জিহাদিদের সাইবার কার্যক্রম সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা হিসেবে দেড়শ কোটি টাকার সরঞ্জাম কিনছে সরকার।
বুধবার, ২৯ জুমাদাল আখিরাহ ১৪৩৮ হিজরি, ২৯ মার্চ ২০১৭ ইংরেজি
বাংলাদেশের উদীয়মান শরীয়ত প্রতিষ্ঠার দাবীদার জিহাদিদের উপর সাইবার নজরদারি বাড়াতে ১৫০ কোটি টাকার সরঞ্জাম ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর জন্য আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে দেশে ইন্টারনেট নজরদারির যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে। শরীয়ত প্রতিষ্ঠার দাবীদার জিহাদিরা ইন্টারনেটে ইসলামের সঠিক মতাদর্শ প্রচার ও যোগাযোগ করছে এমন ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যেই এমন ব্যবস্থা নিতে চলেছে বাংলাদেশ সরকার।
নজরদারির পাশাপাশি এসব যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সাইবার ঝুঁকি, অপরাধ দমন সহজ হবে। এর ফলে ইন্টারনেটে সাধারণ মানুষের গতিবিধির ওপরও সার্বক্ষণিক নজর রাখতে পারবে আইন প্রয়োগকারীরা।
গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘সাইবার থ্রেট ডিটেকশন ও রেসপন্স’ শিরোনামে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে জানা গেছে, এই প্রকল্পের আওতায় ১৫০ কোটি টাকা দিয়ে ইন্টারনেট নজরদারির যন্ত্র ‘ডিপ প্যাকেট ইন্সপেকশন’ (ডিপিআই) মেশিন দিয়ে সাইবার ঝুঁকি মোকাবেলা করতে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে।
কথিত অপরাধমূলক কার্যক্রম নজরদারির পাশাপাশি এর মাধ্যমে জনসাধারণের অনলাইন কার্যক্রমের ওপর নজরদারি এমনকি নিয়ন্ত্রণ করারও ব্যাপক ক্ষমতা পেয়ে যাবে আইন প্রয়োগকারীরা। একজন বিশেষজ্ঞ জানান, এর অপব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনেরও আশঙ্কা রয়েছে।
মোট ৩৫টি ডিপিআই মেশিন স্থাপনের পরিকল্পনা করছে সরকার। এই মেশিনগুলোর মধ্যে চারটি হবে অত্যন্ত শক্তিশালী।
একটি নির্দিষ্ট ইন্সপেকশন পয়েন্ট দিয়ে ডাটা প্যাকেট পার হওয়ার সময় এই ডিপিআই মেশিনগুলো ডেটা পরীক্ষা ও এর মধ্য থেকে বিশেষ তথ্য ছেঁকে বের করতে পারে। এর সাহায্যে মানুষের ইন্টারনেট ব্রাউজিং, মেসেজিং ও কনটেন্ট ডাউনলোডের ওপর নজর রাখতে পারবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এই কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানিয়েছে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতায় ঢাকার তেজগাঁওয়ে একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র খোলা হবে। এখান থেকে পুরো ব্যবস্থাটি পরিচালনা ও সরকারের নির্দেশ মত কাজ পরিচালনা করা হবে।
আন্তর্জাতিক সব গেটওয়ে এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত থাকবে এবং একটি দল সেখান থেকে সার্বক্ষণিক অনলাইন ট্রাফিকের ওপর নজর রাখবেন। প্রকল্পের নথি বলছে, এই ব্যবস্থায় ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহারকারীদেরও চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
গতকাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল রিপোর্টারদের বলেছে, প্রকল্পের আওতায় আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় ও দক্ষ লোকবল তৈরিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশের শরীয়ত প্রতিষ্ঠার দাবীদার জিহাদিরা ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আর ইসলামের সঠিক আদর্শ প্রচারের একটি মাধ্যম হয়ে উঠছে ইন্টারনেট। পরিশেষে ভারতের মত এবার বাংলাদেশের সরকারও মুজাহিদদের দমনে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ সরকার যখন এই পরিকল্পনা নিচ্ছে, তখন সাধারণ মুসলমানদের মাঝে জিজ্ঞাসা তবে কি জঙ্গিরাই সঠিক পথে আছে, না হলে আন্তর্জাতিক কুফফারসহ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা সবাই একজোট হচ্ছে কেন??
