সিলভিয়া রোমানো একজন ইতালিও তরুনী। পেশায় একজন সেচ্ছাসেবী, দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর আগে তিনি সেবা প্রদানের কাজে কেনিয়ায় গমন করেন এবং সেখান থেকে অপহরণের শিকার হন। তার গুম হওয়ার খবরটি যখন কর্মরত সংস্থা ও পরিবারের পক্ষ থেকে ইতালির সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অবহিত করা হয়, ইতালির প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার একটি টিম প্রায় দেড় বছর নিরলস পরিশ্রম করে শুধু মাত্র তাদের একজন ইতালীয় নাগরিককে উদ্ধার করতে। সর্বশেষ ইতালিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা ও তুরস্কের সেনাবাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় কেনিয়া থেকে গুম হওয়া সিলভিয়া রোমানোকে সোমালিয়া থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে তার পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেয়া হয়।
এখানেই শেষ নয়। করোনাভাইরাসের কারণে এই বৈশ্বিক ক্রান্তিলগ্নে সিলভিয়ার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথেই ইতালি থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে তাকে সোমালিয়া থেকে ইতালীতে আনা হয়। এটি ছিল, ইতালির পররাষ্ট্র বিষয়ক গোয়েন্দা বাহিনীর বিমান এবং সেটাতে করেই রোমের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চাম্পিনোতে অবতরণ করেন সিলভিয়া। ২৫ বছর বয়সী সিলভিয়া স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। সিলভিয়া রোমানো ২০১৮ সালে ২০ নভেম্বর কেনিয়ার চাকামা শহর থেকে অপহৃত হন। দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত রোববার তুরস্ক, সোমালিয়া ও ইতালিয়ান গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি বলছে, কেনিয়ায় অপহরণের পর সোমালিয়ার আল কায়েদা শাখা আল-শাবাবের আস্তানায় দীর্ঘ ১৮ মাস বন্দিজীবন কাটান সিলভিয়া। সেখানেই স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন বলে রোমে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন সিলভিয়া রোমানো।
ধর্মান্তরের ব্যাপারে সিলভিয়া বলেন, আমি স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। এমনকি আমাকে কোনো জোর করা হয়নি। এরপর অপহরণকারীরা পড়ার জন্য পবিত্র কোরআন শরীফ দিয়েছিল। ওরা আশ্বাস দিয়েছিল আমাকে হত্যা করবে না, হয়েছেও তাই। তিনি আরো বলেন, কেনিয়ায় অপহরণকারীরা কেউ আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেনি। বিয়ের ব্যাপারেও কোনো চাপ প্রয়োগ করেনি। হিজাব পরিহিতা সিলভিয়া সাবলীলভাবে নেমে আসেন ইতালিয়ান এজেন্সি ফর ইনফরমেশন এন্ড ফরেইন সিকিউরিটি’র বিশেষ জেট বিমান থেকে। এসময় বিমানবন্দরে ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইজি দি আরো উপস্থিত ছিলেন, সাথে ছিলেন সিলভিয়ার মা-বাবা ও বোন।
বিমানবন্দর থেকে সিলভিয়াকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় ইতালির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্যারামিলিটারি পুলিশ ফোর্স ক্যারাবিনিয়েরির হেফাজতে।
এদিকে ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্ধার সিলভিয়াকে উদ্ধারের অভিযানে তুরস্কের অবদান স্বীকার করে বলেছে, তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থা সিলভিয়াকে শনাক্ত করতে ও সঠিক ব্যবস্থা নিতে সহযোগিতা করেছে।
উল্লেখ্য, মিডিয়ায় গুজব রটে যে, অপহরণের পর সিলভিয়াকে বিয়ে করতে ও ইসলাম গ্রহণ করতে জোর করা হয়েছিল। কিন্তু সর্বশেষ গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য সূত্রে জানা যায় সিলভিয়া রোমানো এসব খবর পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। সূত্র: আনাদোলু
এখানেই শেষ নয়। করোনাভাইরাসের কারণে এই বৈশ্বিক ক্রান্তিলগ্নে সিলভিয়ার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথেই ইতালি থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে তাকে সোমালিয়া থেকে ইতালীতে আনা হয়। এটি ছিল, ইতালির পররাষ্ট্র বিষয়ক গোয়েন্দা বাহিনীর বিমান এবং সেটাতে করেই রোমের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চাম্পিনোতে অবতরণ করেন সিলভিয়া। ২৫ বছর বয়সী সিলভিয়া স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। সিলভিয়া রোমানো ২০১৮ সালে ২০ নভেম্বর কেনিয়ার চাকামা শহর থেকে অপহৃত হন। দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত রোববার তুরস্ক, সোমালিয়া ও ইতালিয়ান গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি বলছে, কেনিয়ায় অপহরণের পর সোমালিয়ার আল কায়েদা শাখা আল-শাবাবের আস্তানায় দীর্ঘ ১৮ মাস বন্দিজীবন কাটান সিলভিয়া। সেখানেই স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন বলে রোমে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন সিলভিয়া রোমানো।
ধর্মান্তরের ব্যাপারে সিলভিয়া বলেন, আমি স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। এমনকি আমাকে কোনো জোর করা হয়নি। এরপর অপহরণকারীরা পড়ার জন্য পবিত্র কোরআন শরীফ দিয়েছিল। ওরা আশ্বাস দিয়েছিল আমাকে হত্যা করবে না, হয়েছেও তাই। তিনি আরো বলেন, কেনিয়ায় অপহরণকারীরা কেউ আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেনি। বিয়ের ব্যাপারেও কোনো চাপ প্রয়োগ করেনি। হিজাব পরিহিতা সিলভিয়া সাবলীলভাবে নেমে আসেন ইতালিয়ান এজেন্সি ফর ইনফরমেশন এন্ড ফরেইন সিকিউরিটি’র বিশেষ জেট বিমান থেকে। এসময় বিমানবন্দরে ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইজি দি আরো উপস্থিত ছিলেন, সাথে ছিলেন সিলভিয়ার মা-বাবা ও বোন।
বিমানবন্দর থেকে সিলভিয়াকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় ইতালির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্যারামিলিটারি পুলিশ ফোর্স ক্যারাবিনিয়েরির হেফাজতে।
এদিকে ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্ধার সিলভিয়াকে উদ্ধারের অভিযানে তুরস্কের অবদান স্বীকার করে বলেছে, তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থা সিলভিয়াকে শনাক্ত করতে ও সঠিক ব্যবস্থা নিতে সহযোগিতা করেছে।
উল্লেখ্য, মিডিয়ায় গুজব রটে যে, অপহরণের পর সিলভিয়াকে বিয়ে করতে ও ইসলাম গ্রহণ করতে জোর করা হয়েছিল। কিন্তু সর্বশেষ গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য সূত্রে জানা যায় সিলভিয়া রোমানো এসব খবর পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। সূত্র: আনাদোলু
Comment