আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের মারুফ জেলার ওয়াম এলাকায় জনগণকে একটি সমাবেশে যেতে শত্রুবাহিনী বাধ্য করেছিল যে সমাবেশে ইতিমধ্যেই তারা আইইডি পুতে রেখেছিল। এতে একটি যানবাহন ধ্বংস হয় এবং শহীদ হন একজন ডাক্তার, তার স্ত্রী, ২টি শিশু এবং ২ জন নারী (আল্লাহ তাদেরকে কবুল করুন)।এদিকে প্রদেশটির আরঘান্দাব জেলার যিলাহুর বাওরি এলাকায় গতকাল মধ্যাহ্নে একটি শত্রু প্রহরীদল বোমা হামলার শিকার হয় যার ফলে নিহত হয়ে এক ভাড়াটে আরোহী। একইভাবে ঐ এলাকায় বোমা হামলায় একটি রেঞ্জার পিকআপ ধ্বংস হয়ে ৪ পুতুলসেনা নিহত এবং আরো ৩সেনা আহত হয়েছে।
গত পরশু সারাদিনজুড়ে মারুফ কেন্দ্রীয় জেলার নিকটে মুজাহিদগণ মর্টার শেল দিয়ে একটি শত্রু ঘাঁটিতে হামলা করেছেন । এতে শত্রুবাহিনী ঘাঁটিটি থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় এবং আবার মধ্যরাতে ফিরে আসে। আরঘান্দাব জেলার যিলাহুর বাওরি এলাকায় গতকাল সকালে একটি রোডসাইড বোমা বিস্ফোরণে এক শত্রু রেঞ্জার পিকআপ ধ্বংস হয়ে ভেতরে থাকা সকল বন্দুকধারী নিহত বা আহত হয়েছে।
নিমরুজ প্রদেশের জারাঞ্জ জেলার কাকারানু কসায় এলাকায় একটি গেরিলা হামলায় নাজিব শিয়ারজে ইবনে খোদায় নাজার শিয়ারজে নামে এনডিএস এর এক উচ্চ পদস্থ অফিসার নিহত হয়েছে এবং তার দেহরক্ষী আহত হয়েছে।চলমান বাৎসরিক মানসুরি অপারেশনে খাশ রড জেলার পোশত হাসসান এলাকায় গত পরশু রাতে একটি শত্রু চেকপোস্টে মুজাহিদগণ হামলা করেছেন। ঐ হামলায় পোস্টটি পদদলিত হয় এবং নিহত হয় ৯ পুতুলসেনা এবং বাকিরা পলায়ন করতে বাধ্য হয়। মুজাহিদগণ ৪০ রাউন্ড সহ একটি SPG9 টিউব, ২টি পিকে মেশিনগান, ২টি রাইফেল, একটি যোগাযোগ রেডিও , একটি কম্পিউটার এবং অন্যান্য যুদ্ধ সামগ্রী গণিমত লাভ করেছেন। জানা গেছে এই অপারেশনে একজন মুজাহিদ শহীদ এবং আরেকজন আহত হয়েছেন।
ফারাহ প্রদেশের বালা বালুক জেলার শেওয়ান এলাকায় শত্রুদের বিরুদ্ধে তিনদিন আগে শুরু হওয়া এক বন্দুকযুদ্ধ এখনো চলছে।এখন পর্যন্ত একটি ভাড়াটে ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে , নিহত হয়েছে ৬পুতুলসেনা এবং আরো ৯জন আহত হয়েছে। ঐ এলাকায় শত্রুরা জনগণের উপর বোমা হামলা করেছে, যার ফলে স্থানীয় আবাসিক এলাকায় মারাত্মক ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
নানগারহারের রাজধানী জালালাবাদ শহরে একটি বোমা হামলায় কমপক্ষে ২পুলিশসদস্য নিহত হয়েছে। বুধবারের ঐ ঘটনার পাশাপাশি একই দিনে ঐ শহরের অন্য আরেক জায়গায় একটি রোডসাইড বোমা বিস্ফোরণে যানবাহন ধ্বংস হয়ে আরো ৩ পুলিশসদস্য নিহত হয়েছে। শত্রুদের থেকে একটি কালাশিনকভ রাইফেল জব্দ করা হয়েছে।
হেলমান্দের গেরিশক জেলার আদম খানের বাড়ি এলাকায় মুজাহিদগণের গেরিলা হামলার কবলে পড়ে গতকাল সকাল আটটার দিকে এক শত্রু প্রহরী দলের ২পুতুলসেনা নিহত হয়েছে এবং জব্দ করা হয়েছে ২টি রাইফেল। ঐ সময়েই জেলাটির নাহর সিরাজ অঞ্চলের যাখচাল এলাকায় কান্দাহার হাইওয়ের পাশে গেরিলা হামলায় নিহত হয়েছে আরো এক বন্দুকধারী। মঙ্গলবারে ঐ জেলার সেইদানু এলাকায় একটি ভাড়াটে প্রহরী দল মুজাহিদগণের হামলার শিকার হয়ে তাদের এক বন্দুকধারীকে হারায়।
