খোরাসান | গভর্নর কার্যালয় ছাড়া পুরো পাঞ্জশির উপত্যকা এখন তালিবানদের নিয়ন্ত্রণে
দীর্ঘ ১৫ দিন শান্তি আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় পাঞ্জশীর উপত্যকায় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে গত ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ভারি অভিযান চালাতে শুরু করেছেন ইমারতে ইসলামিয়ার জানবায তালিবান মুজাহিদগণ। ফলশ্রুতিতে কয়েকদিনের তীব্র লড়াইয়ের পর পাঞ্জশিরের গভর্নর কার্যালয় ও আশেপাশের কিছু এলাকা ছাড়া পুরো উপত্যকাই এখন মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানান, বিদ্রোহীরা শান্তি-আলোচনার পথ ছেড়ে যুদ্ধের পথ ধরেছে, আলোচনা চলাকালে আমাদের যোদ্ধাদের উপর হামলা চালিয়েছে, ফলে উপত্যকায় অভিযান চালানো ছাড়া আর কোন পথ ছিলো না, সেই সাথে এটি আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার বিষয়ের সাথে জড়িত ছিল।
ফলে কয়েকদিন যাবত উপত্যকাটি ঘিরে অবস্থান নেওয়া মুজাহিদগণ গত ১লা সেপ্টেম্বর রাত থেকে উপত্যকার চতুুর্দিক থেকে ভরপুর অভিযান চালাতে শুরু করেন এবং ২ সেপ্টেম্বর উপত্যাকার বাহিরে বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ৩টি জেলা এবং উপত্যকার ভিতরের একটি জেলা শত্রু মুক্ত করেন।
এর পরের দিন অর্থাৎ গত ৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাগলান, পারওয়ান, কাপিসা, লাগমান ও বদাখশান প্রদেশের দিক থেকে উপত্যকায় ভারী অস্ত্রশস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নিয়ে ঢুকতে শুরু করেন তালিবান মুজাহিদগণ। শুরু হয় বিদ্রোহীদের উপর মুজাহিদদের জোরদার হামলা, ফলে এদিন দুপুররের আগেই মুজাহিদগণ উপত্যকার ৮টি জেলার মধ্য থেকে ৫ টি জেলার নিয়ন্ত্রণ নেন।
এরপর গত ৪ সেপ্টেম্বর মুজাহিদগণ ভরপুর ও সফল হামলা চালান পাঞ্জশিরে বিদ্রোহীদের দখলকৃত বাকি এলাকাগুলোতে। এদিন তীব্র লড়াইয়ের পর মুজাহিদগণ "দ্বারাহ" জেলাও বিদ্রোহীদের থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হন তালিবান মুজাহিদগণ। এরমধ্যে দিয়ে উপত্যকার ২টি জেলা ব্যতিত সমস্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারায় বিদ্রোহীরা।
সর্বশেষ আজ ৫ অক্টোবর ভোর থেকেই আরও একবার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে শুরু করেন তালিবান মুজাহিদগণ। দুপুর পর্যন্ত মুজাহিদগণ "রুখা" জেলার কেন্দ্র ব্যতিত জেলাটির সমস্ত এলাকা বিদ্রোহীদের থেকে মুক্ত করেন এবং কেন্দ্রে বিদ্রোহীদের অবরুদ্ধ করে ফেলেন। অপরদিকে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২ টায় পাঞ্জশিরের রাজধানীতে "বাজরাক" এ প্রবেশ করেন তালিবান মুজাহিদগণ এবং বেলা ৩ টা পর্যন্ত মাত্র ১ ঘন্টার লড়াইয়ে মুজাহিদগণ উপত্যকার গভর্নর কার্যালয় পর্যন্ত পৌঁছে যান।
দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত আমাদের কাছে আসা সর্বশেষ তথ্য হচ্ছে, মুজাহিদগণ গভর্নর কার্যালয় ও আশপাশের কয়েকটা এলাকা ছাড়া পুরো উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। মুজাহিদগণ বিদ্রোহীদেরকে রাজধানীতে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
সবমিলিয়ে এই যুদ্ধে মুজাহিদদের হামলায় কয়েক ডজন বিদ্রোহী কমান্ডারসহ কয়েক শতাধিক বিদ্রোহী নিহত ও আহত হয়েছে। মুজাহিদগণ গনিমত পেয়েছেন শতাধিক অত্যাধুনিক আর্টেলারী, সাঁজোয়া যান সহ অগণিত অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ।
এখন পর্যন্ত পাঞ্জশিরের শুধু ২টি এলাকা থেকেই মুজাহিদদের গনিমত প্রাপ্ত বেশ কিছু আর্টেলারী, সাঁজোয়া যান ও ভারী অস্ত্রের দৃশ্য দেখুন...
