ওহে, রাম-বাম, সমাজতন্ত্র-গণতন্ত্র, সাম্যবাদ আর পুঁজিবাদের ধ্বজাধারীরা, কোথায় আজ তোমাদের বিজ্ঞানমনস্ক- যুক্তিতর্ক আর জনগণের রায় ভিত্তিক সমাজ আর শাসন ব্যাবস্থা।বামদের গুরু কার্ল মার্ক্সের কল্পনা প্রসূত সাম্যবাদ তথা সম্পদের সুষম বন্টন আর সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন নিয়ে তাদের নেতা মহান ভ্লাদিমির ইলিচ লেলিন ১৯১৭ সালে অক্টোবর বিপ্লবের মাধ্যমে যে সোভিয়েত রাশিয়া প্রতিষ্ঠা করেছিলো তা কি আদো সম্পদের সুষম বন্টন আর সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলো নাকি তাদের নেতারা আধিপত্যবাদ আর দমননীতিতে অবতীর্ণ হয়েছিলো আর তাদের সম্রাজ্য তাসের ঘরের ন্যায় ভেঙে পড়েছিল।
সোভিয়েতের কথা বাদ দিলে উপমহাদেশে বামদের ইতিহাস তো অনেক পুরনো।শ্রমিক-কৃষকদের আধিকারের নামে বারবার মিথ্যা বুলি আওড়িয়ে তোমরা ওপাড় বাংলায় হাদারাম বাঙ্গালিদের লাগাতার ৩৫ বছর শাসন করেছ।যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে প্রথমবারের মত ক্ষমতায় এসে তোমাদের মুখোশ উন্মোচন করে দিলো সেই ২০২১ সালে এসে বিরোধী দলেও তোমাদের জায়গা হলো না। আজ তোমরা বিধান সভায় প্রতিনিধিবিহীন।এপারের অবস্থা তো আরো করুণ, যারা সমাজতন্ত্র বলতে কেবল ধর্মীয় বিদ্বেষকেই বোঝে।তোমরা লাগাতার ১৩ বছর ধরে ক্ষমতাসীন সরকারের সাথে জোট শরিক দল হিসেবে আছো, আর এ দীর্ঘ সময়ে ধর্মীয় বিদ্বেষ আর ইসলামের প্রতি কটুক্তি ছাড়া তোমাদের আবদানই বা কি।সুষ্ঠু নির্বাচন হলে যে, বিরোধী দল তো দূরে থাক, এদেশের মাটিতেই যে তোমাদের জায়গা হবে না সেকথা তোমরা খুব ভাল করেই জানো।
আর, গণতন্ত্রের ধারক- বাহক পশ্চিমা বিশ্বের কথা কি আর বলব যারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়ার মত উন্নত দেশকে ধ্বংস করে পথের ভিখারিতে পরিণত করল, তারাই আবার মিসরের গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে স্বৈরাচার সিসিকে ক্ষমতায় বসালো। আবার তারাই নিজেদের স্বার্থে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রাজতন্ত্রকে সমর্থন দিয়ে গেল। আমরা পবিত্র কুরআনের শাসন দিয়ে লাগাতার ৮৫০ বছর উপমহাদেশ শাসন করেছি, যেসময় উপমহাদেশে ৯০-৯৫ শতাংশ লোক হিন্দু ছিলো, আর তোমরা গণতন্ত্র দিয়ে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানকে ঠিকমত ২৪ বছরও শাসন করতে পারলে না।পাকিস্তানের কথা বাদ দিলাম, খোদ বাংলাদেশে একই ভাষা, সংস্কৃতি আর একই ভূখণ্ড হওয়া সত্ত্বেও গণতান্ত্রিক শাসন আজ জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। না পারছে এটি মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে আর না পারছে এটি সামাজিক ন্যায় তথা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে।
ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিক সমাজ আর রাষ্ট্র ব্যাবস্থা যে বিশ্বজনীন, একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এটি একটি যুগোপযোগী রাষ্ট্র ব্যাবস্থা তার উত্তম উদাহরণ বর্তমান আফগানিস্তান।
