*হারকাত আল শাবাব আল-মুজাহিদীন প্রেস রিলিজঃ আল-আকসা মসজিদের সহায় হন*
সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ্* তায়ালার এবং শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক মুমিনদের প্রতি এবং সর্বশেষ নবী মোহাম্মাদ, তাঁর পরিবারবর্গ ও তাঁর অনুসারীদের উপর, যিনি পবিত্র মসজিদ হতে হিজরতের মাধ্যমে গমন করেছিলেন আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনে। এবং এ দ্বারা অনুসরণেঃ
আল্লাহ্* সর্বশ্রেষ্ঠ সুমহান বলছেনঃ
“সে ব্যক্তির চেয়ে বড় যালেম আর কে আছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ্*র (ঘর) মসজিদে তাঁর নাম স্মরণ করতে বাধা দেয় এবং তার ধ্বংস সাধনে সচেষ্ট হয়, এ ধরণের লোকদের তো তাতে প্রবেশের কোন যোগ্যতাই নেই, তবে একান্ত ভীত সন্ত্রস্তভাবে প্রবেশ করলে তা ভিন্ন কথা, তাদের জন্যে পৃথিবীতে যেমন অপমান লাঞ্চনা রয়েছে, তেমনি রয়েছে পরকালে কঠিনতম শাস্তি”। (আল বাকারাঃ ১১৪)
আমরা আমাদের ভারী আত্মা দ্বারা পরিলক্ষিত করে চলেছি কীভাবে এই বানর, শুকরেরা ইহুদীদের নাতি পুতিরা পবিত্র রহমত এর অবস্থান আল-আকসা মসজিদে আঘাত হেনেছে। রহমতের পবিত্র জমিনের প্রত্যেকটি অঙ্গকে তাদের নাপাকি দ্বারা অপবিত্র করেছে। এবং আমাদের মুসলিম পরিবারদের উপর যুলুম-অত্যাচার, মারধোর, অপমান হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে পবিত্র এই জমিনে তাদের অপকর্ম, অপরাধের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এবং মহান আল্লাহ্* তায়ালা তাদের সম্পর্কে সুস্পষ্ট সত্যটিই বলেছেন, আল্লাহ্* তায়ালা বলছেনঃ
“অবশ্যই তোমরা ইমানদারদের সাথে শত্রুদের ব্যাপারে ইহুদী ও মোশরেকদেরই বেশী কঠোর দেখতে পাবে”। (আল মায়েদাঃ ৮২)
আল-আকসা মসজিদের এই ইস্যু এবং বাইত আল-মাকদিসএর সংলগ্ন মুসলমানদের ভূমি দখলে নেওয়ার ব্যাপারটি বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি চিন্তাশীল বিষয়। এটি কোন জাতীয়তা, সাংস্কৃতিক, নৃতাত্ত্বিক কোন পর্যালোচনার ইস্যু নয়। সুতরাং, সেই রহমতের ভূমীতে মুসলমান ভাইদেরকে সকল ধরণের সাহায্য, সহায়তা প্রদানে, তাদের জন্য এগিয়ে আসা সকল মুসলিম উম্মাহর জন্য অতি আবশ্যকীয় দায়িত্ব হয়ে দাড়ায়। আমাদের মর্যাদাপূর্ণ নবী মোহাম্মদ (সাঃ) বলেনঃ
তুমি মুমিনদেরকে তাদের পারস্পরিক সহানুভূতি এবং বন্ধুত্ব ও দয়ার ক্ষেত্রে একটি দেহের মতো দেখবে।যখন দেহের কোন একটি অঙ্গ ব্যথা পায়,তখন শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এর কারণে রাত জাগরণ ও জ্বরের মাধ্যমে তার ব্যথায় সমঅংশীদার হয়।(বুখারী ও মুসলিম)
এমতাবস্থায়, আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গন এই যিওনিস্ট ইহুদীর ছোবল, আক্রমণ, আগ্রাসন হতে পুনরুদ্ধার ও আত্মরক্ষার জন্য- যে কোন অবস্থায়, যেখানে-সেখানে, যে কোন পরিস্থিতিতেই, এই নাপাক ইহুদী ও তাদের মিত্রদের সকল আমোদপ্রিয় কুবাসনা, তাদের লক্ষ্যবস্তুতে চরম আঘাত হানার- সর্বজনীন মুসলমান এবং বিশেষ করে বাইত আল-মাকদিস সংলগ্নে আমাদের ভাইদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। যারা নিজেরাই পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়েছেন, যারা নিজেরাই সেই বীররা অপারেশনগুলোর দুর্দান্ত কার্যকারিতা পরলক্ষিত ও তাদের আত্মক্ষমতার পরিচয় বহন করেছেন, আল্লাহ্* তায়ালার শত্রুদের উপর চরম দুরদান্তভাবে আঘাত হেনেছেন, তাদের নিরাপত্তা ও অর্থনীতি মারাত্মকভাবে গুড়িয়ে দিয়েছেন, এই সেই সব সাহসীদের কর্মক্ষেত্র অনুকরণে- আমরা আমাদের ভাইদের প্রতি এই সুপারিশ জানাই। সুতরাং, এই পৃথিবীর চেয়েও উচ্চতর ও জান্নাতসমূহের প্রশস্ত সেই জান্নাতটির দিকে ধাবিত হও। তোমাদের নীতি ও স্লোগান হোকঃ
“অতএব তুমি আল্লাহ্*র পথে লড়াই করো, তোমাকে শুধু তোমার কাজকর্মের জন্যই দায়ী করা হবে”। (আন নেসাঃ ৮৪)
জেনে রাখুন, আল-আকসা ও মুসলমানদের দখলকৃত অন্যান্য ভূমিসমূহ এই আগ্রাসী ইহুদীদের আগ্রাসন, তাদের ছোবল থেকে রক্ষা করতে, ভূমি পুনর্দখলে- সঠিক ব্যক্তিত্ব, শিরক ও অবিশ্বাসী মুক্ত-উড্ডীয়মান সঠিক পবিত্র ঝাণ্ডার ছায়াতলে যুদ্ধ ছাড়া, সশস্ত্র জ্বিহাদ ব্যতীত অন্য কোন উত্তম পন্থা নেই। আরও জেনে রাখুন, জোরপূর্বক বলপ্রয়োগে যা কিছু ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা সেই বলপ্রয়োগবিহীন পুনরুদ্ধার বা হাসিল করা সম্ভব নয়। সুতরাং, বিচ্ছিন্নভাবে বা দলগত একত্রে, আল্লাহ্* তায়ালার খাতিরে, তাঁর খেদমতে, দৃঢ়তার সহিত জ্বিহাদের সারিতে দাঁড়িয়ে পরো। কেনোনা এটিই হচ্ছে বিশ্ব জাহানে তোমার একমাত্র বিজয় ও গৌরব এবং আখেরাতের মহিমান্বিত সাফল্য। আল্লাহ্* তায়ালার আদেশ ও হুকুম মেনে চলুনঃ
“তোমরা সদর দরজা দিয়ে তাদের জনপদে প্রবেশ করো, আর একবার সেখানে প্রবেশ করলেই তোমরা বিজয়ী হবে, তোমরা যদি (সত্যিকার অর্থে) মুমীন হও তাহলে আল্লাহ্*র উপরই ভরসা করো”। (আল মায়েদাঃ ২৩)
জেনে রাখুন, এই বিশ্ব জমিনে প্রত্যেক ইহুদীদের রক্ত ও তার সম্পদ অনুমোদিত এবং ঈমান অথবা আমান ব্যতীত তার রক্তের ও সম্পদের কোন মূল্য বা নিরাপত্তা নেই। ন্যায়সঙ্গতভাবে, সর্বজনীন সেই একমাত্র লক্ষ্যবস্তু বা টার্গেট, হোক সে অস্ত্রধারী বা অস্ত্রবিহীন। যিনি যুদ্ধের যে কোন কলাকৌশল অনুকরণে, যে কোন প্রকার অস্ত্র দ্বারাই এই ইহুদীদের বিরুদ্ধে লড়ে- সেই একজন প্রকৃত মুজাহিদ, আল্লাহ্* তায়ালার করুণা বা অনুমোদনে সেই একজন শহীদ।
শেইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ বলেনঃ যে কাফের মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তা যেকোনো ধরণের যুদ্ধ ক্ষেত্র হোক না কেন –তা হারবি (অর্থাৎঃ সে প্রাথমিকভাবেই মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত)। এবং মুসলমানদের মধ্যে যে তার তলোয়ার, ধনুক, তীর-বর্শা, পাথর অথবা লাঠি-ঝাণ্ডার সহায় কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত, সে আল্লাহ্* তায়ালার পথে একজন মুজাহিদ।
যারা বিচ্ছিন্নভাবে সম্পদ এবং সরঞ্জামের সংকট থাকা সত্ত্বেও এই পরিস্থিতিতে ইহুদী সেনা ও তাদের স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে সম্প্রতি অভিযান চালিয়েছেন, দ্বীনের সমর্থন ও রক্ষার্থে অসাধারণ একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন, আমরা সেই সকল মুজাহিদীন ভাইদের প্রতি আমাদের সমর্থন ও অভিনন্দনবাদ জানাই। দ্বীন ইসলাম ও মুসলামানদের হতে আল্লাহ্* তায়ালা তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
