আমরা সকলে জানি যে, বৃটিশদের বিরুদ্ধে প্রবল জনরোষ, উপযুক্ত নেতৃত্ব আর অর্থের যথেষ্ট যোগান থাকা সত্ত্বেও পরাজয়ের অন্যতম প্রধান কারন ছিলো অস্ত্রের অপ্রতুলতা। আবার অস্ত্র পর্যাপ্ত পরিমাণ সংগ্রহে থাকার পরও একটা সময় পর গোলাবারুদের অভাবে অনেক বিদ্রোহী সংগঠনকে পিছু হটতে দেখা গিয়েছিল।
অথচ, কোনরূপ সামরিক প্রশিক্ষণ ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যাতীত সাঁওতাল জনগোষ্ঠী সম্পূর্ণ দেশীয় অস্ত্রের মাধ্যমে এ অঞ্চলের সমতলে ইংরেজদের অন্তরাত্মা কাপিয়ে দিয়েছিলো। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হয়েও ইংরেজদের বিরুদ্ধে তাদের সফলতার প্রধান কারন ছিলো দেশীয় অস্ত্রের অফুরন্ত ভান্ডার। বৃটিশদের বিরুদ্ধে সাঁওতালদের প্রধান হাতিয়ার ছিলো দেশীয় বাঁশের তৈরি তীর-ধনুক। সাঁওতালরা বাঁশ দিয়ে তুণীর আর বাঁশের ডাল দিয়ে তীর তৈরি করত। বর্তমানে ঢাকায় অবস্থিত জাতীয় জাদুঘরে তাদের ব্যাবহৃত তীর-ধনুক সংরক্ষিত আছে।কেউ চাইলে ৪০ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে জাতীয় জাদুঘরে দেখে আসতে পারেন।এতে বাঁশ দিয়ে তীর-ধনুক তৈরির সহজসাধ্যতা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।তাছাড়া, ইউটিউবে বাঁশ দিয়ে তীর-ধনুক তৈরির প্রচুর ভিডিও পাওয়া যাবে।
বাঁশের তৈরি তীর-ধনুকের কার্যক্ষমতা কম হওয়া সত্ত্বেও এর যথাযথ ব্যাবহার যে কতখানি ক্ষতি সাধন করতে পারে তা সেসময়ের পত্রিকাগুলোর খবরের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবো।
শ্রীরামপুর হুগলি থেকে ১৮৫৫ সালের ১৯ জুলাই প্রকাশিত ' ফ্রেন্ড অব ইন্ডিয়া ' লিখেছে যে, 'বাঙলাদেশের প্রধান এলাকায় বিশাল সশস্ত্র বিদ্রোহের বিস্ফোরণ ঘটেছে এবং সেজন্য সত্ত্বর দ্রুতগামী একের পর এক ট্রেনভর্তি ফৌজ যাচ্ছে। রাজমহলের পার্বত্য এলাকা থেকে হাজার হাজার উপজাতি মানুষ আকস্মিক বিস্তীর্ণ মাঠে নেমে এসেছে। চতুর্দিকে তারা আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে, কুঠার, বিষমাখা তীর এবং গাদা বন্দুক হাতে হাজার হাজার সাঁওতাল পাহাড় থেকে মাঠে নেমে এসে যুদ্ধের আওয়াজ তুলছে, ' প্রতিটি সাহেবের উপর প্রতিশোধ নেব ;......
