Announcement

Collapse
No announcement yet.

বাবরি থেকে জ্ঞানবাপি: হিন্দুত্ববাদীদের নোংরা থাবায় ইসলামি স্থাপনাসমূহ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বাবরি থেকে জ্ঞানবাপি: হিন্দুত্ববাদীদের নোংরা থাবায় ইসলামি স্থাপনাসমূহ

    বাবরি থেকে জ্ঞানবাপি:
    হিন্দুত্ববাদীদের নোংরা থাবায় ইসলামি স্থাপনাসমূহ




    ভারতজুড়ে মসজিদ ও ইসলামি স্থাপনাসমূহের উপর উগ্র হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনে মূখ্য ভূমিকা পালন করছে দেশটির বিচারবিভাগ। অযোধ্যার বাবরি মসজিদ, উত্তর প্রদেশের জ্ঞানবাপি মসজিদ, মথুরার শাহী ইদগাহ মসজিদ এবং দিল্লীর কুতুব মিনার – প্রতিটি স্থাপনাকে ঘিরে সৃষ্টি হওয়া সংঘর্ষ এবং অস্থিরতার পিছনে মূল অবদান রাখছে ভারতের হিন্দুত্ববাদী আদালত।

    প্রতিটি ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ঘটনার শুরুটা হয় নিম্ন আদালতের কোনো একটি রায়ের মাধ্যমে। এসব রায় অথবা অর্ডার জারি করে হিন্দুদের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়, অর্থাৎ হিন্দুরা আইনি দিক দিয়ে পুরোপুরি সহায়তা পেয়ে যায়। এরপর সর্বশক্তি দিয়ে ইসলামি স্থাপনাসমূহ ধ্বংস করা শুরু করে। আর প্রত্যেকবারই মুসলিমরা অসহায়ের মত চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি। কট্টর হিন্দুত্ববাদী আদালতের সাথে অসম আইনি লড়াইয়ে জয়লাভ করা মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    বাবরি মসজিদের উপর হিন্দুদের চড়াও হবার ঘটনার পিছনে মূল অবদান ছিল ১৯৮৬ সালে উত্তর প্রদেশের কোর্টের দেওয়া এক অর্ডারের। মূলত এই কোর্ট অর্ডারের পর পরই ভারতে জাতীয় পর্যায়ে সব হিন্দুরা বাবরি মসজিদকে শহীদ করে দিতে তৎপর হয়ে উঠে। এই অর্ডার জারি করার আগে অযোধ্যা এবং ফয়যাবাদেও কোনো হিন্দু বাবরি মসজিদের নিচে (কথিত) মন্দিরের ব্যাপারে জানতো না বা তারা এই ব্যাপারে অতটা মাথা ঘামায়নি।

    অযোধ্যার বাবরি মসজিদ, বারানাসি এর জ্ঞানবাপি মসজিদ, মথুরার শাহী ইদগাহ মসজিদ, দিল্লির কুতুব মিনার এবং মধ্য প্রদেশের কামাল উদ্দীন মসজিদ – এই প্রতিটি স্থাপনা ঘিরে সহিংসতার শুরুটা হয়েছিল নিম্ন আদালত থেকেই।


    বাবরি মসজিদের শাহাদাত: যেভাবে ঠুকে দেয়া হয় কফিনের প্রথম পেরেক

    ভারতের উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদ জেলার অযোধ্যা শহরে অবস্থিত বাবরি মসজিদ ঐতিহ্যবাহী একটি স্থান। আল্লাহর এই ঘর মসজিদ মুঘল সম্রাট বাবরের আদেশে সেনাপতি মীর বাকী কর্তৃক ৯৩৫ হিজরি সনে নির্মাণ করা হয়। এরপর সময়ের সাথে সাথে মুসলিমদের রাজনৈতিক শক্তি হ্রাস পেতে থাকে, এক পর্যায়ে ইতিহাসের পাতায় স্থান নেয় মুঘল সাম্রাজ্য। বেড়ে যায় হিন্দুদের প্রভাব প্রতিপত্তি।