আফগানিস্তান একটি শতধা বিভক্ত রাষ্ট্র। এখানে পশতুন, তাজিক, হাজারা, উজবেক, তুর্কমেন, আইমাক, বেলুচসহ আরো অনেক জাতিগোষ্ঠীর বসবাস।প্রত্যেকের রয়েছে নিজস্ব ভাষা আর সংস্কৃতি। পশতুনরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ৪২%, অতীতে পশতুনরা যাদের সমর্থন দিত, তারাই ক্ষমতায় আসলেও এখানে গোত্রীয় সংঘাত লেগেই থাকত।তালেবানের অধিকাংশ নেতাকর্মী পশতুন।সে হিসেবে তারা ক্ষমতায় আসলেও অন্যান্য জনগোষ্ঠীকে তারা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে তা নিয়ে গত কিছুদিন পূর্বেও পশ্চিমা মিডিয়ার মাথা ব্যাথার কারন ছিল।কিন্তু, পুরো বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে তালেবান তাদের বিজয় অভিযান শুরু করেছিলো উত্তরের তাজিক, উজবেক আর হাজারা অধ্যুষিত এলাকাগুলো দিয়ে এবং এসব বিজয় অভিযানে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মত ছিল। মার্কিন আর তাদের তাবেদার আফগান সরকার কল্পনাও করতে পারে নি, আফগানিস্তানের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী এভাবে তালেবানকে সমর্থন দিবে।
এর কারন (কারণ) হিসেবে একমাত্র ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিক শাসনব্যাবস্থা তালিবানকে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর কাছে সমর্থনযোগ্য করে তুলেছিলো। ইসলামি হুকুমমত শরিয়াহ্ ভিত্তিক ন্যায় -ইনসাফের হুকুমমত, এখানে যুলুম করার কোন সুযোগ নেই। তাই একমাত্র ইসলামি শাসন ব্যাবস্থায় পারে পৃথিবীর সকল ধর্ম-বর্ণ, গোত্র-জাতি নির্বিশেষে সকল জাতি আর ধর্মের লোকজনকে একই ঝান্ডার(ঝাণ্ডার) নিচে সহবস্থান করাতে।
সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠায় বিপ্লব কখনো থেমে থাকে না। নিশ্চয় আগামীর বিপ্লব ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিক ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠার বিপ্লব।
সোভিয়েতের কথা বাদ দিলে উপমহাদেশে বামদের ইতিহাস তো অনেক পুরনো।শ্রমিক-কৃষকদের আধিকারের নামে বারবার মিথ্যা বুলি আওড়িয়ে তোমরা ওপাড় বাংলায় হাদারাম বাঙ্গালিদের লাগাতার ৩৫ বছর শাসন করেছ।যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে প্রথমবারের মত ক্ষমতায় এসে তোমাদের মুখোশ উন্মোচন করে দিলো সেই ২০২১ সালে এসে বিরোধী দলেও তোমাদের জায়গা হলো না। আজ তোমরা বিধান সভায় প্রতিনিধিবিহীন।এপারের অবস্থা তো আরো করুণ, যারা সমাজতন্ত্র বলতে কেবল ধর্মীয় বিদ্বেষকেই বোঝে।তোমরা লাগাতার ১৩ বছর ধরে ক্ষমতাসীন সরকারের সাথে জোট শরিক দল হিসেবে আছো, আর এ দীর্ঘ সময়ে ধর্মীয় বিদ্বেষ আর ইসলামের প্রতি কটুক্তি ছাড়া তোমাদের আবদানই বা কি।সুষ্ঠু নির্বাচন হলে যে, বিরোধী দল তো দূরে থাক, এদেশের মাটিতেই যে তোমাদের জায়গা হবে না সেকথা তোমরা খুব ভাল করেই জানো।
