ভারতের স্বাধীনতা দিবসে কাশ্মীরে সংঘর্ষে পুলিশসহ নয়জন নিহত
ভারতশাসিত কাশ্মীরে গতকাল সোমবার সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ নয়জন নিহত হয়েছেন। হিমালয় অঞ্চলের গোলযোগপূর্ণ রাজ্যটিতে ভারতের স্বাধীনতা দিবসেও এ সহিংসতা হলো।
সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের কর্মকর্তা অতুল কারওয়াল বলেন, শ্রীনগরের নওয়াহাটা এলাকায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা চোরাগোপ্তা হামলায় আহত হন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। হামলাকারীদের ধাওয়া করে পুলিশ। এ সময় বন্দুকযুদ্ধে দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও নয়জন। নিহত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে তাদের ‘বহিরাগত’ আখ্যা দিয়েছে। সাধারণত পাকিস্তানি নাগরিকদেরই এ রকম পরিচয় দেওয়া হয়।
এ ছাড়া রাজ্যের অন্যান্য স্থানে গতকাল সহিংসতায় নিহত হন আরও ছয়জন।
ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য কাশ্মীরের বড় এলাকাজুড়ে গত ৯ জুলাই থেকে কারফিউ জারি করেছে সরকার। শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি নেতা বুরহান হওয়ানি ওই দিন নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলির সময় নিহত হওয়ার পর থেকে সেখানে সহিংসতা শুরু হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত এবং হাজারো মানুষ আহত হয়েছে।
পুলিশের ছোঁড়া বন্দুকের পেলেটে কয়েকশ লোক দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। টানা অবরোধে কাশ্মীরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ২০১০ সালের পর কাশ্মীর এলাকায় এটিই সবচেয়ে বড় সহিংসতার ঘটনা।
কাশ্মীরের জনগণ নয়, দায়ী রাজনীতিকেরা: জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি গতকাল স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে শান্তির বার্তা দিয়ে বলেছেন, কেবল সংলাপই কাশ্মীরের মানুষকে সহায়তা করতে পারে, অস্ত্র নয়। রাজ্যে বিদ্যমান পরিস্থিতির জন্য রাজনীতিবিদেরাই দায়ী, জনগণ নয়।
এনডিটিভি জানায়, শ্রীনগরের বক্সি স্টেডিয়ামে গতকাল স্বাধীনতা দিবসে এক ভাষণ দেন মেহবুবা মুফতি। তিনি বলেন, ‘মুফতি সাঈদ সব সময় বলতেন, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ খারাপ না। আমাদের দেশ ভারতও খারাপ নয়। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ভুল করেছে সব সময়। সমস্যার জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বই দায়ী।’
মেহবুবা মুফতির ওই ভাষণের কিছুক্ষণ আগে সাত কিলোমিটার দূরের নওয়াহাটা এলাকায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি হয়।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ও ভারত স্বাধীনতা লাভের সময় কাশ্মীরও দুই দেশের মধ্যে ভাগ হয়। দুটি দেশই পুরো কাশ্মীরের মালিকানা দাবি করে। গতকাল কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থনে পাকিস্তানে ভারতবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।
ভারতশাসিত কাশ্মীরে গতকাল সোমবার সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ নয়জন নিহত হয়েছেন। হিমালয় অঞ্চলের গোলযোগপূর্ণ রাজ্যটিতে ভারতের স্বাধীনতা দিবসেও এ সহিংসতা হলো।
সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের কর্মকর্তা অতুল কারওয়াল বলেন, শ্রীনগরের নওয়াহাটা এলাকায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা চোরাগোপ্তা হামলায় আহত হন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। হামলাকারীদের ধাওয়া করে পুলিশ। এ সময় বন্দুকযুদ্ধে দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও নয়জন। নিহত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে তাদের ‘বহিরাগত’ আখ্যা দিয়েছে। সাধারণত পাকিস্তানি নাগরিকদেরই এ রকম পরিচয় দেওয়া হয়।
এ ছাড়া রাজ্যের অন্যান্য স্থানে গতকাল সহিংসতায় নিহত হন আরও ছয়জন।
ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য কাশ্মীরের বড় এলাকাজুড়ে গত ৯ জুলাই থেকে কারফিউ জারি করেছে সরকার। শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি নেতা বুরহান হওয়ানি ওই দিন নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলির সময় নিহত হওয়ার পর থেকে সেখানে সহিংসতা শুরু হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত এবং হাজারো মানুষ আহত হয়েছে।
পুলিশের ছোঁড়া বন্দুকের পেলেটে কয়েকশ লোক দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। টানা অবরোধে কাশ্মীরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ২০১০ সালের পর কাশ্মীর এলাকায় এটিই সবচেয়ে বড় সহিংসতার ঘটনা।
কাশ্মীরের জনগণ নয়, দায়ী রাজনীতিকেরা: জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি গতকাল স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে শান্তির বার্তা দিয়ে বলেছেন, কেবল সংলাপই কাশ্মীরের মানুষকে সহায়তা করতে পারে, অস্ত্র নয়। রাজ্যে বিদ্যমান পরিস্থিতির জন্য রাজনীতিবিদেরাই দায়ী, জনগণ নয়।
এনডিটিভি জানায়, শ্রীনগরের বক্সি স্টেডিয়ামে গতকাল স্বাধীনতা দিবসে এক ভাষণ দেন মেহবুবা মুফতি। তিনি বলেন, ‘মুফতি সাঈদ সব সময় বলতেন, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ খারাপ না। আমাদের দেশ ভারতও খারাপ নয়। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ভুল করেছে সব সময়। সমস্যার জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বই দায়ী।’
মেহবুবা মুফতির ওই ভাষণের কিছুক্ষণ আগে সাত কিলোমিটার দূরের নওয়াহাটা এলাকায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি হয়।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ও ভারত স্বাধীনতা লাভের সময় কাশ্মীরও দুই দেশের মধ্যে ভাগ হয়। দুটি দেশই পুরো কাশ্মীরের মালিকানা দাবি করে। গতকাল কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থনে পাকিস্তানে ভারতবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।
Comment