Announcement

Collapse
No announcement yet.

তালেবান কি আমেরিকার তৈরি?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তালেবান কি আমেরিকার তৈরি?

    ঘরকুনো আনাড়ি গবেষকদের চোখে আফগানিস্তান - সিরিয়া সহ যেখানেই মুসলিম বিদ্রোহীরা ক্ষমতাপ্রাপ্ত হচ্ছে, সেখানে অবশ্যই রাশিয়া বা পশ্চিমাদের মদদ রয়েছে; নতুবা এহেন গুহাবাসী, যারা দাড়ি কামানোর জন্য একটা ধারালো ব্লেডের যোগান পায় না, তাদের পক্ষে পরাশক্তির পুতুল প্রতিনিধিকে পরাস্ত করা অবশ্যই অবাস্তব ঘটনা হবে। তাদের অলস মস্তিষ্কের সরল সমীকরণে আপনার অস্বীকৃত মিডিয়ার খবর উদ্দেশ্যমূলক ও অসত্য বলে প্রত্যাখ্যাত। মফস্বলের বিশ্লেষকরা দীর্ঘদিন ধরে বিতৃষ্ণার উদ্রেক করলেও এবং জবাব দেয়া নিষ্প্রয়োজন হলেও ব্যস্ত মুমিনদের অস্বস্তিকর সন্দেহ নিরসনে কিছু সরল যুক্তি লিখব স্থির করলাম। অভিজ্ঞ ভাইয়েরা কোন ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দিবেন প্রত্যাশা করছি।
    আপনার শ্রোতাকে শুরুতেই এই বাস্তবতা বুঝিয়ে দিন যে, ইতিহাস নির্ভরযোগ্য না। আল কায়দা ও তালেবান 1980 সালের কিছু পর পর্যন্ত হয়তো মদদপুষ্ট হয়েছিল বলে গুজব আছে। কিন্তু সত্য মিথ্যা কে জানে? জুলাই অভ্যুত্থানের আগে শাপলা চত্বরের হত্যাযজ্ঞও অনেকের কাছে ধোয়াশা ছিল। 1971 সালের নিহতের সংখ্যা 3 লক্ষ নাকি 30 লক্ষ তা নিয়ে তো ডজনখানেক বই বিদ্যমান।
    সুতরাং আমাদের রেফারেন্স গাণিতিক সংখ্যার নিরেট ভিত্তির উপর নিয়ে আসা উচিত; যা একইসাথে সুস্পষ্ট এবং স্বত:সিদ্ধ।
    আফগান যুদ্ধে আমেরিকার ব্যয় হয়েছে 2 ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। https://www.politifact.com/factcheck...ghan-military/
    ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী, যার 1.5 trillion ব্যয় ছিল তালেবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে। https://watson.brown.edu/costsofwar/files/cow/imce/papers/2016/Costs%20of%20War%20through%202016%20FINAL%20final% 20v2.pdf
    গবেষণা অনুযায়ী দেড় ট্রিলিয়ন ব্যয় করে লাভ হয় নি। কারণ 2016 সালের রিপোর্টেই বলা হয়েছে অধিকাংশ ভূখণ্ড তালিবানের দখলে। (উল্লেখ্য 2021 এর রিপোর্টে 14 ট্রিলিয়ন ব্যয় হয়েছে বলে হিসাব দেখানো হয়েছে https://watson.brown.edu/costsofwar/...1/ProfitsOfWar )
    যুদ্ধাহত সেনারা 2059 পর্যন্ত বেচে থাকলে এবং সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে থাকলে, এই ব্যয় আরও বাড়বে।
    2022 সালে উগ্রবাদী rand এর গবেষণায় দাবি করা হয়, যুদ্ধের সময় বন্ধু সরকারের উপস্থিতি বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করে। কিন্তু তাদের গবেষণায় সামগ্রিক মুনাফার হিসাব নেই। মানে, শুধু বাণিজ্যের উপর সামগ্রিক লাভ-ক্ষতির ধারণা পাওয়া যায় না। সামগ্রিক লাভ-ক্ষতির একটা খসড়া গাণিতিক মডেল তারা প্রস্তুত করেছে, কিন্তু সেটা এখনো চূড়ান্ত মডেল বলে গৃহীত হয় নি। https://www.rand.org/pubs/research_r.../RRA739-5.html
    rand এর গবেষণা থেকে লক্ষণীয়:
    1। যদি কথিত পুতুল যোদ্ধা গোষ্ঠী ব্যবহার করে আমেরিকা উল্লেখযোগ্যভাবে লাভবান হত, তাহলে তা পরিমাণযোগ্য হত। যদি এই কল্পিত মুনাফা ব্যয়কৃত 14 ট্রিলিয়নের কাছাকাছি হত তাহলে তা গবেষকদের হিসাব করতে গাণিতিক মডেল প্রস্তাব করতে হত না। গবেষণা ছাড়াই তা অনুমেয় হত।
    2। পরিণামদর্শী, সুবিবেচক, সুপার কম্পিউটার মডেলিং ও সিমুলেশন ব্যবহারকারী আমেরিকা, কোন প্রকার সমীক্ষা ছাড়াই অহংকার এবং হঠকারিতা বশত: উন্মাদপ্রায় হয়ে আফগান আক্রমণ করেছে।
    আরও কিছু ব্যাপার-
    1। আফগানে পরাজিত হবার পরেই রাশিয়া ইউক্রেন দখল করেছে। কারণ রাশিয়া বুঝেছে যে, এখন আমেরিকার পক্ষে আর রাশিয়াকে প্রতিরোধের ক্ষমতা নেই।
    2। ইসরাইল এতদিন প্রভু আমেরিকার উপর ভর করে লোকসান পুষিয়ে নিলেও 2023 এর অক্টোবর থেকে আর পোষাতে পারবে না বলে গবেষকরা দাবি করেছিল। https://apnews.com/article/israel-ec...599afe4952f2c7
    সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী তা সত্য প্রতিপাদিত হয়েছে। https://www.cnn.com/2024/10/04/econo...act/index.html
    3। আমেরিকা যুদ্ধের খরচ যোগাতে 500 বিলিয়নের বেশি ব্যাংক ঋণ নিয়েছে। যা সুদ সহ ফেরত দিতে হবে।
    4। কোন বিকারগ্রস্ত লোক ভাবতে পারে, অন্তত রাশিয়া লাভবান হয়েছে। কিন্তু সিরিয়া বিজয় তা অপনোদন করে। যদি সংঘাত শুধু আমেরিকা - রাশিয়া দ্বারা ব্যাখ্যাযোগ্য হয়, তাহলে আমেরিকার 14 ট্রিলিয়ন ক্ষতিতে রাশিয়ার অন্তত 5 ট্রিলিয়ন লাভ হওয়া উচিত এবং অন্তত 10 বছর যুদ্ধ চালিয়ে যাবার সক্ষমতা তৈরি হওয়া উচিত। কিন্তু সাম্প্রতিক রিপোর্ট সম্পূর্ণ ভিন্ন। 2023 সালে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় রাশিয়ার অর্থনৈতিক ধ্বসের আভাষ দেয়া হয়। https://insights.som.yale.edu/insigh...elf-immolating
    সাম্প্রতিক গবেষণায় তা প্রমাণিতও হয়েছে। https://theweek.com/world-news/russi...nd-war-ukraine
    ইউক্রেন এমন বিষফোড়া হয়ে দাড়িয়েছে যে, আমেরিকার সাহায্য ছাড়া ইউক্রেন টিকে থাকবে না। এদিকে ইসরাইলের জন্য যথেষ্ট করতে পারছে না। https://www.bbc.com/news/articles/cn4x9gz4ylwo
    সার্বিক বিবেচনায় প্রধান পরাশক্তিগুলোকে পিছনের মূল খেলোয়াড় বলা যায় না। এখানে তৃতীয় সত্বা লাভবান বা প্রকৃত বিজয়ী। আশাকরি, এতটুকু আলোচনা যথেষ্ট হবে।

