রাজধানীর কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনায় ঘাতকদের ফেলে যাওয়া ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা মোবাইল ফোন থেকে কোন তথ্যই পায়নি পুলিশ। মোবাইল ফোনের সিমকার্ড রেজিস্ট্র্রেশনেও ভূয়া ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি)’র মামলা তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা ঢাকাটাইমসকে বলেছেন, ঘাতকরা কিলিং মিশন সম্পর্কে খুবই দক্ষ ও প্রশিক্ষিত। তা না হলে তারা ওই ধরনের মোবাইল ফোন বহন করতো না। তারা মোবাইল ফোনটি দিয়ে কিলিং মিশন শেষ হওয়ার পর সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতো।
তিনি আরও জানান, কিলিং মিশন শেষ করার পর ঘাতকরা নির্দেশদাতার কাছে ম্যাসেজ (ক্ষুদেবার্তা) দেয়ার জন্য মোবাইল ফোনটি এক ঘাতকের ব্যাগে বহন করছিল। এই মোবাইল ফোনটি দিয়ে আগে কারো সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। ঘাতকদের ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা মোবাইল ফোনটির কোন কললিস্ট নেই। মোবাইল ফোনের সিমকার্ড রেজিস্ট্র্রেশনেও ভূয়া ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে।
গত সোমবার বিকালে কলাবাগানের ৩৫, উত্তর ধানমন্ডির আছিয়া নিবাস অ্যাপার্টমেন্টে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে জুলহাজ মান্নান (৪০) ও তার বন্ধু নাট্য কর্মী মাহবুব রাব্বি তনয়কে (৪০) চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত জুলহাজের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত জুলহাজ সমকামীদের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন।
এদিকে, মামলা তদন্তকারী ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভিডিও ফুটেজ থেকে তিন জনকে ঘাতক হিসেবে শনাক্ত করা গেলেও তাদের বিস্তারিত পরিচয় উদঘাটনের কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে কাউকে আটক করা হয়নি।
ডিবির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মাশরুকুর রহমান খালেদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘মামলা দুইটি ছায়া তদন্ত চলছে। এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে খুনিদের শনাক্তের কাজ চলছে।’
নিহত জুলহাজের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন জানিয়েছেন, ‘ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মা সখিনা খাতুন বর্তমানে তার গুলশানের বাসাতেই রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। মা এখনও জানেন জুলহাজ বিদেশে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরবে। মায়ের স্মৃতিশক্তি একটু কম। তারপরও মাঝে মাঝে জুলহাজের বিষয় জানতে চাচ্ছেন। আমরা বিদেশে চিকিৎসার কথাই বলছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘তাদের সঙ্গে ঘটনা তদন্ত সংশ্লিষ্ট কেউ কথা বলেনি। তাদের কাছে কোনও বিষয় জানতেও চাওয়া হয়নি। তবে পুলিশ সঠিক তদন্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তার করবে বলে তার বিশ্বাস।’
অন্যদিকে, হত্যাকা-ের ঘটনায় তিন জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামামান খাঁন কামাল। শুক্রবার সকালে ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছি। সময় মতো জানাবো। হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। তবে এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারব না। আরও কয়েকদিন পরে সবকিছু জানাতে পারবো। তিনি আরও বলেন, ব্লগারসহ যেসব হত্যাকা- ঘটেছে তার বেশ কয়েকটির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করেছি আমরা। কয়েকজনকে বিচারের সম্মুখীন করা হয়েছে। বাকিদের অল্প সময়ের মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হবে।
http://www.bdeditor.net/newsdetail/detail/41/209333
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি)’র মামলা তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা ঢাকাটাইমসকে বলেছেন, ঘাতকরা কিলিং মিশন সম্পর্কে খুবই দক্ষ ও প্রশিক্ষিত। তা না হলে তারা ওই ধরনের মোবাইল ফোন বহন করতো না। তারা মোবাইল ফোনটি দিয়ে কিলিং মিশন শেষ হওয়ার পর সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতো।
তিনি আরও জানান, কিলিং মিশন শেষ করার পর ঘাতকরা নির্দেশদাতার কাছে ম্যাসেজ (ক্ষুদেবার্তা) দেয়ার জন্য মোবাইল ফোনটি এক ঘাতকের ব্যাগে বহন করছিল। এই মোবাইল ফোনটি দিয়ে আগে কারো সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। ঘাতকদের ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা মোবাইল ফোনটির কোন কললিস্ট নেই। মোবাইল ফোনের সিমকার্ড রেজিস্ট্র্রেশনেও ভূয়া ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে।
গত সোমবার বিকালে কলাবাগানের ৩৫, উত্তর ধানমন্ডির আছিয়া নিবাস অ্যাপার্টমেন্টে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে জুলহাজ মান্নান (৪০) ও তার বন্ধু নাট্য কর্মী মাহবুব রাব্বি তনয়কে (৪০) চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত জুলহাজের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত জুলহাজ সমকামীদের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন।
এদিকে, মামলা তদন্তকারী ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভিডিও ফুটেজ থেকে তিন জনকে ঘাতক হিসেবে শনাক্ত করা গেলেও তাদের বিস্তারিত পরিচয় উদঘাটনের কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে কাউকে আটক করা হয়নি।
ডিবির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মাশরুকুর রহমান খালেদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘মামলা দুইটি ছায়া তদন্ত চলছে। এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে খুনিদের শনাক্তের কাজ চলছে।’
নিহত জুলহাজের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন জানিয়েছেন, ‘ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মা সখিনা খাতুন বর্তমানে তার গুলশানের বাসাতেই রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। মা এখনও জানেন জুলহাজ বিদেশে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরবে। মায়ের স্মৃতিশক্তি একটু কম। তারপরও মাঝে মাঝে জুলহাজের বিষয় জানতে চাচ্ছেন। আমরা বিদেশে চিকিৎসার কথাই বলছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘তাদের সঙ্গে ঘটনা তদন্ত সংশ্লিষ্ট কেউ কথা বলেনি। তাদের কাছে কোনও বিষয় জানতেও চাওয়া হয়নি। তবে পুলিশ সঠিক তদন্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তার করবে বলে তার বিশ্বাস।’
অন্যদিকে, হত্যাকা-ের ঘটনায় তিন জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামামান খাঁন কামাল। শুক্রবার সকালে ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছি। সময় মতো জানাবো। হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। তবে এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারব না। আরও কয়েকদিন পরে সবকিছু জানাতে পারবো। তিনি আরও বলেন, ব্লগারসহ যেসব হত্যাকা- ঘটেছে তার বেশ কয়েকটির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করেছি আমরা। কয়েকজনকে বিচারের সম্মুখীন করা হয়েছে। বাকিদের অল্প সময়ের মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হবে।
http://www.bdeditor.net/newsdetail/detail/41/209333
Comment