা মুসলিমদের প্রতি কঠোর আচরণের জন্য কুখ্যাত ছিলো। মর্টার বোমা বিস্ফোরণে ৩ সৈন্য নিহত হওয়া ছাড়াও আরও ৭ শত্রু সৈন্য আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার একই এলাকায় আরও একটি সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন মুজাহিদিনরা। অভিযানটি জুবাল্যান্ড বাহিনীর একটি কনভয় লক্ষ্য করে শক্তিশালী গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে চালানো হয়েছে, যা বিকট শব্দে কনভয়টির মাঝে বিস্ফোরিত হয়। এতে শত্রু সামরিক কনভয়ে থাকা কয়েকটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেই সাথে অনির্দিষ্ট সংখ্যক শত্রু সৈন্য হতাহতের শিকার হয়।

---

তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/55fetbdp

[Al-Firdaws]

ইমারতে ইসলামিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাসাদ প্রাঙ্গণে নবনির্মিত হযরত হাসান বাসরি (রহিমাহুল্লাহ) গ্র্যান্ড মসজিদ উদ্বোধন

১৪ নভেম্বর শুক্রবার ইমারতে ইসলামিয়ার এআরজি-প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাসাদ প্রাঙ্গণে নবনির্মিত হযরত হাসান বাসরি (রহিমাহুল্লাহ) গ্র্যান্ড মসজিদ উদ্বোধন করেছেন ইমারতে ইসলামিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মদ হাসান আখুন্দ হাফিযাহুল্লাহ। একই দিনে তিনি উক্ত মসজিদে জুমা’র সালাতও আদায় করেছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইমারতে ইসলামিয়ার বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, কর্মকর্তাবৃন্দ, আলেম-ওলামা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এই সময় দেশ, জনগণ ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করা হয়েছে।

দ্বিতল বিশিষ্ট এই মসজিদে ১ হাজার মুসল্লি একসাথে নামাজ পড়তে পারবেন। এতে ১টি প্রধান গম্বুজ ও ৪টি মিনার রয়েছে। মসজিদে লাইব্রেরি ও ইলম চর্চার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এতে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, সাউন্ড সিস্টেম, তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মূল মসজিদ ভবনটি ৬২৭ বর্গমিটার ভূমির উপর নির্মিত হয়েছে, এছাড়া মসজিদ প্রাঙ্গণের জমির পরিমাণ ১০৬০ বর্গমিটার।

আফগান প্রকৌশলী ও পেশাদার শ্রমিকদের অংশগ্রহণে মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। নির্মাণ কাজে হেরাত ও হেলমান্দ প্রদেশের মার্বেল, ময়দান ওয়ার্দাক প্রদেশের মূল্যবান পাথর এবং কুনার ও নূরিস্তান প্রদেশের মূল্যবান কাঠ ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়া দেশে সহজলভ্য নির্মাণ উপকরণ দ্বারা ভবনটি নির্মিত হয়েছে।

মসজিদটি ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের স্থাপত্য শৈলীর একটি অনবদ্য কীর্তি। জাতীয় ঐক্য ও ইসলামী ঐতিহ্য সংরক্ষণের প্রতীক হিসেবে এটি দাঁড়িয়ে আছে। এটি আফগানিস্তানের নিজস্ব দক্ষতা ও সম্পদ দ্বারা বাস্তবায়িত হয়েছে, যা ইমারতে ইসলামিয়ার স্বনির্ভরতা অর্জনের পথে উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

---

তথ্যসূত্র:
1. https://tinyurl.com/337vncbk

[Al-Firdaws]

স্থানীয়দের সমস্যা লাঘবে আফগানিস্তানে হেলমান্দের কাজাকি জেলায় সেচনালা ও গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ চলমান

১৫ নভেম্বর শনিবার আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশের কাজাকি জেলায় ২টি উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন ইমারতে ইসলামিয়ার গ্রামীণ পুনর্বাসন ও উন্নয়ন বিভাগের আওতাধীন কারিগরি ও প্রকৌশল টিম।

প্রকল্পসমূহ হল ৮ কিলোমিটার সেচনালা এবং ৩ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ কাজ।

চলমান এই প্রকল্পগুলোতে অসংখ্য ব্যক্তির কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের পরিবেশগত ও স্থানীয়দের মোকবেলা করা অন্যান্য সমস্যা সমাধান হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

---

তথ্যসূত্র:
1. https://tinyurl.com/3wp2dc42

[Al-Firdaws]

আফগানিস্তানের খনি খাতে বিনিয়োগে নতুন সম্ভাবনা

ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের ঘোর, বামিয়ান, ফারাহ, গজনিসহ বিভিন্ন প্রদেশে বিপুল পরিমান সীসা ও দস্তার খনি রয়েছে। ইমারতে ইসলামিয়ার খনিজ ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এসব খনি উন্নয়নে ইতোমধ্যেই দেশীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে একাধিক চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুমায়ুন আফগান হাফিজাহুল্লাহ জানান, শুধু ঘোর প্রদেশেই চারটি বড় খনি রয়েছে, এবং প্রতিটি খনিতে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ ইতোমধ্যেই হয়েছে অথবা শিগগিরই করার পরিকল্পনা রয়েছে।

দেশীয় কোম্পানির পাশাপাশি ইরান ও তুরস্কের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও আফগানিস্তানের সীসা ও দস্তা খনিতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ক্ষত্রে মন্ত্রণালয়ের শর্ত হচ্ছে, সব ধরনের খনিজ প্রক্রিয়াকরণ অবশ্যই আফগানিস্তানের ভেতরেই করতে হবে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আফগানিস্তানের খনি খাতে বিনিয়োগ ও স্থানীয় প্রক্রিয়াকরণ শুধু কর্মসংস্থানের সুযোগই বাড়াবে না, বরং দীর্ঘমেয়াদে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথও প্রশস্ত করবে।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষক আব্দুল জুহুর মুদাবির বলেন, “দেশের ভেতরেই প্রক্রিয়াকরণ হলে কর্মসংস্থান বাড়ে এবং প্রতিযোগিতামূলক দামে চূড়ান্ত পণ্য রপ্তানি সম্ভব হয়। আমাদের কাঁচামাল রপ্তানি এড়িয়ে চলাই উচিত।”

ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে বহু দেশ আফগানিস্তানের খনি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ জানিয়েছে। এর মধ্যে চীন, ইরান, তুরস্ক ও উজবেকিস্তান ইতোমধ্যেই বিনিয়োগ শুরু করেছে।

---

তথ্যসূত্র:
1. Lead, Zinc Reserves in Afghanistan Attract Growing Investment
– https://tinyurl.com/56ktv32a

[khaled Musanna]

হে আল্লাহ! বিশ্বের সকল মুজাহিদীনকে ভরপুর গায়েবি নুসরাত করুন, আমীন।