মারধর এবং চুরির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগের ১১ কর্মীকে বহিষ্কার!
লিখেছেন
নিউজ ডেক্স -
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
সাংবাদিক ও চার শিক্ষার্থীকে মারধর এবং চুরির ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১১ কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ‘প্রথম আলো’ নামক একটি সংবাদমাধ্যম। ছাত্রলীগের ঐসব কর্মীকে যেসব ঘটনায় বহিষ্কার করা হয়েছে বলে উঠে এসেছে তা হলো-
১০ সেপ্টেম্বর সংবাদকর্মী মিনহাজ তুহিনকে মারধরের ঘটনায় বিভিন্ন মেয়াদে ৪ ছাত্রলীগ কর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কৃত ছাত্ররা সবাই ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন বিজয় পক্ষের নেতা আবু সাঈদের অনুসারী।
এর আগের দিন ৯ সেপ্টেম্বর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে মারধরের কারণে আরো ৪ ছাত্রলীগ কর্মীকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ছাত্ররা সবাই ছাত্রলীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমানের অনুসারী।
এদিকে ৩০ জুলাই আমানত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জাহিন খন্দকারের কক্ষ থেকে ল্যাপটপ ও মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২ ছাত্রলীগ কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁরা দুজনই ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন সিএফসি পক্ষের নেতা রেজাউল হকের অনুসারী।
গত ২৯ মার্চ সোহরাওয়ার্দী হলে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী গিয়াস উদ্দীনকে মারধর করে সামদানি রহমান ওরফে জিকু। পাশাপাশি আলাওল হলের খেলার মাঠে আরেক শিক্ষার্থী ও তাঁর অভিভাবকেও মারধর করে আধুনিক ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এ শিক্ষার্থী। সে বিজয় পক্ষের নেতা আবু সাঈদের অনুসারী। এ দুই ঘটনায় সামদানি রহমানকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ছাত্রলীগের এ ধরণের ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে বিভিন্নজন বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করছেন। ছাত্রলীগকে লুটেরা উল্লেখ করে এ বিষয়ে একজনের মন্তব্য হলো- ‘‘এরা ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে …… চুরি, ডাকাতি, টেণ্ডারবাজি , নারী নির্যাতন, ব্যাংক লুট, কয়লা হজম এহেন কোন ক্যুকর্ম নাই যে করছে না। দেশটা আজ এসব লুটেরাদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে।’’
ছাত্রলীগের বিষয়ে আরেকজনের মন্তব্য, ‘‘তারা পাপ করতে করতে ক্যান্সারের মত ছড়িয়ে গেছে।এরা জাতির জন্য অভিশাপ।’’
আরো বিভিন্নজন ছাত্রলীগের ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নিজেদের মন্তব্য প্রদান করেছেন। সকলের অভিমত থেকে এ বিষয়টি সুস্পষ্ট যে, পূর্ব থেকেই বাংলার মানুষ ছাত্রলীগের বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের শিকার হচ্ছিলেন, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের এই অংঙ্গসংগঠনটি দেশবাসীর উপর অত্যাচারের মাত্রা যেন বহুগুণে বৃদ্ধি করেছে!
লিখেছেন
নিউজ ডেক্স -
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
সাংবাদিক ও চার শিক্ষার্থীকে মারধর এবং চুরির ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১১ কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ‘প্রথম আলো’ নামক একটি সংবাদমাধ্যম। ছাত্রলীগের ঐসব কর্মীকে যেসব ঘটনায় বহিষ্কার করা হয়েছে বলে উঠে এসেছে তা হলো-
১০ সেপ্টেম্বর সংবাদকর্মী মিনহাজ তুহিনকে মারধরের ঘটনায় বিভিন্ন মেয়াদে ৪ ছাত্রলীগ কর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কৃত ছাত্ররা সবাই ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন বিজয় পক্ষের নেতা আবু সাঈদের অনুসারী।
এর আগের দিন ৯ সেপ্টেম্বর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে মারধরের কারণে আরো ৪ ছাত্রলীগ কর্মীকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ছাত্ররা সবাই ছাত্রলীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমানের অনুসারী।
এদিকে ৩০ জুলাই আমানত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জাহিন খন্দকারের কক্ষ থেকে ল্যাপটপ ও মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২ ছাত্রলীগ কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁরা দুজনই ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন সিএফসি পক্ষের নেতা রেজাউল হকের অনুসারী।
গত ২৯ মার্চ সোহরাওয়ার্দী হলে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী গিয়াস উদ্দীনকে মারধর করে সামদানি রহমান ওরফে জিকু। পাশাপাশি আলাওল হলের খেলার মাঠে আরেক শিক্ষার্থী ও তাঁর অভিভাবকেও মারধর করে আধুনিক ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এ শিক্ষার্থী। সে বিজয় পক্ষের নেতা আবু সাঈদের অনুসারী। এ দুই ঘটনায় সামদানি রহমানকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ছাত্রলীগের এ ধরণের ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে বিভিন্নজন বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করছেন। ছাত্রলীগকে লুটেরা উল্লেখ করে এ বিষয়ে একজনের মন্তব্য হলো- ‘‘এরা ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে …… চুরি, ডাকাতি, টেণ্ডারবাজি , নারী নির্যাতন, ব্যাংক লুট, কয়লা হজম এহেন কোন ক্যুকর্ম নাই যে করছে না। দেশটা আজ এসব লুটেরাদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে।’’
ছাত্রলীগের বিষয়ে আরেকজনের মন্তব্য, ‘‘তারা পাপ করতে করতে ক্যান্সারের মত ছড়িয়ে গেছে।এরা জাতির জন্য অভিশাপ।’’
আরো বিভিন্নজন ছাত্রলীগের ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নিজেদের মন্তব্য প্রদান করেছেন। সকলের অভিমত থেকে এ বিষয়টি সুস্পষ্ট যে, পূর্ব থেকেই বাংলার মানুষ ছাত্রলীগের বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের শিকার হচ্ছিলেন, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের এই অংঙ্গসংগঠনটি দেশবাসীর উপর অত্যাচারের মাত্রা যেন বহুগুণে বৃদ্ধি করেছে!
Comment