  • #2
    গায়র-মসুলিমরা তো আল্লাহর সিপাহিদের কামিয়াবিকে কোনো দিনই স্মীকার করবে না স্বাভাবিক। কিন্তু নামধারী মুসলিমরা, যারা বিলকুল কোনো গ্রাউন্ড রিয়েলিটি জানেনা, তালেবান বা একিউ-এর সানিধ্য পায়নি বা নিজে তাদের সূচনার ইতিহাসের সাক্ষী হয়নি, একটি খালেস ইসলামী আন্দোলন কোন ধরনের মানুষ সূচনা করে ও পরিচালনা করে; এর উপরে যাদের বিন্দু পরিমাণ জ্ঞান নেই, জিহাদি আন্দোলনের ময়দানে যারা এলিয়েন, মুজাহিদীনের ডিপ্লোমেসি ও স্ট্রাটেজির পরিপক্বতা সম্পর্কে যাদের ধারনা পক্ষপাতিদুষ্ট, মুমিনের ফারাসাত-এর উচ্চতার যাদের কোনো অনুমানই নেই, সর্বোপরি যারা মুজাহিদীনের কাফেলা থেকে বিচ্ছিন্ন...কেবল সেই সকল অশিক্ষিত ও অর্ধ-শিক্ষিতরাই তালেবান ও অন্যান্য খালেস জিহাদি তানযীমের ব্যাপারে এই ধরনের কন্সপাইরেসি থিউরিতে বিশ্বাস করতে পারে। Caravan moves forward, dogs bark!!

    Comment

    Working...
    X