সিম নিবন্ধনে আঙুলের ছাপ নেওয়া বন্ধে আইনি নোটিস
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধনের কার্যক্রম বন্ধ করতে সরকারকে আইনি নোটিস দেওয়া হয়েছে। গতকাল ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, আইন সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানসহ ১১ জনকে সরকারি রেজিস্টার্ড ডাকযোগে এ নোটিস দেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব। তিনি রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকার বাসিন্দা খায়রুল হাসান সরকারের পক্ষ থেকে এ নোটিস দেন।
নোটিসে বলা হয়, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন সরকার করলে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু বেসরকারি কোম্পানিগুলো নিবন্ধনের কাজ করছে, তাই মোবাইল সিমের গ্রহীতার ব্যক্তিগত তথ্য বা আঙুলের ছাপ চুরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তা ছাড়া জনগণের প্রতি বেসরকারি কোম্পানির দায়দায়িত্ব কম। ভবিষ্যতে কোনো ধরনের সমস্যা হলে তার দায়িত্ব কে নেবে! এ ছাড়া সিমের তথ্য সংরক্ষণ নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো থেকে তথ্য চুরি হয়ে দেশি-বিদেশি সন্ত্রাসীদের হাতে যেতে পারে। তারা তথ্যের অপব্যবহার করতে পারে। এ জন্য জনমনে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই নাগরিকদের আঙুলের ছাপের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন বন্ধ করতে আইনি নোটিস দেওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, আইন সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক, টেলিটক ও সিটিসেল কর্তৃপক্ষ বরাবর ওই নোটিস পাঠানো হয়।
ব্যারিস্টার পল্লব জানান, নোটিস পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন বন্ধ করে গণমাধ্যমে তা প্রচার ও নোটিসদাতাকে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। তা না হলে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে।
পল্লব জানান, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নেওয়া আঙুলের ছাপ কেউ নকল করতে পারে না। জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত করতে নির্বাচন কমিশন একবার আঙুলের ছাপ নিয়েছে। এখন জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা ছাড়া আবার সিম নিবন্ধনের নামে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ নেওয়া অপ্রয়োজনীয় ও বেআইনি। এ জন্য সিম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধে নোটিস দেওয়া হয়েছে।
হুমায়ুন কবির জানান, বিদ্যমান আইনে বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা বেআইনি। এমনকি কোন আইনের ভিত্তিতে বা কোন আদেশের ভিত্তিতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, তাও আমরা জানি না।
তিনি জানান, বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন পদ্ধতি ব্যক্তির অধিকার ক্ষুণ্ন করছে। তথ্য প্রচার হলে তা অপরাধীরা সিম গ্রহীতার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। মোবাইল ফোন কোম্পানির কাছ থেকেও তথ্য চুরি হতে পারে। সেক্ষেত্রে সিম গ্রহীতার আইনগত প্রতিকার পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন ছাড়া সিম ব্যবহার করছিল মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা। এতে অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যাচ্ছিল। এটা প্রতিরোধ করতে বিটিআরসি সিম নিবন্ধন করার উদ্যোগ নেয়। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ নিয়ে সিম নিবন্ধন শুরু হয়।
সূত্রঃ http://www.shokalerkhobor24.com/details.php?id=20247
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধনের কার্যক্রম বন্ধ করতে সরকারকে আইনি নোটিস দেওয়া হয়েছে। গতকাল ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, আইন সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানসহ ১১ জনকে সরকারি রেজিস্টার্ড ডাকযোগে এ নোটিস দেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব। তিনি রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকার বাসিন্দা খায়রুল হাসান সরকারের পক্ষ থেকে এ নোটিস দেন।
নোটিসে বলা হয়, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন সরকার করলে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু বেসরকারি কোম্পানিগুলো নিবন্ধনের কাজ করছে, তাই মোবাইল সিমের গ্রহীতার ব্যক্তিগত তথ্য বা আঙুলের ছাপ চুরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তা ছাড়া জনগণের প্রতি বেসরকারি কোম্পানির দায়দায়িত্ব কম। ভবিষ্যতে কোনো ধরনের সমস্যা হলে তার দায়িত্ব কে নেবে! এ ছাড়া সিমের তথ্য সংরক্ষণ নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো থেকে তথ্য চুরি হয়ে দেশি-বিদেশি সন্ত্রাসীদের হাতে যেতে পারে। তারা তথ্যের অপব্যবহার করতে পারে। এ জন্য জনমনে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই নাগরিকদের আঙুলের ছাপের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন বন্ধ করতে আইনি নোটিস দেওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, আইন সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক, টেলিটক ও সিটিসেল কর্তৃপক্ষ বরাবর ওই নোটিস পাঠানো হয়।
ব্যারিস্টার পল্লব জানান, নোটিস পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন বন্ধ করে গণমাধ্যমে তা প্রচার ও নোটিসদাতাকে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। তা না হলে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে।
পল্লব জানান, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নেওয়া আঙুলের ছাপ কেউ নকল করতে পারে না। জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত করতে নির্বাচন কমিশন একবার আঙুলের ছাপ নিয়েছে। এখন জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা ছাড়া আবার সিম নিবন্ধনের নামে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ নেওয়া অপ্রয়োজনীয় ও বেআইনি। এ জন্য সিম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধে নোটিস দেওয়া হয়েছে।
হুমায়ুন কবির জানান, বিদ্যমান আইনে বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা বেআইনি। এমনকি কোন আইনের ভিত্তিতে বা কোন আদেশের ভিত্তিতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, তাও আমরা জানি না।
তিনি জানান, বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন পদ্ধতি ব্যক্তির অধিকার ক্ষুণ্ন করছে। তথ্য প্রচার হলে তা অপরাধীরা সিম গ্রহীতার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। মোবাইল ফোন কোম্পানির কাছ থেকেও তথ্য চুরি হতে পারে। সেক্ষেত্রে সিম গ্রহীতার আইনগত প্রতিকার পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন ছাড়া সিম ব্যবহার করছিল মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা। এতে অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যাচ্ছিল। এটা প্রতিরোধ করতে বিটিআরসি সিম নিবন্ধন করার উদ্যোগ নেয়। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ নিয়ে সিম নিবন্ধন শুরু হয়।
সূত্রঃ http://www.shokalerkhobor24.com/details.php?id=20247
Comment