বাংলাদেশে বেকারত্বের অভিশাপকে পুঁজি করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে সরকার
লিখেছেন
নিউজ ডেক্স -
সেপ্টেম্বর ২২, ২০১8
সরকার দলীলদের দাবি বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা তাঁর বিপরীত। বেকারত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। একটি অভিশাপে পরিণত হয়েছে। আর এই বেকারত্বকে পুঁজি করেই শত শত কোটি টাকা আয় করছে সরকার। বিভিন্ন সংস্থা বা বিভাগ থেকে নিয়োগ পরীক্ষার নামে নেয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের ফি। আর বেকার জনশক্তি একটি চাকরি পাওয়ার আশায় হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। একটি আসনের বিপরীতে শতসহস্র প্রার্থী আবেদন করছেন। এ সুযোগই নিচ্ছে সরকারি সংস্থা বা বিভাগগুলো। এমনটাই মনে করছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
দেখা গেছে, এবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগ পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন ২৪ লাখ এক হাজার ৫৯৭ প্রার্থী।
গত ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এ আবেদন কার্যক্রম চলে। এ নিয়োগ পরীক্ষা বাবদ ১৬৮ টাকা ফি আদায় করা হয়। এ হিসাবে ২৪ লাখ এক হাজার ৫৯৭ প্রার্থীর আবেদনে ৪০ কোটি ৩৪ লাখ ৬১ হাজার ৫৭৬ টাকা জমা হয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ফান্ডে।
কিছু দিন আগে খাদ্য অধিদফতরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে এক হাজার ১৬৬ পদের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ১৩ লাখ ৭৮ হাজার। এখানে আবেদন ফি ছিল ১১২ টাকা। ক্যালকুলেশন বলছে, আবেদন ফির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে ১৫ কোটি ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।
এদিকে গত ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য দুই হাজার ২৪ শূন্যপদের বিপরীতে আবেদন করেছিল তিন লাখ ৮৯ হাজার জন। যার ফি ছিল ৭০০ টাকা। এর মাধ্যমে ২৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা নেয়া হয়েছে বেকারদের পকেট থেকে।
এর চেয়ে লজ্জার কথা আর কী হতে পারে? যারা নিজেরাই বেকার তাঁদের থেকে আবার কোটি কোটি টাকা আয় করা। এ যেন কাটা গায়ে নুনের ছিটার মত !। সূত্র: পূর্ব পশ্চিম বিডি নিউজ
লিখেছেন
নিউজ ডেক্স -
সেপ্টেম্বর ২২, ২০১8
সরকার দলীলদের দাবি বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা তাঁর বিপরীত। বেকারত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। একটি অভিশাপে পরিণত হয়েছে। আর এই বেকারত্বকে পুঁজি করেই শত শত কোটি টাকা আয় করছে সরকার। বিভিন্ন সংস্থা বা বিভাগ থেকে নিয়োগ পরীক্ষার নামে নেয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের ফি। আর বেকার জনশক্তি একটি চাকরি পাওয়ার আশায় হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। একটি আসনের বিপরীতে শতসহস্র প্রার্থী আবেদন করছেন। এ সুযোগই নিচ্ছে সরকারি সংস্থা বা বিভাগগুলো। এমনটাই মনে করছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
দেখা গেছে, এবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগ পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন ২৪ লাখ এক হাজার ৫৯৭ প্রার্থী।
গত ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এ আবেদন কার্যক্রম চলে। এ নিয়োগ পরীক্ষা বাবদ ১৬৮ টাকা ফি আদায় করা হয়। এ হিসাবে ২৪ লাখ এক হাজার ৫৯৭ প্রার্থীর আবেদনে ৪০ কোটি ৩৪ লাখ ৬১ হাজার ৫৭৬ টাকা জমা হয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ফান্ডে।
কিছু দিন আগে খাদ্য অধিদফতরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে এক হাজার ১৬৬ পদের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ১৩ লাখ ৭৮ হাজার। এখানে আবেদন ফি ছিল ১১২ টাকা। ক্যালকুলেশন বলছে, আবেদন ফির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে ১৫ কোটি ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।
এদিকে গত ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য দুই হাজার ২৪ শূন্যপদের বিপরীতে আবেদন করেছিল তিন লাখ ৮৯ হাজার জন। যার ফি ছিল ৭০০ টাকা। এর মাধ্যমে ২৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা নেয়া হয়েছে বেকারদের পকেট থেকে।
এর চেয়ে লজ্জার কথা আর কী হতে পারে? যারা নিজেরাই বেকার তাঁদের থেকে আবার কোটি কোটি টাকা আয় করা। এ যেন কাটা গায়ে নুনের ছিটার মত !। সূত্র: পূর্ব পশ্চিম বিডি নিউজ
Comment