ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টানসহ আধিবাসী আর হিন্দু নিচু জাতিদের উপর উগ্র ব্রাহ্মণ্যবাদীদের আক্রমন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে। তবে এখানে সবসময় প্রতিটি হামলা আর মৃত্যুর পিছনে পুলিশের প্রত্যক্ষ ভূমিকা সবসময় আড়ালে থেকে যাচ্ছে। আপনি দাঙ্গাকারী উগ্র হিন্দুদের বিরুদ্ধে লড়াই করে কিংবা পালিয়ে গিয়ে জানে বেঁচে যেতে পারবেন, কিন্তু একবার পুলিশি নিরাপত্তায় গেলে আপনার বাঁচার সম্ভাবনা একদম ক্ষীণ। নিচে মনিপুরের ঘটনা দিয়ে শুরু করে এ ধরনের কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরছি।
১) গত ৪ঠা মে কাংপোকপি জেলায় যখন উগ্র হিন্দু মেইতি সম্প্রদায় কর্তৃক গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছিল, তখন প্রাণে বাঁচতে ঐ দুই নারীসহ পরিবারের কয়েকজন মিলে কাছের জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পথে থৌবাল জেলার একটি পুলিশ ভ্যান তাদের উদ্ধার করে গাড়িতে তুলে নেয়। তবে পুলিশ যখন তাদের থানায় নিয়ে যাচ্ছিল, তখন থানা থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার দূরে একদল উত্তেজিত জনতা তাদের ঘিরে ধরে। ওই ক্ষুব্ধ জনতা তাদের পুলিশের হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং খোলা মাঠে নিয়ে গিয়ে পিতা-ভাইকে হত্যা করে ঐ দুই নারীকে উলঙ্গ করে গণধর্ষণ করেন। এরপর উলঙ্গ অবস্থায় পুরো শহরে ঘোরানো হয়।
কিন্তু ভিক্টিম দু’জন নারীর একজন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাকে জানিয়েছেন, “পুলিশ আসলে হামলাকারীদের সঙ্গেই ছিল। ওরা বাড়ির বেশ কাছেই প্রথমে আমাদের গাড়িতে তুলে নেয়, তারপর গ্রামের একটু বাইরে গিয়েই রাস্তায় ছেড়ে দেয়। পুলিশই ওই জনতার হাতে আমাদের তুলে দিয়েছিল।”
অর্থাৎ ওই ভিক্টিম দাবি করেছেন, পুলিশের কাছ থেকে তাদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি – পুলিশই ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের ওই হামলাকারীদের হাতে তুলে দিয়েছে। সূত্র -বিবিসি বাংলা।
২) গত সোমবার ভারতের হরিয়ানায় মুসলিম অধ্যুষিত নুহ এলাকায় বিতর্কিত উগ্র হিন্দু নেতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে নুহ এর পার্শ্ববর্তী গুরুগাওয়ে এক পুরনো মসজিদে হামলার আশঙ্কায় ইমাম সাহেব পুলিশি নিরাপত্তার আশ্রয় নেয়। কিন্তু, কড়া পুলিশি নিরাপত্তা সত্বেও মধ্যরাতে ইমাম সাহেবকে কল করে জানানো হয় মসজিদে আক্রমণ করে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এবং ইমাম সাহেবকে হত্যা করা হয়েছে। সূত্র -ডয়েচে ভেলে
৩) আল ফিরদাউস নিউজে প্রকাশিত গত ২৫ শে জুলাই আসামের ঘটনায় দেখি, নিহত সাদ্দাম ও পালিয়ে রক্ষা পাওয়া আনওয়ার এর বড় ভাই সাদ্দামসহ তার সাথীদের উদ্ধারে ব্যার্থ হলে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দিন-রাত পাহারা দিয়ে পরের দিন তাদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। জগন্য ব্যাপার হলো পুলিশের সামনেই তাদের দিন-রাত মারধর করা হয়।
৪) গত কয়েকমাস পূর্বে আসামে পুলিশের উপস্থিতিতে কৃষককে হত্যা এবং তার উপর উগ্র সাংবাদিকের ঘৃণ্য নৃত্যকে পুরো বিশ্ব অবলোকন করেছে।
গতবছর জুলাই স্টেট ওয়াচ নামে একটি অনলাইন পোর্টাল বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের তথ্যের উপর ভিত্তি করে দুই বছরে অর্থাৎ ২০২১-২২ সালে পুলিশি হেফাজতে ৪৪৮৪টি মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে একটি বিশাল প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। উক্ত প্রতিবেদনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) এর বরাতে বলা হয়, "এইসব হেফাজতকালীন মৃত্যুর জন্য আদালত তদন্তের আদেশ দিলেও এ পর্যন্ত কোনো পুলিশ কর্মচারিকে না দায়ী করা হয়েছে, না অভিযুক্ত করা হয়েছে৷
পুলিশ এইসব হেফাজতকালীন মৃত্যুর ঘটনাকে হয় আত্মহত্যা, না হয় প্রাকৃতিক কারণ কিংবা শারীরীক অসুস্থতা বলে দাবি করে৷ পুলিশের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজনদের আনা নির্যাতনের অভিযোগকে নস্যাত করে দেওয়া হয়৷"