পরিশেষে, ভয়াল নৃশংস বিমান দ্বারা গোলাবর্ষণে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আগ্রাসী কুফফরদের দ্বারা, নুসাইরি গোষ্ঠী ও তাদের মিত্র রাশিয়ান কুফফরদের দ্বারা ভূমধ্যসাগরের যেই মুসলমানেরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্তের সম্মুখীন হয়েছেন, আল্লাহ্* তায়ালা তাদের যন্ত্রণা ও বেদনাসমূহ লাঘব করুন, এই দোয়ায় আমরা করি। আমরা তাদেরকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানাচ্ছি। কেবল আর খানিকটা দিনই অতিবাহিত হওয়ার, তারপর বিজয় ও আধিপত্য তোমাদেরই। যদি তোমরা অধ্যবসায়ী, অটল থাকো, আল্লাহ্* কে ভয় করো, আল্লাহ্*র পথে জ্বিহাদ চালিয়ে যাও। আল্লাহ্* তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলছেনঃ
“যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ করতে পারো এবং আল্লাহ্*কে ভয় কর, তাহলে তাদের চক্রান্ত (ষড়যন্ত্র) তোমাদের কিছুই ক্ষতি করতে পারবে না; নিশ্চয় আল্লাহ্* তায়ালা তাদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিবেষ্টন করে আছেন”। (আল ইমরানঃ ১২০)
(এবং সম্মান আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল (সাঃ) এবং বিশ্বাসী বান্দাদের জন্য কিন্তু মুনাফিকরা তা জানে না)
প্রেস অফিস
হারকাত আল শাবাব আল-মুজাহিদীন
http://anonym.to/?https://pbs.twimg....M6WoAAqmz8.jpg
সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ্* তায়ালার এবং শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক মুমিনদের প্রতি এবং সর্বশেষ নবী মোহাম্মাদ, তাঁর পরিবারবর্গ ও তাঁর অনুসারীদের উপর, যিনি পবিত্র মসজিদ হতে হিজরতের মাধ্যমে গমন করেছিলেন আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনে। এবং এ দ্বারা অনুসরণেঃ
আল্লাহ্* সর্বশ্রেষ্ঠ সুমহান বলছেনঃ
“সে ব্যক্তির চেয়ে বড় যালেম আর কে আছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ্*র (ঘর) মসজিদে তাঁর নাম স্মরণ করতে বাধা দেয় এবং তার ধ্বংস সাধনে সচেষ্ট হয়, এ ধরণের লোকদের তো তাতে প্রবেশের কোন যোগ্যতাই নেই, তবে একান্ত ভীত সন্ত্রস্তভাবে প্রবেশ করলে তা ভিন্ন কথা, তাদের জন্যে পৃথিবীতে যেমন অপমান লাঞ্চনা রয়েছে, তেমনি রয়েছে পরকালে কঠিনতম শাস্তি”। (আল বাকারাঃ ১১৪)
আমরা আমাদের ভারী আত্মা দ্বারা পরিলক্ষিত করে চলেছি কীভাবে এই বানর, শুকরেরা ইহুদীদের নাতি পুতিরা পবিত্র রহমত এর অবস্থান আল-আকসা মসজিদে আঘাত হেনেছে। রহমতের পবিত্র জমিনের প্রত্যেকটি অঙ্গকে তাদের নাপাকি দ্বারা অপবিত্র করেছে। এবং আমাদের মুসলিম পরিবারদের উপর যুলুম-অত্যাচার, মারধোর, অপমান হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে পবিত্র এই জমিনে তাদের অপকর্ম, অপরাধের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এবং মহান আল্লাহ্* তায়ালা তাদের সম্পর্কে সুস্পষ্ট সত্যটিই বলেছেন, আল্লাহ্* তায়ালা বলছেনঃ