    ১৯৪৯ সালে হিন্দু দেবতা রামের একটি মূর্তি রহস্যজনকভাবে রাখা হয় বাবরি মসজিদের ভিতর। মূলত এটি ছিল হিন্দু মহাসভা নামের কট্টরপন্থি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের অনুসারি এক যুবকের কুকীর্তি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুসলিমরা হিন্দুদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে বিষয়টি কোর্ট পর্যন্ত গড়ায় এবং কোর্ট মসজিদটিকে “বিতর্কের বিষয়” বলে অভিহিত করে। সেই সাথে মসজিদের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। কার্যত এটি ছিল এমন এক রায়, যা হিন্দুদের পক্ষপাতি।

    এরপর আশির দশকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) তাদের রাজনৈতিক সহযোগী ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) সাথে নিয়ে বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাপক প্রচারাভিযান চালাতে থাকে। এই প্রচারাভিযানে নতুন এক মাত্রা যোগ করে এক এ্যাডভোকেট। ১৯৮৬ সালে সে বাবরি মসজিদের তালা খুলে সাধারণ হিন্দুদের প্রবেশের ব্যবস্থা করে দিতে ফৈজাবাদ জেলা বিচারকের কাছে আপিল করে। একদিনের মাথায় এই আপিল গ্রহণ করা হয় এবং বিচারক অর্ডার করে সাধারণ হিন্দুদের জন্য বাবরির গেট খুলে দিতে। অর্ডার জারির কয়েক মিনিটের মাথায় তা বাস্তবায়ন করা হয়। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, যে এ্যাডভোকেট আপিল করে, তার নাম-পরিচয়ও কেউ জানে না। কেউ জানেও না সে বিশ্বাসযোগ্য কিনা। আর তার বিরুদ্ধে পাল্টা আপিল করার মতও কেউ ছিল না।

    এরপরের ঘটনা সবারই জানা। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর সন্ত্রাসী দল আরএসএস এবং এর সহযোগী সংগঠন বাবরি মসজিদের কাছে স্থানে এক শোভাযাত্রার আয়োজন করে। শোভাযাত্রায় শামিল হয় দেড় লাখ কট্টর হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী। সেদিন দুপুরের দিকে এক যুবক মসজিদের উপরে চড়ে যায় এবং গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করে। এরপর উন্মত্ত হিন্দু সন্ত্রাসীরা কুঠার, হাতুড়ি এবং গাইতি দিয়ে বাবরি মসজিদে আঘাত করা শুরু করে। কয়েক ঘণ্টার মাঝে কাদা ও চুনাপাথর দ্বারা নির্মিত ইমারতটি মিশে যায় মাটির সাথে। শহীদ হয়ে যায় বাবরি মসজিদ।

    এবার আসা যাক জ্ঞানবাপি মসজিদে:

    ১৬৬৯ সালে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব কর্তৃক নির্মিত জ্ঞানবাপি মসজিদকে হিন্দুত্ববাদীরা নিজের বলে দাবি করে। মূলত বারানাসি সিভিল কোর্টে দায়ের করা দুটি মামলার ভিত্তিতে এই দাবি তুলা হয়। দুটি মামলাই সমালোচিত। প্রথম মামলা দায়ের করা হয় ১৯৯১ সালে। মামলাটি দায়ের করে স্বম্ভু বিশ্বেশ্বর নামের হিন্দু ধর্মের এক দেবতার অনুসারিরা। তারা দাবি করে জ্ঞানবাপি মসজিদ নাকি এক মন্দিরের জায়গাকে দখল করে নির্মাণ করা হয়েছিল।

    ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বরে এক ডিস্ট্রিক্ট জাজ রায় দেয়, উপযুক্ত প্রমাণাদি না পাওয়া পর্যন্ত হিন্দুদের এই আপিল গ্রহণযোগ্য হবে না। ২০২০ সাল পর্যন্ত মামলাটি স্থগিত হয়ে থাকে। কিন্তু এরপর হঠাৎ করেই সিভিল কোর্ট মামলাটি নিয়ে আবারো ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করে এবং ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে কোর্টটি ইন্ডিয়ার ভূতাত্ত্বিক জরিপ নিয়ে গবেষণাকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান Archaeological Survey of India কে আদেশ দেয় মসজিদটির ভূতাত্ত্বিক জরিপ করে বের করতে যে, সত্যিই মসজিদটির জমিতে কোনো মন্দির ছিল কিনা। এই মামলা চলাকালীন সময়েই ২০২১ সালের আগস্ট মাসে বারানসি সিভিল কোর্টে আরো একটি পিটিশন নথিভুক্ত করা হয় এবং এতে বলা হয়, জ্ঞানবাপি মসজিদে হিন্দুদের পুজা করার অনুমতি দিতে হবে এবং (হিন্দুত্ববাদীদের মিথ্যা দাবি অনুযায়ী) মসজিদের মাটির নিচে থাকা হিন্দুদের দেবী শ্রীনগর গৌড়ি, গণেশ, হনুমান ও আরো দেব দেবীর মূর্তি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

    এই বছরের ৮ এপ্রিল তারিখে এক সিভিল জাজ অজয় কুমার নামের এক হিন্দুকে জ্ঞানবাপি মসজিদের ভিডিওচিত্র ভিত্তিক জরিপ কার্যক্রম চালানোর জন্য এ্যাডভোকেট কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করে। তাকে প্রয়োজনে পুলিশ বাহিনী ডাকার ক্ষমতাও দেয়া হয়। মুসলিমরা সিভিল জাজের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেন।

    মে মাসের ১২ তারিখে মুসলিমদের প্রতিবাদ করা স্বত্ত্বেও কোর্ট অজয় কুমারকে তো বহাল রাখেই এবং তার সাথে আরো দুইজন এ্যাডভোকেট কমিশনারকে নিয়োগ দেয়। তাদেরকে ৫ দিন সময় দিয়ে ১৭ মে এর মধ্যে জ্ঞানবাপি মসজিদের ভিডিও রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয় এবং প্রতিবাদকারী যেকোনো মুসলিমকে আইনি জটিলতায় ফেলার ক্ষমতাও দেয়া হয়।

    স্বয়ং আল্লাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারক অমর সারান সাংবাদিকদের জানায়, “ভিডিও রিপোর্ট তৈরি করার এই সিদ্ধান্ত ভারতের Places of Worship আইনকে ভঙ্গ করেছে। নিম্ন আদালত আইনবিরোধী একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছে।”

    পরবর্তীতে মুসলিম প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক শুনানিতে কোর্টে এক হিন্দু পিটিশনার মিথ্যা দাবি উত্থাপন করে যে, একজন জরিপকারী নাকি জ্ঞানবাপি মসজিদে একটি ডিম্বাকৃতির বস্তু খুঁজে পেয়েছে। উক্ত পিটিশনার ডিম্বাকৃতির বস্তুটিকে শিবলিঙ্গ বলে দাবি করে। কোর্ট সাথে সাথেই তার দাবি মেনে নেয় এবং জ্ঞানবাপি মসজিদের একাংশ সিলগালা করে দিতে আদেশ দেয়। সেই সাথে আদেশ দেয়, মসজিদটিতে মাত্র ২০ জন মুসল্লী সালাত আদায় করতে পারবেন।

    মজার ব্যাপার হলো, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে কয়েকজন স্থানীয় হিন্দু জ্ঞানবাপী মসজিদের উত্তর প্রাচীরের কাছে নন্দীর একটি ছোট মূর্তি পুঁততে গিয়ে ধরা পড়ে। তাহলে বুঝাই যাচ্ছে, তাদের এসব দাবি কতটা অযৌক্তিক।

