মুষ্টিমেয় মুজাহিদদের অভিযানে অন্তত ২৮ জায়োনিস্ট সৈন্য হতাহত: ধ্বংস ৬টি সাঁজোয়া যান
সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কাসসাম ব্রিগেড গত গত ১৬ নভেম্বর রাতে ৫ মিনিটের দীর্ঘ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওটিতে এদিন গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে জায়োনিস্ট ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুজাহিদদের সর্বশেষ হামলার চিত্রগুলি ধারণ করা হয়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, গত শনিবার গাজার উত্তরাঞ্চলে বিশেষ করে জাবালিয়ায়, আল-কাসসাম ব্রিগেডের বীর যোদ্ধারা জায়োনিস্ট বাহিনীর মারকাভা ট্যাংক, সামরিক বুলডোজার এবং সাঁজোয়া কর্মী বাহকগুলোকে (এপিসি) কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট দিয়ে সফলভাবে লক্ষ্যবস্তু করছেন।
এদিন সবাইকে অবাক করে দিয়ে একজন আহত মুজাহিদকে দেখা যায়, তিনি একটি বিস্ফোরক ডিভাইস নিজের আহত হাত নিয়ে জায়োনিস্ট বাহিনীর একটি মারকাভা-৪ ট্যাংককের গায়ে স্থাপন করছেন এবং তার সফল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। অথচ জায়োনিস্ট বাহিনীর চালকবিহীন আকাশযানের (ড্রোন) কারণে এ ধরনের সামরিক যানের কাছে পৌঁছানোও অত্যন্ত কঠিন। সেই সাথে এধরণের সজ্জিত ট্যাংকগুলো সব ধরনের সুযোগ সুবিধা এবং অত্যাধুনিক ক্ষমতাসম্পন্ন।
আল-কাসসাম ব্রিগেডের পরিচালিত সর্বশেষ অভিযানগুলো নিয়ে প্রকাশিত ভিডিওটিতে আরও দেখা গেছে যে, মুজাহিদিনরা জায়োনিস্ট বাহিনীর ৩টি মারকাভা-৪ ট্যাংক, ২টি বুলডোজার এবং একটি APC যানকে আল-ইয়াসিন ১০৫ রকেট দ্বারা সফলভাবে টার্গেট করেছেন। এতে সাঁজোয়া যানগুলো ধ্বংসের পাশাপাশি জায়োনিস্ট বাহিনীর কমপক্ষে ২৮ সৈন্য হতাহত হয়েছে।
সামরিক বিশেষজ্ঞ ও অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ফয়েজ আল-দুওয়ারি আল জাজিরা টেলিভিশনে তার বক্তব্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হতাহতের বিষয়ে বলেন, আল-কাসসামের হামলার লক্ষ্যবস্তু এধরণের একটি এপিসি ১১ জন সৈন্যকে বহন করে, আর একটি ট্যাংক অন্তত চারজন সৈন্যকে বহন করে এবং এই সংখ্যা ১০ পর্যন্তও হতে পারে। এমনিভাবে একটি বুলডোজারে ২ জন সৈন্য পর্যন্ত অবস্থান করে থাকে। সে হিসাবে শনিবারে মুজাহিদদের পরিচালিত অভিযানে কয়েক ডজন ইসরায়েলি সৈন্য হতাহত হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গাজার উত্তরাঞ্চল এমন একটি অঞ্চল, যা জায়োনিস্ট ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। আর এই ধ্বংসাবশেষের মধ্য থেকেই কয়েকটি রকেট নিয়ে মুষ্টিমেয় মুজাহিদরা দখলদার ইসরাইলের সর্বাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।