বুধবার, ২৯ জুমাদাল আখিরাহ ১৪৩৮ হিজরি, ২৯ মার্চ ২০১৭ ইংরেজি
বাংলাদেশের উদীয়মান শরীয়ত প্রতিষ্ঠার দাবীদার জিহাদিদের উপর সাইবার নজরদারি বাড়াতে ১৫০ কোটি টাকার সরঞ্জাম ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর জন্য আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে দেশে ইন্টারনেট নজরদারির যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে। শরীয়ত প্রতিষ্ঠার দাবীদার জিহাদিরা ইন্টারনেটে ইসলামের সঠিক মতাদর্শ প্রচার ও যোগাযোগ করছে এমন ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যেই এমন ব্যবস্থা নিতে চলেছে বাংলাদেশ সরকার।
নজরদারির পাশাপাশি এসব যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সাইবার ঝুঁকি, অপরাধ দমন সহজ হবে। এর ফলে ইন্টারনেটে সাধারণ মানুষের গতিবিধির ওপরও সার্বক্ষণিক নজর রাখতে পারবে আইন প্রয়োগকারীরা।
গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘সাইবার থ্রেট ডিটেকশন ও রেসপন্স’ শিরোনামে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে জানা গেছে, এই প্রকল্পের আওতায় ১৫০ কোটি টাকা দিয়ে ইন্টারনেট নজরদারির যন্ত্র ‘ডিপ প্যাকেট ইন্সপেকশন’ (ডিপিআই) মেশিন দিয়ে সাইবার ঝুঁকি মোকাবেলা করতে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে।
কথিত অপরাধমূলক কার্যক্রম নজরদারির পাশাপাশি এর মাধ্যমে জনসাধারণের অনলাইন কার্যক্রমের ওপর নজরদারি এমনকি নিয়ন্ত্রণ করারও ব্যাপক ক্ষমতা পেয়ে যাবে আইন প্রয়োগকারীরা। একজন বিশেষজ্ঞ জানান, এর অপব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনেরও আশঙ্কা রয়েছে।
মোট ৩৫টি ডিপিআই মেশিন স্থাপনের পরিকল্পনা করছে সরকার। এই মেশিনগুলোর মধ্যে চারটি হবে অত্যন্ত শক্তিশালী।
একটি নির্দিষ্ট ইন্সপেকশন পয়েন্ট দিয়ে ডাটা প্যাকেট পার হওয়ার সময় এই ডিপিআই মেশিনগুলো ডেটা পরীক্ষা ও এর মধ্য থেকে বিশেষ তথ্য ছেঁকে বের করতে পারে। এর সাহায্যে মানুষের ইন্টারনেট ব্রাউজিং, মেসেজিং ও কনটেন্ট ডাউনলোডের ওপর নজর রাখতে পারবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এই কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানিয়েছে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতায় ঢাকার তেজগাঁওয়ে একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র খোলা হবে। এখান থেকে পুরো ব্যবস্থাটি পরিচালনা ও সরকারের নির্দেশ মত কাজ পরিচালনা করা হবে।
আন্তর্জাতিক সব গেটওয়ে এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত থাকবে এবং একটি দল সেখান থেকে সার্বক্ষণিক অনলাইন ট্রাফিকের ওপর নজর রাখবেন। প্রকল্পের নথি বলছে, এই ব্যবস্থায় ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহারকারীদেরও চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
গতকাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল রিপোর্টারদের বলেছে, প্রকল্পের আওতায় আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় ও দক্ষ লোকবল তৈরিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশের শরীয়ত প্রতিষ্ঠার দাবীদার জিহাদিরা ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আর ইসলামের সঠিক আদর্শ প্রচারের একটি মাধ্যম হয়ে উঠছে ইন্টারনেট। পরিশেষে ভারতের মত এবার বাংলাদেশের সরকারও মুজাহিদদের দমনে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ সরকার যখন এই পরিকল্পনা নিচ্ছে, তখন সাধারণ মুসলমানদের মাঝে জিজ্ঞাসা তবে কি জঙ্গিরাই সঠিক পথে আছে, না হলে আন্তর্জাতিক কুফফারসহ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা সবাই একজোট হচ্ছে কেন??
Comment