বাংলাদেশে হিজড়া ও সমকামীদের অধিকার বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘রূপবান’ এর সম্পাদক জুলহাস মান্নান (৩৫) এবং তার বন্ধু মাহাবুব রাব্বি তনয় (২৬) রাজধানীর কলাবাগানে সোমবার সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হন। সমকামীদের অধিকার আদায়ে সরব জুলহাসের সঙ্গে তার বন্ধু তনয়ের সমকামী সম্পর্ক ছিল বলে জানিয়েছেন ‘রূপবান’ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক তাদেরই একবন্ধু।
কলাবাগানের তেঁতুলতলা গলির আছিয়া নিবাস নামের ৩৫ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় একসঙ্গে থাকতেন জুলহাস ও তনয়। ওই ফ্ল্যাটেই চাপাতির আঘাতে দুজনকে খুন করে দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যায় পাঁচ-ছয়জন দুর্বৃত্ত ৩৫ লেক সার্কাস কলাবাগানের আসিয়া নিবাস নামের ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয়তলায় ঢুকে পড়ে। দুর্বৃত্তরা বাসায় অবস্থানরত জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু তনয়কে কুপিয়ে দ্রুত বেরিয়ে যায়। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় গেটের নিরাপত্তারক্ষী বাধা দিলে তাকে জখম করে দুর্বৃত্তরা। নিরাপত্তারক্ষীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত জুলহাস বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মোজিনার প্রটোকল কর্মকর্তা ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের আগে ‘রূপবান’ সম্পাদনার পাশাপাশি জুলহাজ উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডিতে কাজ করতেন।রূপবান 1
বালাদেশের প্রেক্ষাপটে, প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও সমকামীদের অধিকার বিষয়ে সরব ছিলেন জুলহাজ মান্নান। সমকামীদের অধিকারের স্বীকৃতি পেতে পশ্চিমা দেশেও যেখানে বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, সেখানে বাংলাদেশের মতো রক্ষণশীল সমাজে তা যে আরও কঠিন ছিল, তা নানা সময়ে বলে গেছেন *জুলহাস।
নাম ও পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জুলহাসের এক বন্ধু পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে ‘রূপবান’ সাময়িকী প্রকাশের মাধ্যমে সমকামীদের অধিকার সম্পর্কে কথা বলতে শুরু করেন। ব্যক্তিগত জীবনের তিনি নিজেও ছিলেন সমকামী। প্রায় ১০ বছরের ছোট মাহাবুব রাব্বি তনয়ে সঙ্গে জুলহাসের সমকামী সম্পর্কের কথা আমরা কয়েকজন বন্ধুই কেবল জানতাম। হিজড়া ও সমকামীদের অধিকার আর সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই করতে শেখাতেন যিনি, তিনি কখনো এভাবে হত্যার শিকার হবেন , তা ভাবতেও পারছি না।
জুলহাস ওই বন্ধু আরো বলেন, এবারের পহেলা বৈশাখে ‘রংধনু যাত্রা’ শিরোনামে সমকামীরা টিএসসি এলাকা থেকে একটি র*্যালি বের করার চেষ্টা করে। তখন পুলিশ তাদের চারজনকে আটক করে। ওইদিন রাতেই স্বজনদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পরই জুলহাস এক্সপোজ হোন, যা আজকে তার প্রাণহানীর কারণ হলো।
রুপবানজুলহাস মান্নান পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে। ২০০৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার পর ২০০৭ সালে থেকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে প্রটোকল অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর তিনি যোগ দেন ইউএসএআইডিতে।২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত সমকামী, হিজরা এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ‘বয়েজ অব বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের সঙ্গেও কাজ করেছেন জুলহাস।
কলাবাগানের লেকসার্কাস রোডের আছিয়া নিবাস নামে ছয়তলা ওই একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে ৯০ বছর বয়সী মা সখিনা খাতুনকে নিয়ে থাকতেন জুলহাস।নিহত জুলহাজের বাবা আবদুল মান্নান সাবেক সরকারি কর্মকর্তা। তার বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে।
দুই ভাই ও এক বোনের পরিবারে জুলহাস ছিলেন সবার ছোট। তার বড় ভাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক সহ সভাপতি মিনহাজ মান্নান ইমন। মেজ ভাই যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী।
