মুজাহিদিন নিউজ # ১৭ই জিলহজ্ব ১৪৪২ হিজরি| ২৮শে জুলাই, ২০২১ ঈসায়ী|

[Al-Firdaws News]

খোরাসান | বন্দর থেকে ৩৪ মিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয় করছে তালিবান

আফগানিস্তানের বন্দরগুলো থেকে গত মাসে তালিবানরা ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব আয় করেছে।

কাবুল প্রশাসনের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের জানবাজ তালিবান মুজাহিদিনরা গত এক মাসে আফগানিস্তানের বন্দরগুলো থেকে ২.৭ বিলিয়ন আফগানি বা ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের রাজস্ব আয় করেছে।

পশ্চিমা দোসর কাবুল প্রশাসনকে হটিয়ে তালেবান বীর মুজাহিদরা হেরাত প্রদেশের ইসলাম কালা, ফারাহ প্রদেশের আবু নাসের ফারাহি, কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোলদাক, তাখার প্রদেশের আই খানুম, পাকতিয়া প্রদেশের দান্দ পাটান ও কুন্দুজ প্রদেশের শিরখান সহ আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরীগুলো নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়েছেন। যার থেকে প্রতিদিন তালিবানরা মিলিয়ন মিলিয়ন মার্কিন ডলারের রাজস্ব আয় করছেন।

আফগান অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী শহরগুলোর সাতটি বন্দরে কাবুল প্রশাসনের বর্তমানে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের গডফাদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার মধ্যেই তালিবানরা আফগানিস্তানের দুইশেরও অধিক জেলা বিজয় লাভ করছেন। এ ছাড়াও মুজাহিদিনরা আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দরগুলো ও জেলাসমূহে উন্নয়ন কাজ শুরু করেছেন।

আফগানিস্তানের বিভিন্ন জেলা শত্রু মুক্তকরণ অভিযানের পাশাপাশি তালেবানরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা নিরসনে কূটনৈতিক তৎপরতাও চালিয়ে যাচ্ছেন।

[Al-Firdaws News]

খোরাসান | কান্দাহার থেকে ৬৪৫ সরকারী সেনার তালেবানে যোগদান

আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোলদাক জেলা থেকে গত দুই সপ্তাহে ৬৪৫ কাবুল সরকারী সেনা ও পুলিশ সদস্য তালিবানে যোগ দিয়েছে।

তালেবান মুখপাত্র ক্বারী ইউসুফ আহমদী হাফিজাহুল্লাহ্ বলেছেন, স্পিন বোলদাকে কাবুল সরকারের সামরিক বাহিনী তালিবানদের বিরোধীতা ত্যাগ করেছে, তারা তালিবানে যোগদানের জন্য আমিরুল মু’মিনিন শাইখ হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (হাফিজাহুল্লাহ্)র “সাধারণ ক্ষমা” ডিক্রি ব্যবহার করেছিল, যা বেসামরিক জীবন যাপনের নিশ্চিয়তা ও নিরাপত্তা দেয়।

একটি টুইট বার্তায় আহমদী হাফিজাহুল্লাহ বলেছেন: এখন পর্যন্ত ভাড়াটে বাহিনী থেকে ৬৪৫ কর্মচারী ইমারতে ইমলামিয়ার মুজাহিদিনের সাথে যোগদান করেছেন।

তালিবান মুজাহিদরা গত দু’সপ্তাহ ধরে স্পিন বোলদাক জেলা কেন্দ্র এবং বিশ বান্দারী বাজার নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন এবং তারপর থেকে সরকারী বাহিনী জেলাটিকে পুনরুদ্ধারে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে তালিবানরা প্রতিবারই তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন।

অপরদিকে স্পিন বোলদাক জেলাটি তালিবানদের দখলে আসার পর থেকে কাবুল সরকারের সমর্থক বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম সংস্থা এবং সরকারী কর্মকর্তারা সেখানে গণহত্যার দাবি করেছে। তবে তালিবানরা এসব দাবিকে নাকচ করে দিয়েছেন এবং গতকাল সাংবাদিকদেরকে বোলদাকের ঘটনাগুলি ঘনিষ্ঠভাবে দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, কিন্তু কাবুল সরকারী কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের যাতায়াত করতে দেয়নি।

