Announcement

Collapse
No announcement yet.

আল কায়েদার মুজাহিদদের হামলায় প্রাপ্ত বার

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আল কায়েদার মুজাহিদদের হামলায় প্রাপ্ত বার

    আল কায়েদার মুজাহিদদের হামলায় প্রাপ্ত বারাকাহর বিবরণঃ অজয় রায় এর মুখেই শুনুন !!!

    .................................................. .....................................
    প্রথম আলো: স্যার, কেমন আছেন? অবসর কীভাবে কাটছে?

    অজয় রায়: কেমন আছি বুঝতে পারছি না। গতকাল শেরপুরে গিয়েছিলাম। সেখানে একজন স্থানীয় প্রবীণ ফটোসাংবাদিকের হাতে বিভিন্ন উপায়ে সংগ্রহ করা কিছু অর্থ দিয়ে এলাম। আসার পথে কয়েকজন ফোনে জানাল, দীপনকে মেরে ফেলা হয়েছে। ইশ্*! একের পর এক ওদের মেরে ফেলা হচ্ছে। আমরা ওদের রক্ষা করতে পারছি না।

    প্রথম আলো: আজ কী করবেন?

    অজয় রায়: সকাল থেকে বারবার বাইরে যেতে মন চাইছে। কিন্তু পরিবার থেকে আমাকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, বাইরে যাওয়াটা আমার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। আবুল কাসেম ফজলুল হকের সঙ্গে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করছি গতকাল থেকে। কিন্তু পাচ্ছি না। কী বা আর বলব? সেও আমার মতো এক হতভাগ্য বাবা। অভিজিতের বই প্রকাশ করার জন্য দীপনকে মরতে হলো। অভিজিতের বইয়ের আরেক প্রকাশক টুটুলও অল্পের জন্য বেঁচে গেছে। ওকেও দেখতে যাওয়া দরকার।

    প্রথম আলো: এই পরিস্থিতিতে আমরা কী করব?

    অজয় রায়: দেশটা তো রসাতলে চলে গেল। এখন আর চুপচাপ বসে থাকলে চলবে না। উনসত্তরের কথা মনে করতে হবে। ওই রকম গণ-অভ্যুত্থান দরকার। কিন্তু মাওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও মোজাফ্ফর (ন্যাপ) সাহেবের মতো নেতা দরকার। সেই নেতৃত্বের শূন্যতা এখন প্রকট থেকে প্রকটতর হয়েছে। আন্দোলন শুরু হলে নেতা তৈরি হবে।

    প্রথম আলো: তত দিন কি সবাই চুপ করেই থাকবে?

    অজয় রায়: এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিগুলো এগিয়ে আসত। ছাত্র সংগঠনগুলো নেমে পড়ত। ছাত্র সংগঠনগুলোর এখনকার অবস্থা আর নাইবা বললাম। কিন্তু শিক্ষক সমিতিগুলোও শিক্ষকদের রাজনৈতিক বিভক্তি ও ব্যক্তিস্বার্থের কারণে অনেকটাই অকেজো হয়ে পড়েছে। এখন তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। শুধু ফেসবুকে থাকলে হবে না, প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামতে হবে। শিক্ষকদেরও দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে মাঠে নামতে হবে। যে পরিস্থিতির দিকে দেশ যাচ্ছে, তাতে কেউই এখন আর নিরাপদ নয়।

    প্রথম আলো: অভিজিৎ হত্যার বিচার কত দূর?

    অজয় রায়: এখন পর্যন্ত তেমন কিছুই হয়েছে বলে মনে হয় না। তবে ১৫-২০ দিন আগে গোয়েন্দা বিভাগে গিয়েছিলাম। সেখানে ঢোকাও কঠিন কাজ। তারপরও গেলাম মামলার অগ্রগতি জানতে। গোয়েন্দারা বললেন, পাঁচজনকে নাকি শনাক্ত করেছে। এদের দুজন হত্যাকারী, একজন অভিজিতের চলাফেরা অনুসরণ করত। বাকি দুজন নিলয় হত্যার সঙ্গে জড়িত।

    প্রথম আলো: একের পর এক ব্লগার হত্যাকারীদের সঙ্গে কারা জড়িত বলে মনে করেন?

