শেখ হাসিনা এবং মৃণাল কান্তি দাসঃএকটি পরকীয়া সম্পর্কের ইতিকথা
লেখাটি নেওয়া হয়েছে " আমার ফাঁসি চাই " বই থেকে । বইটি লিখেছেন মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান রিন্টু । এটা পড়লে তাগুত , মুরতাদ হাসিনা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন ।
ডাউনলোড লিংক ঃ https://archive.org/details/aminulra...e/n53/mode/2up
ণাল কান্তি দাস দুষ্টুমির হাসি দিয়ে বলে উঠে যে জননেত্রী শেখ হাসিনার শরীরের মানচিত্র এবং আকার আকৃতি সম্পর্কে তাঁর পুরো ব্যাবহারিক অভিজ্ঞতা রয়েছে, এই সিলেবাস সম্পর্কে তাঁর আর কোন কিছু জানার বাকি নেই। শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসার পর থেকে তাঁর স্বামী ওয়াজেদ মিয়াঁর সাথে কখনোই স্বামী স্ত্রী হিসাবে সময় অতিবাহিত করেন নি। দেশে আসার পরে প্রথমে মহাখালিস্থ গভর্নমেন্ট বাসায়, পরে ধানমন্ডি বত্রিশে পিত্রালয়ে, তারপর উন্ত্রিশ মিন্টু রোড, ধানমন্ডি পাঁচ নাম্বার হয়ে এখন গনভবনে থাকছেন। কিন্তু ওয়াজেদ মিয়া সেই শুরু থেকেই মহাখালীর গভর্নমেন্ট বাসাতেই আছেন। তিনি কখনো ই শেখ হাসিনার সাথে অন্যান্য বাসা গুলোতে থাকেন নাই। এমনকি শেখ হাসিনা যখন মহাখালীর গভর্নমেন্ট বাসায় থাকতেন তখন ওয়াজেদ মিয়া থাকতেন একই বাসার রেস্ট হাউসে একা। তারা একে অপরের সাথে থাকা দূরের কথা একে অন্যের এমনকি সামনা সামনি হতেন না।
মহাখালি স্বামীর কোয়ার্টারে থাকতে এবং পরবর্তীতে ধানমন্ডি বত্রিশের পিত্রালায় বঙ্গবন্ধু ভবনে থাকতে ১৯৮৭ সালে মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজ ছাত্র সংসদের ভি পি মৃনাল কান্তি দাস নামের তরুণ যুবক আসার আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু কন্য শেখ হাছিনা নিয়মিত, রুটিন মাফিকভাবে প্রতিদিন সন্ধার ঠিক এক ঘন্টা আগে গোসল করে পাউডার, পারফিউম মেখে লম্বা চুলের একটা বেণী করে, চকচকে নতুন শাড়ী-ব্লাউজ পরে খুবই পরিপাটি হয়ে কাউকে সঙ্গে না নিয়ে শুধুমাত্র গাড়ির চালক ড্রাইভার জাললকে সঙ্গে নিয়ে অঞ্জাতস্থানে বেরিয়ে যেতেন এবং দু এক ঘন্টা পরে ফিরে আসতেন। শুধু এই সময়ে ঐ অজ্ঞাত স্থানে যাওয়াছাড়া বঙ্গবন্ধু কন্য শেখ হাছিনা আর কখনই একা শুধু জীপ গাড়ী আর চালক নিয়ে বাইরে যেতেননা। ঐ সময় এবং ঐ অজ্ঞাত স্থান ছাড়া যেখানেই যেতেন তার সাথে অবশ্যই সকলকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন। ১৯৮৭ সালে মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজ ছাত্র সংসদের ভি পি তরুণ যুবক মৃনাল
কান্তি দাসের সাথে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনার পরিচয় হয় এবং পরিচয়ের পর থেকেই মৃনাল কান্তি দাস ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু ভবনে দিবা-রাত্রি
সার্বক্ষণিকভাবে থাকতে শুরু করলো। শেখ হাছিনা তখন ঐ বাড়িতেই থাকেন। শেখ হাছিনা ধীরে ধীরে রুটিন মাফিক সন্ধার আগে অজ্ঞাত স্থানে যাওয়া ছেড়ে দিলেন। অধিক রাত পর্যন্ত এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু ভবনের লাইব্রেরী কক্ষে ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে মৃনাল কান্তি দাস আর শেখ হাছিনা কুট কুট করে কথা বলতেন আর খিল খিল করে হাসাহাসি করতেন। হ্যাংলা পাতলা তরুণ মৃনাল কান্তি দাস অচিরেই ফুলে ফেঁপে এমন নাদুস নুদুস হলো যে, মৃনালের