Announcement

Collapse
No announcement yet.

জানালে উপকৃত হবো

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জানালে উপকৃত হবো

    শুনেছি আইএস খারেজীরা দেখতে মুজাহিদ ভইদের মতো কিনতু তারা সত্য থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। তাদের চেনার কি কোনো বিশেষ লক্ষ্মণ আছে?আর যদি পরে বুঝতে পারি যে তারা আইএস খারেজী তখন তাদের থেকে আত্মরক্ষার উপায় কি?
    ফোরামের সকল ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

  • #2
    খারেজীদের সাধারন বৈশিষ্ঠ হল, তারা দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করবে। দ্বীনের মৌলিক ও ঈমান বিধ্বংসী বিধানগুলোর বাহিরে ফরজ ওয়াজিব বা মুস্তাহাব বিষয় ছেড়ে দেয়া, বা শৈথিল্য করার কারনেও কাউকে তাকফির করবে, কাফির বলবে। তাদের শত্রুতা দ্বীনের শত্রুদের চাইতে দ্বীনের অনুসারিদের সাথে বেশি। এমন লোক মুসলিম উম্মাহর মাঝে প্রতিটি যুগেই ছিল। সমস্যা তখনই হয়, যখন এধরনের লোকেরা একত্রিত হয়, বা দলবদ্ধ হয়ে যায়। যখনই এধরনের ব্যক্তিরা দলবদ্ধ হয়ে যায়, দুনিয়াকে বিপর্যস্ত করে ছাড়ে।

    আইএসের মাঝে এই গুণগুলো ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়। তারা তাদের কথিত খিলাফত প্রতিষ্ঠিত করার পর, শুধু তাদের ছাড়া বাকি সকল দ্বীনি সংগঠনকে কাফির মুরতাদ আখ্যা দিয়ে তাদের রক্তপাত ঘটানো নিজেদের জন্য বৈধ করে নেয়। অন্য ব্যাক্তি বা সংগঠনের কোন কৌশল না বুঝার কারনেও মুসলিম বিশ্বের নানা দেশে অসংখ্য মুসলিম এমনকি মুজাহিদ আলিমকেও হত্যা করেছে তারা।

    তাদের খিলাফত শরঈভাবে অবৈধ। কারন তাদের সংগঠন (ইসলামিক স্টেট) যে সংগঠন থেকে এসেছে, তাহল- আল কায়েদা ইন ইরাক। আর আল কায়েদা ইন ইরাক শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহের মাধ্যমে আমিরুল মুমিনিন মোল্লা মুহাম্মাদ ওমর মুজাহিদ রহিমাহুল্লাহের নিকট বাইয়াতবদ্ধ ছিল।

    তারা সেই বাইয়াত ভঙ্গ করে, নিজেদের স্বাধীন করে বা বিদ্রোহ করে, কারো সাথে পরামর্শ না করেই উম্মাহর উপর তাদের একক সিদ্ধান্তে খিলাফত কে চাপিয়ে দেয়। তারপর তাদের বাইয়াত না করা হলে মুরতাদ আখ্যা দিয়ে মুসলিম ও আলিমদের হত্যা করা শুরু করে। তারা কাফিরদের ছেড়ে জায়গায় জায়গায়, দেশে দেশে মুসলিমদের হত্যা করতে দেখে কুফফাররাও তাদের মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার করে বিখ্যাত করে তোলে। সাধারণত কুফফার মিডিয়াগুলো মুজাহিদদের ভালো নিউজগুলো চেপে রাখে, আর খারাপ বা ভুল কিছু পেলে তা ফুলিয়ে ফাফিয়ে প্রচার করে। কিন্তু আইএসের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রায় সকল নিউজই লাগামহীন ছেড়ে দিয়ে বিশ্বব্যাপী এই খাওয়ারেজদের কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দিতে বিশেষ ভুমিকা রেখেছে কুফফাররা। তারপর যখন দেখেছে তাদের দিয়ে কাজ শেষ, তখন আবার কিছু বম্বিং করে আইএসের কিছু ঘাঁটি ধ্বংস করে সুনাম কামিয়েছে কুফফার জোট।

    আমরা কুফফারদের ছেড়ে যারা মুসলিমদের ভুল ধরায় ব্যস্ত, তাদের থেকে নিজে হিফাজতে রাখব। বর্তমানে পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশেই ইসলাম বিজয়ী নয়। যে কয়েক জায়গায় বিজয়ী আছে, সেখানেও নিরাপত্তা নেই, উপরে স্যাটেলাইট / ড্রোন উড়তে থাকে। মুসলিমদের ইসলামী / দ্বীনি জ্ঞান একেবারেই সল্প। এমন পরিস্থিতিতে কালেমা পড়া মুসলিম নামধারীদের অজুহাত দিতে হবে। নাসিহাহ করতে হবে। তাকফির করা সম্পূর্ণরুপে বিজ্ঞ আলিমদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।

    আমাকে আপনাকে কিংবা আমরা যে আলিমকে অনুসরন করি, তাকে জনগন মান্য করার যোগ্য ভাবে না, আমরা বললেই মানুষ মেনে নিবে না। আর তাই আমরা কাউকে কিছু বিষয়ে সতর্ক করেই তার উপর কোন হুজ্জত চাপিয়ে দিব না। যেমন, আমি উমুককে কোরআন হাদিসের দলিল দিয়ে কবরে শায়িত ব্যাক্তির নিকট চাওয়া শিরক এই বিষয়টা বুঝালাম, কিন্তু সে মানলো না, যেহেতু তাকে জানিয়েছি, আর সেও জেনে গিয়ে অহঙ্কার বসত নিজ মতেই অটল থেকে একই ভুল করে যাচ্ছে, তাই সে কাফির। - এমন করা যাবে না আমাদের। কারন- মানুষ আমাদের গ্রহণযোগ্য ভাবে না। তারা তাদের ঘরানার আলিমদের কথা শুনে। আর তাই বিতর্ক বাহাস হবে আলিমদের মাঝে। সাধারন জনগন আমরা এসকল বিষয়ে নিজেদের চুপ রাখতে সচেষ্ট থাকব। আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করব এই বিতর্ক শেষ করে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করে দেয়ার।