    অজয় রায়: এদের একটি চক্র আছে। ওই চক্রের কিলার সেলে ১৫-২০ জন করে সদস্য আছে বলে মনে হয়। তারা দলনেতার নির্দেশ মেনে চলে। ওদের কী দুঃসাহস ভাবতে পারেন? আগে পথেঘাটে মারত। এখন বাসায় ঢুকে মারে, অফিসে ঢুকে মারার পর দরজা বন্ধ করে রেখে যায়।

    প্রথম আলো: সরকারের ভূমিকা কেমন দেখছেন?

    অজয় রায়: সরকার তো সবকিছু স্বাভাবিক আছে—এমনটি দেখাতে চায়। আর রাষ্ট্র একটি নিষ্ক্রিয়তার ভাব ধরে আছে। ব্লগারদের বিরুদ্ধে যেভাবে অপপ্রচার হচ্ছে, তাতে অনেকের ধারণা যে, তারা নাস্তিক এবং ধর্মের বিরুদ্ধে। প্রকৃতপক্ষে যারা ব্লগে ও ওয়েবে নিজের মত প্রকাশ করে, তারাই ব্লগার। তারা দেশ বা ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু বললে বা লিখলে তো প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, ব্লগার হোক, নন ব্লগার হোক—তাদের প্রাণ রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু আমার প্রশ্ন, সরকার কি প্রাণ রক্ষার সেই দায়িত্ব পালন করতে পারছে? এ প্রসঙ্গে কিছুদিন আগে দেওয়া পুলিশের মহাপরিদর্শকের বক্তব্য উল্লেখ করা যায়। তিনি বলেছেন, টার্গেটেড কিল হলে তাকে রক্ষা করা যায় না। আমার প্রশ্ন, একজন আইজিপি কি প্রকাশ্যে এমন বক্তব্য দিতে পারেন? এতে খুনিরাই তো উৎসাহিত হবে। টুটুল তো টার্গেট ছিল। সেও জানত, পুলিশও জানত। থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। কিন্তু পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে?

    প্রথম আলো: কীভাবে এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ হতে পারে?

    অজয় রায়: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করা। বিচার না হওয়ায় একটার পর একটা ঘটনা ঘটছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে খুনের এই ধারাবাহিকতা থামবে না। তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ বন্ধ করতে হবে। কত দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করবে, তা নির্দিষ্ট করতে হবে। যদি তদন্তে টুকটাক ভুলও হয়, তা আদালতে শোধরানোর সুযোগ থাকে। কিন্তু অভিযোগ তো গঠন করতে হবে, বিচার তো শুরু করতে হবে। নইলে জঙ্গিরা আশকারা পেতে থাকবে।

    প্রথম আলো: সরকার তো জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করার কথা বলেছে। বেশ কিছু গ্রেপ্তার হয়েছে, বিচারও চলছে।

    অজয় রায়: সরকার কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে এটা সত্য। কিন্তু সেই ব্যবস্থা যে মোটেও কার্যকর হচ্ছে না, তার প্রমাণ একের পর নৃশংস গুপ্তহত্যা। আসলে আমাদের সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো সবার আগে ভোটের চিন্তা করে। এমনকি আওয়ামী লীগও মনে করে, যদি জামায়াত বা ইসলামি দলের কিছু ভোট পাওয়া যায়। যদিও তাদের একটি ভোটও আওয়ামী লীগ কোনো দিন পাবে না।

    প্রথম আলো: আপনার ছেলের বউ কেমন আছেন?

    অজয় রায়: রাফিদা শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠছে। কিন্তু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। দেশে আসতে চায়। আমিই না করেছি। কারণ সেও তো তিন নম্বর টার্গেট। সম্প্রতি চাকরি ছেড়ে গবেষণা শুরু করেছে। ওই গবেষণার জন্য দেশে আসার দরকার ছিল। আমি না করায় বলল, তাহলে আমাকেই ওর গবেষণাকাজে সহায়তা করতে হবে। আমি ওকে বললাম, এই মানসিক অবস্থার মধ্যে তুমি গবেষণা করতে পারবে? রাফিদার জবাব, কাজের মধ্যে থাকলে ভালো থাকবে। ওর মেয়েকেও ওকে দেখাশোনা করতে হয়। বুঝলে, একটি মৃত্যু কতজনের জীবনকে কতভাবে প্রভাবিত করে!

