নেকাব ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞাকে নারী অধিকারের লঙ্ঘন বলছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। ফ্রান্সে জারি করা এ সংক্রান্ত একটি আইন পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে তারা। কাতারভিত্তিক জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা যায়।
২০১০ সালে আইন করে নেকাব নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ফ্রান্স। ২০১২ সালে জনসমক্ষে মুখ ঢেকে রাখার অপরাধে ওই দুই নারীকে জরিমানা করে ফ্রান্স। ২০১৬ সালে আইনটির বিরোধিতায় আদালতের শরণাপন্ন হয় তারা। মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন জানায়, সাজা দিয়ে ওই দুই নারীর অধিকার লঙ্ঘন করেছ ফ্রান্স। এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, ফরাসি আইনে জনসম্মুখে নেকাব ব্যবহারকে অপরাধ সাব্যস্ত করে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে ধর্মীয় বিশ্বাস ও চর্চার অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। আইন জারির প্রেক্ষাপট নিয়ে স্পষ্ট কোনও ব্যাখ্যাও দেয়নি ফ্রান্স।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞা নেকাবে অভ্যস্ত নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বদলে উল্টো প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। জনপরিসরে তাদের অবাধ বিচরণ বাধাগ্রস্ত করার মধ্য দিয়ে তাদের ঘরের কোণে আটকে থাকতে প্ররোচিত করতে পারে।
বিধি অনুযায়ী আগামী ১৮০ দিনের মধ্যে জাতিসংঘ কমিটির মুখোমুখি হতে হবে ফরাসি সরকারকে। এছাড়া ওই দুই নারীকে ক্ষতিপূরণও দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
২০১০ সালে তৎকালীন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি এই আইন প্রণয়ন করেন। তিনি সেসময় বলেছিলেন, পুরোপুরি ঢেকে রাখলে নারীর মর্যাদাহানি হয় যার ফরাসি সমাজে কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, সমাজে একসঙ্গে বসবাসের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার খাতিরে মুখ ঢেকে রাখার বিষয়টা জরুরি ফ্রান্সের এমন দাবি মেনে নেয়নি কমিটি। এর চেয়ারম্যান য্যুভাল শানি বলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মূলত নারী অধিকার নিশ্চিতেই আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ইউরোপের মধ্যে ফ্রান্সই সর্বপ্রথম নেকাব নিষিদ্ধ করে। ২০১১ সালে এই আইনটি কার্যকর হয়। ২০১৪ সালে এর সমর্থন জানায় ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত। আইনটি ভঙ্গ করলে নারীদের ১৭০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
ফ্রান্সের পর এই আইন করে ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস ও বুলগেরিয়া। সুইজারল্যান্ডের কিছু অংশেও এই আইন করা হয়।
সূত্রঃ আল-জাজিরা
২০১০ সালে আইন করে নেকাব নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ফ্রান্স। ২০১২ সালে জনসমক্ষে মুখ ঢেকে রাখার অপরাধে ওই দুই নারীকে জরিমানা করে ফ্রান্স। ২০১৬ সালে আইনটির বিরোধিতায় আদালতের শরণাপন্ন হয় তারা। মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন জানায়, সাজা দিয়ে ওই দুই নারীর অধিকার লঙ্ঘন করেছ ফ্রান্স। এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, ফরাসি আইনে জনসম্মুখে নেকাব ব্যবহারকে অপরাধ সাব্যস্ত করে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে ধর্মীয় বিশ্বাস ও চর্চার অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। আইন জারির প্রেক্ষাপট নিয়ে স্পষ্ট কোনও ব্যাখ্যাও দেয়নি ফ্রান্স।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞা নেকাবে অভ্যস্ত নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বদলে উল্টো প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। জনপরিসরে তাদের অবাধ বিচরণ বাধাগ্রস্ত করার মধ্য দিয়ে তাদের ঘরের কোণে আটকে থাকতে প্ররোচিত করতে পারে।
বিধি অনুযায়ী আগামী ১৮০ দিনের মধ্যে জাতিসংঘ কমিটির মুখোমুখি হতে হবে ফরাসি সরকারকে। এছাড়া ওই দুই নারীকে ক্ষতিপূরণও দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
২০১০ সালে তৎকালীন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি এই আইন প্রণয়ন করেন। তিনি সেসময় বলেছিলেন, পুরোপুরি ঢেকে রাখলে নারীর মর্যাদাহানি হয় যার ফরাসি সমাজে কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, সমাজে একসঙ্গে বসবাসের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার খাতিরে মুখ ঢেকে রাখার বিষয়টা জরুরি ফ্রান্সের এমন দাবি মেনে নেয়নি কমিটি। এর চেয়ারম্যান য্যুভাল শানি বলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মূলত নারী অধিকার নিশ্চিতেই আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ইউরোপের মধ্যে ফ্রান্সই সর্বপ্রথম নেকাব নিষিদ্ধ করে। ২০১১ সালে এই আইনটি কার্যকর হয়। ২০১৪ সালে এর সমর্থন জানায় ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত। আইনটি ভঙ্গ করলে নারীদের ১৭০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
ফ্রান্সের পর এই আইন করে ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস ও বুলগেরিয়া। সুইজারল্যান্ডের কিছু অংশেও এই আইন করা হয়।
সূত্রঃ আল-জাজিরা
Comment