পাছার (নিতেস্বর) আয়তন হল প্রায় সত্তর ইঞ্চি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনার কাছে মৃনালের গ্রহণ যোগ্যতা এতোই বেড়ে গেল যে, তা সকলের কাছে ঈর্ষার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ালো। মৃনাল কান্তি দাস হল শেখ হাছিনার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ব্যাক্তি। বঙ্গবন্ধু কন্য শেখ হাছিনার উপর মৃনাল কান্তি দাসের প্রভাব এতোই বেশি হলো যে, আওয়ামী রাজনীতির সকলেই মৃনাল কান্তি দাসকে শেখ হাছিনা রাজ্যের সম্রাট বলে, কুর্নিশ করতে কুণ্ঠিত হতো না। মৃনাল এতোই ক্ষমতাবান হলো যে, ১৯৯০ সালে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জেনারেল সেক্রেটারী বর্তমান পরিবেশ ও বনমন্ত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে অপমান-অপদস্থ করে বঙ্গবন্ধু ভবন থেকে বের করে দিল। আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আওয়ামীলীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনার কাছে এর বিচার ও প্রতিকার না পেয়ে, দলের ওয়ার্কিং সভায় পর্যন্ত এই ঘটনা তুলেছিলেন। এরপরে মৃনাল কান্তি দাস সর্বেসর্বাহয়ে পড়লো। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনার পোষ্য আত্নীয় বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর এ পি এস বাহাউদ্দিন নাসিম এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাছিনার চীফ সিকিউরিটি নজিব আহাম্মেদরা মৃনালের হুকুমে, মৃনালকে সিগারেট এনে দিয়ে ধন্য হত। বঙ্গবন্ধু ভবনে একদিন মৃনাল সহ চার পাঁচজন তাস খেলছে, বেলা তখন তিনটা সাড়ে তিনটা।
এমন সময় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনার একমাত্র মামা আকরাম মামা এসে কুভঙ্গিতে, কুইঙ্গিত করে মৃনালকে বললেন, ‘এই মৃনাল যাও না, তোমার জন্য না খেয়ে বসে আছে’। মৃনাল বলল, ‘আরে থাক, থাকতে দেন কিছুক্ষণ না খেয়ে’। মৃনাল খেতে যাচ্ছেনা, তাই শেখ হাছিনা না খেয়ে মৃনালের প্রতীক্ষা করছে। আকরাম মামা সেই কথাই মৃনাল কান্তি দাসকে বললেন। কিন্তু আকরাম মামার এই কথা বলার বাচনভঙ্গি খুবই খারাপ এবং খুবই আপত্তিকর। আর মৃনাল কান্তি দাস যাদের সাথে বসে তাস খেলছিল, তাদের কাছে আরো ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য, আরো ডাট করে জবাব দিল, ‘আরে থাক, থাকতে দেন কিছুক্ষণ না খেয়ে’। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনাকে না খেয়ে তার (মৃনালের) জন্য আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে দেন। মৃনাল কান্তি দাস হয়ে উঠল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনা রাজ্যের একক অধিপতি। মৃনালের কথা-বার্তায়, চাল-চলনে, আচার-ব্যাবহারে একক অধিপতির ছাপ পরিস্ফুটিত হতে লাগলো। একদিন মৃনাল কান্তি দাস বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনার উপর রাগ করে চলে গেল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনা নিজে গিয়ে রাগ ভাঙ্গিয়ে মৃনাল কান্তি দাসকে সঙ্গে করে বঙ্গবন্ধু ভবনে নিয়ে এলেন। এর কিছুদিন পর মৃনাল আবারো রাগ করে বঙ্গবন্ধু ভবন ত্যাগ করে চলে গেলে শেখ হাছিনা অন্যন্যোপায় হয়ে মৃনালকে আবারো বঙ্গবন্ধু ভবনে ফিরিয়ে আনলেন।
