ইন্নাল হামদা লিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহি...
আলহামদুলিল্লাহ ! ৬/৭ মাস আগেও অনলাইনে (ফেইসবুক এবং বিভিন্ন ব্লগে) যে পরিমাণ ইসলাম বিদ্বেষ এবং আল্লাহ তা'আলা ও তাঁর রাসূল (সা)'র প্রতি যে বিদ্বেষ ছড়ানো হতো তা ছিল সুস্থ মস্তিষ্কের ধারণাতীত।
কিন্তু এখন এই জঘন্য কর্মকাণ্ডের মাত্রা আমার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ৮০-৮৫ % কমে এসেছে। আল্লাহু আকবার !
যেমন হারবি তাসলিমা নাসরীন তার শেষ স্ট্যটাসে বলেছে -
১ জন ব্লগার থ্রেট খায়, ১০ জন ব্লগার ব্লগ গুটিয়ে ফেলে। ১ জন ব্লগার কোপ খায়, ১০০ জন ব্লগার ব্লগ লেখা বন্ধ করে দেয়। এরকমই মনে হচ্ছে। এভাবেই বাঙালির অতি স্বল্প আয়ুর যুক্তিবাদের যুগ বা এজ অব রিজনের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। ব্লগারদের পাশে দেশের শিল্পী সাহিত্যিক, দেশের বিজ্ঞানী বুদ্ধিজীবী কেউ নেই। এসব দেখে মনে পড়ছে ২২ বছর আগে আমার পাশেও খুব বেশি কেউ ছিল না। অলমোস্ট একা আমি ভারসেস গোটা দেশ ইনক্লুডিং অপদার্থ সরকার। লক্ষ মৌলবাদী পথে, আমার মুণ্ডুর জন্য উন্মাদ হয়ে উঠছে। কোথায় আমার পাশে দাঁড়াবে সরকার, তা নয় আমার বিরুদ্ধেই কেস দিয়ে বসলো। তখন আইটি অ্যাক্ট ছিল না, তখন পিনাল কোডের ২৯৫ এ-ই সাহসী লেখককে মেরে ফেলার জন্য যখেষ্ট। হাতে গোণা কিছু বুদ্ধিজীবী গোপনে গোপনে অবশ্য ছিল পাশে। ওরকম থাকায় লাভ কিছু হয় না। যদি দেশ জুড়ে বিক্ষোভ হতো ইসলামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, আমার বাক স্বাধীনতার পক্ষে যদি অন্তত পাঁচশ লোকও দাঁড়াতো, তাহলে কারও সাধ্য ছিল না আমাকে দেশ থেকে তখন বের করে। সেই দু'যুগ আগের ঘটনাকেই যেন পূনরায় ঘটতে দেখছি এখন। এখনও প্রগতিশীল ব্লগারদের খুন হয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ নেই। ইঁদুরের মতো সবাই গর্তে লুকিয়ে পড়েছে। যাদের সচেতন শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী বলে মনে করা হয়, তারাও। স্টুপিড সরকার দেশের জনগণকেও ছলে বলে কৌশলে স্টুপিড বানিয়েছে। ডিমোক্রেসি নেই বাংলাদেশে, যা আছে তার নাম ইডিওক্রেসি।
আর যারা তাদের স্ট্যটাসে লাইক দেয় এদের ৯০ শতাংশই হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মুশরিক...
এছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপি'র বক্তব্য থেকেও পরিষ্কার - এদেশের আপামর মুসলিম জন-সাধারনের মুজাহিদিন দের কর্মকাণ্ডের প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে।
আর এও দেখা যাচ্ছে , অসংখ্য ব্লগার বাইরে পালাবার পথ খুঁজে চলেছে বহুদিন থেকেই। আল্লাহ তা'আলার আজাব এই শাতিমির রাসূল (সা) দের কে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরেছে। আলহামদুলিল্লাহ !
এবং - নাস্তিক শব্দের ব্যবহার আমাদের কমিয়ে দেয়া উচিৎ। কেননা নাস্তিক হওয়া তাদের অপরাধ নয়।
তাদের অপরাধ হচ্ছে - প্রকাশ্যে আল্লাহ তা'আলা ও তাঁর রাসূলের (সা) বিরুদ্ধে দুশমনি করা। তাই এই কুলাঙ্গার দের সম্বোধন করুন শাতিম এবং হারবি বলে।
মা আস সালামা।
Comment