https://ibb.co/sywRNnb
https://ibb.co/SKZ5D2q
https://ibb.co/KN99q8g
https://ibb.co/DKq4SXd
https://ibb.co/djkbGgK
https://ibb.co/6YJgvkz
https://l.top4top.io/m_2074tu5uk0.mp4
https://b.top4top.io/m_2074osf4y1.mp4
দীর্ঘ ১৫ দিন শান্তি আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় পাঞ্জশীর উপত্যকায় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে গত ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ভারি অভিযান চালাতে শুরু করেছেন ইমারতে ইসলামিয়ার জানবায তালিবান মুজাহিদগণ। ফলশ্রুতিতে কয়েকদিনের তীব্র লড়াইয়ের পর পাঞ্জশিরের গভর্নর কার্যালয় ও আশেপাশের কিছু এলাকা ছাড়া পুরো উপত্যকাই এখন মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানান, বিদ্রোহীরা শান্তি-আলোচনার পথ ছেড়ে যুদ্ধের পথ ধরেছে, আলোচনা চলাকালে আমাদের যোদ্ধাদের উপর হামলা চালিয়েছে, ফলে উপত্যকায় অভিযান চালানো ছাড়া আর কোন পথ ছিলো না, সেই সাথে এটি আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার বিষয়ের সাথে জড়িত ছিল।
ফলে কয়েকদিন যাবত উপত্যকাটি ঘিরে অবস্থান নেওয়া মুজাহিদগণ গত ১লা সেপ্টেম্বর রাত থেকে উপত্যকার চতুুর্দিক থেকে ভরপুর অভিযান চালাতে শুরু করেন এবং ২ সেপ্টেম্বর উপত্যাকার বাহিরে বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ৩টি জেলা এবং উপত্যকার ভিতরের একটি জেলা শত্রু মুক্ত করেন।
এর পরের দিন অর্থাৎ গত ৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাগলান, পারওয়ান, কাপিসা, লাগমান ও বদাখশান প্রদেশের দিক থেকে উপত্যকায় ভারী অস্ত্রশস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নিয়ে ঢুকতে শুরু করেন তালিবান মুজাহিদগণ। শুরু হয় বিদ্রোহীদের উপর মুজাহিদদের জোরদার হামলা, ফলে এদিন দুপুররের আগেই মুজাহিদগণ উপত্যকার ৮টি জেলার মধ্য থেকে ৫ টি জেলার নিয়ন্ত্রণ নেন।
এরপর গত ৪ সেপ্টেম্বর মুজাহিদগণ ভরপুর ও সফল হামলা চালান পাঞ্জশিরে বিদ্রোহীদের দখলকৃত বাকি এলাকাগুলোতে। এদিন তীব্র লড়াইয়ের পর মুজাহিদগণ "দ্বারাহ" জেলাও বিদ্রোহীদের থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হন তালিবান মুজাহিদগণ। এরমধ্যে দিয়ে উপত্যকার ২টি জেলা ব্যতিত সমস্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারায় বিদ্রোহীরা।
সর্বশেষ আজ ৫ অক্টোবর ভোর থেকেই আরও একবার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে শুরু করেন তালিবান মুজাহিদগণ। দুপুর পর্যন্ত মুজাহিদগণ "রুখা" জেলার কেন্দ্র ব্যতিত জেলাটির সমস্ত এলাকা বিদ্রোহীদের থেকে মুক্ত করেন এবং কেন্দ্রে বিদ্রোহীদের অবরুদ্ধ করে ফেলেন। অপরদিকে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২ টায় পাঞ্জশিরের রাজধানীতে "বাজরাক" এ প্রবেশ করেন তালিবান মুজাহিদগণ এবং বেলা ৩ টা পর্যন্ত মাত্র ১ ঘন্টার লড়াইয়ে মুজাহিদগণ উপত্যকার গভর্নর কার্যালয় পর্যন্ত পৌঁছে যান।
দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত আমাদের কাছে আসা সর্বশেষ তথ্য হচ্ছে, মুজাহিদগণ গভর্নর কার্যালয় ও আশপাশের কয়েকটা এলাকা ছাড়া পুরো উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। মুজাহিদগণ বিদ্রোহীদেরকে রাজধানীতে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
সবমিলিয়ে এই যুদ্ধে মুজাহিদদের হামলায় কয়েক ডজন বিদ্রোহী কমান্ডারসহ কয়েক শতাধিক বিদ্রোহী নিহত ও আহত হয়েছে। মুজাহিদগণ গনিমত পেয়েছেন শতাধিক অত্যাধুনিক আর্টেলারী, সাঁজোয়া যান সহ অগণিত অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ।
এখন পর্যন্ত পাঞ্জশিরের শুধু ২টি এলাকা থেকেই মুজাহিদদের গনিমত প্রাপ্ত বেশ কিছু আর্টেলারী, সাঁজোয়া যান ও ভারী অস্ত্রের দৃশ্য দেখুন...
https://ibb.co/sywRNnb
https://ibb.co/SKZ5D2q
https://ibb.co/KN99q8g
https://ibb.co/DKq4SXd
https://ibb.co/djkbGgK
https://ibb.co/6YJgvkz
https://l.top4top.io/m_2074tu5uk0.mp4
https://b.top4top.io/m_2074osf4y1.mp4
Comment