ডাল-ভাত জোগাড়ই কি হেফাজতের আসল উদ্দেশ্য!- শেখ হাসিনার বক্তব্যের আলোকে
18 hours ago নিউজ ডেক্স
ডাল-ভাত জোগাড়ই কি হেফাজতের আসল উদ্দেশ্য!- শেখ হাসিনার বক্তব্যের আলোকে
হেফাজত কি তাহলে ডাল-ভাত জোগাড়ের জন্যই সবকিছু করছে! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনলে এমনটাই মনে হয়। বুধবার(৩রা অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ পরিষদে অংশগ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলে, ‘ হেফাজতে ইসলাম কখনো আমাদের শত্রু ছিল না। বরং, তাদেরকে খালেদা জিয়া মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে শাপলা চত্বরে নিয়ে আসে।’
শেখ হাসিনার এই মন্তব্যকে ঘিরে জন্মায় কিছু সংশয় আর মনে কিছু প্রশ্নের হয় উদয়! শেখ হাসিনার বক্তব্য অনুযায়ী, ৫ই মে শাপলা চত্বরে জড়ো হওয়ার পেছনে হেফাজতে ইসলামের কোন স্বার্থ ছিল না, তারা কেবল খালেদা জিয়ার আশ্বাসে শাপলা চত্বরে রাত্রিযাপন করছিল! শেখ হাসিনা তো আরো সুস্পষ্ট ভাষায় বলল যে, ‘হেফাজতকে খালেদা জিয়া মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে শাপলা চত্বরে নিয়ে আসে। তাদের জন্য গরু জবাই করা হবে বলে রাত পর্যন্ত ধরে রাখা হয়। পরে ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে কলা-রুটি দিয়ে ভয়াবহ পরিবেশের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়।’ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে এ বিষয়টি বুঝা যায় যে, ৫ই মে-এর ১৩ দফা দাবি হেফাজতের ছিল না, বরং হেফাজত কেবল রুটি আর এক বেলা খাবারের আশায় কারো পক্ষ হয়ে ঐ দাবিগুলো তুলেছিল! প্রধানমন্ত্রী শাপলা চত্বরে হেফাজতের জড়ো হওয়ার দিনে ঘটে যাওয়া এক নির্মম পরিস্থিতির দায়ভারও হেফাজতের উপর চাপানোর চেষ্টা করে তার ঐ বক্তব্যে।
শেখ হাসিনা আরো বলে যে, ‘‘আমি তাদের (হেফাজতে ইসলামকে) বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। তাদের শিক্ষাব্যবস্থার কোনো মূল্যায়ন ছিল না। কওমি মাদ্রাসার মান দেওয়ার মাধ্যমে তাদের রুটি-রোজগারের একটি ব্যবস্থা হবে। আমরা তাদের ভবিষ্যতের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কওমি মাদ্রাসার মান দিয়ে তাদের উপকার করেছি। তাই তারা দোয়া করছে। তারা আওয়ামী লীগে যোগ দিলেও সমস্যা নেই বলে থাকে, তাহলে তাদের আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’’ সর্বশেষে ৫ই মে-এর ঘটনাকে ইঙ্গিত করে সে বলে,‘ ওই ধরনের পরিস্থিতি আর কেউ সৃষ্টি করতে পারবে না।’’
অর্থাৎ, শেখ হাসিনার বক্তব্য থেকে যে বিষয়টি বুঝা যায়, হেফাজতে ইসলাম পূর্বে রুটি-রোজগারের জন্যই খালেদা জিয়ার মিথ্যা আশ্বাসে শাপলা চত্বরে জড়ো হয়েছিল। আর, আজ তা আওয়ামী লীগ পূরণ করে দিচ্ছে। তাই, হেফাজতের পক্ষ থেকে ৫ই মে-এর মত ঘটনা আবারও ঘটার কোন সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছে শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার বক্তব্য থেকে আরো একটি বিষয় উঠে আসে। শেখ হাসিনার দাবি- ক্বওমী শিক্ষাব্যবস্থার পূর্বে কোন মূল্যায়ন ছিল না! কওমি মাদ্রাসার মান দেওয়ার মাধ্যমে তাদের রুটি-রোজগারের একটি ব্যবস্থা হবে। শেখ হাসিনা সরকার তাদের ভবিষ্যতের ব্যবস্থা করে দিয়েছে! জনমনে শেখ হাসিনার এ বক্তব্যকে ঘিরে প্রশ্ন জন্মেছে। তারা জানতে চায়, আসলেই কি পূর্বে ক্বওমী মাদ্রাসার কোন মূল্যায়ন ছিল না? রুটি-রোজগারই কি ক্বওমী ছাত্রদের ভবিষ্যত? কুরআনী শিক্ষার মূল্যায়ন কি শুধু স্বীকৃতিতেই?!