“অবশ্যই তোমরা ইমানদারদের সাথে শত্রুদের ব্যাপারে ইহুদী ও মোশরেকদেরই বেশী কঠোর দেখতে পাবে”। (আল মায়েদাঃ ৮২)
আল-আকসা মসজিদের এই ইস্যু এবং বাইত আল-মাকদিসএর সংলগ্ন মুসলমানদের ভূমি দখলে নেওয়ার ব্যাপারটি বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি চিন্তাশীল বিষয়। এটি কোন জাতীয়তা, সাংস্কৃতিক, নৃতাত্ত্বিক কোন পর্যালোচনার ইস্যু নয়। সুতরাং, সেই রহমতের ভূমীতে মুসলমান ভাইদেরকে সকল ধরণের সাহায্য, সহায়তা প্রদানে, তাদের জন্য এগিয়ে আসা সকল মুসলিম উম্মাহর জন্য অতি আবশ্যকীয় দায়িত্ব হয়ে দাড়ায়। আমাদের মর্যাদাপূর্ণ নবী মোহাম্মদ (সাঃ) বলেনঃ
তুমি মুমিনদেরকে তাদের পারস্পরিক সহানুভূতি এবং বন্ধুত্ব ও দয়ার ক্ষেত্রে একটি দেহের মতো দেখবে।যখন দেহের কোন একটি অঙ্গ ব্যথা পায়,তখন শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এর কারণে রাত জাগরণ ও জ্বরের মাধ্যমে তার ব্যথায় সমঅংশীদার হয়।(বুখারী ও মুসলিম)
এমতাবস্থায়, আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গন এই যিওনিস্ট ইহুদীর ছোবল, আক্রমণ, আগ্রাসন হতে পুনরুদ্ধার ও আত্মরক্ষার জন্য- যে কোন অবস্থায়, যেখানে-সেখানে, যে কোন পরিস্থিতিতেই, এই নাপাক ইহুদী ও তাদের মিত্রদের সকল আমোদপ্রিয় কুবাসনা, তাদের লক্ষ্যবস্তুতে চরম আঘাত হানার- সর্বজনীন মুসলমান এবং বিশেষ করে বাইত আল-মাকদিস সংলগ্নে আমাদের ভাইদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। যারা নিজেরাই পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়েছেন, যারা নিজেরাই সেই বীররা অপারেশনগুলোর দুর্দান্ত কার্যকারিতা পরলক্ষিত ও তাদের আত্মক্ষমতার পরিচয় বহন করেছেন, আল্লাহ্* তায়ালার শত্রুদের উপর চরম দুরদান্তভাবে আঘাত হেনেছেন, তাদের নিরাপত্তা ও অর্থনীতি মারাত্মকভাবে গুড়িয়ে দিয়েছেন, এই সেই সব সাহসীদের কর্মক্ষেত্র অনুকরণে- আমরা আমাদের ভাইদের প্রতি এই সুপারিশ জানাই। সুতরাং, এই পৃথিবীর চেয়েও উচ্চতর ও জান্নাতসমূহের প্রশস্ত সেই জান্নাতটির দিকে ধাবিত হও। তোমাদের নীতি ও স্লোগান হোকঃ
“অতএব তুমি আল্লাহ্*র পথে লড়াই করো, তোমাকে শুধু তোমার কাজকর্মের জন্যই দায়ী করা হবে”। (আন নেসাঃ ৮৪)
জেনে রাখুন, আল-আকসা ও মুসলমানদের দখলকৃত অন্যান্য ভূমিসমূহ এই আগ্রাসী ইহুদীদের আগ্রাসন, তাদের ছোবল থেকে রক্ষা করতে, ভূমি পুনর্দখলে- সঠিক ব্যক্তিত্ব, শিরক ও অবিশ্বাসী মুক্ত-উড্ডীয়মান সঠিক পবিত্র ঝাণ্ডার ছায়াতলে যুদ্ধ ছাড়া, সশস্ত্র জ্বিহাদ ব্যতীত অন্য কোন উত্তম পন্থা নেই। আরও জেনে রাখুন, জোরপূর্বক বলপ্রয়োগে যা কিছু ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা সেই বলপ্রয়োগবিহীন পুনরুদ্ধার বা হাসিল করা সম্ভব নয়। সুতরাং, বিচ্ছিন্নভাবে বা দলগত একত্রে, আল্লাহ্* তায়ালার খাতিরে, তাঁর খেদমতে, দৃঢ়তার সহিত জ্বিহাদের সারিতে দাঁড়িয়ে পরো। কেনোনা এটিই হচ্ছে বিশ্ব জাহানে তোমার একমাত্র বিজয় ও গৌরব এবং আখেরাতের মহিমান্বিত সাফল্য। আল্লাহ্* তায়ালার আদেশ ও হুকুম মেনে চলুনঃ