    এরপর মুসলিমরা পাল্টা দাবি করেন যে ডিম্বাকৃতির বস্তুটি আসলে একটি পুরাতন ঝর্ণার ধ্বংসাবশেষ। তারা এলাহাবাদ হাইকোর্টে ভিডিও রিপোর্টের বিরুদ্ধে আপিল করেন। কিন্তু হাইকোর্ট তাদের দাবি নাকচ করে দেয় এবং বলে- জ্ঞানবাপি মসজিদের এই বিষয়টি অনেক জটিল এবং এর সম্পর্কে আরো অনেক তদন্তের মধ্যে দিয়ে গিয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে, এর জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টের প্রয়োজন হবে। মুসলিমরা এরপর এলাহাবাদ হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন এবং সুপ্রিমকোর্ট মুসলিমদের মসজিদে সালাত আদায়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়।

    তবে প্রশ্ন হচ্ছে- পরিস্থিতি কতদিন মুসলিমদের অনুকূলে থাকবে? যেখানে একের পর এক বানোয়াট আপিল করা হচ্ছে, আর কোর্ট তাতে বিনা প্রমাণে বিশ্বাস করে হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষে রায় দিচ্ছে, সেখানে গুটিকয়েক মুসলিম কিভাবে অসম আইনি লড়াইয়ে টিকতে পারবেন? আল্লাহ মালুম।

    শাহী ইদগাহ মসজিদ: ডজনখানেক অপবাদের মুখে, শাহাদাতের দ্বারপ্রান্তে

    মথুরার শাহী ইদ্গাহ মসজিদের বিরুদ্ধে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা দায়ের করেছে ডজনের বেশি মামলা। মথুরা এবং এলাহাবাদের বিভিন্ন নিম্ন আদালতে দায়ের করা এসব মামলায় হিন্দুরা উদ্ভটভাবে দাবী করে, মসজিদটি নাকি তাদের কথিত দেবতা কৃষ্ণের জন্মস্থানের উপর নির্মাণ করা হয়েছে। হিন্দুরা এখন এই জমির মালিকানা চায় এবং মসজিদটিকে রূপান্তরিত করতে চায় পুজার মন্ডপে।

    ডজনখানেক মামলার প্রথমটি দায়ের করা হয় ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। ছয়জন হিন্দু রঞ্জনা অগ্নিহত্রি নামের এক আইনজীবির মাধ্যমে মাথুরা কোর্টে শাহী ইদগাহ মসজিদকে শহীদ করে দেবার অনুরোধ জানিয়ে পিটিশন দায়ের করে। ওই মাসেই এই পিটিশনকে কোর্ট বাতিল করে দেয়। তার একমাস পরে আবার এক জেলা জাজ পিটিশনটি নিয়ে ঘাঁটতে আগ্রহ প্রকাশ করে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আবারো একটি পিটিশন দায়ের করা হয়। পিটিশনটি দায়ের করে কয়েকজন হিন্দু এ্যাডভোকেট এবং ইউনাইটেড হিন্দু ফ্রন্ট, ধর্ম রক্ষা সংঘ বৃন্দাবন – এগুলোর মত কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে এলাহাবাদ কোর্ট পিটিশনার অনুপস্থিত থাকায় মসজিদটিকে ভেঙে ফেলার আরেকটি পিটিশন বাতিল করে দেয়। আবার এই বছরের মার্চে পুনরায় বাতিল করা পিটিশনটি কার্যকর করা হয় এবং জুলাই মাসে এর কার্যক্রম শুরু করতে বলা হয়।

    সম্প্রতি জ্ঞানবাপি মসজিদের মত শাহী ইদগাহ মসজিদেও মাটির নিচে হিন্দু দেব-দেবীদের মূর্তি আছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে জরিপ চালানোর জন্য আদালতকে অনুরোধ জানিয়েছে কয়েকজন হিন্দু।
    তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, এর আগে মসজিদটি নির্মাণের পর এতগুলো বছর যাবত দেবতার জন্মস্থানের ব্যাপারে তাদের কি কোনো জানাশোনাই ছিল না!

