আইএমএফ-ওয়ার্ল্ডব্যাংকের প্রেসক্রিপশানে ভ্যাট বাড়ানো কওমের স্বার্থবিরোধী যুলুমতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত।
.
অর্থ বছরের মাঝামাঝি এসে নজিরবিহীনভাবে ভ্যাট বাড়ানোর কথা বলছে সরকার। পেছনে আছে আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের চাপ। এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সিস্টেমের কাঠামোগত যুলুমতান্ত্রিকতার আরেকটি উদাহরণ।
.
ভ্যাট বাড়ানোর প্রভাব পড়বে পুরো অর্থনীতিতে। দেশে গতো দু’বছর ধরে চলা মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। কমবে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ ক্রয়ক্ষমতা। এই সিদ্ধান্ত গরীব-মেহনতী মানুষের চরম ক্ষতি করবে, মধ্যবিত্তকে আরও সংকটে ফেলবে, অর্থনীতিকে স্থবির করবে, এবং বাড়িয়ে দেবে বৈষম্যকে। মানুষের ওপর চাপাবে যুলুমের বোঝা। অন্যদিকে উচ্চবিত্তের ওপর এই ভ্যাট বৃদ্ধির প্রভাব হবে সীমিত।
.
যেখানে আসমান ও যমীনের মালিক আল্লাহ বলেছেন বিত্তবানদের সম্পদে গরীব মানুষের অধিকার আছে, ইসলাম যেখানে সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষের সাহায্য করার দায়িত্ব দিয়েছ সম্পদশালীদের, সেখানে আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের এসব পলিসি বিদেশী পাওনাদারের দেনা ফেরত দেয়ার বোঝা চাপাচ্ছে গরীব-মেহনতী মানুষের ওপর। এসব পলিসি যুলুমকে কাঠামোগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিচ্ছে।
.
মূল্যস্ফীতির ফলে মানুষ কনসাম্পশান কমাতে বাধ্য হবে, ফলে অর্থনীতিতে চাহিদা কমবে। আমাদের মতো অর্থনীতির জন্য ব্যাপারটা ভালো না। এর ফলে এক ধরণের দুষ্টচক্র শুরু হবার আশংকা থাকে। আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রেসক্রিপশনগুলো বরাবরই সামাজিক ইনসাফের বদলে রাজস্ব অর্জনের মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়।
.
বাস্তব পৃথিবীর রক্ত-মাংসের মানুষের কষ্টের বদলে তাদের ফোকাস থাকে অর্থনীতির বিমূর্ত চলক আর বাস্তবতাবিচ্ছিন্ন নানা টার্গেট অর্জনে।
বারবার এদের প্রেসক্রিপশান দারিদ্র্য দূর করার ক্ষেত্রে ব্যর্থ প্রমানিত হয়েছে। সমস্যার সমাধানের বদলে এদের পলিসি সমস্যাকে আরও উস্কে দিয়েছে। এমন উদাহরণ অনেক।
.
এসব প্রতিষ্ঠানের গণবিরোধী প্রেসক্রিপশান বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দেশে দেশে অর্থনৈতিক মন্দা, সামাজিক সংকট এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। আর্জেন্টিনা থেকে শুরু করে গ্রিস, শ্রীলংকা থেকে শুরু করে আফ্রিকার বহু দেশ এই ‘চিকিৎসার’ ভুক্তভোগী।
.
লক্ষ্য করুন কওম ও যমীনের স্বার্থের জায়গা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে না। এই পলিসি ঠিক করে দিচ্ছে আইএমএফ আর ওয়ার্ল্ড ব্যাংক। আইএমএফ-ওয়ার্ল্ডব্যাংকের প্রেসক্রিপশান মানতে গিয়ে রাষ্ট্র নিজ মাটি ও মানুষের ওপর আন্তর্জাতিক ক্যাপিটাল আর কর্পোরেশনের স্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের মতো দেশগুলোতে শোষণ চালাচ্ছে।
.
তারা তাদের এইড বা আর্থিক সাহায্যের সাথে এমন সব গণবিরোধী শর্ত জুড়ে দিয়েছে যেগুলো বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সরকারগুলো কওমের স্বার্থের বদলে প্রাধান্য দেয় বিদেশী শক্তির লাভকে। জনস্বার্থ বিরোধী এসব অবস্থানের কারণে সরকারগুলো দেশের ভেতর নাযুক পরিস্থিতিতে পড়ে, বিদেশীদের ওপর বাড়ে নির্ভরতা। এ সুযোগে আরও নতুন নতুন পলিসি চাপিয়ে দেয় ওরা।
.
নিজ মাটি ও মানুষের চাহিদা পূরণের বদলে সরকারগুলো পরিণত হয় বিদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ারে। আমাদের দেশে ঠিক তাই হচ্ছে। এই পলিসি মুসলিম বিশ্বে পশ্চিমাদের নব্য উপনিবেশবাদী শোষনের উদাহরণ।
.