    আমাদের হক্কানি আলিমদের সোহবতে থাকতে হবে, বিচ্ছিন্ন থাকা যাবে না। মাথার উপর কোন হক্কানি আলিমের আশ্রয় ছাড়া চলা যাবে না। না পেলে খুজতে হবে। সবচেয়ে উত্তম হয় জিহাদি তানজিমের সাথে নিজেকে আবদ্ধ করে ফেলা।

    খারেজি ও আইএস লিখে ফোরামে ও গাজওয়াহ সাইটে সার্চ দিলে অনেক আর্টিকেল, রিসালাহ, অডিও ভিডিও পাবেন ইনশাআল্লাহ।
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 5 days ago.

    Comment


    • #3
      প্রিয় ভাই তানজিম আল কায়েদার সাথে কিভাবে যুক্ত হওয়া যাবে।

      Comment


      • #4
        Originally posted by Akhtar View Post
        প্রিয় ভাই তানজিম আল কায়েদার সাথে কিভাবে যুক্ত হওয়া যাবে।
        প্রিয় ভাই, তাঞ্জিম আল কায়েদার ভাইদের আল্লাহ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখুক।

        আল্লাহ আর আল্লাহর রাসুলের কিছু মহব্বতকারি মানুষ জরুর আছে এই ভূখণ্ডে। আল্লাহ আর আল্লহর রাসুলের নিয়ে আসা দ্বীনের জন্যে নিজের বলতে যা কিছু আছে সব কিছু দিয়ে দেবার লোক এই ভূখণ্ডে আছে। আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদার ব্যাপারে রাজি এবং সচেতন মানুষ আছে। আল্লাহর জন্যে সব কিছু দিয়ে; সব শেষ হয়ে গেলে , নিজের "আত্মা-রুহ" ও আল্লাহর জন্যে দিয়ে দেয়ার মানুষ ভু-খন্ডে এত বেশি আছে যে তাদেরকে আমরা আমজনতা মনে করি।

        শত বছরের গোলামির পরে পুরো দুনিয়ায় ছড়িয়ে থাকা মুসলিম জাতির মাঝে আজাদির তেহরিক এক সময় আল্লাহ আল-কায়েদার মুজাহিদ ভাইদের মাধ্যমে জাগ্রত করেছেন। আল্লাহ যখন ইচ্ছা, যার কাছ থেকে ইচ্ছে, যেভাবে ইচ্ছা ইসলামের খেদমত নিয়ে থাকেন।

        হাজার বছর আগে দ্বীনের নিজবতে কতিপয় যুবক এক সাথে হয়েছিল। তাদের কে আমরা "আসহাবে কাহাফ" নামে জানি। আজকের দিনেও আমাদের ঐ একই মালিক- আল্লাহ। আমাকে , আপনাকে এবং দ্বীনের তলবদার , উম্মাহর ব্যাথায় কাতর সবাইকে আল্লাহ তার দ্বীনের খেদমতে "যে কোন উপযুক্ত নামে" কবুল করুন। আমিন।
        Last edited by Munshi Abdur Rahman; 1 day ago.
        দাওয়াত ও জিহাদের সফরে কলব যখন ইনসাফ থেকে সরে যায় তখন বিনয় অহংকারে, ভাষার শালীনতা অশালীনতায় রূপান্তরিত হয় এবং অন্তরের নম্রতা কাঠিন্যের রূপ ধারণ করে। তারপর সে ব্যক্তি নিজেও গোমরাহির পথে চলে এবং অন্যকেও গোমরাহির পথ প্রদর্শন করে।

        Comment


        • #5
          প্রিয় ভাই, আপনি যদি মৌমাছি হন, তাহলে ফুলের সন্ধান পেয়ে যাবেন; শর্ত হচ্ছে ফুলের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত খুঁজতে থাকা। তবে সাবধান ভাই, আল-কায়েদা কখনও অনলাইনে সদস্য গ্রহণ করে না। তদ্রূপ প্রথম সাক্ষাতেই আল-কায়েদা আপনাকে জিহাদের দাওয়াত দিবে না। আপনার পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমেই আপনি আল-কায়েদায় যুক্ত হতে পারেন। তাই জাসূস ও দুষক্রিতীকারীদের থেকে সাবধান। আল্লাহ উম্মাহর প্রত্যেক সদস্যকে হিফাজতের চাদরে আবৃত্য করে রাখেন।

          Comment


          • #6
            জাযাকাল্লাহ ভাই আপনাকে। অনলাইনে জাসুস এর হাত থেকে আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। আমীন

            Comment


            • #7
              Originally posted by Akhtar View Post
              প্রিয় ভাই তানজিম আল কায়েদার সাথে কিভাবে যুক্ত হওয়া যাবে।
              ফোরামের একজন মোডারেটর ভাইয়ের পোস্ট করা এই লেখাটা সম্পূর্ণ পড়ুন, এখানে দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে শেষের দিকেঃ

              Comment

              Working...
              X