শেখ হাসিনা ধানমন্ডি বত্রিশ নাম্বারের তাঁর পিত্রালয় থেকে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে হারার পর ২৯ মিন্টু রোডে বিরোধীদলীয় নেতার সরকারী বাসভবনে গিয়ে উঠেন। মৃণাল বেশ অসন্তুষ্ট হল শেখ হাসিনা তাঁর তিন আত্মীয় নকিব, নাসিম এবং নজিব কে নিয়ে মিন্টু রোড এর বাসায় থাকা শুরু করার পর থেকে। এই অসন্তুষ্টির এক পর্যায়ে মৃনাল কান্তি দাস বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনার মিন্টু রোড়ের সরকারী বাসা ত্যাগ করে চলে গেল। মৃনাল চলে যাওয়ার পর শেখ হাছিনা তিন তিনবার নিজে স্বয়ং মৃনালকে ফিরিয়ে আনতে যান। মৃনাল কান্তি দাস ফিরে না এসে, লোকের কাছে পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনার সাথে তার ‘দৈহিক’ সম্পর্কের কথা প্রচার করতে থাকে, শেখ হাছিনার শরীরে কোথায় কি আছে, কতটুকু আছে আমি মৃনালের জানতে বাকি নেই। মৃনালের এসব কথা লোকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনার কানে পৌছাতে লাগল। কয়েক বছর পর এক পহেলা বৈশাখের সকালে মৃণাল চুপি চুপি হাসিনার সাথে দেখা করলো মিন্টু রোড এর বাশার দোতালায়, শেখ হাসিনা রাগান্বিত স্বরে মৃণাল কে উদ্দেশ্য করে দূরের একটি ছাগল দেখিয়ে বললেন,”ঐ যে ছাগল টা দেখছিস, অইটা হলি তুই”। মৃণাল তখন থেকে আরও বছর খানেক পর শেখ হাসিনার সাথে প্রায়ই দেখা করলেও শেখ হাসিনার কাছ থেকে আগের মতো কদর পায় নি। ছলনাময়ী শেখ হাসিনা এর পর ছিয়ানব্বই সালের সতেরো ফেব্রুয়ারীর এক সন্ধ্যায় ধানমন্ডি বত্রিশ নাম্বার বাসার ভেতরের গেইটের সামনে মৃণাল এর পেছন দিক থেকে তাকে জড়িয়ে ধরে।এই ঘটনা ছাড়া এর পরে শ্রী মৃণাল কান্তি দাস ছলনাময়ী শেখ হাসিনার কাছ থেকে আর তেমন কোন কদর পান নি।
(উপরোক্ত লেখা টি ‘আমার ফাঁসি চাই’ বই থেকে সংগৃহীত)
লেখাটি নেওয়া হয়েছে " আমার ফাঁসি চাই " বই থেকে । বইটি লিখেছেন মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান রিন্টু । এটা পড়লে তাগুত , মুরতাদ হাসিনা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন ।
ডাউনলোড লিংক ঃ https://archive.org/details/aminulra...e/n53/mode/2up
ণাল কান্তি দাস দুষ্টুমির হাসি দিয়ে বলে উঠে যে জননেত্রী শেখ হাসিনার শরীরের মানচিত্র এবং আকার আকৃতি সম্পর্কে তাঁর পুরো ব্যাবহারিক অভিজ্ঞতা রয়েছে, এই সিলেবাস সম্পর্কে তাঁর আর কোন কিছু জানার বাকি নেই। শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসার পর থেকে তাঁর স্বামী ওয়াজেদ মিয়াঁর সাথে কখনোই স্বামী স্ত্রী হিসাবে সময় অতিবাহিত করেন নি। দেশে আসার পরে প্রথমে মহাখালিস্থ গভর্নমেন্ট বাসায়, পরে ধানমন্ডি বত্রিশে পিত্রালয়ে, তারপর উন্ত্রিশ মিন্টু রোড, ধানমন্ডি পাঁচ নাম্বার হয়ে এখন গনভবনে থাকছেন। কিন্তু ওয়াজেদ মিয়া সেই শুরু থেকেই মহাখালীর গভর্নমেন্ট বাসাতেই আছেন। তিনি কখনো ই শেখ হাসিনার সাথে অন্যান্য বাসা গুলোতে থাকেন নাই। এমনকি শেখ হাসিনা যখন মহাখালীর গভর্নমেন্ট বাসায় থাকতেন তখন ওয়াজেদ মিয়া থাকতেন একই বাসার রেস্ট হাউসে একা। তারা একে অপরের সাথে থাকা দূরের কথা একে অন্যের এমনকি সামনা সামনি হতেন না।
