পাকিস্তানে প্রখ্যাত উলামাদের উপর পৃথক দুটি হামলায় নিহত ৫ এবং আহত হন আরো ২ জন।
আজ ২২/০৩/২০১৯ ঈসায়ী তারিখ রোজ শুক্রবার, পাকিস্তানের করাচিতে পৃথক পৃথক দুটি হামলার শিকার হন পাকিস্তানের প্রখ্যাত আলেম সমাজ। গুলিবর্ষণে ৫ জন নিহত ও আরো ২ জন আহত হন।
পাকিস্তানের করাচিতে একদল বন্দুকদারী উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন মুফতী তাকী উসমানি হা. এর গাড়ি লক্ষ করে গুলিবর্ষণ করে। এসময় তাকি উসমানির নিরাপত্তায় থাকা দুই দেহরক্ষী নিহত হয়। একজন পাকিস্তান পুলিশ সদস্য এবং অন্যজন একটি প্রাইভেট নিরাপত্তা বিভাগের সদস্য, এছাড়াও গুরুতর আহত হয় তার ড্রাইবার।
পত্যক্ষদর্শীদের মতে, দুটি মটর সাইকেলে চার বন্দুকদারী মুফতী সাহেবের গাড়ির পিছন দিক থেকে গুলিবর্ষণ করতে করতে এগিয়ে যায়। কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে আবারো সামনে থেকে হামলা চালালে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
মুফতী সাহেব জানান যে, এসময় গাড়িতে তার স্ত্রী ও দুই নাতি তার সঙ্গে ছিল। তারা সবাই নিরাপদে আছেন।
অপর হামলাটি চালানো হয় দারুল উলুম কোরিঙ্গির ইফতা বিভাগের প্রধান মুফতী সাহাবুল্লাহ রহ. এর উপর।
হামলার ঘটনাটি ঘটে করাচির গুলশানের ইকবাল নিপা চৌরাঙ্গি এলাকায়। এসময় মুফতী সাহাবুল্লাহ আলাদিন পার্কের ব্রিজ পার হচ্ছিলেন। এই হামলায় মুফতী সাহাবুল্লাহ এর দেহরক্ষী সানোবির ও ড্রাইবার আমিরসহ মুফতী সাহাবুল্লাহ নিহত হন।
এই হামলা নিয়ে টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাধরণের মন্তব্য করছেন সাধারণ পাকিস্তানী মুসলিমরা। কারণ, একের পর এক আলেমদের উপর এই ধরণের হামলা চালানো হচ্ছে, কিন্তু এর কোন সুষ্ঠু বিচার হচ্ছেনা।
মাত্র কয়েকমাস পূর্বেই শহীদ করা হয়েছে পাকিস্তানের আরেকজন প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন মাওলানা সামীউল হক (রহিমাহুল্লাহ) কে, এখনো পর্যন্ত বিচারের কাঠগড়ায় আনা হয়নি অপরাধীদের। এভাবেই প্রতিবার বেঁচে যাচ্ছে মূল অপরাধীরা ।
মূলত আলেম সমাজের উপর প্রতিটি হামলাই ছিল পরিকল্পিত ও ঠান্ডা মাথার। যার কারণে সব সময় মূল অপরাধীরা থেকে যাচ্ছে আইনের আওতা থেকে অনেক দূরে। আপনি এখানে আজ সুষ্ঠু বিচারের জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে আন্দোলন করবেন, তো পরের দিন দেখবেন অনেক অপরাধীকে গ্রেফতার করছে বলে সংবাদ প্রচার করছে দেশটি। নিজেদের স্বার্থে সরকার বিরোধী যেকোন দলের উপরেই কোন যাচাই-বাছাই করা ছাড়াই দোষ চাপিয়ে দিবে; হোক তারা TTP বা পাকিস্তানের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী গোত্রগুলো, যেসকল গোত্রগুলো নিজেদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে ।
Comment