শাহবাগে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা নগরীর ব্যস্ততম মোড় দখল করে রেখেছে, নমনীয় পুলিশ বাহিনী
2 hours ago নিউজ ডেক্স
বিডিটুটে ডট নেট’ সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে জানা যায়, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় রাজধানীর শাহবাগ অবরোধকারী মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা ২৪ ঘণ্টাতেও অবস্থান ছাড়েনি। কর্মদিবসে নগরীর ব্যস্ততম মোড় দখল করে রাখায় যাতায়াতের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। তবে পুলিশ অবরোধকারীদের প্রতি নমনীয়। তারা চারপাশে অবস্থান নিলেও কিছুই করছে না। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের মুখে গত ১১ এপ্রিল সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সাড়ে পাঁচ মাস পর ৩ অক্টোবর মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে।
এই সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত সব ধরনের সরকারি চাকরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল, যার মধ্যে ৩০ শতাংশ সংরক্ষিত ছিল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য। স্বাধীনতার পর পর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এই সুবিধা চালু করা হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই সুবিধার আওতায় মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদেরকেও আনে।
সে সময়ই জামায়াতপন্থীরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে আরও একাধিকবার সে চেষ্টা করে তারা। তবে গত ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলন শুরু হয় কোটা সংস্কারের দাবিতে। আর এর প্রতিক্রিয়ায় যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা ক্ষুব্ধ করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডকে।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত হওয়ার পরপর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় তারা। গভীর রাতেও তাদের অবস্থান অটল ছিল। পরদিন সকাল থেকেই মোড়ে চারপাশে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে পুলিশ। ভেতরে অবস্থান চলতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেয় তারা।
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে অবরোধকারীরা ৩০ শতাংশ লিখে পাশে কোটা বহালের দাবিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। স্লোগানের মধ্যে ছিল, ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়িনি’, ‘জয় বাংলার হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘বিপ্লবীদের হাতিয়ার, মুক্তিযোদ্ধার হাতিয়ার, বঙ্গবন্ধুর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘তুমি কে, আমি কে বাঙালি, বাঙালি, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা’।
তাদের এই অবস্থানের কারণে শাহবাগ মোড় দিয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি, বাংলামোটর হয়ে আসা যানবাহনগুলো বিকল্প পথে যেতে বাধ্য হয়। একইভাবে মৎস্য ভবনের দিক থেকে আসা যানবাহনগুলো যেগুলো শাহবাগ হয়ে গন্তব্যে যেত, সেগুলোও বিকল্প পথ ধরতে বাধ্য হয়। এতে সেসব সড়কের যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
তবে এসব ভোগান্তি প্রতি ভ্রুক্ষেপ নেই বিক্ষোভকারীদের।
দাবি পূরণের লক্ষ্যে আগামী শনিবার শাহবাগে মহাসমাবেশের ঘোষণাও দেয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, এই সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সব সদস্য উপস্থিত থাকবে।
সড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল ব্যাহত করলেও পুলিশ এ ক্ষেত্রে নমনীয় কেন- এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা তাদের পর্যবেক্ষণ করছি। সকাল থেকে তাদের অনেক বুঝিয়েছি। তারা কথা শোনেনি।’ সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে আপনাদের কী নির্দেশনা-এমন প্রশ্নে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘কোনো নির্দেশনা নাই।
2 hours ago নিউজ ডেক্স
বিডিটুটে ডট নেট’ সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে জানা যায়, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় রাজধানীর শাহবাগ অবরোধকারী মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা ২৪ ঘণ্টাতেও অবস্থান ছাড়েনি। কর্মদিবসে নগরীর ব্যস্ততম মোড় দখল করে রাখায় যাতায়াতের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। তবে পুলিশ অবরোধকারীদের প্রতি নমনীয়। তারা চারপাশে অবস্থান নিলেও কিছুই করছে না। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের মুখে গত ১১ এপ্রিল সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সাড়ে পাঁচ মাস পর ৩ অক্টোবর মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে।
এই সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত সব ধরনের সরকারি চাকরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল, যার মধ্যে ৩০ শতাংশ সংরক্ষিত ছিল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য। স্বাধীনতার পর পর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এই সুবিধা চালু করা হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই সুবিধার আওতায় মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদেরকেও আনে।
সে সময়ই জামায়াতপন্থীরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে আরও একাধিকবার সে চেষ্টা করে তারা। তবে গত ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলন শুরু হয় কোটা সংস্কারের দাবিতে। আর এর প্রতিক্রিয়ায় যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা ক্ষুব্ধ করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডকে।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত হওয়ার পরপর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় তারা। গভীর রাতেও তাদের অবস্থান অটল ছিল। পরদিন সকাল থেকেই মোড়ে চারপাশে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে পুলিশ। ভেতরে অবস্থান চলতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেয় তারা।
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে অবরোধকারীরা ৩০ শতাংশ লিখে পাশে কোটা বহালের দাবিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। স্লোগানের মধ্যে ছিল, ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়িনি’, ‘জয় বাংলার হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘বিপ্লবীদের হাতিয়ার, মুক্তিযোদ্ধার হাতিয়ার, বঙ্গবন্ধুর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘তুমি কে, আমি কে বাঙালি, বাঙালি, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা’।
তাদের এই অবস্থানের কারণে শাহবাগ মোড় দিয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি, বাংলামোটর হয়ে আসা যানবাহনগুলো বিকল্প পথে যেতে বাধ্য হয়। একইভাবে মৎস্য ভবনের দিক থেকে আসা যানবাহনগুলো যেগুলো শাহবাগ হয়ে গন্তব্যে যেত, সেগুলোও বিকল্প পথ ধরতে বাধ্য হয়। এতে সেসব সড়কের যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
তবে এসব ভোগান্তি প্রতি ভ্রুক্ষেপ নেই বিক্ষোভকারীদের।
দাবি পূরণের লক্ষ্যে আগামী শনিবার শাহবাগে মহাসমাবেশের ঘোষণাও দেয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, এই সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সব সদস্য উপস্থিত থাকবে।
সড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল ব্যাহত করলেও পুলিশ এ ক্ষেত্রে নমনীয় কেন- এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা তাদের পর্যবেক্ষণ করছি। সকাল থেকে তাদের অনেক বুঝিয়েছি। তারা কথা শোনেনি।’ সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে আপনাদের কী নির্দেশনা-এমন প্রশ্নে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘কোনো নির্দেশনা নাই।
Comment