মহাখালি স্বামীর কোয়ার্টারে থাকতে এবং পরবর্তীতে ধানমন্ডি বত্রিশের পিত্রালায় বঙ্গবন্ধু ভবনে থাকতে ১৯৮৭ সালে মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজ ছাত্র সংসদের ভি পি মৃনাল কান্তি দাস নামের তরুণ যুবক আসার আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু কন্য শেখ হাছিনা নিয়মিত, রুটিন মাফিকভাবে প্রতিদিন সন্ধার ঠিক এক ঘন্টা আগে গোসল করে পাউডার, পারফিউম মেখে লম্বা চুলের একটা বেণী করে, চকচকে নতুন শাড়ী-ব্লাউজ পরে খুবই পরিপাটি হয়ে কাউকে সঙ্গে না নিয়ে শুধুমাত্র গাড়ির চালক ড্রাইভার জাললকে সঙ্গে নিয়ে অঞ্জাতস্থানে বেরিয়ে যেতেন এবং দু এক ঘন্টা পরে ফিরে আসতেন। শুধু এই সময়ে ঐ অজ্ঞাত স্থানে যাওয়াছাড়া বঙ্গবন্ধু কন্য শেখ হাছিনা আর কখনই একা শুধু জীপ গাড়ী আর চালক নিয়ে বাইরে যেতেননা। ঐ সময় এবং ঐ অজ্ঞাত স্থান ছাড়া যেখানেই যেতেন তার সাথে অবশ্যই সকলকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন। ১৯৮৭ সালে মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজ ছাত্র সংসদের ভি পি তরুণ যুবক মৃনাল
কান্তি দাসের সাথে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনার পরিচয় হয় এবং পরিচয়ের পর থেকেই মৃনাল কান্তি দাস ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু ভবনে দিবা-রাত্রি
সার্বক্ষণিকভাবে থাকতে শুরু করলো। শেখ হাছিনা তখন ঐ বাড়িতেই থাকেন। শেখ হাছিনা ধীরে ধীরে রুটিন মাফিক সন্ধার আগে অজ্ঞাত স্থানে যাওয়া ছেড়ে দিলেন। অধিক রাত পর্যন্ত এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু ভবনের লাইব্রেরী কক্ষে ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে মৃনাল কান্তি দাস আর শেখ হাছিনা কুট কুট করে কথা বলতেন আর খিল খিল করে হাসাহাসি করতেন। হ্যাংলা পাতলা তরুণ মৃনাল কান্তি দাস অচিরেই ফুলে ফেঁপে এমন নাদুস নুদুস হলো যে, মৃনালের পাছার (নিতেস্বর) আয়তন হল প্রায় সত্তর ইঞ্চি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনার কাছে মৃনালের গ্রহণ যোগ্যতা এতোই বেড়ে গেল যে, তা সকলের কাছে ঈর্ষার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ালো। মৃনাল কান্তি দাস হল শেখ হাছিনার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ব্যাক্তি। বঙ্গবন্ধু কন্য শেখ হাছিনার উপর মৃনাল কান্তি দাসের প্রভাব এতোই বেশি হলো যে, আওয়ামী রাজনীতির সকলেই মৃনাল কান্তি দাসকে শেখ হাছিনা রাজ্যের সম্রাট বলে, কুর্নিশ করতে কুণ্ঠিত হতো না। মৃনাল এতোই ক্ষমতাবান হলো যে, ১৯৯০ সালে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জেনারেল সেক্রেটারী বর্তমান পরিবেশ ও বনমন্ত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে অপমান-অপদস্থ করে বঙ্গবন্ধু ভবন থেকে বের করে দিল। আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আওয়ামীলীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনার কাছে এর বিচার ও প্রতিকার না পেয়ে, দলের ওয়ার্কিং সভায় পর্যন্ত এই ঘটনা তুলেছিলেন। এরপরে মৃনাল কান্তি দাস সর্বেসর্বাহয়ে পড়লো। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনার পোষ্য আত্নীয় বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর এ পি এস বাহাউদ্দিন নাসিম এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাছিনার চীফ সিকিউরিটি নজিব আহাম্মেদরা মৃনালের হুকুমে, মৃনালকে সিগারেট এনে দিয়ে ধন্য হত। বঙ্গবন্ধু ভবনে একদিন মৃনাল সহ চার পাঁচজন তাস খেলছে, বেলা তখন তিনটা সাড়ে তিনটা।
