Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ# | ১৯শে মহররম, ১৪৪৩ হিজরি | ২৯শে আগস্ট, ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ# | ১৯শে মহররম, ১৪৪৩ হিজরি | ২৯শে আগস্ট, ২০২১ ঈসায়ী |

    পাকিস্তান | একদিনে পাক-তালিবানের ৪ হামলা, হতাহত ১৪ এরও বেশি মুরতাদ সেনা

    পাকিস্তানের জনপ্রিয় জিহাদী গ্রুপ তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মুখপাত্র মুহাম্মদ খোরাসানি আজ উত্তর ওয়াজিরিস্তান, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান এবং বাজোর এজেন্সিতে মুরতাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে পর পর চারটি হামলা চালানোর সুসংবাদ দিয়েছেন।

    মোহাম্মদ খোরাসানীর (হাঃ) প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আজ ২৯ আগস্ট রবিবার তেহরিক-ই-তালিবানের জানবায মুজাহিদগণ, পাকিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের লাদা সীমান্তে দেশটির মুরতাদ সেনাদের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে সফল বোমা বিস্ফোরণ ঘটান, যাতে মুরতাদ সেনাদের গাড়িটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায় এবং গাড়িতে থাকা সমস্ত মুরতাদ সেনা হতাহত হয়।

    স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে, এতে ৩ মুরতাদ এফসি সদস্য নিহত এবং আরও ৩ সদস্য আহত হয়েছে।

    একই অঞ্চলের শাওয়াল এলাকায় মুরতাদ বাহিনীর অপর একটি পদাতিক বাহিনীকে টার্গেট করে সফল বোমা হামলা চালান টিটিপির মুজাহিদগণ, যাতে ২ সেনা নিহত এবং অপর ১ সেনা সদস্য আহত হয়েছে।

    অপরদিকে বাজৌর এজেন্সির চারমাং সীমান্তে স্নাইপার দ্বারা আরও এক মুরতাদ সদস্যকে টার্গেট করে ফায়ার করেন টিটিপির স্নাইপার শুটার মুজাহিদ। এতে আরও ১ মুরতাদ সৈন্য নিহত হয়।

    অন্যদিকে, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের স্পিন-ওয়াম সীমান্তের শাশি-খাইল এলাকায় পাকিস্তানি মুরতাদ সেনারা মুজাহিদদের একটি অবস্থানে অভিযান চালায়। যেখানে মুরতাদ সেনারা মুজাহিদদের পাল্টা তীব্র জবাবী হামলার শিকার হয়। ফলে মুজাহিদদের গুলিতে মুরতাদ বাহিনীর ৪ সেনা সদস্য নিহত হয়।

    টিটিপির মুখপাত্র জানান, অভিযানের সময় একজন মুজাহিদও শাহাদাত বরণ করেছেন।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ক্ষমতায় আসার পর দ্বিতীয়বারের মত আফিম চাষ নিষিদ্ধ করতে শুরু করেছে তালিবান

    দ্বিতীয়বারের মত আফগানিস্তানের শাসনভার গ্রহণ করেছে তালিবান।ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবারের মত এবারো তাঁরা পোস্ত চাষ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করতে শুরু করেছে, যেমনটি তাঁরা ১৯৯৯ সালে করেছিল।

    স্থানীয় সূত্রগুলো জানায় ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের তালিবান মুজাহিদিন রাজধানী কাবুল বিজয়ের পর ইতিমধ্যে তারা দেশের শাসনভার গ্রহণ করেছেন। ক্ষমতায় আসা পরই তালিবানরা আফিমের কাঁচামাল পোস্ত নিষিদ্ধ করতে শুরু করেছে।

    আফিমের কাঁচামাল পোস্ত বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন পশুর খাদ্য, তেল এবং ওষুধ শিল্পে ব্যবহার করা হয়। তাই যেসব ক্ষেত্রে আফিম পোস্ত ছাড়া ওষুধ উৎপাদন করা সম্ভব, ইতিমধ্যে সেসব ওষুধ উৎপাদনে অফিম ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে তালিবান। ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ অফিম চাষ নিষিদ্ধ করতেও কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন তাঁরা। কেননা ওষধের জন্য আফিম চাষ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা না হলে কুচক্রী মহলের কারণে আফিম থেকে হেরোইন উৎপাদন সম্পূর্ণরূপে রোধ করা সম্ভব হবে না।

    এই কারণে বলা হয়েছে যে, তালিবানরা আফগানিস্তানে সম্পূর্ণরূপে আফিম পোস্তের চাষ ও ব্যবসা নিষিদ্ধ করতে শুরু করেছে।

    আঞ্চলিক সূত্র বলছে যে, তালিবানদের এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার কারণে সেখানে পোস্তের দাম ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তালিবানদের এই নিষিদ্ধকরণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলেও জানা গেছে।