আর, গণতন্ত্রের ধারক- বাহক পশ্চিমা বিশ্বের কথা কি আর বলব যারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়ার মত উন্নত দেশকে ধ্বংস করে পথের ভিখারিতে পরিণত করল, তারাই আবার মিসরের গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে স্বৈরাচার সিসিকে ক্ষমতায় বসালো। আবার তারাই নিজেদের স্বার্থে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রাজতন্ত্রকে সমর্থন দিয়ে গেল। আমরা পবিত্র কুরআনের শাসন দিয়ে লাগাতার ৮৫০ বছর উপমহাদেশ শাসন করেছি, যেসময় উপমহাদেশে ৯০-৯৫ শতাংশ লোক হিন্দু ছিলো, আর তোমরা গণতন্ত্র দিয়ে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানকে ঠিকমত ২৪ বছরও শাসন করতে পারলে না।পাকিস্তানের কথা বাদ দিলাম, খোদ বাংলাদেশে একই ভাষা, সংস্কৃতি আর একই ভূখণ্ড হওয়া সত্ত্বেও গণতান্ত্রিক শাসন আজ জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। না পারছে এটি মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে আর না পারছে এটি সামাজিক ন্যায় তথা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে।
ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিক সমাজ আর রাষ্ট্র ব্যাবস্থা যে বিশ্বজনীন, একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এটি একটি যুগোপযোগী রাষ্ট্র ব্যাবস্থা তার উত্তম উদাহরণ বর্তমান আফগানিস্তান।
আফগানিস্তান একটি শতধা বিভক্ত রাষ্ট্র। এখানে পশতুন, তাজিক, হাজারা, উজবেক, তুর্কমেন, আইমাক, বেলুচসহ আরো অনেক জাতিগোষ্ঠীর বসবাস।প্রত্যেকের রয়েছে নিজস্ব ভাষা আর সংস্কৃতি। পশতুনরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ৪২%, অতীতে পশতুনরা যাদের সমর্থন দিত, তারাই ক্ষমতায় আসলেও এখানে গোত্রীয় সংঘাত লেগেই থাকত।তালেবানের অধিকাংশ নেতাকর্মী পশতুন।সে হিসেবে তারা ক্ষমতায় আসলেও অন্যান্য জনগোষ্ঠীকে তারা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে তা নিয়ে গত কিছুদিন পূর্বেও পশ্চিমা মিডিয়ার মাথা ব্যাথার কারন ছিল।কিন্তু, পুরো বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে তালেবান তাদের বিজয় অভিযান শুরু করেছিলো উত্তরের তাজিক, উজবেক আর হাজারা অধ্যুষিত এলাকাগুলো দিয়ে এবং এসব বিজয় অভিযানে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মত ছিল। মার্কিন আর তাদের তাবেদার আফগান সরকার কল্পনাও করতে পারে নি, আফগানিস্তানের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী এভাবে তালেবানকে সমর্থন দিবে।
এর কারন (কারণ) হিসেবে একমাত্র ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিক শাসনব্যাবস্থা তালিবানকে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর কাছে সমর্থনযোগ্য করে তুলেছিলো। ইসলামি হুকুমমত শরিয়াহ্ ভিত্তিক ন্যায় -ইনসাফের হুকুমমত, এখানে যুলুম করার কোন সুযোগ নেই। তাই একমাত্র ইসলামি শাসন ব্যাবস্থায় পারে পৃথিবীর সকল ধর্ম-বর্ণ, গোত্র-জাতি নির্বিশেষে সকল জাতি আর ধর্মের লোকজনকে একই ঝান্ডার(ঝাণ্ডার) নিচে সহবস্থান করাতে।
সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠায় বিপ্লব কখনো থেমে থাকে না। নিশ্চয় আগামীর বিপ্লব ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিক ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠার বিপ্লব।
Comment