আর, এদেশের পুলিশ সম্পর্কে কি বলব যারা বিএনপি-জামায়াতের মত লিবারেল গনতান্ত্রিক দলকে আমেরিকা-কানাডায় সন্ত্রাসী সংগঠন প্রমান করে, পরহেজগার মুসলিম যুবকদের তুলে নিয়ে গিয়ে জঙ্গি নাটক মঞ্চস্থ করে, তাদেরকে সন্ত্রাসী সংগঠন না বলে সিনেমার খলনায়ক বলায় শ্রেয়।
১) গত ৪ঠা মে কাংপোকপি জেলায় যখন উগ্র হিন্দু মেইতি সম্প্রদায় কর্তৃক গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছিল, তখন প্রাণে বাঁচতে ঐ দুই নারীসহ পরিবারের কয়েকজন মিলে কাছের জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পথে থৌবাল জেলার একটি পুলিশ ভ্যান তাদের উদ্ধার করে গাড়িতে তুলে নেয়। তবে পুলিশ যখন তাদের থানায় নিয়ে যাচ্ছিল, তখন থানা থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার দূরে একদল উত্তেজিত জনতা তাদের ঘিরে ধরে। ওই ক্ষুব্ধ জনতা তাদের পুলিশের হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং খোলা মাঠে নিয়ে গিয়ে পিতা-ভাইকে হত্যা করে ঐ দুই নারীকে উলঙ্গ করে গণধর্ষণ করেন। এরপর উলঙ্গ অবস্থায় পুরো শহরে ঘোরানো হয়।
কিন্তু ভিক্টিম দু’জন নারীর একজন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাকে জানিয়েছেন, “পুলিশ আসলে হামলাকারীদের সঙ্গেই ছিল। ওরা বাড়ির বেশ কাছেই প্রথমে আমাদের গাড়িতে তুলে নেয়, তারপর গ্রামের একটু বাইরে গিয়েই রাস্তায় ছেড়ে দেয়। পুলিশই ওই জনতার হাতে আমাদের তুলে দিয়েছিল।”
অর্থাৎ ওই ভিক্টিম দাবি করেছেন, পুলিশের কাছ থেকে তাদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি – পুলিশই ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের ওই হামলাকারীদের হাতে তুলে দিয়েছে। সূত্র -বিবিসি বাংলা।
২) গত সোমবার ভারতের হরিয়ানায় মুসলিম অধ্যুষিত নুহ এলাকায় বিতর্কিত উগ্র হিন্দু নেতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে নুহ এর পার্শ্ববর্তী গুরুগাওয়ে এক পুরনো মসজিদে হামলার আশঙ্কায় ইমাম সাহেব পুলিশি নিরাপত্তার আশ্রয় নেয়। কিন্তু, কড়া পুলিশি নিরাপত্তা সত্বেও মধ্যরাতে ইমাম সাহেবকে কল করে জানানো হয় মসজিদে আক্রমণ করে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এবং ইমাম সাহেবকে হত্যা করা হয়েছে। সূত্র -ডয়েচে ভেলে
৩) আল ফিরদাউস নিউজে প্রকাশিত গত ২৫ শে জুলাই আসামের ঘটনায় দেখি, নিহত সাদ্দাম ও পালিয়ে রক্ষা পাওয়া আনওয়ার এর বড় ভাই সাদ্দামসহ তার সাথীদের উদ্ধারে ব্যার্থ হলে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দিন-রাত পাহারা দিয়ে পরের দিন তাদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। জগন্য ব্যাপার হলো পুলিশের সামনেই তাদের দিন-রাত মারধর করা হয়।
৪) গত কয়েকমাস পূর্বে আসামে পুলিশের উপস্থিতিতে কৃষককে হত্যা এবং তার উপর উগ্র সাংবাদিকের ঘৃণ্য নৃত্যকে পুরো বিশ্ব অবলোকন করেছে।
গতবছর জুলাই স্টেট ওয়াচ নামে একটি অনলাইন পোর্টাল বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের তথ্যের উপর ভিত্তি করে দুই বছরে অর্থাৎ ২০২১-২২ সালে পুলিশি হেফাজতে ৪৪৮৪টি মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে একটি বিশাল প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। উক্ত প্রতিবেদনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) এর বরাতে বলা হয়, "এইসব হেফাজতকালীন মৃত্যুর জন্য আদালত তদন্তের আদেশ দিলেও এ পর্যন্ত কোনো পুলিশ কর্মচারিকে না দায়ী করা হয়েছে, না অভিযুক্ত করা হয়েছে৷
পুলিশ এইসব হেফাজতকালীন মৃত্যুর ঘটনাকে হয় আত্মহত্যা, না হয় প্রাকৃতিক কারণ কিংবা শারীরীক অসুস্থতা বলে দাবি করে৷ পুলিশের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজনদের আনা নির্যাতনের অভিযোগকে নস্যাত করে দেওয়া হয়৷"
আর, এদেশের পুলিশ সম্পর্কে কি বলব যারা বিএনপি-জামায়াতের মত লিবারেল গনতান্ত্রিক দলকে আমেরিকা-কানাডায় সন্ত্রাসী সংগঠন প্রমান করে, পরহেজগার মুসলিম যুবকদের তুলে নিয়ে গিয়ে জঙ্গি নাটক মঞ্চস্থ করে, তাদেরকে সন্ত্রাসী সংগঠন না বলে সিনেমার খলনায়ক বলায় শ্রেয়।
Comment