তাছাড়া, সম্প্রতিক সময়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে রাজনৈতিক এবং পুলিশি নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উপজাতি কর্তৃক এর সফল ব্যাবহার পরিলক্ষিত হয়েছে।
বাঁশ দিয়ে তীর-ধনুক তৈরি খুব সহজ একটি বিষয়। বাঁশকে উল্লম্ব করে কেটে সামান্য বাঁকা করে দড়ি দিয়ে বাধলেই সহজে ধনুক তৈরি হয়ে যায়। আর তীরের জন্য বাঁশের ডগা সাইজ করে কেটে মাথায় ফলা আর গোড়ায় পালক বেধে দিলেই তীর তৈরি হয়ে যাবে। ফলা তৈরির জন্য বাজার থেকে মোটা পেরেক কিনে ভোঁতা অংশ গরম করে পিটিয়ে চেপ্টা সুঁচালো করে নিজে নিজে তৈরি করা যায়। ভোঁতা অংশ কেটে ফেলেও ফলা তৈরি করা যায়। এছাড়া, ফলার মাথায় বিষ হিসেবে ব্যাবহারের জন্য প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম অনেক উপাদান আমাদের আশেপাশেই পেয়ে যাবেন।
নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। বাঁশ দিয়ে তীর-ধনুক তৈরি খুবই সহজ একটি বিষয়। তাই ভারতে উগ্র হিন্দুদের আগ্রাসন মোকাবিলায় একেবারে খালি হাতে থাকার চাইতে আশেপাশের সহজলভ্য হতিয়ার সংগ্রহে থাকলে মন্দ হয় না।
অথচ, কোনরূপ সামরিক প্রশিক্ষণ ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যাতীত সাঁওতাল জনগোষ্ঠী সম্পূর্ণ দেশীয় অস্ত্রের মাধ্যমে এ অঞ্চলের সমতলে ইংরেজদের অন্তরাত্মা কাপিয়ে দিয়েছিলো। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হয়েও ইংরেজদের বিরুদ্ধে তাদের সফলতার প্রধান কারন ছিলো দেশীয় অস্ত্রের অফুরন্ত ভান্ডার। বৃটিশদের বিরুদ্ধে সাঁওতালদের প্রধান হাতিয়ার ছিলো দেশীয় বাঁশের তৈরি তীর-ধনুক। সাঁওতালরা বাঁশ দিয়ে তুণীর আর বাঁশের ডাল দিয়ে তীর তৈরি করত। বর্তমানে ঢাকায় অবস্থিত জাতীয় জাদুঘরে তাদের ব্যাবহৃত তীর-ধনুক সংরক্ষিত আছে।কেউ চাইলে ৪০ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে জাতীয় জাদুঘরে দেখে আসতে পারেন।এতে বাঁশ দিয়ে তীর-ধনুক তৈরির সহজসাধ্যতা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।তাছাড়া, ইউটিউবে বাঁশ দিয়ে তীর-ধনুক তৈরির প্রচুর ভিডিও পাওয়া যাবে।
বাঁশের তৈরি তীর-ধনুকের কার্যক্ষমতা কম হওয়া সত্ত্বেও এর যথাযথ ব্যাবহার যে কতখানি ক্ষতি সাধন করতে পারে তা সেসময়ের পত্রিকাগুলোর খবরের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবো।
শ্রীরামপুর হুগলি থেকে ১৮৫৫ সালের ১৯ জুলাই প্রকাশিত ' ফ্রেন্ড অব ইন্ডিয়া ' লিখেছে যে, 'বাঙলাদেশের প্রধান এলাকায় বিশাল সশস্ত্র বিদ্রোহের বিস্ফোরণ ঘটেছে এবং সেজন্য সত্ত্বর দ্রুতগামী একের পর এক ট্রেনভর্তি ফৌজ যাচ্ছে। রাজমহলের পার্বত্য এলাকা থেকে হাজার হাজার উপজাতি মানুষ আকস্মিক বিস্তীর্ণ মাঠে নেমে এসেছে। চতুর্দিকে তারা আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে, কুঠার, বিষমাখা তীর এবং গাদা বন্দুক হাতে হাজার হাজার সাঁওতাল পাহাড় থেকে মাঠে নেমে এসে যুদ্ধের আওয়াজ তুলছে, ' প্রতিটি সাহেবের উপর প্রতিশোধ নেব ;......
তাছাড়া, সম্প্রতিক সময়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে রাজনৈতিক এবং পুলিশি নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উপজাতি কর্তৃক এর সফল ব্যাবহার পরিলক্ষিত হয়েছে।
বাঁশ দিয়ে তীর-ধনুক তৈরি খুব সহজ একটি বিষয়। বাঁশকে উল্লম্ব করে কেটে সামান্য বাঁকা করে দড়ি দিয়ে বাধলেই সহজে ধনুক তৈরি হয়ে যায়। আর তীরের জন্য বাঁশের ডগা সাইজ করে কেটে মাথায় ফলা আর গোড়ায় পালক বেধে দিলেই তীর তৈরি হয়ে যাবে। ফলা তৈরির জন্য বাজার থেকে মোটা পেরেক কিনে ভোঁতা অংশ গরম করে পিটিয়ে চেপ্টা সুঁচালো করে নিজে নিজে তৈরি করা যায়। ভোঁতা অংশ কেটে ফেলেও ফলা তৈরি করা যায়। এছাড়া, ফলার মাথায় বিষ হিসেবে ব্যাবহারের জন্য প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম অনেক উপাদান আমাদের আশেপাশেই পেয়ে যাবেন।
নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। বাঁশ দিয়ে তীর-ধনুক তৈরি খুবই সহজ একটি বিষয়। তাই ভারতে উগ্র হিন্দুদের আগ্রাসন মোকাবিলায় একেবারে খালি হাতে থাকার চাইতে আশেপাশের সহজলভ্য হতিয়ার সংগ্রহে থাকলে মন্দ হয় না।