ট্যাক্সেশানের জায়গা থেকেও ভোগ্য পণ্যের ওপর ভ্যাট না বাড়িয়ে উচ্চবিত্তের সম্পদের ওপর বা ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া নিয়ে কাজ করা যেতো। দুর্নীতি কমানোতে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে আরও দক্ষ করে তোলার দিকে ফোকাস করা যেতো।
.
কিন্তু এধরণের প্রেসক্রিপশানগুলো একদিকে এলিটদের রক্ষা করে অন্যদিকে করের বোঝা চাপিয়ে দেয় দুর্বল জনগোষ্ঠীর ওপর। রাষ্ট্র যন্ত্রের অদক্ষতা আর এলিটদের বিলাসিতার বোঝা টানতে হয় সবচেয়ে দুর্বল, সবচেয়ে মযলুম জনগোষ্ঠীদের। নিওলিবারেলিসমের চিরাচরিত স্বভাব এটা।
.
পাশাপাশি, এই ভ্যাট বৃদ্ধি গণমানুষের জীবনে রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ আর আগ্রাসনের আরেকটা উদ্বেগজনক ধাপ। রাষ্ট্র এক অতিকায় জোঁকের মতো মানুষের কষ্টার্জিত সম্পদ থেকে প্রতিনিয়ত নানা ভাবে নানা চেহারায় অর্থ শুষে নিচ্ছে।
.
তারপর সেই শুষে নেয়া অর্থ নিয়ে মানুষকে দাবিয়ে রাখার জন্য তৈরি করছে অস্ত্রধারী নানা বাহিনী। নজরদারীর সুক্ষাতিসুক্ষ কাঠমো। মানুষের সেবা তো দূরে থাক, মানুষকে শান্তিতে থাকার সুযোগটাও দিচ্ছে না রাষ্ট্র। সে উল্টো আন্তর্জাতিক এলিটদের শোষন ও নিয়ন্ত্রনের উপকরণ হিসেবে কাজ করছে।
.
ভ্যাট বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমা বিশ্বের নব্য-উপনিবেশাবাদী শোষণ আর নিওলিবারেল ওয়ার্ল্ড অর্ডারের সামনে সরকার আর তথাকথিত বিপ্লবীদের নতজানু অবস্থানের প্রমাণ। যা আবারও প্রমান করে যুলুম ও শোষণের আন্তর্জাতিক কাঠামো থেকে মুক্ত হতে না পারলে, ইসলামের শিক্ষার পাটাতনে দাঁড়িয়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তন না আনলে যতো বার সরকার পাল্টাক কেন, মুক্তি আমাদের আসবে না।
.
ভ্যাট বৃদ্ধির ফিরিঙ্গি প্রেসক্রিপশনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন
ইনসাফ ও মাযলুমের পক্ষে দাড়ান
.
অর্থ বছরের মাঝামাঝি এসে নজিরবিহীনভাবে ভ্যাট বাড়ানোর কথা বলছে সরকার। পেছনে আছে আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের চাপ। এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সিস্টেমের কাঠামোগত যুলুমতান্ত্রিকতার আরেকটি উদাহরণ।
.
ভ্যাট বাড়ানোর প্রভাব পড়বে পুরো অর্থনীতিতে। দেশে গতো দু’বছর ধরে চলা মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। কমবে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ ক্রয়ক্ষমতা। এই সিদ্ধান্ত গরীব-মেহনতী মানুষের চরম ক্ষতি করবে, মধ্যবিত্তকে আরও সংকটে ফেলবে, অর্থনীতিকে স্থবির করবে, এবং বাড়িয়ে দেবে বৈষম্যকে। মানুষের ওপর চাপাবে যুলুমের বোঝা। অন্যদিকে উচ্চবিত্তের ওপর এই ভ্যাট বৃদ্ধির প্রভাব হবে সীমিত।
.
যেখানে আসমান ও যমীনের মালিক আল্লাহ বলেছেন বিত্তবানদের সম্পদে গরীব মানুষের অধিকার আছে, ইসলাম যেখানে সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষের সাহায্য করার দায়িত্ব দিয়েছ সম্পদশালীদের, সেখানে আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের এসব পলিসি বিদেশী পাওনাদারের দেনা ফেরত দেয়ার বোঝা চাপাচ্ছে গরীব-মেহনতী মানুষের ওপর। এসব পলিসি যুলুমকে কাঠামোগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিচ্ছে।
.
মূল্যস্ফীতির ফলে মানুষ কনসাম্পশান কমাতে বাধ্য হবে, ফলে অর্থনীতিতে চাহিদা কমবে। আমাদের মতো অর্থনীতির জন্য ব্যাপারটা ভালো না। এর ফলে এক ধরণের দুষ্টচক্র শুরু হবার আশংকা থাকে। আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রেসক্রিপশনগুলো বরাবরই সামাজিক ইনসাফের বদলে রাজস্ব অর্জনের মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়।
.
বাস্তব পৃথিবীর রক্ত-মাংসের মানুষের কষ্টের বদলে তাদের ফোকাস থাকে অর্থনীতির বিমূর্ত চলক আর বাস্তবতাবিচ্ছিন্ন নানা টার্গেট অর্জনে।
বারবার এদের প্রেসক্রিপশান দারিদ্র্য দূর করার ক্ষেত্রে ব্যর্থ প্রমানিত হয়েছে। সমস্যার সমাধানের বদলে এদের পলিসি সমস্যাকে আরও উস্কে দিয়েছে। এমন উদাহরণ অনেক।
.