এদিকে গজনী প্রদেশের ওয়াঘিজ জেলায় মঙ্গলবারে ঘন্টাখানেকের হামলায় ইসলামী ইমারতের মুজাহিদগণ শত্রুদেরকে হতাহতের বোঝা বয়ে পিছু হটতে বাধ্য করেছে। ঐ দিনেই, মুজাহিদগণ গিলান জেলায় একটি চেকপোস্টে হামলা করেন তবে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। একই দিনে, প্রদেশটির প্রাদেশিক রাজধানীতে মুজাহিদগণের সাথে এক উষ্ণ গুলিবিনিয়ে এক পুতুলসেনা নিহত হয়েছে এবং আরেকসেনা আহত হয়েছে।
গজনী প্রদেশের কারাবাঘ জেলায় গত ২৭তারিখ রাতে িএকটি শত্রু পোস্টে মুজাহিদগণ হামলা করে ১২ শত্রু সামরিকসদস্যকে হত্যা করেছেন এবং একটিকে বন্দী করেছেন। আল-ইমারা নিউজ রিপোর্ট অনুসারে। এই রিপোর্টটি আরো জানিয়েছে যে মুজাহিদগণ শত্রুদের অবস্থান থেকে তিনটি রাইফেল , একটি কালাশিনকভ মেশিনগান, িএকটি রকেট-প্রপেলড গ্রেনেড , একটি মর্টার ভারী বন্দুক এবং অন্যান্য সামগ্রী গণিমত লাভ করেছেন। অনুরূপভাবে, শত্রুদের সাহায্যকারী বাহিনী আসলে মুজাহিদগণ তাদেরকে হামলা করে তাদের একটি ট্যাংক এবং একটি যানবাহন ধ্বংস করে আরো ৭ পুতুলসেনাকে হত্যা করেন। তখন একজন মুজাহিদও আহত হয়েছেন। গতকাল সকালে একটি বোমা হামলায় এক আরবাকি ঐ প্রদেশের এবি ব্যান্ডে নিহত হয়েছে। আরো জানা যায়, ঐ প্রদেশের চাঘতু জেলায় একটি শত্রু পোস্টে মুজাহিদগণ ভারী অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা করেছিলেন তবে ঐ হামলায় শত্রুদের হতাহতের ব্যাপারে এখনও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
ওয়ার্দাক প্রদেশের চাক জেলায বুধবারে একটি রোডসাইড বোমা বিস্ফোরণে ২ পুতুলসেনা নিহত হয়েছে।
কোনার প্রদেশের সুরকানী জেলায় গত পরশু রাতে মুজাহিদগণ একটি শত্রুসেনাবহরে হামলা করলে শত্রুদের অজানা সংখ্যক সৈন্য হতাহতের শিকার হয়েছে। জানা গেছে, ঐ জেলার নারি জেলায় এক সেনাবাহিনী ঘাঁটিতে মুজাহিদগণ হামলা করার পর এক শত্রু সেনা আহত হয়েছে। পূর্ব লাগমান প্রদেশের আলিশাংগ জেলায় একটি আর্মি ঘাঁটিতে মুজাহিদগণের হামলায় শত্রুদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে বুধবার রাতের ঐ হামলায় শত্রুদের হতাহতের নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
খোশতের আলিশির জেলায় একটি রোডসাইড বোমা বিস্ফোরিত হয়ে এক পুলিশ নিহত এবং আরেকজন আহত হয়েছে। একই সময়ে ঐ জেলার অন্য আরেক জায়গায় শত্রুদের সাহায্যকারী বহরে হামলা করে ধ্বংস করা হয়েছে সে বহর। আরেকটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, মুজাহিদগণ প্রদেশটির প্রাদেশিক রাজধানীতে অবস্থিত একটি শত্রু ঘাঁটিতে হামলা করেন এতে শত্রুদের যে হতাহত হয় তা এখনো স্পষ্ট হয়নি। প্রদেশটির সাবরি জেলায় মুজাহিদগণ শত্রুদের অগ্রগামীদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং তাদেরকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন করেছেন। ঘটনাগুলো ঘটেছে বুধবারে।
বাদঘিসের মাকুর জেলার তারাকু এলাকায় গত পরশু রাতে অপারেশন করার জন্য পৌঁছা শত্রু বাহিনীকে মুজাহিদগণ হামলা করেন। এতে ঐ হামলাটি প্রায় একঘন্টা যাবৎ স্থায়ী হয়। ফলে শত্রুরা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পালাতে বাধ্য হয়।
Comment