Announcement

Collapse
No announcement yet.

ফটো রিপোর্ট: দারুল উলুম দেওবন্দে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঐতিহাসিক সফর

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ফটো রিপোর্ট: দারুল উলুম দেওবন্দে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঐতিহাসিক সফর

    ফটো রিপোর্ট: দারুল উলুম দেওবন্দে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঐতিহাসিক সফর






    ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মৌলভি আমির খান মুত্তাকি হাফিযাহুল্লাহ গত ১১ অক্টোবর ভারত সফরের অংশ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহাসিক ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র ‘দারুল উলুম দেওবন্দ’ পরিদর্শন করেন। এ সময় মৌলভি আমির খান মুত্তাকী দেওবন্দে পৌঁছালে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক ও স্থানীয় জনগণ তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এবং হাজার হাজার ছাত্র নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবার স্লোগানের মাধ্যমে তাঁকে স্বাগত জানান।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী মৌলভি আমির খান মুত্তাকি তাঁর সফর সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যাত্রা খুবই ভালো হয়েছে। শুধু দারুল উলুমের লোকেরাই নয়, আশেপাশের এলাকার অসংখ্য মানুষও আমাকে স্বাগত জানাতে এসেছেন। তারা আমাকে যে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন তার জন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। এই উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য আমি দেওবন্দের উলামা এবং এলাকার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞ। ভারত-আফগানিস্তান সম্পর্কের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল বলে মনে হচ্ছে।

    এ সময় তিনি দারুল উলুমের মুহতামিমসহ শীর্ষ আলেমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং দারুল হাদিস বিভাগে একটি দরস প্রদান করেন। দারুল উলুম দেওবন্দের ঐতিহাসিক ভূমিকা ও অবদানের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘দেওবন্দ শুধু ভারতের নয়, বরং সমগ্র ইসলামী বিশ্বের জন্য একটি পথপ্রদর্শক প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে যে চিন্তা ও শিক্ষা ছড়িয়ে পড়েছে, তা আফগানিস্তানসহ বহু দেশে ইসলামী চেতনার পুনর্জাগরণ ঘটিয়েছে।’

    দেওবন্দ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সম্মাননা স্মারক ও দারুল উলুম দেওবন্দের প্রধান মুফতি আবুল কাসিম নোমানি হাফিযাহুল্লাহ আমির খান মুত্তাকি হাফিযাহুল্লাহকে পাগড়ি পরিয়ে বিশেষ সম্মান প্রদান করেন।

    আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দারুল উলুম দেওবন্দ সফরের দৃশ্য ছবিতে দেখুন:



    তথ্যসূত্র:
    1. https://tinyurl.com/mv5z628v
    ​​
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    দারূল উলুম দেওবন্দ মাদরাসা স্রেফ সাধারণ আরেকটি মাদরাসা নয়। দারূল উলুম দেওবন্দকে পৃথিবীর বুকে আরবি ভাষায় 'উম্মুল মাদারিস' তথা 'সকল মাদরাসার মা' বলে অভিহিত করা হয়। বাংলাদেশের দারূল উলুম হাটহাজারী ও পাকিস্তানের দারূল উলুম করাচির মতো শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান দারূল উলুম দেওবন্দের পথ অনুসরণ করে থাকে। যার অর্থ হলো, দারূল উলুম দেওবন্দ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও পৃথিবীর বিস্তীর্ণ প্রান্তরে, মহাদেশে ছড়িয়ে থাকা লক্ষ লক্ষ মুসলিম স্কলারদের কাছে বিচারের মাপকাঠি হিসাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যা তাঁরা অগণিত বার প্রমাণ করেও দেখিয়েছেন। তাঁদের চোখে দারূল উলুম দেওবন্দ যা করবে, সেটি মূল অনুসরণীয়।

    পাকিস্তানের সাথে আফগানিস্তানের যে লড়াই, সেখানে আফগানরা বুঝতে পেরেছিল যে, অস্ত্রের জোরে তারা এখানে সেভাবে সুবিধা করতে পারবে না। তাদের পাকিস্তানের জনসাধারণকে পক্ষে আনতে হবে। আর, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ স্কলারদের কথায় চলে। সমস্যা হলো, পাকিস্তানের বড় মুসলিম স্কলার, যেমন বিচারপতি মুফতি তাকি ঊসমানি Pakistan Army এর পক্ষে কথা বলে থাকেন। যার প্রভাব পাকিস্তানে অনেক বেশি। কিন্তু, মুফতি তাকি ঊসমানি সহ তার থেকেও বড় কোনো স্কলার সামনে এলেও তারা নিরূপায় হয়ে পড়বেন, যখন দারূল উলুম দেওবন্দ দৃশ্যত কারো পক্ষে চলে যাবে! কারণ, তারা সকলে নিজেদের দেওবন্দের সন্তান হিসাবে চিহ্নিত করে থাকেন।