    কুতুব মিনার: ধ্বংসের মুখে বীর কুতুবউদ্দীন আইবেকের স্মৃতিচিহ্ন

    দিল্লির সাকেট কোর্টে এই বছরের ২৪ মে তারিখে কুতুব মিনারকে নিয়ে একটি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে হিন্দুদের পক্ষ থেকে দাবি উত্থাপন করা হয় যে, কুতুব মিনার সংলগ্ন মসজিদ তৈরি করার সময় নাকি কয়েকটি হিন্দু ও জৈন ধর্মের মন্দির ধ্বংস করা হয়। এর আগেও ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে এরকমই একটি অভিযোগ সম্বলিত পিটিশন নিম্ন আদালত থেকে বাতিল করে দেয়া হয়। হিন্দুদের দাবি, কুতুব মিনার ও এর সংলগ্ন ইসলামি স্থাপত্যসমূহ নাকি তাদের দেবী সরস্বতির একটি মন্দির ভেঙে নির্মাণ করা হয়েছে।

    কুতুব মিনারকে ঘিরে আইনি জটিলতা চলছে, আল্লাহ মালুম মিনার ও এর সংলগ্ন মসজিদটির কি হবে।

    মুসলিম স্থাপনাগুল যেন এখন অনেকটা উগ্র হিন্দুদের ইচ্ছার উপরেই টিকে আছে। যুগ যুগের গাদ্দারি আর তন্ত্র-মন্ত্রে আটকে থেকে মুসলিমরা আজ এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে, তারা তাদের মসজিদ ও অন্যান্য স্থাপনাগুলোও রক্ষা করতে পারছে না। এমনকি নিজেদের জান-মাল-সম্মান রক্ষা করাটাও যেন দায় হয়ে পড়েছে তাদের জন্য। এমন পরিস্থিতিতে তাই মুসলিমদেরকে বরাবরই নববী মানহাজ অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহন করার কথা বলে আসছেন হক্কানী উলামাগণ। তা নাহলে পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপের দিকেই যেতে থাকবে বলে সতর্ক করেছেন তাঁরা।

    লেখকঃ ত্বহা আলী আদনান




    তথ্যসূত্রঃ

    1) Not just 1992, Babri Masjid was focus of conspiracy in 1949 too
    https://scroll.in/article/660621/not...cy-in-1949-too

    2) Analysis: Could ASI survey of Gyanvapi mosque lead to it being exempted from Places of Worship Act?
    https://scroll.in/article/992086/ana...of-worship-act

    3) Gyanvapi mosque case judge says his family is worried about his safety
    https://scroll.in/latest/1023814/gya...out-his-safety

    4) Solve Krishna Janmabhoomi cases in 4 months: Allahabad HC to Mathura court
    https://m.timesofindia.com/city/alla...w/91531345.cms

    5) Gyanvapi Mosque Survey | Varanasi Court Removes Court Commissioner For Leaking Info To Media, 2 Day Time Granted To Submit Report
    https://www.livelaw.in/news-updates/...-report-199344

    6) Bhojshala dispute: Madhya Pradesh HC issues notice to Centre, ASI and state govt
    https://www.hindustantimes.com/india...292573065.html

    7) In Mathura, the Ayodhya playbook is being deployed again to claim Hindu rights over Idgah mosque
    https://scroll.in/article/974389/in-...r-idgah-mosque

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মুসলিমরা তাদের ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে ফলে কাফেরদের অন্তর থেকে মুসলিমদের ভীতি চলে গিয়েছে তাই তারা যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছে । মুসলিমরা যদি আগের মত তাদের দ্বীনকে আঁকড়ে ধরে তাহলে তারা তাদের ঐতিহ্য ফিরে পাবে।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment

    Working...
    X