এসব প্রতিষ্ঠানের গণবিরোধী প্রেসক্রিপশান বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দেশে দেশে অর্থনৈতিক মন্দা, সামাজিক সংকট এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। আর্জেন্টিনা থেকে শুরু করে গ্রিস, শ্রীলংকা থেকে শুরু করে আফ্রিকার বহু দেশ এই ‘চিকিৎসার’ ভুক্তভোগী।
.
লক্ষ্য করুন কওম ও যমীনের স্বার্থের জায়গা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে না। এই পলিসি ঠিক করে দিচ্ছে আইএমএফ আর ওয়ার্ল্ড ব্যাংক। আইএমএফ-ওয়ার্ল্ডব্যাংকের প্রেসক্রিপশান মানতে গিয়ে রাষ্ট্র নিজ মাটি ও মানুষের ওপর আন্তর্জাতিক ক্যাপিটাল আর কর্পোরেশনের স্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের মতো দেশগুলোতে শোষণ চালাচ্ছে।
.
তারা তাদের এইড বা আর্থিক সাহায্যের সাথে এমন সব গণবিরোধী শর্ত জুড়ে দিয়েছে যেগুলো বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সরকারগুলো কওমের স্বার্থের বদলে প্রাধান্য দেয় বিদেশী শক্তির লাভকে। জনস্বার্থ বিরোধী এসব অবস্থানের কারণে সরকারগুলো দেশের ভেতর নাযুক পরিস্থিতিতে পড়ে, বিদেশীদের ওপর বাড়ে নির্ভরতা। এ সুযোগে আরও নতুন নতুন পলিসি চাপিয়ে দেয় ওরা।
.
নিজ মাটি ও মানুষের চাহিদা পূরণের বদলে সরকারগুলো পরিণত হয় বিদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ারে। আমাদের দেশে ঠিক তাই হচ্ছে। এই পলিসি মুসলিম বিশ্বে পশ্চিমাদের নব্য উপনিবেশবাদী শোষনের উদাহরণ।
.
ট্যাক্সেশানের জায়গা থেকেও ভোগ্য পণ্যের ওপর ভ্যাট না বাড়িয়ে উচ্চবিত্তের সম্পদের ওপর বা ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া নিয়ে কাজ করা যেতো। দুর্নীতি কমানোতে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে আরও দক্ষ করে তোলার দিকে ফোকাস করা যেতো।
.
কিন্তু এধরণের প্রেসক্রিপশানগুলো একদিকে এলিটদের রক্ষা করে অন্যদিকে করের বোঝা চাপিয়ে দেয় দুর্বল জনগোষ্ঠীর ওপর। রাষ্ট্র যন্ত্রের অদক্ষতা আর এলিটদের বিলাসিতার বোঝা টানতে হয় সবচেয়ে দুর্বল, সবচেয়ে মযলুম জনগোষ্ঠীদের। নিওলিবারেলিসমের চিরাচরিত স্বভাব এটা।
.
পাশাপাশি, এই ভ্যাট বৃদ্ধি গণমানুষের জীবনে রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ আর আগ্রাসনের আরেকটা উদ্বেগজনক ধাপ। রাষ্ট্র এক অতিকায় জোঁকের মতো মানুষের কষ্টার্জিত সম্পদ থেকে প্রতিনিয়ত নানা ভাবে নানা চেহারায় অর্থ শুষে নিচ্ছে।
.
তারপর সেই শুষে নেয়া অর্থ নিয়ে মানুষকে দাবিয়ে রাখার জন্য তৈরি করছে অস্ত্রধারী নানা বাহিনী। নজরদারীর সুক্ষাতিসুক্ষ কাঠমো। মানুষের সেবা তো দূরে থাক, মানুষকে শান্তিতে থাকার সুযোগটাও দিচ্ছে না রাষ্ট্র। সে উল্টো আন্তর্জাতিক এলিটদের শোষন ও নিয়ন্ত্রনের উপকরণ হিসেবে কাজ করছে।
.
ভ্যাট বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমা বিশ্বের নব্য-উপনিবেশাবাদী শোষণ আর নিওলিবারেল ওয়ার্ল্ড অর্ডারের সামনে সরকার আর তথাকথিত বিপ্লবীদের নতজানু অবস্থানের প্রমাণ। যা আবারও প্রমান করে যুলুম ও শোষণের আন্তর্জাতিক কাঠামো থেকে মুক্ত হতে না পারলে, ইসলামের শিক্ষার পাটাতনে দাঁড়িয়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তন না আনলে যতো বার সরকার পাল্টাক কেন, মুক্তি আমাদের আসবে না।
.
ভ্যাট বৃদ্ধির ফিরিঙ্গি প্রেসক্রিপশনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন
ইনসাফ ও মাযলুমের পক্ষে দাড়ান
.
সংগৃহীত
সংগৃহীত
Comment