Announcement

Collapse
No announcement yet.

কারা বর্তমানের আসহাবে কাহাফ এবং গুরাবা!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কারা বর্তমানের আসহাবে কাহাফ এবং গুরাবা!

    "তারা এ বাণীতে ঈমান না আনলে মনে হচ্ছে তাদের পিছনে ঘুরে তুমি নিজের জান বিনাশ করে দেবে। নিশ্চয় যমীনের উপর যা রয়েছে, আমি সেগুলোকে তার শোভা-সৌন্দর্য করেছি যাতে আমি মানুষকে পরীক্ষা করতে পারি যে, ‘আমালের ক্ষেত্রে কারা উত্তম'। আর নিশ্চয় তার উপর যা রয়েছে তাকে আমি উদ্ভিদহীন শুষ্ক মাটিতে পরিণত করব। তুমি কি মনে করেছ যে, গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা ছিল আমার আয়াতসমূহের এক বিস্ময়?" - [সূরা কাহফঃ ৬-৯]

    সূরাটি মাক্কি সূরা। রসূল ﷺ এর প্রকাশ্য দাওয়াহর কাজ চলছে। কিন্তু আরবদের কাছে এটা বড়ই অদ্ভুত কথা যে সকল ইলাহকে ত্যাগ করে একজন ইলাহে ঈমান আনতে হবে। বাপ-দাদাদের দ্বীন ত্যাগ করে নতুন এক দ্বীনে ঈমান আনতে হবে, আবার এমন একজনকে রাসূল হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে যার কাছে ধন-সম্পদ ও আরবের ক্ষমতা নেই। শুধু তাই নয়- আরবরা দেখেছে, কীভাবে দ্বীনের জন্য কিছু লোক নিজেদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে শুধু মাত্র একজন ইলাহের দাসত্বের জন্য। স্রোতের বিপরীতে যেয়ে শত অত্যাচার-নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে, নিজেদের সম্পদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শুধু মাত্র একটি দ্বীনের জন্য। এটা বড়ই অদ্ভুত বিষয়!

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা সূরা কাহফে রসূল ﷺ এবং তাঁর সাহাবাদের দেখিয়েছেন, "তোমরাই প্রথম নও যারা লোকেদের কাছে অপরিচিত, এরকম ঘটনা প্রবাহ পূর্বেও ঘটেছে। অতএব, শিক্ষা গ্রহণ করো আমার আয়াত সমূহ থেকে।" এই শিক্ষা যেমন রসূল ﷺ এবং তাঁর সাহাবাদের জন্য, তেমনি এই আয়াত সমূহ রসূল ﷺ এর উম্মতের জন্যও। তা এমন এক কিতাবে বর্ণিত হয়েছে যার স্থায়িত্ব ক্বিয়ামাত পর্যন্ত।

    "আমিই তোমাকে তাদের সংবাদ সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। নিশ্চয় তারা ছিল কয়েকজন যুবক, যারা তাদের রবের প্রতি ঈমান এনেছিল এবং আমি তাদের হিদায়াত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। যখন তারা উঠেছিল, আমি তাদের অন্তরকে দৃঢ় করেছিলাম। তখন তারা বলল, ‘আমাদের রব আসমানসমূহ ও যমীনের রব। তিনি ছাড়া কোন ইলাহকে আমরা কখনো ডাকব না। (যদি ডাকি) তাহলে নিশ্চয় তা অতিশয় গর্হিত হবে’। এরা আমাদের কওম, তারা তাঁকে ছাড়া অন্যান্য উপাস্য গ্রহণ করেছে। কেন তারা তাদের ব্যাপারে স্পষ্ট প্রমাণ উপস্থিত করে না? অতএব যে আল্লাহর ব্যাপারে মিথ্যা রটায়, তার চেয়ে বড় যালিম আর কে? আর যখন তোমরা তাদের থেকে আলাদা হয়েছ এবং আল্লাহ ছাড়া যাদের তারা উপাসনা করে তাদের থেকেও, তখন গুহায় আশ্রয় নাও। তাহলে তোমাদের রব তোমাদের জন্য তার রহমত উন্মুক্ত করে দেবেন এবং তোমাদের জন্য তোমাদের জীবনোপকরণের বিষয়টি সহজ করে দেবেন।" - [সূরা কাহফঃ ১৩-১৬]

    এরা ছিলো সেসব যুবক- যারা রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত শির্কের বিরুদ্ধে গিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন। তারা ছিলেন সংখ্যায় অতি অল্প-নগন্য। তাদের ঈমানের জন্য তাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে। কিন্তু তাওহীদের বিষয়ে তারা ছিলেন আপোসহীন। অতঃপর তারা নিজ ভূমি ত্যাগ করলেন এবং গুহায় আশ্রয় নিলেন। তা তো তাদের করতে হতোই। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তারা কমফোর্ট জোনে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন নি। এবং এই ঘটনাটি এতোটাই চমৎকার ছিল যে তা আল্লাহ নিজ কিতাবে লিপিবদ্ধ করলেন।

    এবার বর্তমান ঘটনা প্রবাহে লক্ষ্য করা যাক। সাহাবাদের সময় ইসলাম যেমন অপ্রতিষ্ঠিত অবস্থায় ছিলেন, আমরাও তেমনই এক সন্ধিক্ষণ অতিবাহিত করছি। যুগে যুগে শয়তান নতুন নতুন ফিতনা নিয়ে আবির্ভূত হয়, নানান ভাবে লোকেদের কুফর ও শির্কের দিকে ধাবিত করতে থাকে। তাওহীদ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকলে সে সকল কুফর ও শির্ক লোকেদের কাছে স্পষ্ট থাকে। কিন্তু লোকেরা কেবল অজ্ঞতাকেই বেছে নিয়েছে।

    গণতন্ত্র, কুফরী সংবিধান, জাতীয়তাবাদ, সেক্যুলারিজম এর মতো শির্ক ও কুফরসমূহ আবার আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রে এই শির্ক প্রতিষ্ঠিত। লক্ষ-কোটি মানুষের ভীড়ে অল্প কিছু নগন্য যুবক-যুবতী, তরুন-বৃদ্ধ আসহাবে কাহফদের ভূমিকায় অবর্তীর্ণ হয়েছে। এই ভূমিকা নতুন নয়। তবে নিজেদেরকে দ্বীনের কর্মী দাবী করা লোকেদের ভীড়ে, বিদাতি আক্বীদা ও মানহাজের ভীড়ে বর্তমানের আসহাবে কাহফরা আরো বেশি গুরাবা। এরা গুরাবা স্বয়ং ইসলামপন্থীদের কাছেও। যখন তাদের বলা হয় আকল-পূজা পরিত্যাগ করে আল্লাহর দাসত্বের দিকে ফিরে আসো- তখন আরো সূক্ষ্ণ ভাবে অবস্থান শনাক্ত হয় যুগের প্রকৃত আসহাবে কাহফদের।

    উল্যেখ্য:লেখাটা এক দ্বীনি ভাইয়ের চ্যানেল থেকে নেওয়া।


    পৃথিবীকে দুনিয়ার রঙে না রঙে আখিরাতেটর রাঙাই।​

  • #2
    আয়াতের অনুবাদের সাথে আরবী টেক্সট যুক্ত করে দিলে ভাল হয় ভাই। জাযাকাল্লাহু খাইরান
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে আয়াতের সাথে আরবি টেক্সট যুক্ত করে আপলোড দিবো। সংশোধনের জন্য জাযাকাল্লাহ খাইরান।

      Comment

      Working...
      X