    ইমারতে ইসলামিয়ার তালিবান মুজাহিদগণ ১৯৯৪ সালে যখন রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিসেবে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসেন, তখন তাঁরা প্রথমে মাদক নিষিদ্ধ করেন, কিন্তু তারা অফিম/পোস্ত চাষে বিধিনিষেধ আরোপ করলেও তখন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে কিছু সময় নেন। কেননা এটি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজেও ব্যবহৃত হত। যাইহোক, তালিবানদের বিধিনিষেধ সত্ত্বেও, অবৈধভাবে পোস্তকে হেরোইনে রূপান্তর করে কিছু কুচক্রী মহল, ফলে ১৯৯৯ সালে আফগানিস্তানে পুরোপুরি আফিম চাষে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তালিবান সরকার।

    ইমারতে ইসলামিয়ার এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০০০ সালে আফগানিস্তান থেকে হেরোইন উৎপাদন ৯৭% হ্রাস পেয়েছিল।

    অপরদিকে আফগানিস্তানের উত্তর -পূর্বাঞ্চলে তালিবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত প্রভাবশালী উত্তর জোট তাদের অঞ্চলে হেরোইন চাষ জারি রাখে, যা তাদের অর্থায়নের জন্য ব্যবহৃত হত। ফলে হেরোইন উৎপাদনের এই হার শতভাগে পৌঁছায়নি।

    যাইহোক তালিবানদের মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই বিশ্বব্যাপী তখন প্রশংসা পেয়েছে। ২০০০ সালে, জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসনকে মাদকের বিরুদ্ধে কার্যকর লড়াইয়ের জন্য তখন ধন্যবাদও জানায়। কিন্তু ক্রুসেডের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখানে অভিযান শুরু করলে পূণরায় এসব নিষিদ্ধ বস্তু চাষাবাদ বৃদ্ধি পায়, কেননা আমেরিকা ও তাদের গোলম কাবুল সরকার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাই এসবের সাথে জড়িত ছিল।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মালি | জাতিসংঘের সামরিক বাহিনীর উপর একে একে ৭টি সফল হামলা চালিয়েছে আল-কায়েদা

      পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে ক্রুসেডার ও মুরতাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযানের তীব্রতা বাড়িয়েছেন আল-কায়েদা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিনের জানবায মুজাহিদগণ। যার ধারাবাহিতায় শুধু ক্রুসেডার জাতিসংঘের কথিত শান্তিরক্ষী বাহিনী “মিনোসুমা” এর বিরুদ্ধেই ৭টি সফল হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ।

      “জিএনআইএম” এর অফিসিয়াল মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত ক্রুসেডার মিনোসুমা জোট বাহিনীর উপর একে একে ৭টি সফল হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ।

      এরমধ্যে গত ৫ ও ৬ আগস্ট মুজাহিদগণ তাদের প্রথম ২টি হামলা চালান মালির আজলাহোক অঞ্চলে। যেখানে ক্রুসেডার বাহিনীর একটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস এবং অন্যটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যার ফলে সাঁজোয়া যানে থাকা ক্রুসেডার সৈন্যরা হতাহত হয়।

      এই হামলার দু’দিন পর অর্থাৎ ৯, ১০ ও ১১ আগস্ট মুজাহিদগণ পূণরায় আজলাহোক অঞ্চলেই ক্রুসেডার মিনোসুমা জোট বাহিনীর ২টি ঘাঁটিতে পর পর তিনদিন কয়েক দফায় সফল রকেট ও মিসাইল হামলা চালান। যাতে ক্রুসেডার বাহিনীর হতাহত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

      এরপর গত ১৪ আগস্ট আজলাহোক অঞ্চলে ক্রুসেডার মিনোসুমা জোট বাহিনীর একটি সামরিক কনভয়ে সফল বোমা হামলা চালান মুজাহিদগণ। যাতে ক্রুসেডার বাহিনীর ২টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস এবং ডজনখানেক ক্রুসেডার সৈন্য হতাহত হয়।

      সর্বশেষ গত ২০ আগস্ট মালির তারকান্ট এলাকায় ক্রুসেডার মিনোসুমা জোট বাহিনীর একটি সাঁজোয়া গাড়িতে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটান মুজাহিদগণ। যাতে সাঁজোয়া গাড়ি ধ্বংস এবং কতক ক্রুসেডার সৈন্য হতাহত হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ্।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আলহামদুলিল্লাহ,, আল্লাহ মুজাহিদ ভাইদের কাজগুলো কবুল করুন আমীন।
        জাতিসংঘের বাহিনীর উপর আক্রমণ করা হয়েছে, এই নিউজটি বেশি আনন্দ দেয়।
        ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

        Comment


        • #5
          আলহামদুলিল্লাহ,,ইমারতে ইসলামীয়ার প্রথম দ্বিপক্ষীয় চুক্তি,[[ কাবুল বিমানবন্দর ত্রুটি মুক্ত করার]] জন্য তুর্কির সাথে একটি চুক্তি হয়েছে, আশা করা যাচ্ছে ১ সেপ্টেম্বর থেকেই কাজ শুরু করবে। এবং বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য তালেবানকে সহায়তা করবে।
          اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

          Comment

          Working...
          X