ভারত নিয়ন্ত্রিত উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় সেনা ক্যাম্পে ফের হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার ভোরের এ ঘটনায় তিন হামলাকারী নিহত হয়েছে বলে পিটিআইকে উদ্ধৃত করে খবর দিয়েছে দ্য হিন্দু ও এনডিটিভি।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে হামলাকারীরা কুপওয়ারা জেলার ল্যানগেট সেনা ক্যাম্পের বাইরে এসে সরাসরি গুলি শুরু করে। এক জওয়ানের সতর্ক বার্তা পেয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাল্টা জবাব দেয়।
সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। এতে তিন হামলাকারী নিহত হন। সেখান থেকে তিনটি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সতর্ক ছিল এবং জঙ্গিদের হামলার চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে।
তবে দ্বিতীয়বার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ফের হামলার চেষ্টা করে জঙ্গিরা। সে চেষ্টাও ব্যর্থ করে দেয় সেনাবাহিনী।
এরপর ওই এলাকায় সৈন্যরা অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান ওই সেনা কর্মকর্তা।
তবে ভারতের এনডিটিভি খবর দিয়েছে, রাতভর সীমান্তে সেনা ক্যাম্পে তিনবার হামলার চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা। প্রত্যেকবারই ভারতীয় সৈন্যরা তাদের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে।
প্রায় দেড় ঘণ্টা উভয়পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এতে তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে তিনটি একে-৪৭ রাইফেল, গ্রেনেড লাঞ্চার, বিপুল পরিমাণ গুলি, জিপিএস, রেডিও সেট, মানচিত্র এবং পাকিস্তানের মার্কিং করা খাবার সামগ্রী উদ্ধারের কথা জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
এ নিয়ে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর ওপর তৃতীয়বারের মতো হামলার ঘটনা ঘটল।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের উরি সেনা ঘাঁটিতে প্রথম হামলা চালিয়ে ১৯ ভারতীয় সৈন্যকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
এ হামলার জন্য ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে। তবে পাকিস্তান বরাবর এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে।
উরির এ হামলাকে কেন্দ্র করে পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দু'দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ইতিমধ্যে ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মাধ্যমে ৪০ জঙ্গিকে হত্যার দাবি করেছে।
***প্রায়ই দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সীমান্তে গুলি বিনিময় হচ্ছে। সর্বশেষ গত রোববার বারমুল্লার সেনা ঘাঁটিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের এক জওয়ান নিহত ও অপর একজন আহত হন। সে সময় গুলি বিনিময়ে দু'জন হামলাকারীও নিহত হয়।
Comment