শাহাদাতবরণ করলেন কাশ্মীরের আল-কায়েদা শাখার আমীর শায়খ জাকির মূসা রহিমাহুল্লাহ
গতকাল ২৩শে মে সন্ধ্যায় দক্ষিণ কাশ্মিরের পুলওয়ামা জেলার “দাদসারা” নামক গ্রামে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে লড়াইরত অবস্থায় শাহাদাতবরণ করেন কাশ্মীরের জনপ্রিয় জিহাদী জামা’আত আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের আমীর কমান্ডার জাকির মূসা(রহিমাহুল্লাহ্*)।
জনপ্রিয় এ জিহাদী জামা’আত আল-কায়েদার কাশ্মীর শাখা, আর এর শহীদ আমীর জাকির মুসা রহিমাহুল্লাহ্* ছিলেন কাশ্মীরসহ সারা হিন্দুস্তানের মুসলিম জনসাধারণের ভালোবাসার প্রতীক। তিনি স্থান করে নিয়েছিলেন মুসলিমদের হৃদয়রাজ্যে। মহান এই জিহাদী কমান্ডারের শাহাদাতে কাশ্মীরের মুসলিমরা তাই গভীরভাবে শোকাহত হয়েছেন।
কাশ্মীরী বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম হতে জানা যায় যে, শহীদ জাকির মূসা (রহিমাহুল্লাহ্*) একাই ১০০০ এরও অধিক কাপুরুষ মুশরিকদের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন ১১ ঘন্টা যাবত। মালাউন হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় সেনারা কয়েকবার শায়খকে আত্মসমর্পণের কথা জানালেও তিনি আল্লাহ্*র শত্রুদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকৃতি জানান, আর মর্যাদার লড়াইয়ের পথকেই বেছে নেন।
১১ ঘন্টা যুদ্ধের পর মালাউনরা শায়খের সঙ্গে না পেরে উনার অবস্থান লক্ষ্য করে বৃষ্টির মত বোমা হামলা চালানো শুরু করে। এতে একসময় মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে শাহাদাতের (ইনশাআল্লাহ) অমিয়সুধা পান করে সৌভাগ্য লাভ করেন শাইখ জাকির মূসা রহিমাহুল্লাহ্*।
আহ্ কতই-না সাহসী বীর !! ‘ আমরা আপনাকে নিয়ে গর্ব করি হে মুহ্*তারাম আমীর !
আল্লাহ্* ‘আযযা ওয়া-জাল্লা আপনাকে ক্ববুল করুন (আমীন)।
শায়খ জাকির মূসা রহিমাহুল্লাহ্* ১৯৯৪ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অঢেল সম্পদ এবং দুনিয়ার লোভ লালসাকে পেছনে ফেলে ২০১৩ সালে আল্লাহ্*র পথে লড়াইয়ে যোগদান করেন।
শায়খ জাকির মূসা রহিমাহুল্লাহ্* বলেছিলেন ‘ আমরা হলাম আল্লাহ্*র সৈনিক এবং আমরা একমাত্র দ্বীনের জন্যই লড়াই করি, কোন দুনিয়াবী বস্তুর জন্য নয়। আমাদের লক্ষ্য হলো, শরীয়াহ্* এবং শুধু কাশ্মীরই নয় বরং পুরো হিন্দুস্তানে ইসলামকে বুলন্দ করা। আমাদের বিজয় তো একমাত্র শাহাদাতের জীবন ইনশাআল্লাহ্*।”
শায়খ রহিমাহুল্লাহ্* তাঁর কাঙ্ক্ষিত সেই শাহাদাত হাসিল করে নিলেন পবিত্র বদরের দিনে ! এতো সেই দিন যেদিন মক্কার মুশরিকদের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেছিলেন আল্লাহ্*র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাহিনী। তিনি শহীদ হন প্রায় ইফতারের সময়। কেউ-কি এর থেকে ভালো কিছু চাইতে পারে ?
আজ শায়খের জানাযায় অংশগ্রহণ করেন হাজারো কাশ্মীরী মুসলিম। ইতিপূর্বে তারা তাদের প্রিয় আমীরের শাহাদাতের স্থলে ছুটে এসেছিলেন। মুশরিক মালাউন বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়েছেন কাশ্মীরের মুসলিম জনসাধারণ।
কমান্ডার জাকির মূসা রহিমাহুল্লাহ্*’র শাহাদাতের সংবাদ শুনতে পেয়ে ঘরে বসে থাকা তাদের জন্য কিছুতেই সমীচীন মনে করেননি তারা। তাই, হাতে যা কিছু ছিল মুশরিক বাহিনীকে লক্ষ্য করে কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে লড়াইয়ে নেমেছিলেন মুসলিমরা।
এদিকে, গতকাল রাত থেকেই কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চল হতে মানুষ আসতে থাকে শায়খ জাকির মূসা রহিমাহুল্লাহ্* এর জানাযায় অংশগ্রহণ করতে। অপরদিকে, শায়খের জানাযার কিছুক্ষণ আগ মুহূর্ত থেকেই শুরু হয় রহমতের বৃষ্টি। সাধারণ মানুষ বৃষ্টিতে ভিজেই নিজেদের প্রিয় আমীরকে শেষ বিদায় জানাতে অংশগ্রহণ করেন জানাযায়।
যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝনা। [২:১৫৪]
Comment