    হা ! হা !! হা !!! :


    লিঙ্কঃ http://www.prothom-alo.com/opinion/a...A6%AC%E0%A7%87

  • #2
    পুলিশ ও গোয়েন্দাদের ধারণা, এই চারজনের মধ্যে ঘাতকদের টার্গেট ছিল দু’জন। ফয়সাল আরেফিন ও আহমেদুর রশীদ। এই দু’জনই গত ফেব্রুয়ারিতে একুশে বইমেলা থেকে বের হয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা সঙ্কটাপন্নলালমাটিয়া প্রকাশনা কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহতদের মধ্যে তারেক রহিমের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ সূত্র জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে তারেক রহিমের অপারেশন শেষ হয়। তবে তার শরীর থেকে গুলিটি বের করা সম্ভব হয়নি। গুলির চেয়ে তার মাথার আঘাত বেশি গুরুতর। ওই সময় থেকে ২৪ ঘন্টা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। তাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়া আহমেদুর রশীদ টুটুলকে ৪৮ নং এবং রনদীপম বসুকে ১৭ নম্বর কেবিনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউরোসার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এহসান মাহমুদকে প্রধান করে ৯ সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আহতদের পরিবারের সদস্যদের শঙ্কাআহতদের পরিবারের সদস্যরা আশঙ্কা করছেন,তাদের স্বজনদের উপর ফের হামলা হতে পারে। এ আশঙ্কায় আহতদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ দেয়া হয়েছে। পুলিশ প্রহরায় তাদের চিকিৎসা চলছে। -