জুলহাসের সঙ্গে নিহত তনয় নাট্য সংগঠন লোক নাট্যদলের শিশু সংগঠন পিপলস থিয়েটারে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।
- See more at: http://amarbangladeshonline.net/inde....4X5AhDhO.dpuf
কলাবাগানের তেঁতুলতলা গলির আছিয়া নিবাস নামের ৩৫ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় একসঙ্গে থাকতেন জুলহাস ও তনয়। ওই ফ্ল্যাটেই চাপাতির আঘাতে দুজনকে খুন করে দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যায় পাঁচ-ছয়জন দুর্বৃত্ত ৩৫ লেক সার্কাস কলাবাগানের আসিয়া নিবাস নামের ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয়তলায় ঢুকে পড়ে। দুর্বৃত্তরা বাসায় অবস্থানরত জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু তনয়কে কুপিয়ে দ্রুত বেরিয়ে যায়। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় গেটের নিরাপত্তারক্ষী বাধা দিলে তাকে জখম করে দুর্বৃত্তরা। নিরাপত্তারক্ষীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত জুলহাস বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মোজিনার প্রটোকল কর্মকর্তা ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের আগে ‘রূপবান’ সম্পাদনার পাশাপাশি জুলহাজ উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডিতে কাজ করতেন।রূপবান 1
বালাদেশের প্রেক্ষাপটে, প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও সমকামীদের অধিকার বিষয়ে সরব ছিলেন জুলহাজ মান্নান। সমকামীদের অধিকারের স্বীকৃতি পেতে পশ্চিমা দেশেও যেখানে বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, সেখানে বাংলাদেশের মতো রক্ষণশীল সমাজে তা যে আরও কঠিন ছিল, তা নানা সময়ে বলে গেছেন *জুলহাস।
নাম ও পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জুলহাসের এক বন্ধু পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে ‘রূপবান’ সাময়িকী প্রকাশের মাধ্যমে সমকামীদের অধিকার সম্পর্কে কথা বলতে শুরু করেন। ব্যক্তিগত জীবনের তিনি নিজেও ছিলেন সমকামী। প্রায় ১০ বছরের ছোট মাহাবুব রাব্বি তনয়ে সঙ্গে জুলহাসের সমকামী সম্পর্কের কথা আমরা কয়েকজন বন্ধুই কেবল জানতাম। হিজড়া ও সমকামীদের অধিকার আর সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই করতে শেখাতেন যিনি, তিনি কখনো এভাবে হত্যার শিকার হবেন , তা ভাবতেও পারছি না।
জুলহাস ওই বন্ধু আরো বলেন, এবারের পহেলা বৈশাখে ‘রংধনু যাত্রা’ শিরোনামে সমকামীরা টিএসসি এলাকা থেকে একটি র*্যালি বের করার চেষ্টা করে। তখন পুলিশ তাদের চারজনকে আটক করে। ওইদিন রাতেই স্বজনদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পরই জুলহাস এক্সপোজ হোন, যা আজকে তার প্রাণহানীর কারণ হলো।
রুপবানজুলহাস মান্নান পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে। ২০০৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার পর ২০০৭ সালে থেকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে প্রটোকল অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর তিনি যোগ দেন ইউএসএআইডিতে।২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত সমকামী, হিজরা এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ‘বয়েজ অব বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের সঙ্গেও কাজ করেছেন জুলহাস।
কলাবাগানের লেকসার্কাস রোডের আছিয়া নিবাস নামে ছয়তলা ওই একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে ৯০ বছর বয়সী মা সখিনা খাতুনকে নিয়ে থাকতেন জুলহাস।নিহত জুলহাজের বাবা আবদুল মান্নান সাবেক সরকারি কর্মকর্তা। তার বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে।
দুই ভাই ও এক বোনের পরিবারে জুলহাস ছিলেন সবার ছোট। তার বড় ভাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক সহ সভাপতি মিনহাজ মান্নান ইমন। মেজ ভাই যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী।
জুলহাসের সঙ্গে নিহত তনয় নাট্য সংগঠন লোক নাট্যদলের শিশু সংগঠন পিপলস থিয়েটারে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।
- See more at: http://amarbangladeshonline.net/inde....4X5AhDhO.dpuf
Comment