Announcement

Collapse
No announcement yet.

হতভাগা পাহাড়ি বাঙালী মুসলমান।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • হতভাগা পাহাড়ি বাঙালী মুসলমান।

    আমাদের ভূলে গেলে চলবে না, পাহাড়ে বসবাসরত আমাদের বাঙালি মুসলিমদের কথা যারা দেশের অভ্যন্তরে সর্বাধিক নির্যাতিত জনগোষ্ঠী। পাহাড়ে বাঙালিদের অভিবাসন শুরু হয় মুলত পাকিস্তানের সূচনালগ্ন হতেই।ব্রিটিশ বেনিয়াদের কাছ থেকে মুক্তির পর পরই পাকিস্তান সরকার সারা দেশের মত পার্বত্য অঞ্চলেও ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এর সুবাদে ১৯৫৩ সালে চন্দ্রঘোনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঁশ ভিত্তিক এশিয়ার বৃহত্তম পেপার মিল স্থাপিত হয়। কিন্ত বাঁশ কাটার জন্য অধিক পারিশ্রমিকের বিনিময়ে বাঙালিদের নিয়োগ দিতে হয় বাধ্য হয়েই।কেননা, পাহাড়ি উপজাতিরা কায়িক পরিশ্রম তো দূরের কথা বাঁশ কাটতেও অভ্যস্ত ছিল না।এরপর, রান্তাঘাট, কাপ্তাই বাঁধসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্পে সরকার বাধ্য হয়ে বাঙালিদের অধিক পারিশ্রমিকের বিনিময়ে সমতল হতে নিয়ে গিয়ে নিয়োগ দিত। তখন পর্যন্ত উপজাতিদের কোন মাথা ব্যাথা ছিল না।পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে জিয়াউর রহমান নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ বাঙালিদের পার্বত্য চট্টগ্রামে অভিবাসনের একটি প্রকল্প হাতে নেয়। ঠিক এ সময় ভারতের ছত্রছায়ায় পাহাড়ে স্বায়ত্তশাসনের দাবি তুলে উপজাতিদের প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র দিয়ে বাঙ্গালিদের পিছনে লেলিয়ে দেয়। একথা অজানা নয় উপজাতিরা ভারতের ত্রিপুরায় প্রশিক্ষণ নিয়েছিলো এবং তারা ত্রিপুরা মিজোরামে নিরাপদ আশ্রয়ে থেকেই বাংলাদেশে হামলা পরিচালনা করতো। এমনকি তারা ১৯৭৭ সাল হতে নিয়মিত সেনাবাহিনীর উপর আক্রমণ পরিচালনা করে যা এখনো পর্যন্ত চলমান।কিন্ত, সেনা-- পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের এ যুদ্ধে বারবার বলির পাঠা হয়েছে হতভাগা বাঙালি মুসলমানরা যারা নদী ভাঙ্গনে ঘর বাড়ি হারিয়ে পাহাড়ে সামান্য আশ্রয়ের জায়গা পেয়েছিলো। সেনা বাহিনীর সাথে পেরে না উঠলেও উপজাতি সন্ত্রাসীরা নিরস্ত্র বাঙ্গালীদের উপর নিয়মিত গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুন্ঠন,চাঁদাবাজি করতো যা আজও চলমান। এরপর, কুলাঙ্গার হাসিনা ১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তির নামে এমন এক কালো চুক্তি স্বাক্ষর করে যা খেসারত আজ পুরো বাঙালি জাতিকে দিতে হচ্ছে। আজ সরকারের প্রতিটি ক্ষেত্রে উপজাতিদের জন্য কোটা ব্যাবস্থা বিদ্যমান।ফলশ্রুতিতে, বর্তমানে অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যে, একদিকে কোটা ব্যাবস্থায় শিক্ষা -বিজ্ঞান, চাকুরীসহ প্রতিটি সেক্টরে উপজাতিরা তারা অধিক সুবিধা প্রাপ্ত, অপরদিকে তারা পাহাড়ে হতভাগা বাঙালি মুসলমানদের নিয়মিত অস্ত্রের মুখে চাঁদাবাজি, হত্যা, লুন্ঠন করছেন।এমনকি বর্তমানে তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম পেরিয়ে পাশ্ববর্তী উপজেলা তথা ফটিকছড়ি, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, পটিয়াতেও নিয়মিত অস্ত্রের মুখে চাঁদাবাজি করছে যা পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে। পরিসংখ্যান মতে, বর্তমানে উপজাতিদের স্বাক্ষরতার হার যেখানে ৭০% এর উপরে সেখানে পাহাড়ি বাঙালিদের ১০% এরও কম।অপরদিকে, কোঠা ব্যাবস্থায় উপজাতিরা সরকারের প্রতিটা সেক্টরে বিরাজ করলেও পাহাড়ি বাঙ্গালীরা সরকারি চাকুরির ধারে কাছেও যেতে পারছে না।সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হলো, পাহাড়ে বিস্তৃত অনাবাদী ভূমি পড়ে থাকলেও বাঙ্গালীদেরকে গুচ্ছ গ্রামে গদাগদি করে থাকতে হচ্ছে যার তুলনা চলে একমাত্র রাজধানীর জিন্জিরার সাথে, এর বাইরে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। এককথায় পাহাড়ে বাঙালি মুসলমানদের অবস্থা রোহিঙ্গা মুসলমানদের থেকেও করুণ।আমি এখানে আত্যুক্তি করছি না।
    বর্তমানে, ভারত ছাড়াও খ্রিস্টান মিশনারির কল্যানে বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ উপজাতি সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছে এবং পাহাড় থেকে বাঙালিদের বিতারনে গণহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছে । সরকার ইতিমধ্যেই চলেবলে কৌশলে পাহাড় হতে বাঙালি মুসলমানদের বিতারনের অাশ্বাস ইউরোপীয়দের দিয়ে রেখেছে। এ ধরনের একটি কৌশল হলো, পাহাড়ে নির্বাচনের জন্য ভোটার হতে হলে পাহাড়ের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে, আর স্থায়ী বাসিন্দা হতে হলে জমি -জমা থাকতে হবে।কিন্তু, আমরা সকলে জানি, জিয়াউর রহমানের সময়ে বাঙালিদের খাস জমিতে পূনর্বাসীত করা হয়েছিল এবং পার্বত্য শান্তি চুক্তি অনুযায়ী পাহাড়ে জমি কেনার কোন সুযোগ নেই।আমার পরিচিত একজন স্থায়ী বাসিন্দার মারপ্যাচে পাসপোর্ট করতে পারছেন না বিদেশ যাওয়ার জন্য।এভাবে, বর্তমানে ভারত - ইউরোপীয় শক্তির উদ্যোগে এবং কুলাঙ্গার হাসিনা সরকারের প্রত্যক্য মদদে পাহাড়ি বাঙালী মুসলমানদের বিরুদ্ধে এক বহুমুখী ষড়যন্ত্র বিদ্যমান।

