ভারতে বিজেপির হিন্দুত্ববাদী নেতারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের ক্ষেপিয়ে তোলার প্রচেষ্টায় লিপ্ত! সম্প্রতি এক বিজেপি নেতা মুসলিমদের বয়কট করার শপথ নিয়েছে!
“ডকুমেন্টিং অপ্রেশন এগেইন্স্ট মুসলিমস” নামক অনলাইন বার্তা সংস্থা গত ৩১ শে অক্টোবর বুধবার জানায়, বিজেপির এক হিন্দু নেতা বলেছে, “আমি শপথ করে বলছি যে, সব হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুসলমানদের চাকরি, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বাধাঁ সৃষ্টি করবে ও তাদের বাড়িগুলো বয়কট করবে এবং মুসলিমদের দোকান থেকে পণ্য কিনে কোনো হিন্দু এক পয়সাও দিবে না!”
মুসলিমদের বিরুদ্ধে হুমকির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদীরা! মুসলিমমুক্ত ভারত গড়াই তাদের লক্ষ্য!
অপরদিকে, গত ০১লা নভেম্বর বৃহস্পতিবার ভারতের শারদা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাশ্মীরের খানইয়ারের অধিবাসী ১৭ বছর বয়সী ইহতিসাম বিলালকে উক্ত প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার সামান্য অজুহাতে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ তার ওপর নির্যাতনের স্টীমরোলার চালায়। তাঁর পরিবার শ্রীনগরে থেকে এ ঘটনার জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং মুসলিমদেরকে তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য আহ্বান করেছেন বলে জানায় ‘ডকুমেন্টিং অপ্রেশন এগেইন্সট মুসলিমস্’।
বাবরি মসজিদ ভেঙে রামমন্দির হবে, কেউ বাঁধা দিতে পারবে না!
ধর্মীয় সহিংসতা সৃষ্টিই বিজেপির রাজনৈতিক ইতিহাস। বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে রাম মন্দির বানানোর ইস্যুকে কেন্দ্র করেই বিজেপির উত্থান। আজকে যদি নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়ে থাকে, তাহলে তা ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের ভেতরে মুসলমানদের প্রতি যে ঘৃণা আছে, তা কাজে লাগিয়েই হয়েছে।
ভারতের বাবরি মসজিদের স্থলে রামমন্দির নির্মাণ ইস্যু আবার জ্বলে উঠেছে। কারণ বিজেপি ৫ বছরে এখনও মসজিদের স্থলে মন্দির তৈরি করতে পারেনি। আর এজন্য মাঠ পর্যায়ের নেতাদের উপর হিন্দু জনতা ক্ষুব্ধ! সামনে নির্বাচন, তাই এখন বিশাল হিন্দু জনগোষ্ঠীকে খুশি করার পালা!
আর তাই, এই প্রসঙ্গে আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত ও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পর, ভারতের কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ও বিজেপি’র সিনিয়র নেত্রী উমা ভারতী বলেছে, ‘বিশ্বের কোনও শক্তি রাম মন্দির নির্মাণে বাধা দিতে পারবে না। রাম মন্দির ওখানেই হবে যেখানে মন্দিরের জমি রয়েছে।’
আরএসএস কোন রাজনৈতিক দল না হলেও বর্তমান বিজেপি সরকারের বড় একটি খুঁটি তারা। তারা হিন্দুদের মনে মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা তৈরী করার কাজ করে আর তাদেরকে সমর শিক্ষা দেয়। তাদের বক্তব্যেই উগ্রতার পরিমাণ বুঝা যায়। তারা বলেছে, আদালতের রায়ের অপেক্ষা না করে সংসদে আইন এনে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করা হোক।
এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী রাম মন্দির নির্মাণ ইস্যুতে নয়া আঙ্গিকে মাঠে নেমে বলেছে, ‘উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকার এবং কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য রাম মন্দির নির্মাণকে কেন্দ্র করে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। উত্তর প্রদেশ ও কেন্দ্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ (বিজেপি) সরকার রয়েছে।’ এর দ্বারা বুঝা যায় যে বিজেপি সরকার সাম্প্রদায়িক বিষয়টা কোথায় নিতে চাচ্ছে!
ভারতের মুসলমানদের নতুন করে ভাবা উচিত। কারণ হিন্দুত্ববাদী নেতৃত্বের কথা থেকে নতুন কোন দাঙ্গা হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে বলেই মনে করেন বিশ্লেষকগণ। রামমন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির সিনিয়র নেতা গিরিরাজ সিং বলেছে, ‘ হিন্দুরা যদি তাদের ধৈর্য হারিয়ে ফেলে তাহলে যেকোনও কিছুই ঘটে যেতে পারে!’