    আবার আফগান তালিবানও নিজেদের দারূল উলুম দেওবন্দের সন্তান হিসাবে চিহ্নিত করে। অতএব, বিতর্ক এখানে কোন সন্তান মায়ের সত্যিকার প্রতিনিধিত্ব করছে তা নিয়ে। আর, তালিবান এখানে এসে কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছে। বিচারপতি মুফতি তাকি ঊসমানি হলেন উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় মুসলিম স্কলারদের অন্যতম। সেখানে স্কলার হিসাবে আফগান মন্ত্রী আমির খান মুত্তাকী তেমন পরিচিত কেউ নন। কিন্তু, তিনি স্রেফ তালিবানের প্রতিনিধি হওয়ার কারণে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধের সবচেয়ে প্রভাবশালী ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে সম্মান পেয়েছেন, তা ছিল ইতিহাসে অভূতপূর্ব। বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, তাঁকে সেখানে নায়কোচিত সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। দেওবন্দ তাঁকে আচমকা ঘরে ফিরে আসা হারানো সন্তানের মতো বরণ করে নিয়েছে। আর, কোনো মা যখন তাঁর একটি সন্তানকে এভাবে গ্রহণ করেন, তখন সে পরিবারের বাকিদের সামনে স্বাভাবিক কারণেই মায়ের মুখপাত্রে পরিণত হয়।

    এই বিষয়টি কতখানি কৌশলগত ছিল তার অনুমান এখান হতে করা যেতে পারে যে, গতকাল গভীর রাতে যখন Pakistan Armed Forces ও Afghanistan Army রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত, তখন সেদিকে ভ্রূক্ষেপ না করে আফগানিস্তান সরকারের Ministry of Information & Culture হতে তাদের সরকারের প্রধান মুখপাত্র দারূল উলুম দেওবন্দে আমির খান মুত্তাকীকে বরণ করে নেওয়ার ও দেওবন্দের মাটিতে দাঁড়িয়ে অগণিত ছাত্র আর শিক্ষকের সামনে তাঁর ভাষণ দেওয়ার দৃশ্য সম্প্রচার করছিল।

    কারণ, তারা তাদের অন্যতম মূল শক্তির স্থান নিরাপদ করে ফেলেছে। পাকিস্তানকে দীর্ঘমেয়াদি লড়াইয়ে হারিয়ে দিয়েছে। হয়তোবা এমনকি অস্তিত্বের সংকটে নিক্ষেপ করে দিয়েছে তাঁরা! কারণ, পাকিস্তানের সমস্ত Counter Terrorism (CT) ও Insurgency এর পরিকল্পনায় এখন পর্যন্ত মুসলিম স্কলাররা পাকিস্তান মুসলিম দেশ এবং তাদের বিরুদ্ধে লড়াই সমর্থন করা উচিত নয় বলে সমর্থন জুগিয়েছেন। পাকিস্তানের মানুষ তাদের সামরিক বাহিনী ও সরকারের ওপর বিতৃষ্ণ হলেও পাকিস্তানকে গতদিন নাগাদ পাকিস্তানের মুসলিম পরিচয়টি দেশটিকে একত্রিত করে রাখতে সমর্থ হয়েছিল। এটি ছিল চরম ঝড়ো হাওয়ার মাঝেও তাদের একত্রিত করে রাখা খুঁটি। কিন্তু, গতদিন দারূল উলুম দেওবন্দের আয়োজন পাকিস্তানের কাছ থেকে আফগানিস্তান প্রশ্নে আলোচ্য খুঁটিটি সজোরে কেড়ে নিয়ে গিয়েছে। এখন হতে পাকিস্তানের পক্ষে থাকা সকল পাকিস্তানি স্কলার চরম দ্বিধার মাঝে ভুগতে শুরু করার কথা। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ বিপরীতে চরম শক্তিশালী, দৃঢ়চেতা ও দ্বিধাহীন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকীর দারূল উলুম দেওবন্দ গমন পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভিত্তিতে এমন আঘাত হেনেছে, যা আজ পর্যন্ত পাকিস্তানের ওপর কেউ হানতে সমর্থ হয়নি। আমার কথা হাস্যকর মনে হলেও হয়তো আমরা ভবিষ্যৎ দিনগুলোয় তার নমুনা দেখতে চলেছি।

    ওদিকে ভারতের সরকারের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করে যাওয়ার দ্বারা দারূল উলুম দেওবন্দের জন্য ভবিষ্যতে সরাসরি আফগানিস্তানের সমর্থন দেওয়ার পথও উন্মুক্ত করে দিয়েছে কাবুল। যা আগে কস্মিনকালেও কল্পনা করা যেতো না। কারণ, এখন দিল্লির দৃষ্টিকোণ হতে এটি ভারতের স্বার্থের জন্য উপকারীতে পরিণত হয়েছে। যদিও কার্যত এখানে ভারতের নিয়ন্ত্রণ শূণ্য। এমনকি বুমেরাংও হয়ে যেতে পারে। ফলে, এই সুদূরপ্রসারী কৌশলগত তৎপরতার ফলাফল কোনদিকে গড়াবে, তা ধরতে পারা আমার পার্থিব জ্ঞানে সম্ভব নয়।​

    ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
    বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

    Comment


    • #3
      মা শা আল্লাহ

      Comment

      Working...
      X