মাদরাসায় বাদ্যবাজনা সহকারে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন:আলেম সমাজে ব্যাপক ক্ষোভ
লিখেছেন
নিউজ ডেক্স -
সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
0
5
প্রচার
চট্টগ্রাম নগরীর জামিয়া দারুল মা’আরিফ আল-ইসলামীয়া মাদরাসায় বাদ্য বাজনা সহকারে বেপর্দা মহিলা সহকারে সকলে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করায় দেশের আলেম-ওলামা ও তৌহিদী জনতার মাঝে ব্যাপক সমালোচনা এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী জনকল্যাণ সোসাইটির চেয়ারম্যান মাওলানা ওমর ফারুক।
“সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত “জঙ্গিবাদ বিরোধী আলেম-ওলামা সমাবেশ’-এ বাজনা সহকারে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়েছে বলে জানা যায়৷
কোন ইস্যু ছাড়া হঠাৎ করে জঙ্গিবাদ বিরোধী আলেম-ওলামা সমাবেশ ও মাদরাসার মত পবিত্র জায়গায় বাদ্য-বাজনা সহকারে বেপর্দা মহিলা নিয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের বিষয়টা দেশের আলেমসমাজ স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেননা ৷
ঢোল-তবলার তালে তালে মাদরাসার ছাত্র শিক্ষক দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা কওমী মাদরাসার স্বকীয়তা বিরুধী নয় কি(???)
মাওলানা ওমর ফারুক বলেন-
কেহ যদি বলে স্বীকৃতির সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই তাহলে আমার প্রশ্ন হলো,স্বীকৃতি ইস্যু আলোচনায় আসার আগে দেশের কোন কওমী মাদরাসায় কি এমন ঘটনা ঘটেছিল (??)স্বীকৃতি ইস্যুর পর থেকে কেন এমন ঘটনা ঘটছে (??) এর জবাব খোঁজে বের করার এখনি সময়৷
স্বীকৃতির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল যে,কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্র ও স্বাধীন বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে ও দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরে স্বীকৃতি প্রদান করা হবে৷কিন্তু স্বীকৃতি বিল পাশ হওয়ার আগেই এহেন কর্মকাণ্ড কীসের ইঙ্গিত বহন করে (??)এভাবে বাদ্যবাজনাসহ জাতীয় সঙ্গীত বাজানো কি কওমী মাদরাসার স্বকীয়তা??? এটা কি দেওবন্দের মূলনীতি (???)এটাকি আকাবির ও আসলাফের নীতি আদর্শ??????
শত আফসোস হয় সমাবেশে উপস্থিত সে সকল আলেম ওলামা ও তালেবে ইলমের প্রতি; যারা মাদরাসার মতো পবিত্রস্থানে গান বাজনা ও বেপর্দাকে বিনাবাক্যে মেনে নিয়েছে৷ বোবা শয়তানের মতো তবলার তালে তালে সকলে দাঁড়িয়ে সঙ্গীত গেয়েছে৷ গাইরত বলতে কি তাদের কিছুই নেই (??)তারা ইসলামের কী খেদমত করবে;যারা ইসলামে স্পষ্ট হারাম গান-বাজনাকে বিনাবাক্যে মেনে নেয়??