উল্লেখ্য, স্পিন বোলদাক জেলাটি পাকিস্তানের সীমান্ত বর্ডারে অবস্থিত। এ বর্ডার দিয়ে সরাসরি পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে প্রবেশ করা যায়।

[Al-Firdaws News]

মালিতে ত্রাস ও অপরাধ দমনে চলছে আল-কায়েদার বিশেষ অভিযান

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির কিদাল অঞ্চলে চোর, ডাকাত ও বিভিন্ন অপরাধের সাথে সম্পৃক্তদের সমূলে দমন করার জন্য বিশেষ অভিযান চালানোর পদক্ষেপ নিয়েছেন আল-কায়েদা শাখা জামায়াত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন (JNIM) এর মুজাহিদিনগণ।

কিদাল ও আশেপাশের অঞ্চলে বসবসকারী জনগণকে এই ব্যাপারে একটি বিবৃতি দিয়েও অবগত করেছেন তাঁরা। এটি প্রকাশের দুই দিন আগেও মোপ্তি রাজ্যের কোনতি-মারকা এলাকায় JNIM এর হামলায় ২ দোনযো গোত্রের সন্ত্রাসী নিহত ও আরো ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে। উক্ত বিবৃতিতে কুরআনুল কারীম এর সূরা আল-মাইদাহ এর ৩৩ নং আয়াতের উদ্বৃতি দিয়ে বলা হয়,

“কিদাল ও এর নিকটবর্তী অঞ্চলসমূহে বসবাসরত আমাদের জনসাধারণের রক্ত, সম্পদ ও ইজ্জতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অভিপ্রায়ে “জামায়াত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন” অপরাধী, ডাকাত এবং চোরদের দমনে সশস্ত্র অভিযান শুরু করেছে। এসব অপরাধীরা এলাকার শান্তি বিনষ্ট করছে এবং জনসাধারণের মনে ত্রাস সঞ্চার করছে।

আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লার রহমত ও নুসরাতের ফলে এই বরকতময় অভিযানে ইতোমধ্যে ‘আকমাস আক কালকালি’ নামে এক মুজরিম (অপরাধী) নিহত হয়েছে এবং তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত মুজরিম খুন, চৌর্যবৃত্তি ও দুর্নীতির অপরাধে অভিযুক্ত ছিল।

এই অভিযান পুরো অঞ্চলের বাসিন্দাদের মনে নিরাপত্তা ও শান্তি বিরাজমান না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে। আমরা সকলকে আহবান করছি আমাদের এই অভিযানে সহায়তা করতে। একইসাথে যেকোনো প্রকার অপরাধের সাথে জড়িত সকলকে আহবান করছি খালিস অন্তরে তাওবা করে আল্লাহর পথে ফিরে আসতে এবং যুলুম ও সীমালঙ্ঘন না করতে। অবশ্যই যেকোনো যুলুম ও অবিচার হাশরের দিবসে খারাপ পরিণতি ডেকে আনবে।

অপরাধের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রতি আমাদের আহবান থাকবে- মুজাহিদিন অথবা স্থানীয় বিচারকদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে, অন্যথায় আমরা বাধ্য হব তাদের পাকড়াও করে হত্যা করতে।”

[Al-Firdaws News]

খোরাসান | নূরস্তানের বার্গামতল জেলা এখন তালিবানের নিয়ন্ত্রণে

আফগানিস্তানের নূরস্তান প্রদেশের বার্গামতল জেলা এবং এর সাথে সম্পর্কিত সরকারী সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থান নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন তালিবান মুজাহিদিন।

তালিবানের কেন্দ্রীয় একজন মুখপাত্র- মুহতারাম জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ (হাফিজাহুল্লাহ্) তাঁর টুইটারে লিখেছেন যে, (২৭ জুলাই) সকালে নুরিস্তান প্রদেশের বার্গামতল জেলা সদর, পুলিশ সদর দফতর এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগত গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন তালিবান মুজাহিদিন।

তিনি আরও জানান, তালিবানরা জেলা কেন্দ্রে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ গনিমত লাভ করেছেন।

বার্গামতল পতনের বিষয়ে কাবুল সরকার এখনও কোনও মন্তব্য করেনি, তবে গত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে তালিবানদের অবরোধকৃত জেলা তালিকায় ছিল বার্গামতল।