18 hours ago নিউজ ডেক্স
ডাল-ভাত জোগাড়ই কি হেফাজতের আসল উদ্দেশ্য!- শেখ হাসিনার বক্তব্যের আলোকে
হেফাজত কি তাহলে ডাল-ভাত জোগাড়ের জন্যই সবকিছু করছে! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনলে এমনটাই মনে হয়। বুধবার(৩রা অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ পরিষদে অংশগ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলে, ‘ হেফাজতে ইসলাম কখনো আমাদের শত্রু ছিল না। বরং, তাদেরকে খালেদা জিয়া মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে শাপলা চত্বরে নিয়ে আসে।’
শেখ হাসিনার এই মন্তব্যকে ঘিরে জন্মায় কিছু সংশয় আর মনে কিছু প্রশ্নের হয় উদয়! শেখ হাসিনার বক্তব্য অনুযায়ী, ৫ই মে শাপলা চত্বরে জড়ো হওয়ার পেছনে হেফাজতে ইসলামের কোন স্বার্থ ছিল না, তারা কেবল খালেদা জিয়ার আশ্বাসে শাপলা চত্বরে রাত্রিযাপন করছিল! শেখ হাসিনা তো আরো সুস্পষ্ট ভাষায় বলল যে, ‘হেফাজতকে খালেদা জিয়া মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে শাপলা চত্বরে নিয়ে আসে। তাদের জন্য গরু জবাই করা হবে বলে রাত পর্যন্ত ধরে রাখা হয়। পরে ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে কলা-রুটি দিয়ে ভয়াবহ পরিবেশের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়।’ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে এ বিষয়টি বুঝা যায় যে, ৫ই মে-এর ১৩ দফা দাবি হেফাজতের ছিল না, বরং হেফাজত কেবল রুটি আর এক বেলা খাবারের আশায় কারো পক্ষ হয়ে ঐ দাবিগুলো তুলেছিল! প্রধানমন্ত্রী শাপলা চত্বরে হেফাজতের জড়ো হওয়ার দিনে ঘটে যাওয়া এক নির্মম পরিস্থিতির দায়ভারও হেফাজতের উপর চাপানোর চেষ্টা করে তার ঐ বক্তব্যে।
শেখ হাসিনা আরো বলে যে, ‘‘আমি তাদের (হেফাজতে ইসলামকে) বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। তাদের শিক্ষাব্যবস্থার কোনো মূল্যায়ন ছিল না। কওমি মাদ্রাসার মান দেওয়ার মাধ্যমে তাদের রুটি-রোজগারের একটি ব্যবস্থা হবে। আমরা তাদের ভবিষ্যতের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কওমি মাদ্রাসার মান দিয়ে তাদের উপকার করেছি। তাই তারা দোয়া করছে। তারা আওয়ামী লীগে যোগ দিলেও সমস্যা নেই বলে থাকে, তাহলে তাদের আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’’ সর্বশেষে ৫ই মে-এর ঘটনাকে ইঙ্গিত করে সে বলে,‘ ওই ধরনের পরিস্থিতি আর কেউ সৃষ্টি করতে পারবে না।’’
অর্থাৎ, শেখ হাসিনার বক্তব্য থেকে যে বিষয়টি বুঝা যায়, হেফাজতে ইসলাম পূর্বে রুটি-রোজগারের জন্যই খালেদা জিয়ার মিথ্যা আশ্বাসে শাপলা চত্বরে জড়ো হয়েছিল। আর, আজ তা আওয়ামী লীগ পূরণ করে দিচ্ছে। তাই, হেফাজতের পক্ষ থেকে ৫ই মে-এর মত ঘটনা আবারও ঘটার কোন সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছে শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার বক্তব্য থেকে আরো একটি বিষয় উঠে আসে। শেখ হাসিনার দাবি- ক্বওমী শিক্ষাব্যবস্থার পূর্বে কোন মূল্যায়ন ছিল না! কওমি মাদ্রাসার মান দেওয়ার মাধ্যমে তাদের রুটি-রোজগারের একটি ব্যবস্থা হবে। শেখ হাসিনা সরকার তাদের ভবিষ্যতের ব্যবস্থা করে দিয়েছে! জনমনে শেখ হাসিনার এ বক্তব্যকে ঘিরে প্রশ্ন জন্মেছে। তারা জানতে চায়, আসলেই কি পূর্বে ক্বওমী মাদ্রাসার কোন মূল্যায়ন ছিল না? রুটি-রোজগারই কি ক্বওমী ছাত্রদের ভবিষ্যত? কুরআনী শিক্ষার মূল্যায়ন কি শুধু স্বীকৃতিতেই?!
Comment