  • #2
    অনেক বেকার ছেলে আছে যারা পারেনা শুধু বাবার সব সম্পত্তি বিক্রি করে দিতে,
    তেমনি হাসিনাও পুরো দেশটাকে বিক্রি করে দিতে পারছেনা,
    অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে,দেশটা বিক্রি করে দিলেই বুঝি সে একটু স্বস্তির নিশ্বাস পেলে।
    💐💐নিরাপত্তা নামক রাস্তাটির সূচনা হয় আগ্রাসন উঠিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে।।💐💐

    _______❣️শহিদ শাইখ ওসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ❣️_______

    Comment


    • #3
      4:75 وَ مَا لَکُمۡ لَا تُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَ الۡمُسۡتَضۡعَفِیۡنَ مِنَ الرِّجَالِ وَ النِّسَآءِ وَ الۡوِلۡدَانِ الَّذِیۡنَ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اَخۡرِجۡنَا مِنۡ ہٰذِہِ الۡقَرۡیَۃِ الظَّالِمِ اَہۡلُہَا ۚ وَ اجۡعَلۡ لَّنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ وَلِیًّا ۚۙ وَّ اجۡعَلۡ لَّنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ نَصِیۡرًا ﴿ؕ۷۵﴾

      আর তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছ না! অথচ দুর্বল পুরুষ, নারী ও শিশুরা বলছে, ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে যার অধিবাসীরা যালিম এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন অভিভাবক নির্ধারণ করুন। আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী।’

      প্রশ্ন ঃ- তারা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে কী?

      প্রশ্ন ঃ- অভিযোগের উত্তর দিতে পারব কী?

      প্রশ্ন ঃ-এর জন্য কোন উত্তর প্রস্তুত করেছি কী?

      প্রশ্ন ঃ- ওলি ও নাসিরের দায়িত্ব পালন করা আমাদের উপর কর্তব্য নয় কী?

      Comment

      Working...
      X