আরো এক নিকৃষ্ট রায় দিলো ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। সমকামিতার মত একটি জঘন্য অপরাধকে বৈধতা দানের পর এবার পরকীয়াকেও বৈধ ঘোষণা করলো ভারতের সর্বোচ্চ আদালত! পরকীয়া সংক্রান্ত পুরনো এক আইনকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে এরূপ জঘন্য রায় দিলো সর্বোচ্চ আদালত!
ব্রিটিশ শাসনকালে ১৮৬০ সালের পরকীয়া সংক্রান্ত একটি আইনে বলা হয়েছিল- কোন বিবাহিত নারীর সাথে তার স্বামীর অনুমতি ব্যতীত কোন পরপুরুষ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে ঐ পুরুষের পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানা অথবা উভয়ই হতে পারে। জানা যায়, ১৫০ বছরেরও বেশি সময় আগে প্রণীত ঐ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলাকারীদের দাবি ছিল, ঔপনিবেশিক শাসনকালে নারীদের পুরুষদের সম্পত্তি হিসাবে গণ্য করা হতো। তার ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছিল এই আইন। তাদের দাবি, একই অপরাধে পুরুষকে দোষীসাব্যস্ত করলেও, নারীদের নয় কেন!? সেই মামালতেই রায় দিল ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে ৪৯৭ ধারার ওই মামলার রায়ে এবার স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে পরকীয়া কোনও অপরাধই নয়!! তবে বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র রায়ে বলে, ১৫৮ বছরের পুরনো এই আইনের কোনও দরকার নেই। সে আরো বলে, ‘*স্ত্রী কখনও স্বামীর সম্পত্তি হতে পারে না। কোনও ব্যক্তি যদি কোনও বিবাহিত নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন তবে সেটা কোনও অপরাধ নয়।’*
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের এ ধরণের জঘন্য রায়ের প্রতিক্রিয়ায় কারো কারো মন্তব্য হলো, ‘পরকীয়ার জন্য সেই নারীর পরিবার-সন্তানের ওপর প্রভাব পড়ে।’
ইসলামে পরকীয়া একটি জঘন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। ইসলামী চিন্তাবিদগণ মনে করেন, পরকীয়া পারিবারিক অশান্তি-কলহের অন্যতম কারণ। পরকীয়া বিকৃত সমাজের পশুত্বের পরিচয়! তাদের মতে, ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান পরকীয়া বিষয়ক রায় যেমন জঘন্য-নিকৃষ্ট, তেমনি পূর্বের ব্রিটিশ শাসনামলের আইনও পরকীয়ার যথোপযুক্ত কোন আইন ছিল না। এক্ষেত্রে ইসলামী আইন এবং মূল্যবোধই সর্বোচ্চ বলে মনে করেন তারা।
ব্রিটিশ শাসনকালে ১৮৬০ সালের পরকীয়া সংক্রান্ত একটি আইনে বলা হয়েছিল- কোন বিবাহিত নারীর সাথে তার স্বামীর অনুমতি ব্যতীত কোন পরপুরুষ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে ঐ পুরুষের পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানা অথবা উভয়ই হতে পারে। জানা যায়, ১৫০ বছরেরও বেশি সময় আগে প্রণীত ঐ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলাকারীদের দাবি ছিল, ঔপনিবেশিক শাসনকালে নারীদের পুরুষদের সম্পত্তি হিসাবে গণ্য করা হতো। তার ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছিল এই আইন। তাদের দাবি, একই অপরাধে পুরুষকে দোষীসাব্যস্ত করলেও, নারীদের নয় কেন!? সেই মামালতেই রায় দিল ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে ৪৯৭ ধারার ওই মামলার রায়ে এবার স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে পরকীয়া কোনও অপরাধই নয়!! তবে বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র রায়ে বলে, ১৫৮ বছরের পুরনো এই আইনের কোনও দরকার নেই। সে আরো বলে, ‘*স্ত্রী কখনও স্বামীর সম্পত্তি হতে পারে না। কোনও ব্যক্তি যদি কোনও বিবাহিত নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন তবে সেটা কোনও অপরাধ নয়।’*
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের এ ধরণের জঘন্য রায়ের প্রতিক্রিয়ায় কারো কারো মন্তব্য হলো, ‘পরকীয়ার জন্য সেই নারীর পরিবার-সন্তানের ওপর প্রভাব পড়ে।’
ইসলামে পরকীয়া একটি জঘন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। ইসলামী চিন্তাবিদগণ মনে করেন, পরকীয়া পারিবারিক অশান্তি-কলহের অন্যতম কারণ। পরকীয়া বিকৃত সমাজের পশুত্বের পরিচয়! তাদের মতে, ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান পরকীয়া বিষয়ক রায় যেমন জঘন্য-নিকৃষ্ট, তেমনি পূর্বের ব্রিটিশ শাসনামলের আইনও পরকীয়ার যথোপযুক্ত কোন আইন ছিল না। এক্ষেত্রে ইসলামী আইন এবং মূল্যবোধই সর্বোচ্চ বলে মনে করেন তারা।
Comment