এই ব্যাপারে জানার জন্য আসলে আমাদের বাবরি মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে কিছু ধারণা রাখতে হবে। বাবরি মসজিদ ১৫২৮ সালে নির্মিত হয়। তার প্রায় ৩০০ বছর পরে ১৮২২ সালে ফয়জাবাদ আদালতের এক লোক দাবি করে যে মসজিদটি একটি মন্দিরের উপর বানানো! তারপর ১৮৫৩ সালে প্রথম এই ইস্যুতে সংঘর্ষ হয়। তখন ব্রিটিশরা এর চারদিকে একটি বেড়া দিয়ে দেয়। এই অবস্থাতে ৯০ বছর চলে যায়। মসজিদটি ইবাদতহীন হয়ে পরে থাকে। কেউ সেখানে ঢুকতে পারত না।
১৯৪৯ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর হঠাৎ একদিন দেখা যায় যে, মসজিদটির ভেতর কিছু মূর্তি রাখা। হিন্দুরা এই ঘটনাকে অলৌকিকতার ব্যাখ্যা দিয়ে মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির বানানোর দাবি করে। এই নিয়ে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। ১৯৯২ সালে রামভক্তরা মসজিদটিকে প্রায় ধ্বংস করে ফেলে। এই ঘটনাটির মাধ্যমে পুরো ভারতে দাঙ্গা বেঁধে যায়। ঐসময় প্রায় ২০০০ মুসলিমকে হত্যা করা হয়। কিছুদিন পরে একটি লিবার্যাশন কমিশন স্থাপন করা হয় এই ব্যাপারটা মিমাংসার জন্য। ২০০৯ সালে যখন এই কমিশনের রিপোর্ট বের হয় তখন তাতে এল.কে. আডভানি, অটল বিহারী বাজপাইসহ আরও অনেক বিজেপি নেতাকে দাঙ্গার দোষী বলা হয়।
প্রায় দুই দশক ধরে চলছে আদালতে এই মোকদ্দমা, যে সেই জায়গায় মসজিদ হবে না মন্দির!? কিন্তু বার বার হিন্দু সম্প্রদায়ের চাপে আদালতকে তার জায়গা থেকে সরতে হচ্ছে। কারণ আদালতের কাছে মসজিদ ভাঙ্গার কোন যৌক্তিক কারণ নেই। কিন্তু হিন্দুরা মসজিদ ভাঙতে চায়। আদালত হিন্দু আর মুসলমানদের মধ্যে মসজিদের জায়গাটুকু ভাগও করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু এতে হিন্দুরা অসম্মতি জানিয়েছে, তাদের পুরোটাই চাই!
সম্প্রতি আদালতের রায় আরও পেছানো এবং হিন্দুত্ববাদী শাসকবৃন্দের উগ্র মন্তব্যের জন্য এখন এই ইস্যু আবার প্রকাশ্যে আসে।
“ডকুমেন্টিং অপ্রেশন এগেইন্স্ট মুসলিমস” নামক অনলাইন বার্তা সংস্থা গত ৩১ শে অক্টোবর বুধবার জানায়, বিজেপির এক হিন্দু নেতা বলেছে, “আমি শপথ করে বলছি যে, সব হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুসলমানদের চাকরি, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বাধাঁ সৃষ্টি করবে ও তাদের বাড়িগুলো বয়কট করবে এবং মুসলিমদের দোকান থেকে পণ্য কিনে কোনো হিন্দু এক পয়সাও দিবে না!”
মুসলিমদের বিরুদ্ধে হুমকির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদীরা! মুসলিমমুক্ত ভারত গড়াই তাদের লক্ষ্য!
অপরদিকে, গত ০১লা নভেম্বর বৃহস্পতিবার ভারতের শারদা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাশ্মীরের খানইয়ারের অধিবাসী ১৭ বছর বয়সী ইহতিসাম বিলালকে উক্ত প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার সামান্য অজুহাতে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ তার ওপর নির্যাতনের স্টীমরোলার চালায়। তাঁর পরিবার শ্রীনগরে থেকে এ ঘটনার জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং মুসলিমদেরকে তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য আহ্বান করেছেন বলে জানায় ‘ডকুমেন্টিং অপ্রেশন এগেইন্সট মুসলিমস্’।
বাবরি মসজিদ ভেঙে রামমন্দির হবে, কেউ বাঁধা দিতে পারবে না!
ধর্মীয় সহিংসতা সৃষ্টিই বিজেপির রাজনৈতিক ইতিহাস। বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে রাম মন্দির বানানোর ইস্যুকে কেন্দ্র করেই বিজেপির উত্থান। আজকে যদি নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়ে থাকে, তাহলে তা ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের ভেতরে মুসলমানদের প্রতি যে ঘৃণা আছে, তা কাজে লাগিয়েই হয়েছে।
ভারতের বাবরি মসজিদের স্থলে রামমন্দির নির্মাণ ইস্যু আবার জ্বলে উঠেছে। কারণ বিজেপি ৫ বছরে এখনও মসজিদের স্থলে মন্দির তৈরি করতে পারেনি। আর এজন্য মাঠ পর্যায়ের নেতাদের উপর হিন্দু জনতা ক্ষুব্ধ! সামনে নির্বাচন, তাই এখন বিশাল হিন্দু জনগোষ্ঠীকে খুশি করার পালা!