    Comment


    • #3
      নিরাপত্তাহীনতায় অনেকেই স্বেচ্ছাবন্দিত্বে ষ দেশত্যাগে ৭০ জনের আবেদন
      আতঙ্কে দেশ ছাড়ছেন ব্লগাররা |
      প্রকাশের সময় : ২০১৫-১১-০২
      স্টাফ রিপোর্টার : একের পর এক হত্যা ও অব্যাহত হুমকির মুখে দেশ ছাড়ছেন আতঙ্কিত ব্লগাররা। কেউ কেউ প্রস্তুতি নিচ্ছেন দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার। আতঙ্কে অন্যরা বেছে নিচ্ছেন স্বেচ্ছাবন্দি জীবন। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বেরই হচ্ছেন না ঘর থেকে। আতঙ্কিত মুক্তমনা নামে পরিচিত ব্লগাররা সর্বদাই ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়। গত কয়েক মাসেই অন্তত ১০ থেকে ১২ জন ব্লগার দেশ ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন ভিনদেশে। জীবনের শঙ্কায় থাকা আরো ৭০ ব্লগার দেশ ছাড়ার ব্যাপারে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন বলেও জানা গেছে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশের উপর আস্থা নেই তাদের। পুলিশের কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন ব্লগাররা। গত শনিবার ঢাকায় দুটি হামলার ঘটনায় আরও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে তাদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে দেশে থাকাকে অনিরাপদ মনে করছেন ব্লগাররা। আতঙ্কে ব্লগাররা দেশ ছাড়লেও নিশ্চিত হতে পারছেন না তাদের পরিবার স্বজনরা। হুমকির মুখে কয়েক দিন আগে দেশ ছেড়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ও ব্লগার শাম্মী হক। তিনি বর্তমানে জার্মানিতে আছেন। তিনি বলেন, ‘জীবনের শঙ্কা নিয়েই দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। আমার দেশ ছাড়তে হবে, কোনোদিন ভাবিনি। আজ যখন আমার সহযোদ্ধারা মিছিল করছে, আমি এখানে (জার্মানি) বসে ছটফট করছি। কিন্তু আমি দেশে থাকলে আজই হতো আমার শেষ দিন। দুই মাস পুলিশি নিরাপত্তায় ছিলাম। পড়াশোনা, চাকরি, এমনকি হোস্টেলও ছাড়তে হয়েছিল। আমি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। এই মৃত্যু উপত্যকা আমার সোনার বাংলা নয়।’ জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে দেশ ছেড়েছেন লেখক হুমায়ুন আজাদের ছেলে অনন্য আজাদ। দেশ ছাড়ার পর অনন্য আজাদও জানিয়েছিলেন, হুমকির মুখেই নিরাপত্তার অভাবে তিনি জার্মানি চলে গেছেন। কবে দেশে ফেরা হবে কিংবা আদৌ ফিরতে পারবেন কি না, সে বিষয়েও সংশয় তাঁর। তিনি জানান, ‘আমি হুমকির মুখে জীবন বাঁচাতেই জার্মানি চলে এসেছি। কবে ফিরবো জানি না। দেশে আমি নিরাপত্তা পাইনি।’ তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, জীবন বাঁচাতেই অনন্য আজাদ জার্মানিতে স্কলারশিপ নিয়ে চলে গেছেন। যাওয়ার পর দেশে তাঁর বন্ধুদের ফোনে এ কথা জানিয়েছেন। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে দেশ ছেড়ে সপরিবারে জার্মানিতে আশ্রয় নেন তন্ময় কর্মকার নামের এক ব্লগার। জুলাইয়ে দেশ ছেড়েছেন সন্ন্যাসী রতন নামের আরেক ব্লগার। তিনি নরওয়ে গেছেন। গোয়েন্দার তথ্য অনুযায়ী, ‘নবি মোহাম্মদের ২৩ বছর’ শিরোনামে এক বই প্রকাশিত হওয়ার পর তোপের মুখে পড়েন সৈকত চৌধুরী। প্রাণনাশের হুমকি ও তোপের মুখে গত মে মাসে দেশ ছেড়ে ইউরোপের একটি দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। ব্লগার ক্যামিলিয়া কামাল ও সুব্রত শুভ আছেন সুইডেনে। ব্লগার মনির আছেন ফ্রান্সে। তাঁরা এ বছরই দেশ ছাড়েন। ২০১৩ সালে হামলার শিকার আলোচিত ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন বর্তমানে জার্মানিতে আছেন। হামলার পরপরই তিনি দেশে ছাড়েন। বার্লিনে আত্মগোপনে থাকা আসিফ মহিউদ্দিন জানিয়েছেন, এ বছর কমপক্ষে ১২ জন ব্লগার দেশ ছেড়েছেন এবং জীবনের শঙ্কায় থাকা আরো ৭০ ব্লগার দেশ ছাড়ার ব্যাপারে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন। দেশের বাইরে থাকা অবস্থাতেও কথা বলতে রাজি হননি অনেকেই। শুধু নিজের নয়, পারিবারিক সদস্যদের কথা ভেবেও গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চান না তাঁরা।হত্যার হুমকি পেয়ে ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী মাহমুদুল হক মুন্সি বাধন গত কয়েকমাস ধরে চাকরি ছেড়ে স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি জীবন বেছে নিয়েছেন। বাধন জানান তাকে গত বছরের আগস্টে পাঁচ দফা হত্যার হুমকি দেয়া হয় ফেসবুক ও টেলিফোনে। এরপর তিনি পল্লবী থানায় জিডি করেন। কয়েকদিন তার বাসার সামনে পুলিশ ঘোরাঘুরি করেছে। তারপর আর খোঁজ নেয়নি। বাধন জানান, ‘এখন আমি ঘরেই থাকি। একটি আইটি ফার্মে চাকরি করতাম তাও ছেড়ে দিয়েছি। আর বাইরে বের হই না। খুব প্রয়োজন হলে কাউকে সঙ্গে নিয়ে যাই।’ মাহমুদুল হক মুন্সি বাঁধন বলেন, ‘ব্লগারদের এখন আর পুলিশের ওপর আস্থা নেই। তাই তারা আর পুলিশের কাছে যান না বা অভিযোগ করেন না। তিনি বলেন, ‘আমার মতো আরও অনেক ব্লগার হয় ঘরে স্বেচ্ছাবন্দি হয়ে আছেন, নয়তো জীবন বাঁচাতে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন।ব্লগার রতনকুমার সমাদ্দার বলছেন, ‘ব্লগে ‘সন্ন্যাসী’ নামে আর ফেসবুকে ‘সন্ন্যাসী রতন’ নামে লেখালেখি করি। যখন আমি ধর্ম নিয়ে লিখি তখন ইসলামের কথাই বেশি আসে। ফলে প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলার আগে চারপাশে তাকাতে হয়।’ তিনি বলেন, ‘অভিজিৎ রায় হত্যার পর থেকে সমালোচনামূলক লেখা থেকে চলে এসেছি।’ তিনি জানান, নানা ধরনের হুমকির কারণে তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রাই বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। যেসব জায়গায় বেশি লোক নেই সেখানে যেতে ভয় লাগে। ধর্ম বা বিজ্ঞান লেখা থেকে বিরত আছি। কারণ এগুলো যারা লিখবেন তারা বাঁচবেন কি না সন্দেহ। এদিকে, সিলেটে ‘একুশ তাপাদার’ নামে অনলাইনে লেখালেখি করেন অনন্ত বিজয় দাশের ঘনিষ্ঠ এমন একজন লেখক বলেন, অনন্তের হত্যাকা-ের পর তারা ভীতসন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়েছেন। অনেকেই বলছেন, কোনো বিষয় লিখতে গেলেই মনে হচ্ছে সমস্যা হবে। চট্টগ্রামের ব্লগার সৃজিতা মিতু বলেন, অনলাইনে যারা লেখালেখির সঙ্গে জড়িত তারা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন।গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র এবং ব্লগার ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘এরকম আরও অনেক ব্লগার হুমকির মুখে আছেন। তাদের নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থা পুলিশ করেছে বলে আমার জানা নেই।’ তিনি বলেন, ‘ব্লগারদের নিরাপত্তার চেয়ে বড় কথা হল- হুমকিদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা। পুলিশ এ ব্যাপারে তেমন কোনও তৎপরতা দেখাচ্ছে না। সরকার যেহেতু নিস্পৃহ পুলিশেরও তাই গা ছাড়া ভাব।’গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সম্প্রতি ব্লগার হত্যার ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে বেশ কয়েকজন দেশ ছাড়ারও প্রস্তুতি নিয়েছেন। অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করছেন। তারা দেশের ভেতরে অবস্থান নিরাপদ মনে করছেন না। বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন একজন ব্লগার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘নাস্তিকতার দোহাই দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ঘরে ঢুকে হত্যা করা হচ্ছে। রাস্তায় কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেও কোনো সমাধান পাওয়া যায় না। বাইরে বের হলেই ফলো করা হচ্ছে, ফোন করে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এমনকি অফিসে যাওয়ার জন্যও নিশ্চিন্তে বের হতে পারছে না। দেশে থেকেও কার্যতবন্দি জীবন কাটাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’ গত শনিবার জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সল আরেফিন দীপন খুন হন। এর ঘণ্টাখানেক আগে লালমাটিয়ায় কুপিয়ে জখম করা হয় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর মালিক আহমেদুর রশীদ টুটুলকে। টুটুলের ওপর হামলার সময় তাঁর সঙ্গে থাকা লেখক ও ব্লগার রণদীপম বসু, তারেক রহিমও গুরুতর আহত হন। গত ৭ আগস্ট রাজধানীর গোড়ানের বাসায় খুন হন ব্লগার নীলাদ্রী চট্টোপাধ্যায়। এর আগে, মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক অভিজিৎ রায়, ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু, অনন্ত বিজয় দাস, গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক আহমেদ রাজিব হায়দার শোভনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

      Comment


      • #4






        পালাচ্ছে !!! সব ব্যাটা পালাচ্ছে !!! কিন্তু আল কায়েদার মিজাহিদগন তোদের খুঁজে খুঁজে বের করে হত্যা করবে ইনশা আল্লাহ

        Comment


        • #5
          আল্লাহু আকবার!!!
          আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ "অচিরেই আমরা কাফেরদের অন্তরসমূহে ত্রাস (আতঙ্ক) নিক্ষেপ করবো।" (আল কোরআন)
          উপরের আয়াতের বাস্তবতা দেখা যাচ্ছে।
          নাস্তিকদের লাফালাফি বন্ধ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

          Comment

          Working...
          X