এমন সময় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনার একমাত্র মামা আকরাম মামা এসে কুভঙ্গিতে, কুইঙ্গিত করে মৃনালকে বললেন, ‘এই মৃনাল যাও না, তোমার জন্য না খেয়ে বসে আছে’। মৃনাল বলল, ‘আরে থাক, থাকতে দেন কিছুক্ষণ না খেয়ে’। মৃনাল খেতে যাচ্ছেনা, তাই শেখ হাছিনা না খেয়ে মৃনালের প্রতীক্ষা করছে। আকরাম মামা সেই কথাই মৃনাল কান্তি দাসকে বললেন। কিন্তু আকরাম মামার এই কথা বলার বাচনভঙ্গি খুবই খারাপ এবং খুবই আপত্তিকর। আর মৃনাল কান্তি দাস যাদের সাথে বসে তাস খেলছিল, তাদের কাছে আরো ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য, আরো ডাট করে জবাব দিল, ‘আরে থাক, থাকতে দেন কিছুক্ষণ না খেয়ে’। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনাকে না খেয়ে তার (মৃনালের) জন্য আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে দেন। মৃনাল কান্তি দাস হয়ে উঠল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনা রাজ্যের একক অধিপতি। মৃনালের কথা-বার্তায়, চাল-চলনে, আচার-ব্যাবহারে একক অধিপতির ছাপ পরিস্ফুটিত হতে লাগলো। একদিন মৃনাল কান্তি দাস বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনার উপর রাগ করে চলে গেল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনা নিজে গিয়ে রাগ ভাঙ্গিয়ে মৃনাল কান্তি দাসকে সঙ্গে করে বঙ্গবন্ধু ভবনে নিয়ে এলেন। এর কিছুদিন পর মৃনাল আবারো রাগ করে বঙ্গবন্ধু ভবন ত্যাগ করে চলে গেলে শেখ হাছিনা অন্যন্যোপায় হয়ে মৃনালকে আবারো বঙ্গবন্ধু ভবনে ফিরিয়ে আনলেন।
শেখ হাসিনা ধানমন্ডি বত্রিশ নাম্বারের তাঁর পিত্রালয় থেকে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে হারার পর ২৯ মিন্টু রোডে বিরোধীদলীয় নেতার সরকারী বাসভবনে গিয়ে উঠেন। মৃণাল বেশ অসন্তুষ্ট হল শেখ হাসিনা তাঁর তিন আত্মীয় নকিব, নাসিম এবং নজিব কে নিয়ে মিন্টু রোড এর বাসায় থাকা শুরু করার পর থেকে। এই অসন্তুষ্টির এক পর্যায়ে মৃনাল কান্তি দাস বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনার মিন্টু রোড়ের সরকারী বাসা ত্যাগ করে চলে গেল। মৃনাল চলে যাওয়ার পর শেখ হাছিনা তিন তিনবার নিজে স্বয়ং মৃনালকে ফিরিয়ে আনতে যান। মৃনাল কান্তি দাস ফিরে না এসে, লোকের কাছে পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনার সাথে তার ‘দৈহিক’ সম্পর্কের কথা প্রচার করতে থাকে, শেখ হাছিনার শরীরে কোথায় কি আছে, কতটুকু আছে আমি মৃনালের জানতে বাকি নেই। মৃনালের এসব কথা লোকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাছিনার কানে পৌছাতে লাগল। কয়েক বছর পর এক পহেলা বৈশাখের সকালে মৃণাল চুপি চুপি হাসিনার সাথে দেখা করলো মিন্টু রোড এর বাশার দোতালায়, শেখ হাসিনা রাগান্বিত স্বরে মৃণাল কে উদ্দেশ্য করে দূরের একটি ছাগল দেখিয়ে বললেন,”ঐ যে ছাগল টা দেখছিস, অইটা হলি তুই”। মৃণাল তখন থেকে আরও বছর খানেক পর শেখ হাসিনার সাথে প্রায়ই দেখা করলেও শেখ হাসিনার কাছ থেকে আগের মতো কদর পায় নি। ছলনাময়ী শেখ হাসিনা এর পর ছিয়ানব্বই সালের সতেরো ফেব্রুয়ারীর এক সন্ধ্যায় ধানমন্ডি বত্রিশ নাম্বার বাসার ভেতরের গেইটের সামনে মৃণাল এর পেছন দিক থেকে তাকে জড়িয়ে ধরে।এই ঘটনা ছাড়া এর পরে শ্রী মৃণাল কান্তি দাস ছলনাময়ী শেখ হাসিনার কাছ থেকে আর তেমন কোন কদর পান নি।
(উপরোক্ত লেখা টি ‘আমার ফাঁসি চাই’ বই থেকে সংগৃহীত)
Comment