“তোমরা সদর দরজা দিয়ে তাদের জনপদে প্রবেশ করো, আর একবার সেখানে প্রবেশ করলেই তোমরা বিজয়ী হবে, তোমরা যদি (সত্যিকার অর্থে) মুমীন হও তাহলে আল্লাহ্*র উপরই ভরসা করো”। (আল মায়েদাঃ ২৩)
জেনে রাখুন, এই বিশ্ব জমিনে প্রত্যেক ইহুদীদের রক্ত ও তার সম্পদ অনুমোদিত এবং ঈমান অথবা আমান ব্যতীত তার রক্তের ও সম্পদের কোন মূল্য বা নিরাপত্তা নেই। ন্যায়সঙ্গতভাবে, সর্বজনীন সেই একমাত্র লক্ষ্যবস্তু বা টার্গেট, হোক সে অস্ত্রধারী বা অস্ত্রবিহীন। যিনি যুদ্ধের যে কোন কলাকৌশল অনুকরণে, যে কোন প্রকার অস্ত্র দ্বারাই এই ইহুদীদের বিরুদ্ধে লড়ে- সেই একজন প্রকৃত মুজাহিদ, আল্লাহ্* তায়ালার করুণা বা অনুমোদনে সেই একজন শহীদ।
শেইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ বলেনঃ যে কাফের মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তা যেকোনো ধরণের যুদ্ধ ক্ষেত্র হোক না কেন –তা হারবি (অর্থাৎঃ সে প্রাথমিকভাবেই মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত)। এবং মুসলমানদের মধ্যে যে তার তলোয়ার, ধনুক, তীর-বর্শা, পাথর অথবা লাঠি-ঝাণ্ডার সহায় কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত, সে আল্লাহ্* তায়ালার পথে একজন মুজাহিদ।
যারা বিচ্ছিন্নভাবে সম্পদ এবং সরঞ্জামের সংকট থাকা সত্ত্বেও এই পরিস্থিতিতে ইহুদী সেনা ও তাদের স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে সম্প্রতি অভিযান চালিয়েছেন, দ্বীনের সমর্থন ও রক্ষার্থে অসাধারণ একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন, আমরা সেই সকল মুজাহিদীন ভাইদের প্রতি আমাদের সমর্থন ও অভিনন্দনবাদ জানাই। দ্বীন ইসলাম ও মুসলামানদের হতে আল্লাহ্* তায়ালা তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
পরিশেষে, ভয়াল নৃশংস বিমান দ্বারা গোলাবর্ষণে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আগ্রাসী কুফফরদের দ্বারা, নুসাইরি গোষ্ঠী ও তাদের মিত্র রাশিয়ান কুফফরদের দ্বারা ভূমধ্যসাগরের যেই মুসলমানেরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্তের সম্মুখীন হয়েছেন, আল্লাহ্* তায়ালা তাদের যন্ত্রণা ও বেদনাসমূহ লাঘব করুন, এই দোয়ায় আমরা করি। আমরা তাদেরকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানাচ্ছি। কেবল আর খানিকটা দিনই অতিবাহিত হওয়ার, তারপর বিজয় ও আধিপত্য তোমাদেরই। যদি তোমরা অধ্যবসায়ী, অটল থাকো, আল্লাহ্* কে ভয় করো, আল্লাহ্*র পথে জ্বিহাদ চালিয়ে যাও। আল্লাহ্* তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলছেনঃ
“যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ করতে পারো এবং আল্লাহ্*কে ভয় কর, তাহলে তাদের চক্রান্ত (ষড়যন্ত্র) তোমাদের কিছুই ক্ষতি করতে পারবে না; নিশ্চয় আল্লাহ্* তায়ালা তাদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিবেষ্টন করে আছেন”। (আল ইমরানঃ ১২০)
(এবং সম্মান আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল (সাঃ) এবং বিশ্বাসী বান্দাদের জন্য কিন্তু মুনাফিকরা তা জানে না)
প্রেস অফিস
হারকাত আল শাবাব আল-মুজাহিদীন
http://anonym.to/?https://pbs.twimg....M6WoAAqmz8.jpg
Comment