Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ || ২১ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৭ হিজরি|| ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ || ২১ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৭ হিজরি|| ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

    আট মাসে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ ৩৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার



    ​আফগানিস্তান ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির কথা জানিয়েছে ইমারাতে ইসলামিয়ার শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি সৌর বছরের প্রথম আট মাসে দুই দেশের মোট বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল মাত্র ১৭৪ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ মাত্র এক বছরে বাণিজ্য বেড়েছে ১৯২ মিলিয়ন ডলার।

    শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আখুন্দজাদা আব্দুস সালাম জাওয়াদ হাফিযাহুল্লাহ জানান, রাশিয়ায় আফগানিস্তানের প্রধান রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে কিশমিশ, খনিজ পদার্থ, এপ্রিকট (খুবানি), তুলা এবং স্টিম ব্রয়লার। অন্যদিকে রাশিয়া থেকে আফগানিস্তান আমদানি করছে প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোল, কাঠ, সূর্যমুখী তেল, কারখানার কাঁচামাল, গম এবং ডিজেল।

    অর্থনীতিবিদদের মতে, কাবুল-মস্কোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে জ্বালানি, কৃষি ও শিল্প খাতে যৌথ বিনিয়োগের পথ খুলে দিতে পারে, যা আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

    চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের সাবেক বোর্ড সদস্য খানজান আলোকজাই বলেন, “আমরা রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি কাঠ আমদানি করি। তাই পরিবহন, লজিস্টিকস এবং ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা জরুরি। ব্যবসায়িক ভিসা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক উদ্যোগ নিলে এই বাণিজ্যের পরিমাণ ১ থেকে ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে।”

    এদিকে অর্থনৈতিক বিশ্লেষক আবদুল নাসির রাশতিয়া বলেন,
    “রাশিয়া এই অঞ্চলের একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক শক্তি। এমন দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা আফগানিস্তানের জন্য লাভজনক, কারণ রুশ বাজার আফগান রপ্তানির অন্যতম সম্ভাবনাময় গন্তব্য।”

    উল্লেখ্য, রাশিয়া বিশ্বে খাদ্যশস্য, তেল-গ্যাস, ধাতু ও শিল্পের কাঁচামালের অন্যতম বৃহৎ উৎপাদক দেশ। এই বাজারে প্রবেশাধিকার আফগানিস্তানকে স্থিতিশীল ও সুলভ মূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহে সহায়তা করতে পারে।

    তথ্যসূত্র:
    1. Afghanistan-Russia Trade Reaches $366M, Up by Nearly 200M
    https://tinyurl.com/4dt784ez
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    জনগণের সঙ্গে জোর নয়, ভালোবাসাই রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভিত্তি



    ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খলিফা সিরাজুদ্দিন হাক্কানি হাফিযাহুল্লাহ বলেছেন, যে সরকার জোর-জবরদস্তি ও ভয় দেখিয়ে জনগণকে শাসন করে, সেটি কখনোই ভালো সরকার হতে পারে না।

    শুক্রবার আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশের প্রধান মসজিদে জুমার নামাজের আগে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। হাক্কানি হাফিযাহুল্লাহ বলেন, “যে সরকার জনগণের সমর্থন ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে ক্ষমতায় আসে, কিন্তু পরে জনগণকে ভয়-ভীতি দেখায়, সেটি আসলে কোন সরকারই নয়। জনগণকে তাদের সরকারকে ভালোবাসতে হবে এবং সরকারকেও জনগণের প্রতি সদয় ও দয়ালু হতে হবে।”

    তিনি আরও বলেন, গত ৫০ বছরে আফগান জাতি স্বাধীনতার লড়াই এবং হক-বাতিলের সংগ্রামে সীমাহীন কষ্ট ভোগ করেছে। এসব সংঘাতের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হয়েছে সাধারণ আফগান জনগণ।
    “আফগানরা যে পরিমাণ কষ্ট সহ্য করেছে, তার মূল কারণ তাদের সাহসী অবস্থান। তারা কখনো দাসত্ব মেনে নেয়নি”।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাতীয় ঐক্যের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের জনগণের সঙ্গে ন্যায়সঙ্গত ও সহানুভূতিশীল আচরণ করার আহ্বান জানান।

    তথ্যসূত্র:
    1. Haqqani: A Government That Rules by Fear Is No Government at All
    https://tinyurl.com/m6r3ubs7
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আফগান শরণার্থীরা কোনোভাবেই স্বাগতিক দেশগুলোর জন্য বোঝা নয়



      ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন মন্ত্রী মৌলভী আবদুল কবির হাফিযাহুল্লাহ বলেছেন, আফগান শরণার্থীরা কোনোভাবেই স্বাগতিক দেশগুলোর জন্য বোঝা নয়; বরং তারা সেসব দেশের অর্থনীতিতে বাস্তব ও ইতিবাচক অবদান রেখে আসছেন।

      পাকতিয়া প্রদেশের একটি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আয়োজিত সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, অতীতে স্বাগতিক দেশগুলো আফগান শরণার্থীদের যে সহায়তা দিয়েছে, তা মূলত নিজেদের স্বার্থেই দিয়েছে।

      মন্ত্রী বলেন, “আফগানরা নিজেদের জীবিকা নিজেরাই নির্বাহ করে। তাদের কারখানা আছে, দোকান আছে। পৃথিবীর কোনো দেশই বলতে পারে না যে আফগানরা তাদের জন্য বোঝা। আফগানরা কি কারও দরজায় দরজায় ঘুরে সাহায্য চেয়েছে? তারা কি চুরি-ডাকাতিতে জড়িয়েছে? বরং স্বাগতিক দেশগুলো আফগানদের কাছ থেকে কর আদায় করেছে এবং সেই রাজস্ব নিজেদের অর্থনীতি উন্নয়নে ব্যবহার করেছে।”

      তিনি বিদেশে অবস্থানরত আফগান অভিবাসীদের দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশে ফিরে তারা যেন স্বাধীনভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করেন।

      মৌলভী আবদুল কবির বলেন, “বিদেশে যারা মর্যাদাহীন জীবনযাপন করছেন, তাদের প্রতি আমাদের আহ্বান—স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে আসুন এবং আফগানিস্তানে বিনিয়োগ করুন। অনাবাদি জমিতে ফসল ফলান, কৃষি খাত সম্প্রসারণ করুন, মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করুন এবং গমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে ভূমিকা রাখুন।”

      তাঁর এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন প্রতিবেশী কয়েকটি দেশ আফগান অভিবাসীদের ফিরে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের স্বাগতিক সমাজের জন্য বোঝা হিসেবে উপস্থাপন করছে।

      তথ্যসূত্র:
      1. Afghan refugees are not a burden on host countries, says minister
      https://tinyurl.com/432y2fbu
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        পাঞ্জশিরে দুই বছরে ২০ হাজারের বেশি তরুণের কর্মসংস্থান



        ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের পাঞ্জশির প্রদেশে গত দুই বছরে সরকারি ও নিরাপত্তা খাতে প্রায় ২০ হাজার তরুণ কর্মসংস্থানের সুযোগ লাভ করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রদেশটির মিডিয়া অফিস। কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

        মিডিয়া অফিসের বিবৃতিতে জানানো হয়, পাঞ্জশিরের তরুণরা ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী, জাতীয় পুলিশ, বিভিন্ন বেসামরিক দপ্তর এবং দ্রুত বিকাশমান খনি খাতে এসব চাকুরীর সুযোগ লাভ করেছেন।

        মিডিয়া অফিসের তথ্যমতে, চলতি বছরেই এক হাজারের বেশি তরুণ জাতীয় পুলিশে এবং আরও ৬০০ জন তরুণ ইমারাতে ইসলামিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন। এছাড়া পাঞ্জশির প্রদেশের গভর্নর মোহাম্মদ আগা হাকিমের প্রচেষ্টায় এক হাজারেরও বেশি তরুণ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন বেসামরিক বিভাগে চাকরি পেয়েছেন।

        এদিকে ইমারাতে ইসলামিয়ার নির্দেশে খনি উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রম সম্প্রসারণের ফলে পাঞ্জশিরের খনি খাত এখন বড় ধরনের কর্মসংস্থানের উৎসে পরিণত হয়েছে। মূল্যবান পাথর উত্তোলন ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কাজে প্রায় ১৫ হাজার তরুণকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

        সরকারি তথ্যে আরও জানানো হয়েছে, প্রদেশজুড়ে নির্মাণ ও উন্নয়ন প্রকল্পেও হাজার হাজার তরুণ কাজ করছেন।

        পাঞ্জশিরের বাসিন্দারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, ইমারাতে ইসলামিয়া প্রদেশটির প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে। এতে বহু তরুণ এখন নিরাপত্তা ও বেসামরিক খাতে চাকুরীর সুযোগ লাভ করেছেন এবং জনগণ ও সরকারের মধ্যে আস্থা আরও দৃঢ় হয়েছে। ইমারাতে ইসলামিয়ার এই অভিযান পাঞ্জশিরের যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

        তথ্যসূত্র:
        1. Panjshir authorities report major youth recruitment drive over two years
        https://tinyurl.com/aef77vcx
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X