আর তাই, এই প্রসঙ্গে আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত ও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পর, ভারতের কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ও বিজেপি’র সিনিয়র নেত্রী উমা ভারতী বলেছে, ‘বিশ্বের কোনও শক্তি রাম মন্দির নির্মাণে বাধা দিতে পারবে না। রাম মন্দির ওখানেই হবে যেখানে মন্দিরের জমি রয়েছে।’
আরএসএস কোন রাজনৈতিক দল না হলেও বর্তমান বিজেপি সরকারের বড় একটি খুঁটি তারা। তারা হিন্দুদের মনে মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা তৈরী করার কাজ করে আর তাদেরকে সমর শিক্ষা দেয়। তাদের বক্তব্যেই উগ্রতার পরিমাণ বুঝা যায়। তারা বলেছে, আদালতের রায়ের অপেক্ষা না করে সংসদে আইন এনে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করা হোক।
এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী রাম মন্দির নির্মাণ ইস্যুতে নয়া আঙ্গিকে মাঠে নেমে বলেছে, ‘উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকার এবং কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য রাম মন্দির নির্মাণকে কেন্দ্র করে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। উত্তর প্রদেশ ও কেন্দ্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ (বিজেপি) সরকার রয়েছে।’ এর দ্বারা বুঝা যায় যে বিজেপি সরকার সাম্প্রদায়িক বিষয়টা কোথায় নিতে চাচ্ছে!
ভারতের মুসলমানদের নতুন করে ভাবা উচিত। কারণ হিন্দুত্ববাদী নেতৃত্বের কথা থেকে নতুন কোন দাঙ্গা হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে বলেই মনে করেন বিশ্লেষকগণ। রামমন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির সিনিয়র নেতা গিরিরাজ সিং বলেছে, ‘ হিন্দুরা যদি তাদের ধৈর্য হারিয়ে ফেলে তাহলে যেকোনও কিছুই ঘটে যেতে পারে!’
এই ব্যাপারে জানার জন্য আসলে আমাদের বাবরি মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে কিছু ধারণা রাখতে হবে। বাবরি মসজিদ ১৫২৮ সালে নির্মিত হয়। তার প্রায় ৩০০ বছর পরে ১৮২২ সালে ফয়জাবাদ আদালতের এক লোক দাবি করে যে মসজিদটি একটি মন্দিরের উপর বানানো! তারপর ১৮৫৩ সালে প্রথম এই ইস্যুতে সংঘর্ষ হয়। তখন ব্রিটিশরা এর চারদিকে একটি বেড়া দিয়ে দেয়। এই অবস্থাতে ৯০ বছর চলে যায়। মসজিদটি ইবাদতহীন হয়ে পরে থাকে। কেউ সেখানে ঢুকতে পারত না।
১৯৪৯ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর হঠাৎ একদিন দেখা যায় যে, মসজিদটির ভেতর কিছু মূর্তি রাখা। হিন্দুরা এই ঘটনাকে অলৌকিকতার ব্যাখ্যা দিয়ে মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির বানানোর দাবি করে। এই নিয়ে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। ১৯৯২ সালে রামভক্তরা মসজিদটিকে প্রায় ধ্বংস করে ফেলে। এই ঘটনাটির মাধ্যমে পুরো ভারতে দাঙ্গা বেঁধে যায়। ঐসময় প্রায় ২০০০ মুসলিমকে হত্যা করা হয়। কিছুদিন পরে একটি লিবার্যাশন কমিশন স্থাপন করা হয় এই ব্যাপারটা মিমাংসার জন্য। ২০০৯ সালে যখন এই কমিশনের রিপোর্ট বের হয় তখন তাতে এল.কে. আডভানি, অটল বিহারী বাজপাইসহ আরও অনেক বিজেপি নেতাকে দাঙ্গার দোষী বলা হয়।
প্রায় দুই দশক ধরে চলছে আদালতে এই মোকদ্দমা, যে সেই জায়গায় মসজিদ হবে না মন্দির!? কিন্তু বার বার হিন্দু সম্প্রদায়ের চাপে আদালতকে তার জায়গা থেকে সরতে হচ্ছে। কারণ আদালতের কাছে মসজিদ ভাঙ্গার কোন যৌক্তিক কারণ নেই। কিন্তু হিন্দুরা মসজিদ ভাঙতে চায়। আদালত হিন্দু আর মুসলমানদের মধ্যে মসজিদের জায়গাটুকু ভাগও করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু এতে হিন্দুরা অসম্মতি জানিয়েছে, তাদের পুরোটাই চাই!
সম্প্রতি আদালতের রায় আরও পেছানো এবং হিন্দুত্ববাদী শাসকবৃন্দের উগ্র মন্তব্যের জন্য এখন এই ইস্যু আবার প্রকাশ্যে আসে।
Comment