আনুষ্ঠানিকভাবে হামা সিটির কেন্দ্রীয় শহর
ও বিমান ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন মুজাহিদিনরা
ও বিমান ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন মুজাহিদিনরা

সিরিয়ার ১৩টি প্রতিরোধ বাহিনীর দ্বারা শুরু করা “রদ্দুল উদওয়ান” অপারেশনের মাধ্যমে আজ ৫ ডিসেম্বর হামা সিটির কেন্দ্রীয় শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন মুজাহিদিনরা।
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় ইদলিব এবং আলেপ্পোতে সামরিক অভিযান শেষে গত ১ ডিসেম্বর দুপুরের পর মুজাহিদিনরা হামা সিটির দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেন। এরপর টানা ৪ দিন ব্যাপক সামরিক অভিযানের মাধ্যমে গত ৪ ডিসেম্বর রাতে হামা সিটির কেন্দ্রীয় শহরের উপকণ্ঠে এসে পৌঁছান মুজাহিদিনরা। এদিন শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত শত্রু বাহিনীর প্রধান দু’টি সামরিক ঘাঁটি এবং ৪টি শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় শহরকে তিন দিক থেকে অবরোধ করে ফেলেন মুজাহিদিনরা।
আর ৫ ডিসেম্বর দুপুর নাগাদ, মুজাহিদিনরা শহরের ৬টি প্রধান সড়কের নিয়ন্ত্রণ নেন, ফলে হামায় শত্রু বাহিনীর স্থল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরে মুজাহিদিনরা শহরের কেন্দ্রীয় কারাগারের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন এবং কয়েক ঘন্টার তীব্র লড়াইয়ের পর বিকাল বেলায় কেন্দ্রীয় কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় মুজাহিদিনরা কারাগার থেকে ৩০০ নিরপরাধ বন্দীকে মুক্ত করেন।
বিজয়ের এই ধারাবাহিকতায় মুজাহিদিনরা সন্ধ্যার আগেই কেন্দ্রীয় শহরকে অবরোধ করতে সক্ষম হন। আর সন্ধ্যার পর ঝড়ের গতিতে মুজাহিদিনরা শহরের কেন্দ্রীয় অঞ্চলগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকেন। এসময় আসাদ বাহিনী সামরিক হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তাদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের শহর থেকে সরিয়ে নিতে থাকে, যখন মুজাহিদিনরা ১টি হেলিকপ্টারকে ভূপাতিত করতে সক্ষম হন এবং অন্য একটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেন। এমন পরিস্থিতিতে শহরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আসাদ সৈন্যরা ভয়ে শহর ছেড়ে পালিয়ে যেতে থাকে। সেনাদের এই পলায়নের মধ্য দিয়েই মুজাহিদিনরা হামা সিটির বিমান ঘাঁটি এবং পুলিশ সদর দফতরের নিয়ন্ত্রণ নেন। আর এভাবেই মুজাহিদিনরা হামা সিটির পুরো কেন্দ্রীয় শহর আসাদ বাহিনী থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মুজাহিদিনরা এখন হামা সিটির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং শহরের অন্যান্য অংশের নিয়ন্ত্রণ নিতে সামনে অগ্রসর হচ্ছেন।