সব ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করে কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা শতভাগ অক্ষুণ্ন রেখে সামনে পথ চলার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে৷নইলে আগামী দিনে কওমী মাদরাসাও আলীয়া মাদরাসার ভাগ্য বরণ করতে হবে৷
পর্দা ইসলামের একটি ফরজ বিধান৷ আলেম ওলামার এ সমাবেশে একজন যুবতী মহিলা অতিথিও বক্তব্য প্রদান করেছেন৷যা নিশ্চিত পর্দার লঙ্ঘন ৷
দেশের কোন কওমী মাদরাসার পবিত্র স্থানে বাদ্য বাজনা সহকারে সকলে দাঁড়িয়ে সঙ্গীত পরিবেশন ও পর্দার লঙ্ঘন করে আলেম ওলামাদের সমাবেশ এভাবে কোন মহিলা বক্তব্য প্রদানের নজির নেই ৷
এমন কর্মকাণ্ডে দেশের আলেম সমাজের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে৷আমরা ইসলামী জনকল্যান সোসাইটি ও সচেতন ছাত্রসমাজ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই
[সূত্র: কওমি ভিশন]
লিখেছেন
নিউজ ডেক্স -
সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
0
5
প্রচার
চট্টগ্রাম নগরীর জামিয়া দারুল মা’আরিফ আল-ইসলামীয়া মাদরাসায় বাদ্য বাজনা সহকারে বেপর্দা মহিলা সহকারে সকলে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করায় দেশের আলেম-ওলামা ও তৌহিদী জনতার মাঝে ব্যাপক সমালোচনা এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী জনকল্যাণ সোসাইটির চেয়ারম্যান মাওলানা ওমর ফারুক।
“সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত “জঙ্গিবাদ বিরোধী আলেম-ওলামা সমাবেশ’-এ বাজনা সহকারে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়েছে বলে জানা যায়৷
কোন ইস্যু ছাড়া হঠাৎ করে জঙ্গিবাদ বিরোধী আলেম-ওলামা সমাবেশ ও মাদরাসার মত পবিত্র জায়গায় বাদ্য-বাজনা সহকারে বেপর্দা মহিলা নিয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের বিষয়টা দেশের আলেমসমাজ স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেননা ৷
ঢোল-তবলার তালে তালে মাদরাসার ছাত্র শিক্ষক দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা কওমী মাদরাসার স্বকীয়তা বিরুধী নয় কি(???)
মাওলানা ওমর ফারুক বলেন-
কেহ যদি বলে স্বীকৃতির সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই তাহলে আমার প্রশ্ন হলো,স্বীকৃতি ইস্যু আলোচনায় আসার আগে দেশের কোন কওমী মাদরাসায় কি এমন ঘটনা ঘটেছিল (??)স্বীকৃতি ইস্যুর পর থেকে কেন এমন ঘটনা ঘটছে (??) এর জবাব খোঁজে বের করার এখনি সময়৷
স্বীকৃতির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল যে,কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্র ও স্বাধীন বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে ও দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরে স্বীকৃতি প্রদান করা হবে৷কিন্তু স্বীকৃতি বিল পাশ হওয়ার আগেই এহেন কর্মকাণ্ড কীসের ইঙ্গিত বহন করে (??)এভাবে বাদ্যবাজনাসহ জাতীয় সঙ্গীত বাজানো কি কওমী মাদরাসার স্বকীয়তা??? এটা কি দেওবন্দের মূলনীতি (???)এটাকি আকাবির ও আসলাফের নীতি আদর্শ??????
শত আফসোস হয় সমাবেশে উপস্থিত সে সকল আলেম ওলামা ও তালেবে ইলমের প্রতি; যারা মাদরাসার মতো পবিত্রস্থানে গান বাজনা ও বেপর্দাকে বিনাবাক্যে মেনে নিয়েছে৷ বোবা শয়তানের মতো তবলার তালে তালে সকলে দাঁড়িয়ে সঙ্গীত গেয়েছে৷ গাইরত বলতে কি তাদের কিছুই নেই (??)তারা ইসলামের কী খেদমত করবে;যারা ইসলামে স্পষ্ট হারাম গান-বাজনাকে বিনাবাক্যে মেনে নেয়??
সব ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করে কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা শতভাগ অক্ষুণ্ন রেখে সামনে পথ চলার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে৷নইলে আগামী দিনে কওমী মাদরাসাও আলীয়া মাদরাসার ভাগ্য বরণ করতে হবে৷
পর্দা ইসলামের একটি ফরজ বিধান৷ আলেম ওলামার এ সমাবেশে একজন যুবতী মহিলা অতিথিও বক্তব্য প্রদান করেছেন৷যা নিশ্চিত পর্দার লঙ্ঘন ৷
দেশের কোন কওমী মাদরাসার পবিত্র স্থানে বাদ্য বাজনা সহকারে সকলে দাঁড়িয়ে সঙ্গীত পরিবেশন ও পর্দার লঙ্ঘন করে আলেম ওলামাদের সমাবেশ এভাবে কোন মহিলা বক্তব্য প্রদানের নজির নেই ৷
এমন কর্মকাণ্ডে দেশের আলেম সমাজের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে৷আমরা ইসলামী জনকল্যান সোসাইটি ও সচেতন ছাত্রসমাজ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই
[সূত্র: কওমি ভিশন]
Comment