আফগানিস্তানের ফারাহ প্রদেশের রেগী এলাকায় গত পরশু রাতে ইসলামী ইমারতের মুজাহিদগণ একটি ভাড়াটে চেকপোস্টে হামলা চালিয়েছেন। ২ ঘন্টা যাবৎ চলা যুদ্ধে একটি চেকপোস্ট পদদলিত হয়। এতে, ১৩ পুতুলসেনা নিহত হয়েছে, ২টি যানবাহন ধ্বংস হয়েছে এবং বাকি শত্রুরা মৃতদেহগুলো ফেলে রেখে পলায়ন করতে বাধ্য হয়েছে। মুজাহিদগণ এ বরকতময় হামলায় একটি পিকেএম মেশিনগান, ১টি আরপিজি লাঞ্চার, ৯টি রাইফেল, একটি পিস্তল, ১টি যোগাযোগ রেডিও, ৫০০০ বুলেট এবং আরো অন্যান্য যন্ত্রপাতি গণিমত লাভ করেছেন।
বাদঘিসের স্যাং আতিশ জেলার মোহকামু এলাকায় গত পরশু রাতে একটি চেকপোস্টে মুজাহিদগণ হামলা করেন।কর্তৃপক্ষ বলেছে, এই হামলায় এক ভাড়াটে কমান্ডার শারাফ এবং তার দেহরক্ষী নিহত হয়েছে।একই প্রদেশের মাকুর জেলা থেকে আসা রিপোর্ট জানিয়েছে, মুজাহিদগণ কথিত ঐ জেলার লামারু এলাকায় গত পরশু রাতে ৩ ঘন্টা যাবৎ যুদ্ধ করে একটি চেক পোস্ট পদদলিত করে দখলে নিয়েছেন। ঐ হামলায় এক বন্দুকধারী নিহত, ২জন আহত এবং আরেকজনকে গ্রেফতার করেন, আর বাকিরা পলায়ন করে।একটি পিকেএম মেশিনগান, ১টি কালাশিনকভ, ৪টি মোটরবাইক এবং আরো কিছু সামরিক উপকরণ মুজাহিদগণ গণিমত লাভ করেন।
এদিকে দেশটির ঘোর প্রদেশের রাজধানী চাখচারান থেকে সম্প্রতি আসা একটি রিপোর্ট জানিয়েছে, গত পরশু বিকালবেলা হাজী আহমদের নেতৃত্বে শাবিয়াজ এলাকায় প্রায় ৮০০০ পরিবার নিয়ে গঠিত প্রায় ৫০টি গ্রামের লোকজন মুজাহিদগণের প্রতি তাদের সমর্থন ঘোষণা করেছে। তারা দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ করেছে যে তাদের শেষ নিঃশ্বাসের পূর্ব পর্যন্ত তারা ইসলামী ইমারতের পবিত্র পথ থেকে বিচ্যুত হবে না।জানা গেছে, হাজী আহমদ মুজাহিদগণের হাতে প্রায় ১০০০ রাইফেল এবং ১৫০ অন্যান্য হালকা এবং ভারী অস্ত্রশস্ত্র তুলে দিয়েছেন এবং উল্লিখিত সকল এলাকায় ইসলামী ইমারতের সাদা পদাকা উত্তোলন করেছেন।
আফগানিস্তানের কান্দাহারের দান্দ জেলার কারজালি এলাকার নিকটে বিদেশী শত্রুসেনাদের উপর শাহাদাত অন্বেষণকারী একজন বীর মুজাহিদ ইজাতুল্লাহ কান্দাহারী শহিদী হামলা সম্পন্ন করেছেন। গতকাল স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে ঘটা ঐ বরকতময় হামলায় ২টি শত্রু ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে এবং ট্যাংকের ভেতরে থাকা ১৪ বিদেশী শত্রু জাহান্নামের ঠিকানায় পৌঁছে গেছে ।আলহামদুলিল্লাহ।। একই প্রদেশের শাওয়ালিকট জেলার চাইনার এলাকায় গত পরশু স্থানীয় সময় রাত ১০ টার দিকে ২টি সেনা চেক পোস্টে মুজাহিদগণ ভারী এবং হালকা অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছেন। মধ্যরাত পর্যন্ত স্থায়ী হওয়া ঐ লড়াইয়ে ১৩ পুতুলসেনা নিহত এবং আরো ৬ জন আহত হয়েছে। এই অপারেশনে ২জন মুজাহিদও আহত হয়েছেন।
হেলমান্দ প্রদেশের ওয়াশির জেলার কারেজুনু এলাকায় গত রবিবার মধ্যাহ্নে মুজাহিদগণ একটি শত্রুবাহিনীর উপর হামলা করেন। ঐ সময় আই ই ডি হামলা করে ২টি যানবাহন ধ্বংস করা হয় এবং ঘটনাস্থলে ৬ পুতুলসেনা নিহত হয়। গত পরশু রাতে ঐ প্রদেশের সানজিন জেলার তরি শাহ এলাকায় একটি চেক পোস্টের টা্ওয়ারে একজন স্নাইপারের হামলায় এক ভাড়াটে সৈন্য প্রথমে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে, শত্রুবাহিনী যেখানে হামলা হয়েছে সেখানে সৈন্য পাঠানোর চেষ্টাকালে তারাও মুজাহিদগণের স্নাইপার আক্রমণের কবলে পড়ে ১ জন নিহত এবং আরো একজন আহত হয়। অন্যদিকে, নাহর সিরাজ অঞ্চলের আলাকুজু শাখ এলাকায় মুজাহিদগণের অতর্কিত হামলায় ২টি শত্রু এপিসি ধ্বংস হয়ে ৩ পুতুলসেনা নিহত এবং আরো একজন আহত হয়। অধিকন্তু, গত পরশু স্থানীয় সময় বিকাল তিনটার দিকে কথিত ঐ জেলার হাজী আব্দুল আজিজ পাম্প এলাকার নিকটে এক বন্দুকধারী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
নিমরুজের খাশ রড জেলার লানদি এবং পোশত হাসান এলাকায় গত শনিবারে পৃথক পৃথক স্নাইপার হামলায় ৪ শত্রু সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। অন্য আরেকটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, কথিত জেলার খাইর আবাদ এলাকায় গতকাল সকালে একটি শত্রু এপিসি ধ্বংস হয়ে ভেতরে থাকা সকল বন্দুকধারী নিহত এবং আহত হয়েছে।
অন্যদিকে, ফা্রিয়াবের পশতুন কট জেলার কুরা এলাকায় ৩ জন এ এল পি বন্দুকধারী তাদের ভুল বুজতে পেরে শত্রু বাহিনী ত্যাগ করেছেন এবং ৪টি রাইফেলও মুজাহিদগণের হাতে তুলে দিয়েছেন।
Comment